ছোলার ডাল, চালের গুঁড়া, বেসন দিয়ে মুচমুচে পেঁয়াজু তৈরি। |
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ব্লগার ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি শুক্রবার ছুটির দিনে আপনাদের দিনকাল বেশ ভালই যাচ্ছে? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি পরিবার-পরিজনকে নিয়ে খুব ভালো সময় কাটাচ্ছি। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার। সবার সাথে যুক্ত থাকা মানে ব্লগিং শেয়ার করা। ব্লগিং শেয়ার করার মাধ্যমে একে অপরের প্রতি মতামত ব্যক্ত করি। একে অপরের ভালো মন্দ গুলো জানতে পারি। খুবই ভালো লাগে সেই মুহূর্ত গুলো। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। প্রতি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করি। বন্ধুরা আজকে আমি মুচমুচে পেঁয়াজু ভাজার একটি রেসিপি শেয়ার করব।
যদিও শীত কমে গেছে তবে তেমন কমেনি আস্তে আস্তে কমবে আশা করি। এই শীতের দিনে বিকেল বেলায় ভাজাপোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। যদিও ভাজাপোড়া সব সময় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। কিন্তু মাঝে মাঝে খেতে তো মন চাই। তাই আজকে তৈরি করেছিলাম ছোলার ডাল, চালের গুঁড়া এবং বেসন দিয়ে মুচমুচে পেঁয়াজু। সত্যি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। চালের গুঁড়া এবং বেসন দেওয়ার কারণে পেঁয়াজ গুলো খুবই মজার হয়েছিল। আমার তো পেঁয়াজু খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে ঘরের মধ্যে তেমন একটা তৈরি করা হয় না। অনেক আগেই তৈরি করেছিলাম বেশ কিছুদিন হল। কখন যে তৈরি করেছিলাম সে কথা ও আমার মনে নেই। হয়তো গত বছর রমজান মাসে তৈরি করেছিলাম। আজকে আবার ইচ্ছে হলো পেঁয়াজু তৈরি করার। তবে বাইর থেকে এনে খাওয়া হয়। যেহেতু রমজান মাস আসতেছে প্রতিদিন পেঁয়াজু ভাজতে হবে। আজকে আমার ইচ্ছে হলো ছোলার ডাল দিয়ে পেঁয়াজু তৈরি করার।
এতটাই মজার হয়েছে আপনারাও এভাবে তৈরি করে নিতে পারেন। গরম গরম পেঁয়াজু খেতে খুবই ভালো লাগে। তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের পেঁয়াজুর রেসিপিটি আমি কিভাবে তৈরি করেছি সেই ধাপ গুলো আপনাদের সাথে উপস্থাপন করব—-------
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |
প্রথমে আমি আপনাদেরকে উপকরণ সমূহ পরিমাণ মত নিয়ে দেখালাম।
ছোলার ডাল, চালের গুঁড়া, বেসন দিয়ে মুচমুচে পেঁয়াজু তৈরির ধাপ সমূহ
রান্নার ধাপ-১
প্রথমে আমি সব উপকরণ সমূহ নিয়ে দেখিয়েছি উপরের ধাপে। এখন সরাসরি পেঁয়াজু কিভাবে তৈরি করেছি সেই ধাপ সমূহ আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। প্রথমে ছোলার ডাল ভিজিয়ে রেখেছিলাম। ভেজা হয়ে গেলে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে নিবো। এর পরে ব্লেন্ডার করে নিবো।
রান্নার ধাপ-২
ছোলার ডাল ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি। তবে বেশি মিহি করি নাই। একটু একটু আস্ত থাকে এমন করে ব্লেন্ডার করে নিয়েছি। ব্লেন্ডার করা শেষ হয়ে গেলে একটি প্লেটের মধ্যে ঢেলে নিয়েছি।
রান্নার ধাপ-৩
এরপর ব্লেন্ডার করা ডালের মধ্যে দিয়ে দেবো কুচি করে রাখা উপকরণ পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা মরিচ, ধনিয়া পাতা। এছাড়াও সাথে দিয়ে দেবো শুকনো উপকরণ গুলো। যেগুলো আমি উপরে উল্লেখ করেছি।
রান্নার ধাপ-৪
সব উপকরণ গুলো দেওয়ার পরে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিয়েছি।
রান্নার ধাপ-৫
এখন পেঁয়াজু ভাজার জন্য চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে দিয়েছি। পাত্রটিতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো। তেল গরম হয়ে আসলে ছোট ছোট করে পেঁয়াজুর সাইজ তেলের মধ্যে ছেড়ে দিব।
রান্নার ধাপ-৬
পেঁয়াজু তেলের মধ্যে দেওয়ার পরে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে। অল্প আঁচের মধ্যে এদিক-ওদিক নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে যাতে পুড়ে না যায়। পারফেক্ট ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রের মধ্যে তুলে নিব। এভাবে সব পেঁয়াজু ভেজে নিয়েছি।
রেসিপির পরিবেশনা
বিশেষ করে চালের গুঁড়া এবং বেসন দেওয়ার কারণে পেঁয়াজ গুলো মুচমুচে হয়েছিল। এই ধরনের মুচমুচে পেঁয়াজু খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া সাথে ছিল শসা গাজর এবং কাঁচা মরিচ থাকে। তাহলেই বুঝতেই তো পারছেন বন্ধুরা কতটা সুস্বাদু হয়েছে খেতে। সবাই মিলে অনেক মজার করে খাওয়া দাওয়া করেছি। বিশেষ করে বিকেল বেলায় এই ধরনের খাবার গুলো সবাই মিলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আশা করি আপনারাও তৈরি করে খেয়ে নিবেন এভাবে। আমার আজকের রেসিপিটা কেমন লেগেছে বন্ধুরা জানালে ভালো লাগবে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
পেঁয়াজু খুব পছন্দ আমার।বিকেলে গরম গরম পেয়াজু খেতে ভীষন ভালো লাগে আমার।আমিও বাসায় কম বানাই বাজার থেকে কিনে এনে খাই বেশি। খুব ভালো লাগে খেতে।বেসন দিয়ে ভাজার কারণে ভীষণ মুচমুচে হয়েছে নিশ্চয়ই। ধাপে ধাপে পিয়াজু তৈরি পদ্ধতি দারুণ করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমারও এমন আপু ঘরে খুব কম তৈরি করা হয় পেঁয়াজু। বাজার থেকে বেশি কিনে এনে খাওয়া হয়।
মচমচে পেয়াজু রেসিপি আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে মন চাইছে দৌড়ে কক্সবাজার চলে যাই। যেমন লোভনীয় পরিবেশন তেমন লোভনীয় রেসিপি, সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
চলে আসেন আবারও তৈরি করব আপনার জন্য।
ঘরে বানানো ভাজপোড়া তো খাওয়ায় যায় আপু। মাঝে মাঝে খেতেও ভালো লাগে। আপনি মজাদার করে পেয়াজু বানিয়ে ফেললেন। খেতেও নিশ্চয় মজা লাগছে গরম গরম 🌼
বাজার থেকে কিনে খাওয়া পেঁয়াজুর চেয়ে ঘরে তৈরি করা পেঁয়াজুর স্বাদ অনেক বেশি।
রান্না সম্পর্কে খুব একটা আইডিয়া নেই, তবে বিকেলের আড্ডায় পেঁয়াজু বেশ ভালোই লাগে। সন্ধ্যায় মুড়ি মাখা সেখানেও পেয়াজু খাওয়া হয়। আমার খুব পছন্দের একটা জিনিস এর রেসিপি আজকে উপস্থাপন করলেন।
আমি মনে করি পেঁয়াজু তৈরি করা খুবই শর্টকাট একটি রেসিপি।
ছুটির দিনে আজকে মোটামুটি ভালই কাটিয়েছি, আপনি কেমন কাটিয়েছেন সেটা জানাবেন।আর আসলে ছুটির দিনে বিকেল বেলা ভাজাপোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে শীতের দিনে বিকেল বেলা আরও বেশি মজা হয়। এখন শীতের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে, এরকম ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশের মধ্যে ভাজি পোড়া হলে দারুন হয়। আপনি খুবই সুন্দরভাবে পিঁয়াজু রেসিপি তৈরি করেছেন অনেক মজাদার মনে হচ্ছে।
আলহামদুলিল্লাহ আমরা ও ছুটি দিনে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য।
আহা কি লোভনীয় খাবার 😋
বিকেলের নাস্তা হিসেবে এটা একদমই পারফেক্ট খাবার। আমি পেলে তো বেশ কিছু একবারেই খেয়ে ফেলতাম। যাইহোক লোভনীয় খাবারের রেসিপি পরিবেশন করার জন্য ধন্যবাদ। আর সবশেষে পরিবেশনটা দারুন ছিল 👌
আহা কত সুস্বাদু ছিল! বিকেল বেলায় এমন মুচমুচে পেঁয়াজু খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
বাসার পেঁয়াজু মানেই তো আকর্ষণীয় কারণ বাসায় পেঁয়াজু বানিয়ে খেতে অনেক মজাদার এবং টেস্টি হয় আর আপনার পেঁয়াজু গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার ছিল।এত মুখরোচক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আমার পেঁয়াজু তৈরি করার রেসিপিটি ভালো লাগার জন্য।
পেঁয়াজু খেতে শুধু আপনার কেন আমারও খুব ভালো লাগে । আর পেঁয়াজুর সাথে এরকম চালের গুড়া দিলে সেটা অনেক বেশি মুচমুচে হয় । আপনার পেঁয়াজু দেখে তো আমার একেবারে খেতে ইচ্ছা করছে । কত সুন্দর কালার হয়েছে খুব মুচমুচে হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।ইশ আপনার প্লেটটা ধরে যদি নিয়ে আসতে পারতাম ।
একদম ঠিক বলছেন আপু ছোট বড় সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করেন পেঁয়াজু খেতে। চলে আসেন আপু বাসায় এক প্লেট তৈরি করে দেবো আপনাকে।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1756046982743990592?t=QMliMoKV9YNCj4SHSFbYpw&s=19
আপু এ ধরনের পেঁয়াজি খাবার কিন্তু আমার ভীষণ প্রিয়। যদিও এসব খাবার খেলে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয় তার পরেও এসব খাবার খেতে ভুলে যায় না। আগে এসব খাবার খেয়ে নিয়েই তারপরে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খায়। ছোলার ডাল, চালের গুঁড়া ,বেসন দিয়ে বেশ দারুন পেঁয়াজি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বিশেষ করে চালের গুঁড়া দেওয়ার কারণে পেঁয়াজ গুলো খেতে খুবই মচমচে হয়।