মূলা দিয়ে চিংড়ি মাছের ঝাল রেসিপি
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের
লেখার শুরুতেই আমার শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। বন্ধুরা আমি আজ আবার আরেক টি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মূলা দিয়ে চিংড়ি মাছের ঝাল ঝাল মজাদার রেসিপি। বন্ধুরা আমরা সবাই মূলা দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করে খেয়ে থাকি। তবে একই জিনিস, একই রান্না ঠিক আছে কিন্তু এক এক জনের রান্না এক এক রকম ভিন্নতা থাকতেই পারে। আবার মাঝে মাঝে ভিন্নতা ও আসতে পারে। আজ আমি দেখাবো আমার পদ্ধতিতে চিংড়ি দিয়ে মূলা সবজি রান্না।
মূলা একটি শীতকালীন সবজি। শীতকালেই মূলত মূলা পাওয়া যায়। কিন্তু বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আবাহাওয়ার যেমন পরিবর্তন হয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের খাওয়া-দাওয়া ও সবজি চাষের মধ্যে ভিন্নতা এসেছে। বলতে গেলে এখন আমরা সিজনাল জিনিস অনসিজনে ও প্রায় পেয়ে থাকি। কৃ্ষি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ছোঁয়া লাগার কারণে চাষের ক্ষেত্রে ও আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। আমরা ছোট বেলায় দেখেছি খুব শীতের মধ্যে মূলা পাওয়া যেত। এখন দেখছি বর্ষা কালেও মূলা।
আর এখনের বর্ষা তু বর্ষা না, বৃষ্টি একদম নেই বললে চলে। আমাদের কক্সবাজার এর সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে যে চর অঞ্চল আছে সেই বালু জায়গায় মূলা চাষ বেশ ভালই হয়। সেখানেই চাষ করা হয়েছে আমার আজকের রেসিপিতে রান্নার মূলা। যাক আমার মতে খেতে পারলেই হয়ছে। আমরা সবাই মুলা পছন্দ করি। আমরা বিভিন্ন ভাবে মুলা রান্না করে থাকি। এছাড়া ও মূলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। এখন আমি রান্নায় চলে যাব।
বন্ধুরা দেখে আসি আমার আজকের মূলা দিয়ে চিংড়ি মাছের ঝাল রান্না রেসিপিঃ
প্রয়োজনীয় উপকরণ
চিংড়ি মাছ-১৫০ গ্রাম।
মূলা-টমেটো- ১ টা করে।
পেঁয়াজ-বড় সাইজের একটি।
রসুন-৩ কোয়া।
কাঁচা মরিচ পেস্ট- ৩ চামচ।
লাল মরিচের গুঁড়া-১ চামচ।
ধনিয়া গুঁড়া-২ চামচ।
জিরা গুঁড়া-১ চামচ।
হলুদ গুঁড়া-দেড় চামচ।
লবণ-স্বাদমত।
তেল-পরিমাণ মত ।
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ-১
ধাপ-২
ধাপ-৩
ধাপ-৪
ধাপ-৫
ধাপ-৬
ধাপ-৭
ধাপ-৮
ধাপ-৯
এখন আমি একটা প্লেটে পরিবেশনের জন্য সাজিয়ে নিয়েছি। এখানে আমার আজকের ঝাল ঝাল মূলা দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি রান্না শেষ।
নিম্নে ক্যামেরার বর্ণানা দেওয়া হলো
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
আমার আজকের লেখা এখানে শেষ ।ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে দেখার জন্য। আমি আবার আপনাদের সাথে নতুন আর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য হাজির হবো নতুন কোন টপিক্স নিয়ে সেই অবধি সাথে থাকুন আর সুস্থ্য থাকুন।
আপু ঠিক বলেছেন এখন সারা বছরই সব ধরনের সবজি পাওয়া যায়।কিন্তু সিজনের সবজি অন্যসময় খেলে তার সঠিক স্বাদ খুঁজে পাওয়া যায় না।যাই হোক দারুণ রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে কখনো মূলা খাওয়া হয়নি।আপনার এই রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ।
আপু ঠিক বলেছেন,সিজনের জিনিসের খাবারের স্বাদ সিজনে যতটুকু পাওয়া যায় কিন্তু অন্য সময় পাওয়া যায় না। তারপর ও দেখলে তু লোভ সামলানো যায় না😀😀। ধন্যবাদ আপু
যদিও মুল আমি খুব একটা খাই না। কিন্তু অনেকদিন পর মুলা দেখতে পেয়ে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। আর যেহেতু আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করেছেন সেহুতু মুলার স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু মুলা রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমার ও অনেকদিন পর দেখে অনেক ভাল লাগছে আর খেতে অনেক মজা হয়ছে
শীতকালীন সবজি হিসেবে মুলা সকলের কাছেই অনেক পরিচিত। মুলা দিয়ে যেকোন মাছ রান্না করলেই খেতে ভালো লাগে। মুলা দিয়ে চিংড়ি মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার কাছে নতুন রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লেগেছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া অনেক স্বাদের ছিলো বাসায় করে খেতে পারেন ভাল লাগবে খেতে।ধন্যবাদ
চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা সব সবজি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ। মুলা দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাকে ও অসংখ্যা ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে সাবলীল ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করেছেন।মূলার রেসিপি অনেক দিন পর খেয়েছি তাই অনেক ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া
চিংড়ি মাছ হচ্ছে মজাদার একটি রেসিপি।যে কোন তরকারী দিয়ে রান্না করলে ভালো লাগে।মুলা আগে শুধু শীতকালীন সময়ে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন মোটামুটি সবসময় মুলা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।মুলার তরকারি মোটামুটি বেশ ভালো লাগে। শীতকালীন সময়ে মুলা খেতে বেশি টেস্ট লাগে। বিশেষ করে ঠান্ডা তরকারি ঠান্ডা ভাতের সাথে খেতে ভিশন মজা লাগে। আপনার আজকের রেসিপি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আমার রেসিপি আপনার ভাল লেগেছে জেনে।শুভকামনা রইলো
মুলা দিয়ে মজাদার চিংড়ি মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে।মূলা দিয়ে মাছের রেসিপি অনেক মজা হয়। আপনাদের পরিবেশন আমার অনেক ভালো লেগেছে, শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পরিবেশন ভাল লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি।
শীতকালীন সবজি গুলোর মধ্যে আমার অন্যতম প্রিয় সবজি মুলা। আর সেই মুলা দিয়ে আপনি মজাদার চিংড়ি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু চিংড়ি মাছের এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ভাইয়া অনেক ঝাল হয়েছে আর খেতে ও অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
মূলা দিয়ে কখনো চিংড়ি খাই নাই। তবে যাইহোক আপনার এই রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো আলাদা স্বাদের একটি রেসিপি। আসলে কি আর বলবো এই রকম রেসিপি দেখলে অনেক খেতে ইচ্ছে করে।
ভাইয়া খুব ভাল লেগেছে আপনার কাছে নতুন রেসিপি এই কথা শুনে।রেসিপি দেখে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাল লাগবে
আসলে বিজ্ঞান কি সে ক্ষেত্রে যত পরিবর্তনই আনুক না কেন মৌসুমে এই ধরনের জিনিসগুলো যতটা সুস্বাদু হয় অন্য সময় সেগুলো খেতে খুব একটা বেশি ভালো লাগে না।
মুলা দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্নার খুবই চমৎকার একটা পদ্ধতি আছে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এর আগে কোন সময়ই মলা দিয়ে চিংড়ি মাছের রান্না করে খাওয়া হয়নি।
খুব সন্দর কথা বলেছেন গুছিয়ে।আর রেসিপি ত পেয়েছেন খেয়ে নিবেন রান্না করে ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে