"গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে আমার কিছু কথা"
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামুয়ালাইকুম/আদাব/নমস্কার।
আশা করি সকলেই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বাংলাদেশ-ভারতীয় সদস্য-সদস্যাগণ আমি আজও আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গ্রামের কিছু ফটোগ্রাফি দৃশ্য ও সাথে কিছু বর্ণানা।আমার খুব ভালো লাগে এমন গ্রামের পরিবেশ দেখতে।আমি গ্রাম থেকে বড় হয়ে ওঠা একজন সাধারণ মেয়ে।গ্রামের প্রতি আমার একটা আলাদা টান আছে যদিও বা আমি শহরে থাকি।
শহরের সব রকমের কালচারের সাথে যুক্ত থাকলেও গ্রামের প্রতি আলাদা একটা মায়া পড়ে থাকে।আমি যখন গ্রামে গিয়েছিলাম তখন আমার কিছু জিনিস খুব ভালো লাগে।তা হচ্ছে সবুজ ঘেরাও ধানক্ষেত।বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন গাছ-গাছালি, সবুজ শাক-সবজি, পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের গ্রামের দৃশ্য দেখা।এমন সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে আমার খুব ভাল লেগেছিল।
তাই আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি মোবাইলে ধারন করি।আজ আমি সেই গ্রামের সুন্দর কাঠানো কিছু সময় সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি কার না ভালো লাগে!!গ্রাম নিয়ে সুন্দর সুন্দর লেখা পড়তে সবাই পছন্দ করে। তাহলে চলুন আমার আজকের গ্রামের কিছু ফটোগ্রাফি ও সাথে কিছু বর্ণনার আপনাদের সাথে শেয়ার করবো
অনেক গুলো ফটোগ্রাফির সমন্বয়ে এই মেইন ফটোগ্রাফি টা এডিট করা হয়েছে।এভাবে যখন অনেক গুলো ফটোগ্রাফির সমন্বয়ে একটি ফটোগ্রাফি তৈরি করা হয় তখন আমার কাছে দেখতে খুবই ভালো লাগে।যেখানে রয়েছে আমার তোলা ফটোগ্রাফির সব গুলোর উপস্থিতি।
আপনারা সবাই জানেন আমি কিছুদিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম পূজার ছুটিতে।তখন আমি বিকেল বেলায় হাঁটার জন্য বের হয়েছিলাম।গ্রামের মধ্যে তো বিকেল বেলায় মানুষের হাঁটা-চলা একটু কম তাই রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে যাচ্ছিলাম।তখন রাস্তার পাশ দিয়ে সবুজ ধানের খেত দেখতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। তাই ভাবলাম আমার হাতে মোবাইল ছিল কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে নিই।সে ফটোগ্রাফি গুলো আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
এরপর আর একটু হেঁটে যেয়ে দেখলাম ঝোপঝাড়ে উঁচু একটি জায়গা।এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি এবং লতা পাতা।দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছিলো তাই আমি এই সবুজ প্রাকৃতিক লতা পাতার দৃশ্যটা ক্যামেরায় বন্দি করলাম।
আরেকটু যেয়ে দেখতে পেলাম অনেক লম্বা লম্বা ধান গাছের মতো দেখতে এগুলো আসলেই ধান গাছ না।এগুলো হচ্ছে গরুকে খাওয়ানোর জন্য চাষিরা চাষ করেছেন।বিভিন্ন ধরনের উর্বর জাতীয় জিনিস প্রয়োগ করে বড় করা হয়।পরে যখন বড় হয় এই বড় বড় ঘাস গুলো গবাদি পশুকে এবং অন্যান্য গরুকে খাওয়ানো হয়।যেসব গরু থেকে দুধ বিক্রি করা হয় সেসব গরুকে এই ঘাস গুলো খাওয়ানো হয়।এই ঘাস গুলো খাওয়ালে গরু থেকে অনেক বেশি দুধ পাওয়া যায়।যা আমি একজন থেকে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছি।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন কিছু হলুদ গাছের বাগান বা হলুদ গাছ লাগানো হয়েছে।আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার হলুদ পাতা।হলুদ পাতা দিয়ে ঝাল করে মরিচ মাখা খেতে আমার খুব ভালো লাগে।এই ধরনের কিছু চাষ করতে দেখলে আমার খুব ভালো লাগে।আমি এই হলুদ বাগান থেকে অনেকগুলো পাতা ও নিয়েছিলাম যা মরিচ দিয়ে ঝাল করে ভর্তা করে মেখে খেয়েছি।তাই ভাবলাম এই হলুদ বাগানের দৃশ্য টা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
উপরের ছবিগুলো হচ্ছে আমি যেখানে গ্রামে গিয়েছিলাম এর পাশেই একটা ছোট্ট শিশু পার্ক ছিল। যেখানে গ্রামের লোকজন যেয়ে বাচ্চাদের সাথে সময় কাটায়।একদম পাশে হওয়ায় আমি এক সন্ধ্যা বেলা বাচ্চাদের নিয়ে সেখানে ঘুরতে যাই।সেখান কার চারপাশের পরিবেশ টা অনেক সুন্দর ছিল।এক পাশে পাহাড় ছিল। পাহাড়ের পাশ দিয়ে একটা সমতল ভূমি ছিল।সেখানে এই শিশু পার্কটি গড়ে ওঠে।আমি পাহাড়ের চূড়ায় উঠে এই ছবিগুলো তুলেছিলাম।আমার কাছে এই ছবি গুলো অনেক সুন্দর মনে হয়েছে তাই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকে প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে শেয়ার করা পোস্টটি ভাল লেগেছে।ভাল লেগে থাকলে মতামত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রইলো।যদি কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আমার পোস্টটি সময় দিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।আজ এই পর্যন্ত, আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ক্যামেরার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হলো-
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
সবার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar
গ্রামের সবুজ ঘেরাও ধান ক্ষেত, গাছপালা, পাহাড়ের চূড়ায় উঠে দূর থেকে নিজের গ্রামকে দেখা এসব দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। গ্রামে ঘুরতে যেতে অনেক ভালো লাগে, তবে গ্রামে থাকতে ভালো লাগে না। এভাবে অনেকগুলো ফটো যোগে একটি ফটো করা হলে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আমিও অনেক ক্ষেত্রে করে থাকি। বিকেলবেলা গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে যেতে আমার কাছে, অনেক ভালো লাগে আর আপনি তো খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন হাঁটতে হাটতে। হলুদ পাতা দিয়ে লাল মরিচ মাখা কখনো খাইনি জানিনা কেমন লাগে খেতে, তবে আপনার খাওয়ার বর্ণনা শুনে তো আমার ঝাল লাগছে। খুব ভালো লাগলো আপনার ছবি ও সাথে বর্ণনা গুলো।
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে গুছিয়ে মতামত দেওয়ার জন্য।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপু আপনার মত আমারও গ্রাম গঞ্জের প্রতি আলাদা একটা মায়া রয়েছে। কারণ গ্রামের হিমেল হাওয়া আসলেই ভালো লাগার মত। যাই হোক আপনি কিন্তু খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। হলুদ গাছের পাতা যে খাওয়া যায় এটা কিন্তু আমার আগে জানা ছিল না। মরিচ মাখা দিয়ে একবার হলুদ পাতার রেসিপি শেয়ার করবেন কিন্তু আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু খাওয়া যায় অনেক মজার একটা রেসিপি।ঠিক আছে আপু একদিন রেসিপি দিবো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি আপনার মত গ্রাম থেকে উঠে আসা একজন।আর গ্রামের এই পরিবেশ গুলা সত্যিই আমাকে বড্ডো টানে।এরকম দৃশ্য গুলো দেখলে কি যে ভালো লাগা কাজ করে সেটা বলে বুঝানোর না।চারদিকে শুধু সবুজের সমারোহ,সত্যিই দারুন ছিল আপু আপনার উপস্থাপনা।🖤
হুম ভাইয় সময় হলেই চলে যেতে ইচ্ছে করে।জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি পূজোর ছুটিতে গ্রামে যেয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। বিকেল বেলায় গ্রামে হাঁটতে বের হয়ে আপনি ধানক্ষেতের যে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন সেটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এরকম সবুজ ধান খেত দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। গ্রামে বাচ্চাদের জন্য শিশু পার্ক আছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনি পাহাড়ের উপর থেকে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। বাচ্চাদের নিয়ে শিশু পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন, বেশ ভালো ছিল আপনার সময়টা নিশ্চয়ই। সব মিলিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু ছোট পরিসরে করা পার্কটি যাতে গ্রামের বাচ্চারা যেয়ে সময় কাটায়।পাশে পাহাড় আছে বেশ সুন্দর পরিবেশ।ধন্যবাদ।
আপু আমিও ঘুরে এসেছি গ্রামের সুন্দর সাবলীল প্রকৃতির মাঝে। আপনি যে ছবি গুলো আপনার পোস্টে তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো গ্রামের সাবলীল কিছু চিত্র। আমার কেন যেন গ্রামে গেলে আর ফিরতে মনে চায় না।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন গ্রামে গেলে আর ফিরে আসতে মন চাইনা।তবু ও চলে আসতে হয়!!!😥😥😥
আপনার এই কন্টেন্টটাতো পুরো গাছ পালায় ভরা। বেশ সুন্দর লাগছে। তবে হলুদ পাতা যে বেটে খাওয়া যায় সেটা আজ আপনার পোস্টেই জানলাম। একবার ট্রাই করব।
বেটে না আপু কুচি কুচি করে মরিচ মাখা খাই।গরম ভাতে অনেক মজা আপু।