চিংড়ি শুটকি কচুর লতি ও কাঁচা আমের সুস্বাদু রেসিপি
জুমা মোবারক সবাইকে
আশা করি সকলেই ছুটির দিনে অনেক ভালো আছেন। ছুটির দিনে বিশেষ বিশেষ কাজ নিয়ে সবাই অনেক ব্যস্ত থাকেন।সেটা স্বাভাবিক জমে থাকা কাজ গুলো সবাই করে নিতে চাই। তো সেই মাঝে আমাদের ধারাবাহিক কাজগুলো করে নিতে চাই আমরা।
@amarbanglablog বন্ধুরা আমি আজকে আবারো হাজির হয়েছি। আমি আজকে নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করব আপনাদের সাথ। চেষ্টা করি সপ্তাহে একদিন রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার। তো আমি আজকে যে রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেটা হচ্ছে যে
চিংড়ি শুটকি মাছ আর কচুর লতি ও সাথে কাঁচা আমের মজার একটি রেসিপি। রেসিপিটি আমার অনেক ভালো লাগে চিংড়ি শুটকি দিয়ে কচুর লতি রান্না করতে।
তাছাড়া কচুর লতি রান্না করলে একটু টক দিতে হয় আপনারা সবাই জানেন। তো আমি কাঁচা আম দিয়েছি টক হিসেবে যাতে গলা না চুলকায়। এই রেসিপি খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে যদি শুটকি মাছ চিংড়ি শুটকি হয় তাহলে বেশ মজার হয়। চলুন বন্ধুরা আমার আজকের সেই মজার রেসিপিটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার আজকে রেসিপিটি। যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আমার রেসিপিটি দেখে আপনারাও তৈরি করে নিতে পারেন। চলুন তাহলে শেয়ার করা যাক ধাপে ধাপে—-
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ
প্রথমে আমি আপনাদেরকে উপকরণ সমূহ পরিমাণ মত নিয়ে দেখালাম।
কচুর লতি- ৫০০ গ্রাম।
চিংড়ি শুটকি- ৫০ গ্রাম।
পেঁয়াজ বাটা ২ টি।
রসুন কুচি- ৩ কোয়া।
কাঁচা মরিচ ফালি- ৫/৬ টি।
লবণ- স্বাদমত।
লাল মরিচ গুঁড়া- ২ চামচ।
হলুদ গুঁড়া - ১ চামচ।
জিরা গুঁড়া -১ চামচ।
ধনে গুঁড়া -১ চামচ।
সরিষার তেল-পরিমাণ মত।
কাঁচা আম- একটার হাফ।
ধনে পাতা- কুচি।
চিংড়ি শুটকি কচুর লতি ও কাঁচা আমের সুস্বাদু রেসিপি তৈরির ধাপ
রান্নার ধাপ-১
আপনাদেরকে উপরে রেসিপির উপকরণ সমূহ নিয়ে দেখিয়েছি। এখন আমি সরাসরি রান্নার ধাপে চলে যাব। তো তার জন্য করতে হবে একটা পাত্র চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। তাতে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়েছি। তেল গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো। তেল গরম হয়ে আসলে সেখানে দিয়ে দেব পেঁয়াজ বাটাও রসুন কুচি।
রান্নার ধাপ-২
ভালো করে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিতে হবে। এর সাথে দিয়ে দেব কাঁচা মরিচ ফালি। এবং সাথে দিয়েছি চিংড়ি শুটকি মাছগুলো। সবগুলো উপকরণ ভালো মত কষিয়ে নিতে হবে তেলের মধ্যে।
রান্নার ধাপ-৩
সবগুলো তেলের মধ্যে ভালো করে ভেজে নিয়েছি। প্রায় ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে এখন দিয়ে দিতে হবে কাঁচা আমের ফালি গুলো। আবারো কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিব।
রান্নার ধাপ-৪
এখন দিয়ে দেবো শুকনো উপকরণ গুলো। লাল মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া ও সাথে দিয়ে দেব পরিমাণ মতো লবণ। সব গুলো উপকরণ দেওয়া শেষ হলে সামান্য পানি দিয়ে সবগুলোকে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-৫
এখন দিয়ে দেব কচুর লতি। যা আগে থেকে আমি খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। এবং হালকা লবণ দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিয়েছি। এরপর ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে রেখেছিলাম। এখন কচুর লতিগুলো দিয়ে সামান্য পানি দেব। এবং পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে যতক্ষণ না সিদ্ধ হয়ে আসে।
সিদ্ধ হয়ে আসলে ধনেপাতা কুচি গুলো দিয়ে চুলা থেকে নামায় ফেলবো।
রেসিপির পরিবেশনা
এবার হচ্ছে রেসিপির পরিবেশনের পালা। আমার সব ঋতুর তুলনায় বর্ষাকালের কচুর লতি খেতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে চিংড়ি শুটকি দিয়ে কচুর লতি খুব মজার লাগে আমার কাছে। তাই আমি চেষ্টা করি বর্ষাকাল আসলে এভাবে রেসিপি তৈরি করার। বুঝতেই তো পারছেন আমার কত প্রিয় একটি রেসিপি। খেতে অনেক মজার হয়েছিল। সাথে কাঁচা আম দিয়েছি খেতে আরো বিভিন্ন রকমের ভালো লেগেছিল। তো বন্ধুরা আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে কেমন লেগেছে মতামত দিয়ে জানাতে ভুলবেন না।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
কচুর লতি দিয়ে মজাদার চিংড়ি শুঁটকি রেসিপি দেখে জিভে প্রায় চলে এলো আপু। তবে কচুর লতি সাথে কখনো আম দিয়ে খাওয়া হয়নি। ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু আমার রেসিপি টি দেখে ভাল লাগার জন্য।
চিংড়ি শুটকি দিয়ে কচুর লতি অসাধারণ রেসিপি। সত্যি আপু লতি দিয়ে চিংড়ি কিংবা ইলিশ মাছ বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি টক হিসেবে কাঁচা আম দিয়েছেন। আপনার রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু রেসিপি ভাল লাগার জন্য।
টক দিয়ে কচুর লতি ছোট বেলায় অনেক খেয়েছি।আমার দাদীমা নিরামিষ খাবার খেতো তাই মাছ মাংস এসব খাবার খেতো না।মাকে দেখতাম কালোজিরা ফোঁড়ন দিয়ে কচুর লতি টক দিয়ে রান্না করতো যাতে খেতে সুস্বাদু লাগে।চিংড়ি শুঁটকি আম দিয়ে অনেক লোভনীয় করে রান্না করেছেন আপু।আপনার রেসিপি গুলো সবসময়ই দেখতে অনেক লোভনীয় হয়।এরকম লোভনীয় রেসিপি হলে আর কিছুই লাগে না।শুঁটকি এবং কচুর লতি দুটোই অনেক পছন্দের খাবার তাই আপনি ১০০তে ১০০ দিলাম আপু।অনেক সুন্দর ও লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
আমার আম্মু টক দিয়ে রান্না করতো আপু তাই চেষ্টা করি খেতে ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আমার মা লতি শুঁটকি দিয়ে রান্না করলে কখনই টক জাতীয় কিছু দেয় না বরং কাঁঠালের বিচি দেয় খেতে বেশ ভালোই লাগে।আমার শাশুড়ী আবার টক আচার দেয় সেটাও খেতে অন্যরকম ভালোই লাগে।যাই হোক আম দিয়ে কখনও খাওয়া হয়নি তবে রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আপু টক আচার দিলে আমার অনেক ভাল লাগে।
সবকিছুর কথা বাদই দিলাম আমি তো ভাবছি আপনি এই সময় কাঁচা আম কোথায় পেয়েছেন। কাঁচা আম রান্না আগে কখনোই খাওয়া হয়নি। আপনি তো দেখছি টক হিসেবে কাঁচা আম ব্যবহার করেছেন যেন গলা না চুলকায়। লতি দিয়ে এভাবে চিংড়ি মাছ তৈরি করলে আমার কাছে খেতে ভালো লাগে। তবে এখন এলার্জির কারণে খুব একটা লতি খাওয়া হয় না। তবে এমনিতে মাঝে মাঝে খেয়ে থাকি। খুবই লোভনীয় লাগছে আপনার রেসিপিটা। চিংড়ি মাছ দেওয়ার কারনে আরো ভালো লেগেছে।
ভাইয়া এলার্জি আমারো আছে তবে এমন মজার খাবার মিস করি না হা হা হা।
কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ খেয়েছি তবে কখনো আম সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়নি।রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছ।রেসিপির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের উপহার দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমি আম দিয়ে রান্না করেছি খেতে বেশ মজার ছিল।
এই রেসিপিটা আমি বেশ কয়েকবার তৈরি করেছি কিন্তু কাঁচা আম কখনো যোগ করা হয়নি। এমনিতে চিংড়ি মাছ এবং নদী একসাথে রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে, তবে কাঁচা আম যে দেওয়া হয় এটা জানা ছিল না। এই সময়টাতে কাঁচা আম পাওয়া যায় এটা জানা ছিল না। যাইহোক আমি ভাবছি আমের সিজনে কাঁচা আম দিয়ে এভাবে রেসিপি তৈরি করব। ধন্যবাদ এই মজাদার রেসিপিটা সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হে আপু অনেক মজার রেসিপি ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন চিংড়ি শুটকি দিয়ে কচুর লতি ও কাঁচা আমের সুস্বাদু রেসিপি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে সত্যিই জিভে জল চলে এসেছে আপু। কিন্তু শুটকি মাছ খেতে আমি খুব একটা বেশি পছন্দ করি না। শুটকি মাছের যে একটা বাসনা আছে ওটা আমার একদমই সহ্য হয় না। কিন্তু আপনার রেসিপি তৈরি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর প্রতিটি স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার তো শুটকি দিয়ে কচুর লতি বেশ ভালই লাগে ভাইয়া😍।
চিংড়ি শুটকি দিয়ে লতি রান্না আমারও খুবই পছন্দের। খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে কাঁচা আম দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের কে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু খেতে দারুন ছিল।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/613drw