“ সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত- (আদিনাথ মন্দিরের জেটিতে/ঘাটে)-পর্ব-২"।
সবাই কেমন আছেন ?
আজ -০৯ নভেম্বর-২০২২ ইংরেজী
রোজ-বুধবার।
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে ব্লগিং করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা থেকে।আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলা ভাষা-ভাষী সম্মানিত ব্লগার সদস্য-সদস্যাগণ আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমি প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতা বজায় রাখতে চেষ্টা করি।নিজের অভিজ্ঞতা ও নিজের ক্রিয়েটিভিটি কে ধরে রাখার চেষ্টা করে থাকি।আমি প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করি।প্রতিদিন একই ধরনের পোস্ট পড়তে কেমন জানি একঘেয়েমি লাগে।তাই ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করলে আর একঘেয়েমি তেমন লাগে না।সেই ধারাবাহিকতায় আমি আজ নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আমার আজকের ব্লগিং হচ্ছে কিছু প্রাকৃতিক ছবি নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করা।
Device-Wiko-T3-made by @samhunnahar
কিছুদিন আগে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আদিনাথ মন্দিরে যাওয়ার বিষয় নিয়ে।সাথে আমাদের পরিবারের অনেক সদস্যরা ছিল।সেখানে আপনাদের সাথে কথা হয়েছিল আদিনাথ মন্দিরের জেটিতে কিছু সময় কাটানো মুহূর্ত।প্রথম পর্বে আপনাদেরকে আদিনাথ মন্দিরের ব্রিজ নিয়ে অনেক কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম।আজ আমি আপনাদের সাথে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। বন্ধুরা এ পর্বে থাকবে ব্রিজ থেকে হেঁটে হেঁটে যাওয়ার সময় ব্রিজের দুই দিকের কিছু সবুজ প্রাকৃতিক নজর কাড়া ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আপনাদেরকে সেই ফটোগ্রাফি সম্পর্কে বর্ণনা করব এবং আমাদের ভালো লাগা-মন্দ লাগা শেয়ার করবো।
Device-Wiko-T3
সেদিন যখন বিকেল ঘনিয়ে আসছিল তখন দ্রুত হাঁটা শুরু করেছিলাম। ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে অনেক ভালো লাগে।সেই সাথে আমি ডানে-বামে প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে দেখে যাচ্ছিলাম।তখন আমার নজরে আসে দুই দিকের গাঢ় সবুজ রঙের প্রাকৃতিক গাছ-গাছালির ছবি সাথে আকাশের মন কাড়ানো দৃশ্য।এমন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য আমার দেখতে খুব ভালো লাগে।আমি প্রকৃতিকে অনেক ভালোবাসি।প্রকৃতিতে মিশে থাকতে আমার ভালো লাগে।তাই আমি এই ছবি গুলো ক্যামেরায় বন্দি করে নিলাম। সেই সুযোগে আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি।
Device-Wiko-T3
Device-Wiko-T3
হঠাৎ দেখি ছবি তুলতে তুলতে সবাই আমাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে।সবাই আমার জন্য একটু বিরক্ত হয়ে গেল কারণ আমি অনেক পিছনে থেকে গেছি তাই।বিরক্ত হওয়ার একটা কারণ হচ্ছে আমাদের সাথে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন একজন লোক হাটাহাটি করছিল।কিন্তু লোকটির ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গেছি।তাহলে আপনারা বুঝতে পারতেন ফটোগ্রাফি দেখলে কি রকম মানসিক ভারসাম্যহীন।আমি দূর থেকে দেখতেছি সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে।তাই আমি আর দেরি না করে একটু তাড়াহুড়া করে যেতে লাগলাম।অনেক কাছে চলে এসেছি সবার সাথে আপনারা-আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পারছেন।সবাই আমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। কোন রকম একটু তাড়াহুড়া করে সবার কাছাকাছি চলে আসি।
Device-Wiko-T3
আবার হাটা শুরু করলাম সবাই মিলে।হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ নজরে আসে এই গাছ গুলোর দিকে।এত সুন্দর সত্যি যেন কেউ সেখানে বাগান করেছে মনে হয় দেখলে।সৃষ্টির এতো অপরূপ সুন্দর! সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির মধ্যে এত কিছু সাজানো গোছানো থাকে সত্যি অবাক লাগে অনেক!তিনিই একমাত্র জানেন! বিষয়টি আমাকে অনেক্ষণ ভাবায়।কারণ কোন মানুষের তৈরি করা বাগানের মত দেখতে।একদম সারি সারি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে গাছ গুলো।দূর থেকে দেখলে মনে হয় এগুলো যেন নারকেল গাছ।আসলে এগুলো নারকেল গাছ ছিল না।এগুলো অন্য গাছ ছিল, গাছের নাম আমার জানা নেই।অবশ্যই হাঁটতে হাঁটতে একজন থেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এই গাছের নাম।কিন্তু উনি বলেছিলেন, আমি আবার ভুলে গেছি।
Device-Wiko-T3
এই সিঁড়ি টা দেখতে অনেক সুন্দর।এখানে বিকেল বেলায় বসে অনেক জন মিলে এক সাথে আড্ডা দেওয়া হয়।তাছাড়া নিচে নামতে ইচ্ছে করলে এই সিঁড়ি দিয়ে নামা যায়।অবশ্যই যখন ভাটা চলে যায় তখন এই সিঁড়িটার অনেক নিচে পর্যন্ত দেখা যায়।যখন জোয়ার আসে তখন পুরা সিঁড়ি কানায় কানায় ভরে যায় জোয়ারের পানিতে।জোয়ারের পানি যখন আসে দেখতে অনেক ভালো লাগে পুরা ভৌগোলিক চিত্র টি।
Device-Wiko-T3
সত্যি মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরের একটা সুন্দর দৃশ্য ব্রিজের দুই পাশের বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো।আমি ছবি করতে করতে আবারো পিছিয়ে পড়ে গেলাম সবার থেকে।কোন রকম তাড়াহুড়া করে আবার সবার কাছা কাছি চলে যায়।
Device-Wiko-T3
সেই ফাঁকে আমি আরো দুইটা ছবি নিয়ে নিলাম।প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে সাথে আকাশের এমন সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ মুহূর্তে খুব ভালো লাগছিল।মনে হয়েছিল আমি বাংলাদেশ নয় অন্য কোন কান্ট্রিতে বসবাস করতেছি।নেই কোন গ্রামের দৃশ্য, একদিকে পাহাড়, একদিকে বন, অন্যদিকে আকাশের এমন অপরূপ দৃশ্যের মাঝে আমি যেন হারিয়ে গেছিলাম।
আজ আপনাদের সাথে অনেকক্ষণ কথা হয়েছে।আশা করি আমার শেয়ার করা আজকের ব্লগ টি আপনাদের ভাল লেগেছে।তাহলে বন্ধুরা আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না।হয়ত বেশি লিখলে আপনাদের বোরিং চলে আসতে পারে।বাকি দৃশ্য নিয়ে অন্য একদিন শেয়ার করতে চলে আসবো আপনাদের মাঝে। ততক্ষণ সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।
লোকেশন
ফটোগ্রাফির প্রয়োজনীয় বিবরণঃ
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
স্থান | মহেশখালী আদিনাথ মন্দির ঘাট লোকেশন |
@samhunnahar
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।তাই আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপনি অনেকক্ষণ সময় দিয়ে আমার পোস্ট পড়েছেন এবং সুন্দর একটি সাবলীল ভাষা মন্তব্য করে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। অশেষ ধন্যবাদ।
প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ হলাম। আদিনাথ মন্দিরের জেটিতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে মাঝে ঘুরে আসতে পারলে খুব ভালো লাগতো। এত চমৎকার পরিবেশে নিশ্চয় অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এত সুন্দর পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া এমন মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পরিবেশে ঘুরতে পারলে নিজের মনটা অনেক হালকা হয়ে যায় এবং ভাল লাগে।
সুন্দর একটি জায়গার ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ছবিগুলো দেখেই যেতে ইচ্ছা করছে। সময় সুযোগ করে যেতে হবে একদিন।
চলে আসেন আপু সময় সুযোগ করে। এখানে ঘুরতে পারলে অনেক ভালো লাগবে।
বাহ আপু আপনার আদিনাথ মন্দির ঘুরতে যাওয়ার দ্বিতীয় পর্বে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। আর এর সাথে প্রাকৃতিক দৃশ্য ও মন্দিরের যাবতীয় বর্ণনা ছিল প্রাণবন্ত। খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
আপু খুব সুন্দর ছিল পরিবেশটা আর এমন পরিবেশে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আপনিও চলে আসুন এখানে ঘোরার জন্য।
ঘোরাঘুরি করতে কে না পছন্দ করে। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগে ঘোরাঘুরি করতে আর তার সাথে তো ফটোগ্ৰ্যাপি আছেই। আপনি খুবই সুন্দর করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তার সাথে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ছিল। দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
সবাই ঘোরাঘুরি অনেক পছন্দ করে আপনি ঠিক বলেছেন।ঘোরাঘুরি মানে তো ফটোগ্রাফি। হে অনেক ভালো লাগে ফটোগ্রাফি করতে। প্রাকৃতিক সুন্দর দৃশ্যের এমন পরিবেশ আমার খুব পছন্দের।
আদিনাথ বলা হয় দেবাদিদেব মহাদেব কে। কারণ হিন্দু শাস্ত্রমতে এক মাত্র আদি দেব উনিই। আর ইসলাম ধর্মেও শুনেছি অনেকেই মহাদেবকে ভীষণ শ্রদ্ধা করেন। আপনাদের আদিনাথ মন্দির ঘাটে ভ্রমণের ছবি বেশ ভালো লাগছে আমার। বিশেষ করে এটা ঠিক যে লঞ্চ বা নৌকায় করে যাওয়ার সময় চারপাশের মনোরম প্রকৃতির দৃশ্য দেখতে দেখতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আমরা যখন সুন্দরবন গেছিলাম এই সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম।
ধন্যবাদ দিদি আপনাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলার জন্য।