||গাজরের মিক্স সুস্বাদু পোলাও ভাতের রেসিপি।||@shy-fox 10%
কেমন আছেন সবাই?
০২ ই- জানুয়ারী -২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
রোজ-সোমবার।
আমি রেসিপিটি কিভাবে রান্না করেছি তাহলে চলুন দেখে আসি--- |
---|
উপকরণ সমূহ নিয়ে দেখিয়েছিঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
চিনি গুঁড়া চাউল- ৫০০ গ্রাম।
গাজর কুচি- ১/২ বাটি থেকে কম।
কাঁচা মরিচ -৭/৮ টা।
পেঁয়াজ কুচি- দুইটি।
রসুন পেস্ট- ২ চামচ।
পেঁয়াজ পেস্ট- ৪ চামচ।
আদা পেস্ট- ২ চামচ
লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা, কিসমিস, বাদাম,
কেওড়া জল -২/৩ চামচ।
ঘি -৩/৪ চামচ।
লবণ- স্বাদমতো
তেল-পরিমানমতো
রান্নার ধাপে চলে যাবঃ
আমি ইলেকট্রিক রাইস কুকারে রান্না করবো তাই ইলেকট্রিক সুইচ অন করে রাইস কুকার গরম করে নিয়েছি।গরম হয়ে আসলে প্রথমে ঘি এবং প্রয়োজন মত তেল দিয়েছি।তেল আর ঘি গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো।
এর পর তেল আর ঘি গরম হয়ে আসলে পেঁয়াজ বেরেস্তা করার জন্য প্রথমে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিব।পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে পেঁয়াজ বেরেস্তা গুলো নিয়ে ফেলবো।
এরপর অন্যান্য মসলা গুলো দিয়ে ভেজে নিব।
মসলাগুলো যাতে তাড়াতাড়ি গলে যায় সেজন্য হালকা করে লবণ দিয়েছি।
এখন সব মশলা যখন কিছুক্ষণ সিদ্ধ করা হয় এরপরে তেজপাতা দিয়েছি এবং সাথে কিসমিস ও বাদাম দিয়েছি।
বাদাম কিসমিস এবং তেজপাতা কিছুক্ষণ ভেজে নেওয়ার পরে দিয়ে দিব আগে থেকে ধুয়ে রাখা চাউল এবং গাজরের কুচি।
চাউল এবং গাজর দেওয়ার পরে সবগুলো মিক্স করে কিছুক্ষণ তেল এবং ঘি এর মধ্যে ভেজে নিব।ভাজা হয়ে গেলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
এরপর চাউল সিদ্ধ হয়ে যখন পানি কমে আসে তখন ধুয়ে রাখা কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে দিলাম।সাথে দিয়ে দেবো ২ থেকে ৩ টেবিল-চামচ কেওড়া জল।
কাঁচা মরিচ আর কেওড়া জল ভালো করে সব চাউলের মধ্যে মিশায় নিছি।
এখন ঢাকনা দিয়ে ভালো করে চাউল গুলো সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে।ঢেকে রাখার পর যখন ভাল করে সিদ্ধ হয়ে আসে তখন ঢাকনা নিয়ে নিলাম।এভাবে তৈরি হয়ে গেল আমার আজকে গাজর মিক্স পোলাও ভাতের রেসিপি।
পোলাও ভাত যেহেতু খাওয়ার জন্য রান্না করেছি তাহলে এবার পরিবেশনের জন্য সাজায় নিতে হবে।মাংস গুলো একই দিনে রান্না করেছিলাম।মাংসের রেসিপি আগেই দিয়ে দিয়েছি।পরিবেশনা টা যেমন সুন্দর ছিল খেতেও তেমন সুস্বাদু ছিল।
এমন খাবার মাঝে মাঝে খেলে সত্যি অনেক তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়।আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।আপনারা ও এভাবে গাজর মিক্স করে পোলাও ভাত রান্না করে খেয়ে দেখবেন নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি।আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন। |
---|
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি।আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
কি রেসিপি দেখালেন আপু! আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
বেশ ভালো লেগেছে আপু আপনার অনুভূতি দেখে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও।
প্রথমে বলবো আপু আপনি একটি পোষ্ট করলেন ৷ আমার দেখেই জিভে জল এসে গেছে ৷ সত্যি বলতে লাস্ট মনে হয় একটা বিয়ে বাড়িতে খেয়েছিলাম পোলাও ভাত ও খাসির মাংস ৷ কি যে স্বাদ ছিল ৷ আজকে আপনার রেসিপি টা দেখে মনে পড়ে গেলো ৷
তবে সামনে পৌষ সংক্রান্তি তে পিঠা পুলি পোলাও খাব ৷
যা হোক অনেক সুন্দর একটি রেসেপি ছিল আপু ৷ প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ছিল ৷
ধন্যবাদ
সামনে যেহেতু পৌষ সংক্রান্তি আছে তাহলে তো পিঠাপুলি আর পোলাও বেশ খেতে পারবেন।
আমিও মানি আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী।তবে আমি যেহেতু খাদ্যরসিক তাই এখানে একটু ব্যতিক্রম ঘটে।খাবার দেখতে খারাপ হলেও খুব সাহস করে সামান্য একটু চেখে দেখি আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়ায় এখানে একটু ব্যতিক্রম এনেছি।
দারুণ লোভনীয় রেসিপি ছিল,সেট মেনু এটা ছাড়া অপূর্ণ।
শুভ কামনা জানাই।
মুখে যথেষ্ট পরিমাণ খাওয়ার রুচি থাকলে দর্শনধারী দেখতে হয় না যা খাবেন সব ভাল লাগবে।
দারুণ রেসিপি তৈরি করছেন আপু। আমাদের প্রায় সময় পোলাও রান্না করা হয়। কারণ আমার আব্বু পোলাও খুবই পছন্দ করে। আব্বু ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে মুরগির মাংস, পোলাও রান্না করা হয়। যাই হোক গতকাল আপনার ভাইয়ের জন্মদিন হিসেবে পোলাও, হাঁসের মাংস রান্না করেছিল। খেতে সত্যি খুব ভালো লেগেছিল। আর আপনার পরিবেশন টা দারুন লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি হাঁসের মাংস দিয়ে পোলাও ভাত খেয়েছেন জিভে জল এসে গেছে শুনে আমার।
তাহলে চলে আসেন আপু, একদিন আবার ভালো করে রান্না করে খাওয়াবো।
আমিও আপনার সাথে একমত আপু কোন খাবার যদি দেখতে সুন্দর না হয় তবে সেটি খেতে আগ্রহ হয় না। আর যা দেখতে সুন্দর তা খাওয়ার জন্য আগ্রহটা আরো বেড়ে যায়। আপনার গাজরের মিক্স সুস্বাদু পোলাও দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে । আমাদের বাসায়ও মাঝেমধ্যে এরকম গাজর এবং মটরশুঁটি দিয়ে পোলাও ভাত রান্না করা হয় খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সাথে মুরগির রোস্ট হলে খেতে আরো ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মটরশুঁটি দিয়ে পোলাও আমার খেতে বেশ ভালো লাগে তবে আমার বাচ্চারা কম খেতে চাই তাই দেওয়া হয় না আপু।
আপু বেশ দারুন রান্না করেছেন তো।গাজর দিয়ে পোলাও রান্না করলে দেখতে যেমন ভালো লাগে, খেতেও ভালোই লাগে।যদিও আমি পোলাও বেশি খেতে পারি না,তবে আমার ছেলের অনেক পছন্দের খাবার।আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
সবার ক্ষেত্রে একই অবস্থা আপু পোলাও ভাত আসলে বেশি খাওয়া যায় না।
আপু আপনি খুবই একটি চমৎকার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আসলে পোলাও চালের সাথে গাজর মিক্সড করে রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি দেখেই ভীষণ ইচ্ছা করছে খেতে। দিনের বেলায় যদি বলতেন তাহলে চলেই যেতাম। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদেরকে দেখিয়েছেন এবং খুব সুন্দর বর্ণনাও দিয়েছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
খেতে ইচ্ছে করলে দেরি না করে দ্রুত চলে আসুন রান্না করে পেট ভরে খাওয়াবো বোনের বাসায় আসলে।
কি বলবো আপু চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। গাজরের মিক্স সুস্বাদু পোলাও ভাতের রেসিপি। দেখে তো ভীষণ খেতে ইচ্ছা করছে। দাওয়াত তো দিতে পারতেন। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
দাওয়াত দিলাম ভাইয়া চলে আসেন একদম ফ্রেশ রান্না করে খাওয়াবো।
আপু এভাবে আমি ফ্রাইড রাইস তৈরি করি। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। দু'দিন আগেও আমি এই রেসিপি তৈরি করেছি আর সবাই খেয়ে খুব প্রশংসা করেছে। মাংস ভুনা করে এই পোলাও দিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপির ধাপগুলো বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলছেন আপু এই ধরনের পোলাও করে ভুনা মাংস দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু, একঘেয়েমি দূর করার জন্যও এভাবে পোলাও ভাত করে মাংস ভুনা করে খেলে অনেক ভালো লাগে।তবে আপনার বানানো পোলাও ভাত দেখতে খুব সুস্বাদু ও মজাদার লাগছে😋। আমার পোলাও ভাত ভীষণ ভালো লাগে। যাই হোক আপনার বানানো রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ভাইয়া এভাবে সিম্পল একটা পোলাও ভাতের রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।