লাইফ স্টাইলঃ- পানকৌড়ি রেস্টুরেন্টে সময় কাটানো একদিন।
সবাইকে শুভ দুপুর বন্ধুরা,
প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই-বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগিং পর্বে। আশা করি সকলের দিনকাল ভালো যাচ্ছে সে কামনা করি। আমরা সবাই চেষ্টা করি দিনের শুরুতে যেন খুব সুন্দরভাবে দিনটা শুরু হয়। কারণ দিনে শুরুতে যখন কোন একটা গ্যাঞ্জাম দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে সারা দিন অনেক খারাপ যায়। তো বন্ধুরা সবার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল। চেষ্টা করতেছি প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার বিভিন্ন ধরনের ব্লগিংয়ের মাধ্যমে। চেষ্টা করি সব সময় ভালো মন্দ বিষয় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার। আজকেও তার ব্যতিক্রম হবে না। উপস্থিত হয়ে গেছি ভিন্ন একটি টপিকস নিয়ে। আশা করি ভালো লাগবে সকলের।
আজকে আমি যে বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব তা হচ্ছে পানকৌড়ি রেস্টুরেন্টে সময় কাটানোর কিছু মুহূর্ত। আসলেই যখন বের হয় বাচ্চাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য চোখে পড়ে যায়। তো কিছুদিন আগে বাচ্চাদেরকে নিয়ে এক ছুটির দিনে গণফূর্ত উদ্যানে গিয়েছিলাম। আপনারা অনেকেই জানেন আমি গণফূর্ত উদ্যানে বেশি সময় কাটাই। যেহেতু অনেক খোলামেলা বড় একটি মাঠ। সেখানে বিভিন্ন ধরনের বাচ্চাদের খেলার রাইডস রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ফুলের বাগান আছে। তো একদিকে বাচ্চারা খেলাধুলা করলে অন্যদিকে আমারও সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নেওয়ার সুযোগ হয়।
তো সেদিন চিন্তা করেছিলাম কলাতলী ডলফিন মুড়ে সমুদ্র সৈকতে যাব। কারণ আমাদের এদিক থেকে একটু উল্টো হয় সেজন্য কলাতলী ডলফিন মোড়ের সমুদ্র সৈকতে কম যাওয়া হয়। যেহেতু গণফূর্ত উদ্যান থেকে কাছাকাছি ছিল তাই একটা রিক্সা নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে মেয়ে বলল ওই রেস্টুরেন্টে যাব। কিন্তু সেখানে আমরা কোন রেস্টুরেন্ট দেখতে পাইনি। আমরা যদিও থাকাইছিলাম এদিক ওদিক আমাদের মত করে কিন্তু খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু মেয়ে অনেক কান্নাকাটি শুরু করে দিল। মেয়ের কথা না শোনে সোজা আমরা কলাতলী বীচে চলে গেলাম। কিন্তু মেয়ের কান্না থামেনা সেই যে রেস্টুরেন্ট দেখলো সেখানে যাবে। তখন আমরা বাধ্য হয়ে আবার উল্টো দিকে ফিরে আসলাম।
ফিরে আসার পরে আমাদেরকে দেখায় দিল ওই রেস্টুরেন্টে খাবে। তখন আমরা তো দেখে অবাক হয়ে গেলাম। এত ফাঁকের ভিতরে গ্যাঞ্জামের ভিতরে সে এই রেস্টুরেন্টে দেখতে পেল। অথচ আমরা নিজেরাই দেখতে পেলাম না। কিন্তু মেয়ের রুচি আছে বলতে হয়। কারণ এত সুন্দর ছিল ডেকোরেশন গুলো। তাছাড়া রেস্টুরেন্টের এরিয়াটাও খুব সুন্দর ছিল। তো আমি বলছিলাম ওদের বাবাকে আসলে মেয়ের চোখে সুন্দর আছে বটে। যাক কথা না বাড়িয়ে আমরা উপরে উঠে গেলাম। যতই উপরে যাচ্ছিলাম ততই যেন আমার বেশ ভালই লাগছিল। কারণ আমার পছন্দ মত একটি জায়গা ছিল। নিচে খুব সুন্দর সুইমিংপুল এর ব্যবস্থা ছিল। উপরে একদম খোলামেলা আকাশের নিচে দ্বিতীয় ফ্লোরে রেস্টুরেন্টে অবস্থিত। সেই সাথে তারা ভিতরে ও বসার জায়গা রাখছিল।
তবে আমার কাছে খোলামেলা পরিবেশে বসতে খুব ইচ্ছে করছিল। তাছাড়া বাইরে বসে কক্সবাজারের সেই সুন্দর নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগছিল। বাইরের পরিবেশটাকে তারা অনেক সুন্দর করে ডেকোরেশন করেছেন। সেই জায়গাতে বড় বড় পার্টি করতে চলে আসে সবাই যা দেখতে পেলাম। অফিসের কলিগরা সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান এখানে খোলামেলা পরিবেশে করতেছে। আমাদের সামনে কয়েকটি প্রোগ্রাম হয়ে গেল। তো আমরা বেশ কিছু খাবার-দাবারের অর্ডার করেছিলাম। সেগুলো খেয়ে আরো কিছুক্ষণ সময় কাটালাম।
আপনারা তো অবশ্যই জানেন আমাদের এখন মূল ফোকাস হচ্ছে কোন জায়গায় গেলে ফটোগ্রাফি গুলো নেওয়ার। যদি জায়গাটি পছন্দ মত হয় এবং সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাই তাহলে আমরা চেষ্টা করি সেগুলো ক্যামেরায় বন্দি করার। তো আমারও কিন্তু ব্যতিক্রম হয় না আমি সব সময় ভালো কিছু খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি। যখন ভালো কিছু দৃশ্য আমার চোখে পড়ে আমি একদম হাতছাড়া করি না। তবে পরিবেশ বুঝে করার চেষ্টা করি আর কি হা হা হা। যখন পরিবেশটা একদম নিরিবিলি কিংবা আমার মত হয় তাহলে আমি ফটোগ্রাফি গুলো করা শুরু করে দিই।
সেজন্য আমি বেশ অনেক গুলো ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আমি আজকে আপনাদের সাথে উপস্থিত হয়েছি ব্লগিং করার জন্য। আশা করি পানকৌড়ি রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের কাছে বেশ ভালই লাগবে।
![24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPdewEHRLrieLRjTdPo4QGg5ovUCv25vS6peQiG61xthR/24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png)
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
পানকৌড়ি একটি পাখির নাম। যে পাখির জন্য বেশ ঝামেলা পোহাতে হয় পুকুরপাড়ে। জেনে বেশ ভালো লাগলো এই নামে রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আরো ভালো লাগলো রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে, চমৎকার কিন্তু রেস্টুরেন্টের দৃশ্য। যাইহোক সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বাচ্চাদের সাথে নিয়ে আর সেই গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে অনেক খুশি হলাম।
রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে সুন্দর একটি মতামত শেয়ার করলে ভালো লাগলো।
আপনার আবার ঘোরার জায়গার সমস্যা নাকি আপু। এত সুন্দর জায়গায় থাকেন চাইলেই তো খোলা জায়গা পেয়ে যান সমুদ্রের পাড়ে গেলে। তাছাড়া আসলেই আপনার বাচ্চা খুব সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টের পছন্দ করেছে। রেস্টুরেন্টটি গোছানো মনে হচ্ছে। দূর থেকে এরকম গোছানো দেখেই হয়তো আপনার মেয়ের পছন্দ হয়েছে। যাই হোক ভালো লাগল আপনাদের সুন্দর একটি মুহূর্ত দেখে।
না আপু সব জায়গায় ঘুরতে পছন্দ আমার। তবে খোলামেলা পরিবেশ একটু সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে।
রেস্টুরেন্ট কে ঘিরে অনেক সুন্দর একটি ব্লগ সাজিয়েছেন আপু। অনেক ভালো লাগলো সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে আমাদের মাঝে ধারণা দিয়েছেন আর অনেকগুলো ফটো ধারণ করেছেন। পাশাপাশি আমিও শিখতে পারলাম সুন্দর ব্লগ সাজানো। যা মনে হল ব্লগটা দেখার পর,খুবই আনন্দ করেছেন সবাই মিলে।
ধন্যবাদ আপু আপনার খুব সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1746159336576241738?t=ML0cPf56rha_G4r6MNJ0yg&s=19