পউষী রেস্টুরেন্ট থেকে পার্সেল নিয়ে বাসায় খাওয়ার অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

প্রিয় বন্ধুরা!! আসসালামু আলাইকুম/ নমস্কার

আশা করি সকলেই ভাল আছেন।আমি সামশুন নাহার।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগ এ কাজ করি কক্সবাজার সদর বাংলাদেশ থেকে।আপনারা সকলেই জানেন ইদানিং আমাদের দেশের তাপমাত্রা বহু গুণে বেড়ে গেছে। তার সাথে বেড়ে গেছে লোডশেডিং এর মাত্রা।এমন অস্থির জীবন যাপন যেন মানব জীবনকে বিষন্ন করে তুলেছে।শহরের জীবন যেমন তেমন কিন্তু গ্রামের অবস্থা অনেক খারাপ।কিছুদিন আগে গ্রামে যখন ঘুরতে গেছিলাম তখন বিদ্যুতের অবস্থা এতটা খারাপ ছিল যে আরো কয়েকদিন থাকার ইচ্ছা ছিল।

parsel.jpeg

কিন্তু লোডশেডিং এর মাত্রা এতটা তীব্র যে আর থাকতে না পেরে সোজা চলে এলাম।যখন আমি গ্রাম থেকে শহরে চলে আসতেছিলাম সেদিন অনেক তীব্র গরম ছিল।মহেশখালী থেকে কক্সবাজারে আসার পথে আমাকে নদী পার হয়ে আসতে হবে।তাই আমি আমার দুই বাচ্চাকে নিয়ে একা মহেশখালী ঘাট থেকে কক্সবাজার ঘাটে আসতে অনেক কষ্ট হয়ে গেছিল। যেহেতু আমার সাহেবের অফিস ছিল তাই উনি একদিন আগে চলে আসে।তাই বাচ্চা দুইজন আর সাথে কাপড়-চোপড়ের ব্যাগ থাকায় আমার অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

মহেশখালী জেটি থেকে কক্সবাজার জেটিতে কোন রকম কষ্ট করে পৌঁছে যায়।ঠিক তখন দুপুর ২ টা বাজে।এখন কি বাসায় এসে এত কষ্ট করে আসার পরে আবার রান্না করে খাব?সেই চিন্তা মাথায় রেখে একটা টমটম গাড়ি নিয়ে সোজা পউষী রেস্টুরেন্ট এর সামনে দাঁড়াতে বলি টমটম ড্রাইভার কে।থামাতে বলে মেয়ে দুইটাকে গাড়িতে বসায় রেখে সোজা রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লাম।

parsel1.jpeg
লোকেশন

parsel2.jpeg
লোকেশন

parsel3.jpeg

রেস্টুরেন্টে বহু মানুষের গ্যাঞ্জাম ছিল। আমি ফ্রন্ট ডেস্কে গিয়ে দুইটা চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার দিলাম। পার্সেল নিয়ে বাসায় পৌঁছে মা-মেয়ে তিন জনে খাব বলে সোজা বাসায় চলে এলাম।বাসায় পৌঁছে গেলাম সেই সাথে আমরা তিন জনই ফ্রেশ হয়ে নিলাম।ফ্রেশ হয়ে যখন খাইতে বসি তখন আমার মাথায় হঠাৎ করে ফটোগ্রাফি নেওয়ার চিন্তা চলে আসলো।কারণ রান্না না করে খাওয়ার মজাটাই কতটা আলাদা তা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।রান্না থেকে মুক্তি পেলাম সেই জন্য নিজেকে অনেক ফ্রি ভাব লাগছিল।

parsel4.jpeg
লোকেশন

parsel5.jpeg

এভাবে যদি প্রতিদিন রান্না না করে রেডিমেট খাবার খেতে পারতাম আহা কি স্বাদ হত হঠাৎ এমন মনে হল আমার।তাই আমি হুটহাট একটা বিরিয়ানির প্যাকেট খুলে নিয়ে তবে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। আমি আপনাদের সাথে আজ যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে উপস্থিত হয়েছি। আমার তোলা পউষী থেকে নিয়ে আসা বিরানির খাবারের ফটোগ্রাফি।পউষীর চিকেন বিরিয়ানি বললে আমাদের কক্সবাজারের শহরের জন্য সেরা।ছোটবেলায় দেখেছি কেউ যদি কোন পার্টি করে বা কোথাও ঘুরতে যায় অনেক দূর থেকে হায়ার করে গাড়ি ভাড়া করে এই পউষীতে খাওয়ার জন্য চলে আসতো।

parsel6.jpeg
লোকেশন

parsel8.jpeg

অথবা কোথাও ঘুরতে বের হয়েছি কিন্তু দুপুরে লাঞ্চ করতে হবে তাহলে ছুটে আসি পউষী রেস্টুরেন্টে।এই পউষী রেস্টুরেন্ট কক্সবাজারের জন্য লাঞ্চ বা ডিনার করার জন্য অনেক পারফেক্ট একটি রেস্টুরেন্ট।কিন্তু কালের বিবর্তনে অনেক ভালো ভালো রেস্টুরেন্ট হয়ে যাওয়ায় পউষী রেস্টুরেন্ট এর জনপ্রিয়তা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।তারপরেও সেদিন যখন আমি বিরিয়ানি পার্সেল নেওয়ার জন্য ফ্রন্ট ডেক্সে যায় তখন দেখি অনেক লোকজন দাঁড়িয়ে আছেন সিট না পাওয়ায়।অনেকেই আসছেন আবার অনেকে যাচ্ছেন দুপুরের লাঞ্চ শেষ করে। আবার অনেকেই অপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে আছেন বাইরে কখন সিট খালি হবে।

parsel7.jpeg
লোকেশন

এটা হচ্ছে কক্সবাজার শহরের ঝাঊতলা রোড দিয়ে বাহার ছরা বাজারে আসার পথে। আমার বাসা থেকে পাশাপাশি।কিন্তু বর্তমানে কলাতলী ডলফিন মোড়ে অনেক বড় একটা পউষী রেস্টুরেন্টের শাখা নির্মাণ করা হয়েছে এবং সেটা উদ্বোধন ও করা হয়েছে।অনেক ভালো মানের একটি রেস্টুরেন্ট কলাতলী মোড়ের টা।পউষী রেস্টুরেন্টের খাবারের মানের তুলনায় দাম অনেকটা কম।

কিন্তু আমার মতে খাবারের মান অনেক ভালো।এখানে যে সব আইটেম দেওয়া হয় আমার কাছে খুবই খুবই ভালো লাগে।এছাড়া বিরানির সাথে যে স্যুপ টা দেওয়া হয় তা খেতে অনেক মজার হয়।বিশেষ করে পউষী রেস্টুরেন্টের চিকেন বিরিয়ানি খেতে অনেক মজাদার।বড়ই আচার টা ও অনেক মজার।আপনারা যারা কক্সবাজারে বেড়াতে আসবেন তারা অবশ্যই পউষী রেস্টুরেন্টের একবার খেয়ে দেখবেন। আশা করি অনেক অনেক ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।আমি আপনাদের কাছে আমার বিষয়টি শেয়ার করতে পেরে অনেক ভাল লাগতেছে।

logo5.jpeg

ক্যামেরার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হলো-


ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিফটোগ্রাফি

logo5.jpeg

হ্যালো, আমার প্রাণের প্রিয় বাংলা ব্লগ বাসীরা আমি আর আমার লেখা এখানে সমাপ্তি দিচ্ছি।আপনাদের সাথে অন্য একদিন দেখা হবে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।সেই আশায় আমার লেখা শেষ করলাম। সবাই অবশ্যই ভালো থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।

অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা সবাইকে।

@samhunnahar
আমি সামশুন নাহার হিরা

আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে ভালোবাসি।
বাংলা ভাষায় লিখতে ভালোবাসি।
আমি একজন বাংলাদেশী নাগরিক
তাই নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

Banner2.png

Banner_Annivr44.png

Sort:  
 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন আপনি জার্নি করার পরে বাসায় গিয়ে রান্না করে খাওয়াটা আসলে খুবই ট্রাপ।।

আমি তো একদিন জার্নি করলে তিনদিন অসুস্থ থাকি কিছুতেই মুভমেন্টা ফিরিয়ে আনতে পারিনা।।

ফুডপান্ডায় অর্ডার দিয়ে অথবা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে সবাই মিলে একসাথে বসে খাবার মজাটাই অন্যরকম।। দুটি বাচ্চাকে নিয়ে জার্নি করে এসে রেস্টুরেন্টের খাবার খুব মজা করেই খেয়েছেন বুঝতে পারলাম।।

তবে আমি কখনো টমটম গাড়িতে উঠিনি আমার খুব ইচ্ছা এরকম করে টমটম গাড়িতে উঠে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার।।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন কোথাও গেলে সেখান থেকে এসে আর রান্না করতে ইচ্ছে করেনা। খুব সুন্দর মতামত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।ধনবাদ।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু জার্নি করার পর রান্নাবান্নার কথা হচ্ছে চিন্তাও করা যায় না 😶। আপনার চিকেন বিরিয়ানির কথা শুনে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ঠিক আছে আপু কক্সবাজার গেলে অবশ্যই পাউশি রেস্টুরেন্ট থেকে চিকেন বিরিয়ানিটা খেয়ে আসব।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু আসলে আমাকেও বইলেন একসাথে খেতে পারবো😊

 2 years ago 
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু জার্নি করে বাসায় গিয়ে রান্নাবান্না করা কাজটা অনেক কঠিন লাগে। এটা কিন্তু আমার অনেক অভিজ্ঞতা আছে এ ব্যাপারে। কারণ আমি কমবেশি রান্না করতে হশেছে। পউষী রেস্টুরেন্ট কক্সবাজারের লোকেশনটা আপনি সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছে। কখনো যদি কক্সবাজারে যায়, তাহলে এই হোটেলে খাওয়ার চেষ্টা করব।
 2 years ago 

কক্সবাজার আসলে এখানে খেয়ে দেখবেন দাম কম আর মান ভাল।ধন্যবাদ

 2 years ago 

কথা কি ঠিকই বলেছেন আপু গ্রাম অঞ্চলে আসলেই অনেক লোডশেডিং হয় এটি একটা বড় সমস্যা,পউষী রেস্টুরেন্ট এর খাবার গুলো দেখতে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছিল তবে অনেকগুলো খাবারের মধ্যেও কিছু অপরিচিত খাবার এর সঙ্গে আজকে পরিচিত হলাম খুব ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।

 2 years ago 

শহরে বর্তমানে অনেক লোডশেডিং হচ্ছে।গ্রামের অবস্হা আরো খারাপ।পউষীর বিরিয়ানি অনেক মজা ভাইয়া

 2 years ago 

আসলেই হঠাৎ অনেক তাপমাত্রা বেরে যাওয়ায় জন জীবন অতিষ্ট তবে এই তাপমাত্রা বেশি দিন থাকবে না।সামনে শীত চলে এসেছে।খুব সুন্দর আর লোভনীয় ছিল বিরিয়ানি টা ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ইদানীং শীতকাল তেমন স্হায়ী না কিছু দিন থাকে শুধু।আগের মত তেমন শীত ও পড়ে না তেমন।গরমের মাত্রা বেশি বেড়ে গেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60752.38
ETH 2453.49
USDT 1.00
SBD 2.63