ট্রাভেলিংঃ-বুফে খাওয়ার মুহূর্ত রয়েল টিউলিপ রেস্টুরেন্টে (-১)।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

শুভ দুপুর প্রিয় বন্ধুরা,

আসসালামুআলাইকুম প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন এই প্রত্যাশা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আপনাদের দোয়ায়। তো বন্ধুরা আপনাদের দিনকাল কেমন যাচ্ছে নিশ্চয়ই ভালো যাচ্ছে। আমার দিনকাল বেশ ভালই যাচ্ছে যদিও ব্যস্ত থাকি। কিন্তু চেষ্টা করি কাজ গুলো ভালো ভাবে সময় মতো করে নেওয়ার। আজকে আবারও নতুন একটি ব্লগিং এ আপনাদের স্বাগতম জানাচ্ছি। আমি আজকে আবার উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি বিষয় শেয়ার করব বলে। চেষ্টা করি সব সময় ভিন্ন ভিন্ন কিছু বিষয় আপনাদের সাথে তুলে ধরার। তো আমি সেই ধারাবাহিকতায় আজকেও নতুন একটি টপিক্স নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

f2.jpg

ইতোমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন আমি কক্সবাজার ইনানীতে ভ্রমণে গিয়েছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে। সেখানে সময় মন্দ কাটেনি বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে। তো বন্ধুরা আপনাদের সাথে বিভিন্ন আনন্দের মুহূর্ত তো আমি শেয়ার করেছি। আজকে আমি যে বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব তা হচ্ছে রয়েল টিউলিপে সকাল বেলায় বুফে খাওয়ার মুহূর্ত নিয়ে। যেহেতু ২২ হাজার টাকার মধ্যে একটা রুম বুকিং করেছিলাম। তো সেখানে ফিফটি পার্সেন্ট ডিসকাউন্টের মাধ্যমে আমরা এগারো হাজার টাকা দিয়ে রুম বুকিং করেছি। কিন্তু সেই টাকার মধ্যে সকালের বুফে খাওয়ার একটি সুযোগ ছিল।

f10.jpg

f.jpg

ওই বাজেটের মধ্যে সকাল বেলায় হোটেলের পক্ষ থেকে একটা বুফে খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। যদিও সকাল টাইম এর জন্য ছিল। তো আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন তো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি অনেক আনন্দ করেছিলাম। যেহেতু ফাইন ডাইনিং থেকে রাতে খেয়ে আসার পরে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল থেকেই সেখানে খাওয়া-দাওয়া শুরু হয়ে যায় র‍য়েল টিউলিপ রেস্টুরেন্টে। কিন্তু আমাদের ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছিল। আমাদের ছোট ভাই আমার দেবর সরোয়ার সাহেব আমাদেরকে ডাকতে আসে। যেহেতু এগারোটার মধ্যে তারা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেবে। তো সেই জন্য অনেক তাড়াহুড়ো করছিলাম সবাই মিলে। ফ্রেশ হয়ে আমরা হোটেলের রেস্টুরেন্টের ইনডোরে প্রবেশ করি।

f1.jpg

f3.jpg

অবশ্যই সেখানে রুমের নাম্বার কার্ড দিয়ে এন্ট্রি করে ঢুকতে হয়। এন্ট্রি করার পরে আমরা চারজনে প্রবেশ করি সেই সাথে সরওয়ার ছিল। আসলে যখন গিয়েছিলাম তখন অনেক লোকজনের খাওয়া-দাওয়া প্রায় শেষ হয়ে গেছিল। আমরা বলতে গেলে শেষ পর্যায়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যায়ে গেলেও আইটেমের কিন্তু অভাব ছিল না। তো প্লেট নিয়ে বিভিন্ন আইটেম নিলাম। সেই সাথে কিছু ফটোগ্রাফিও নিয়ে নিলাম। যেহেতু আমারা খাওয়ার লাস্ট মুহূর্তে গেছি তখন খাওয়া দাওয়া নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আসলে সেখানে অনেক ভালো ভালো আইটেম ছিল যেহেতু সকালের ব্রেকফাস্ট। বিভিন্ন ধরনের আইটেম ছিল সকালের ব্রেকফাস্টের জন্য।

f5.jpg

f6.jpg

বলতে গেলে কিছু বাদ ছিল না খিচুড়ি, রুটি,পরোটা, পাউরুটির বিভিন্ন আইটেম। বিভিন্ন ধরনের পিঠার আইটেম ছিল। বিভিন্ন ধরনের ফ্রুটস জোস এর আইটেম ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফ্রুটসের আইটেম ছিল। বিভিন্ন ধরনের হট কফির আইটেম। ফাস্ট ফুডের আইটেমের কমতি ছিলনা। তাছাড়া ও বলতে গেলে সব ধরনের আইটেমের ব্যবস্থা ছিল। আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল প্রতিটি আইটেম। তবে ভালো লাগলে কি আর করার কিন্তু এত গুলো আইটেম তো আর এক সাথে খাওয়া যায় না হা হা হা। নিজের পছন্দ মত বেশ কয়েকটা আইটেম প্লেটে করে নিয়ে নিলাম। সেখান থেকে সবাই মিলে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শুরু করে দিলাম। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল অনেক আনন্দময় একটি মুহূর্ত ছিল।

f4.jpg

f7.jpg

যেহেতু বাচ্চারা ছিলো তাই আমি চেষ্টা করেছিলাম তাদেরকে সকালে খিচুড়ি ভাত দেওয়ার জন্য। আমি বাচ্চাদেরকে সকালে ভাত দেওয়ার চেষ্টা করি সব সময় ঘরে। ঘর থেকে অভ্যাস করেছি। যেহেতু তারা স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে একটু দুর্বল হালকা তাই চেষ্টা করি সকালে ভাত খাওয়ার। রুটি পরোটা খেলে এত বেশি খেতে চাই না তাছাড়া গ্যাসের সমস্যা হবে তাই সরাসরি ভাতে চলে যায়। তাছাড়া বড় মেয়ে যেহেতু স্কুলে যায় দীর্ঘক্ষণ সময় না খেয়ে থাকতে হয়। যদিও আমি টিফিন দিই কিন্তু সকালে অল্প করে ভাত খেয়ে পাঠাই। তো সেই অভ্যাস থেকে আমি তাদেরকে সকালের বুফে টাইমে খিচুড়ি ভাত নিলাম। তাছাড়া মেয়েরাও পছন্দ করলো। যেহেতু তাদের পছন্দের মুরগির মাংস ছিল। এছাড়াও তাদের পছন্দের আরো অন্যান্য অনেক আইটেম নিয়েছিলাম।

f8.jpg

f9.jpg

যেগুলো আমি আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আমার আজকের ব্লগিং বেশ ভালোই লাগবে। যেহেতু আমি আপনাদেরকে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করলাম। নিশ্চয়ই এমন মজাদার মুহূর্ত সকলের কাছে ভালো লাগারই কথা। সময় দিয়ে পোস্ট পড়ার জন্যই বেশ ভালো লাগলো। সব সময় পাশে থাকবেন সহযোগিতা করবেন এই কামনা করি।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationকক্সবাজার ইনানী রয়েল টিউলিপ ভ্রমণ
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

Polish_20230713_210902326.png

Steem_Pro.png

Sort:  
 last year 

আলহামদুলিল্লাহ আপু আমরা ভালো আছি। আপনি সব সময় চেষ্টা করেন ভিন্ন ভিন্ন কিছু বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য যা খুবই ভালো লাগতেছে। জি আপু আমরা জানতে পেরেছি আপনি কক্সবাজার ইনানীতে ভ্রমনে গিয়েছিলেন বাচ্চাদের কে নিয়ে এবং সেখানে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন এবং আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে এটি পরিবেশনা করার চেষ্টা করেছেন। সত্যিই দুর্দান্ত ব্যাপার ১১ হাজার টাকার মধ্যে আপনারা সকালে বুফে খাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন এবং তাও আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন কি দারুন ভাবে। খাবারগুলি দেখে তো লোভ লাগতেছে। আপনারা শেষ পর্যায়ে গিয়েছিলেন সত্যিই একটু যদি ঘুম থেকে আগে উঠতেন তাহলে কিন্তু খুব ভালো হতো। আইটেমগুলো তো অনেক ছিল।এগুলো দেখে তো মন বলছে এখনই চলে যা।হুম আপু কিছু বাদ ছিল না সবকিছু ছিল আইটেমের মধ্যে। খুবই ভালো লাগছে আমার এগুলো দেখে। যাক বুফে বাচ্চাদেরকে খিচুড়ি ভাত দিলেন এবং আপনি এ বিষয়ে সতর্ক অনেক ভালো লাগলো এবং আপনার মেয়েও খুব পছন্দ করলো। অনেক সুন্দর ছিল আপু। পরবর্তী পর্বের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা রইলাম

 last year 

হ্যাঁ ভাইয়া ১১ হাজার টাকা বুকিং নিয়েছিল সেখানে একটি বুফের ব্যবস্থা ছিল। তো মুহূর্তটি বেশ ভালোই কাটিয়েছিলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর গঠনমূলক মতামত দেওয়ার জন্য।

 last year 

কক্সবাজার গিয়ে এরকম চমৎকার একটা অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, বুকে ইনজয় করার একটা জিনিস, প্রথম যখন বুফে খেতে গিয়েছিলাম ভেবেছিলাম সব খেয়ে ফেলবো, বুফে খাওয়া নিয়ে যে কত মজা স্মৃতি রয়েছে বন্ধুদের সাথে।

 last year 

একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া আসলে মন চাই যে সব আইটেম থেকে একটু একটু করে খাই হা হা হা। কিন্তু তা কি আসলে সম্ভব?

 last year 

আপু,একা একা আমাদের রেখে বুফেতে খেয়ে নিলেন। এটা কিন্তু ভালো হয়নি।তবে আপনার ভাইয়া আমাকে বলতেছিল কক্সবাজার যাওয়ার কথা। কিন্তু হরতাল অবরোধ এর কারণে কোথাও বের হতেও ভয়।যাইহোক খাবারগুলো দেখে রীতিমত লোভ লেগে গেল।

 last year 

আপু বুফে তো শেষ হয়ে যায়নি প্রতিদিন সকালেই থাকে। আপনারা আসেন আবারও চলবে🥰।

 last year 

আপনার আনন্দময় মূহুর্তের একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমনে গিয়ে হোটেল টিউলিপ এ বুফে খাবারের অনেক সুন্দর বর্ননা দিয়েছেন। আশাকরি পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেশ আনন্দে কেটেছে খাওয়া দাওয়াসহ ভ্রমনের সময় গুলো। শুভ কামনা আপনার জন্য।

 last year 

হ্যাঁ আপু পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আপু আপনাদের খাওয়া দাওয়ার মূহুর্ত দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু সকাল বেলা এমন খাবার দেখলে সত্যি খাওয়ার থেকে খাবার দেখেই পেট ভরে যায়।তবে আপনি ঠিক বলেছেন সকাল বেলা বাচ্চাদের ভাত খাওয়ার ভালো অভ্যাস। তবে আমার বাচ্চারা ভাত খেতে চায় না।তবে আপু বুফেতে খাওয়ার আগে বললে হয়তো আমরা চলে যেতাম হা হাা হা।ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

হা হা হা ভুল হলো আপু আসলে বলা উচিত ছিল যেহেতু এত খাবারের আয়োজন। একা একা খেয়ে নিলাম কিন্তু আফসোস করতেছি এখন।

 last year 

বুফে খাওয়ার মজাই আলাদা। পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন এটা জানি। এভাবে মাঝে মধ্যে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর ভালো থাকে। আপু খাবার গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো।

 last year 

হ্যাঁ ভাইয়া মুহূর্তটি খুবই সুন্দর ছিল। তাছাড়া খাবার দাবার অসাধারণ ছিল।

 last year 

এত লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আর কি বলব। দেখেই তো লোভ লাগছে। অনেক ধরনের আইটেম রয়েছে দেখছি। হোটেলের ফিফটি পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট এর সাথে আবার একবেলা বুফে খাওয়ার সুযোগ। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন। আপনাদের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

একদম ঠিক বলছেন আপু একদিকে ডিসকাউন্ট অন্যদিকে বুফে সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি সময় ছিল।

 last year 

ভালো ডিসকাউন্ট দিয়েছিল দেখছি আপু। মাঝে মাঝে ফ্যামিলিকে নিয়ে ঘুরতে গেলে ভালোই লাগে। মজার ব্যাপার হলো সব খাবারই অল্প অল্প টেস্ট করে নিতেন 😁

 last year 

সব খাবার টেস্ট করার জন্য মাঠে নামছিলাম কিন্তু পেটে ধরল না শেষমেষ হা হা হা।

 last year 

হাহা! ধরলে আল্লাহই জানে কি করতেন তখন 😂

 last year 

হা হা হা

 last year 

Coin Marketplace

STEEM 0.25
TRX 0.20
JST 0.038
BTC 94956.90
ETH 3542.14
USDT 1.00
SBD 3.80