লাইফ স্টাইলঃ- 😋 ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে প্রচুর খাওয়া দাওয়া।😋
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার,
প্রিয় পরিবারের সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আপনাদের সকলের দোয়ায়। সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে সুস্থ আছি এবং বেশ ভালই আছি। আজ আমাদের এখানে ওয়েদারটা খুবই মেঘাচ্ছন্ন। তবে আবারো তিন নাম্বার সংকেত দেওয়া হয়েছে। আবারও কি জানি কোন বিপদ আসতেছে বেশ ভয় লাগতেছে। যদি আবার ঘূর্ণিঝড় হামুনের মত হয় তাহলে অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে। সবাই দোয়া করবেন পরিস্থিতি যেন ভালো হয়ে যায়। তবে বেশ অন্ধকার হয়ে আছে এবং একটু একটু বৃষ্টিও হচ্ছে। তো বন্ধুরা ওয়েদার যেমন হবে হোক কিন্তু আমাদের কর্মব্যস্ততা কমে না। সারাদিন সকাল থেকে ছুটে চলা সেই মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। সকাল থেকে অনেক ব্যস্ত ছিলাম আজকে। আমি আপনাদের সাথে সেই ব্যস্ততা নিয়ে কিছু বিষয় শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
তো বন্ধুরা আজকে মেয়েদের স্কুলে ফুড ফেস্টিভ্যাল ছিল। তো সে কারণে সকাল থেকে অনেক ব্যস্ত ছিলাম। আসলেই ফুড ফেস্টিভ্যাল বলতে আজকাল তেমন দেশীয় খাবারের আইটেম দেখা যায় না। বলতে গেলে সব কিছু্র মধ্য ফরাসি ভাব বা ইংরেজ ভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়। আগে আমরা খাবারের উৎসব বলতে শুধু বিভিন্ন ধরনের পিঠার উৎসবকেই বুঝতে পারতাম। কিন্তু আজকের ফুড উৎসবে যে অবস্থা দেখলাম তা অন্য ধরনের অবস্থা। তো বন্ধুরা মেয়ের স্কুলে ফুড ফেস্টিভ্যাল হবে তা আগেই বলে ছিল স্কুল থেকে। সেখানে অবশ্যই আমাদেরকে দুই তিন দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি চাইছিলাম মেয়ে যেহেতু এখনো ক্লাস থ্রিতে পড়ে তাহলে সামনে অনেক সময় আছে। তো চাইছিলাম এবারে অংশগ্রহণ করবো না যেহেতু শরীর একটু ভালো লাগছিল না।
যাক মেয়ে যখন অনেক জোরাজোরি করলো মেয়েকে বললাম তাহলে ঠিক আছে তোমার জন্য ভিন্ন ভিন্ন আইটেমের পিঠা তৈরি করে দেবো। কিন্তু মেয়ে বললো মা আমাকে ফ্রেন্স ফ্রাই আর চিকেন ফ্রাই করে দিতে হবে। আসলে এই খাবার আমাদের দেশীয় খাবারের মধ্যেই পড়ে না। আমাদের দেশীয় খাবারের স্বাদ অন্য রকমের। বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি থাকবে। সেই সাথে দেশীয় খাবারের স্বাদ নিতে অনেক ভালো লাগবে ভিন্ন ভিন্ন আইটেমের। তো মেয়ে যেহেতু সেই খাবার নিবে তাই প্রস্তুত করলাম। সকাল দশটায় স্কুলে উপস্থিত হলাম। দেখে তো অবাক কান্ড ইতোমধ্যে খাবারের স্বাদ নেওয়া শুরু করে দিল স্যারেরা। তো আমিও মেয়েদেরকে নিয়ে উপস্থিত হয়ে গেলাম আমার খাবার নিয়ে। সত্যি কথা বলতে এতই ভালো লাগছিল।
যতটুকু কল্পনা করেছিলাম কিন্তু তার চেয়ে আরো অনেক বেশি কিছু দেখতে পেলাম। আজকালকার গার্ডিয়ানেরা অনেক বেশি সচেতন। তবে একটা কথা না বললে নয় সেটা হচ্ছে যে সবাই কিন্তু দেখলাম অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করে এখানে ফুড ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করল। যদিও কিন্তু ঘরে তৈরি করেছে এমন কথা বললো। আমি যতটুকু আন্দাজ করতে পেরেছি প্রায় অর্ধেক গার্ডিয়ান অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করেছে। কারণ অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করার ডেকোরেশন এবং ঘর থেকে তৈরি খাবারের ডেকোরেশনের মধ্যে অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
তবে যাক এই কথা বাদ দিলাম। এইবার আসি খাবারে কথা। আজ অনেক অনেক খাবার খেয়েছি। প্রতিটি খাবারের স্বাদ কিন্তু দারুন ছিল। তো প্রথমে স্যারেরা খাবার খেয়ে খাবারের মান বিচার করে চলে গেলেন। তার পরে আমরা যার যার খাবার নিয়ে বাচ্চাদের নিজ ক্লাসরুমে চলে গেল। তো সেখানে যা হবার হয়ে গেল আহা কত মজার একটি সময় গেল আজকে। বিশেষ করে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম সেটা হচ্ছে যে পোলাও কিংবা চিকেন বিরিয়ানি। অথবা অন্যান্য খাবার বেশি দেখতে পেয়েছি। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেক বেশি দেখেছি। এছাড়া সেখানে ছিল ঝাল জাতীয় খাবারের অনেক আইটেম।
তবে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে প্রতিটি খাবারের স্বাদ। সবাই অনেক মজার করে ভাগাভাগি করে আমরা খেয়েছি। যেহেতু বাচ্চারা ছোট তাই আমরা গার্ডিয়ানেরা অনেক সহযোগিতা করেছি বাচ্চাদেরকে। সবাই মিলে অনেক আনন্দের একটি মুহূর্ত কাটালাম। আমার তো খেয়ে একদম নিঃশ্বাস ফেলতে না পারার মত অবস্থা হা হা হা। কারণ সবার থেকে একটু একটু খেতে হলেও অনেক খাবার। আসলে এত খাবার খাওয়া সম্ভব নয়। খাব না বললেও কিন্তু অনেক খাওয়া হয়ে গেল। তাছাড়া আমি যে খাবার গুলো তৈরি করে নিয়েছি সবাইকে ভাগ করে দিয়ে দিলাম। তো সবাই আমাদেরকেও দিল। অবশেষে আবারো আমরা খেয়ে দেয়ে নিচ চলে এসেছি।
নিচে চলে আসার পরে সেখানে আবার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। বিচারকেরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে এক ক্লাসের মধ্যে তিন জন করেই প্রাইজ দিল। সেই সাথে প্রতিটি অংশগ্রহণকারী গার্ডিয়ানকে একটি করে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। তবে শেষ মুহূর্তটি আরো অনেক বেশি আনন্দের ছিল। আসলে এত গুলো খাবার থেকে প্রথম তিন জন নির্বাচন করা খুবই কঠিন ব্যাপার। যাক অবশেষে বেশ ভালই লাগলো দেখে। সেই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটা উপভোগ করলাম। সব শেষ হলে বাসায় চলে আসি।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
Twitter
হাহাহা! আপু গার্ডিয়ানরা তো দেখছি চালাকি করলো তাহলে আপু। অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করে নিয়ে আসছে। আপনি শরীর খারাপ নিয়েও বানিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেন। তবে অনেক মজার মজার রেসিপি দেখতে পেলাম।
এখনকার গার্ডিয়ানরা খুবই চালাক ভাইয়া।
আপু আপনি তো দেখছি মেয়ের স্কুলে ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে গিয়ে অনেক ধরনের খাবার খেয়েছেন। সত্যি এখন ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে খাবারের আইটেমের কথা বললে দেখা যায় সব বিদেশি বিদেশি ভাব। তবে শেষে পুরস্কার বিতরণের অনুষ্ঠান হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
সবাই মিলে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালাম অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের ভার্সিটি তে যে কেন এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়না।ইশ কত্ত মজা হত। অনেক ভাল লাগল বাচ্চা গার্জিয়ান মিলে বেশ ভাল সময় কাটিয়েছেন।এখন শুধু খাবার কেন সব ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদের সংস্কৃতি ভুলতে বসেছি। তবে যে গার্জিয়ানরা অনলাইন থেকে খাবার নিয়ে অংশগ্রহন করেছে তারা মোটেই ভাল কাজ করে নি। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি ফেস্টিভ্যাল আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছেও ব্যাপারটা মোটেই পছন্দ হয়নি অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করার বিষয়টি্।
আপনার পোস্ট থেকে ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠান কথাটা শুনেই ভালো লাগলো। কারণ ফুড মানেই তো ভিন্ন ভিন্ন ধরনের খাবার। তবে আপনার ইচ্ছা না থাকলেও মেয়ের কারণে জয়েন করেছেন এটা দেখেই ভালো লাগলো। তার সাথে দেখছি মেয়ের পছন্দের খাবার তৈরি করেছেন। আর একটা বিষয় হওয়ারই থাকে যারা মনে হয় খাবার তৈরি করতে পারে না , তারাই অনলাইন থেকে অর্ডার করে। তবে সবার সাথে বসে এত বেশি খাবার খেয়েছেন আর আনন্দ করেছেন এটাই সব থেকে বড় কথা। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটালেন।
হে মাঝে মাঝে ইচ্ছে না থাললেও বাচ্চাদের খুশির জন্য করতে হয় আপু কি আর করবো।
এখন প্রায় প্রতিটি স্কুলে এ ধরনের আয়োজন করা হয়। ছেলে মেয়েদের সাথে মায়েরাও অংশগ্রহন করে্ন। বাচ্চারা এ দিনটির জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে।আজকাল আমরা সকল ক্ষেত্রেই আমাদের সংস্কৃতি ভুলতে বসেছি। আর খাবারের ক্ষেত্রে সেটা বেশ লক্ষ্যনীয়। আর কিছুদিন পর বাচ্চারা আমাদের পিঠাপুলির নামই বলতে পারবে না। তা যাই হোক বেশ ভালই কিছু সময় কাটালেন মেয়ার স্কুলের ফুড ফেস্টিভেল এ।
প্রতিটি স্কুলে যেহেতু ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হয় ব্যাপারটা আমার কাছে ভালো লাগে আপু।
আমাদের এখানেও কাল রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।সারাদিন আকাশ টা কেমন জানি মেঘলা মেঘলা ছিলো।আসলো স্কুলে এমন ফুড ফেস্টিভ্যাল এর আয়োজন করলে বেশ ভালোই লাগে।তাছাড়া বেশ খাওয়া দাওয়া ও হয়।বাচ্চারা ও বেশ মজা করে।ধন্যবাদ
একদম আপু খাওয়ার মুহূর্ত টি দারুন ছিল। ধন্যবাদ আপু।
আমাদের দেশে অনেক রকমের উৎসব হয়ে থাকে। তার মধ্যে ফুড ফেস্টিভেল টা সকলের প্রিয়। কারণ এখানে বিভিন্ন প্রকার খাবারের আইটেম নিয়ে হাজির হয় অনেক বিক্রেতা। অনেক অনেক খুশি হলাম সুন্দর এই পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে।
যেহেতু সবাই খাবার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তাই খাওয়া দাওয়া দেখলে অনেক খুশি হয়।