🌺 " তুলসী পাতার উপকারিতা এবং সংরক্ষণ পদ্ধতি" 🌺 | | 10 % beneficiary for @shy-fox||
হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম!
জুম্মা মোবারক!
সবাই আশা করি ভাল আছেন ছুটির দিনে।আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আল্লাহর অসীম রহমতে।প্রতিদিনের মত আজও নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি।আমি আজ ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করবো।সেটি হচ্ছে তুলসী পাতার উপকারিতা নিয়ে।আমরা বিভিন্ন সময় তুলসী পাতার রস বিভিন্ন ভাবে পান করে থাকি।তুলসী পাতার রস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।আমরা বিভিন্ন সমস্যার জন্য তুলসী পাতার রস খেয়ে থাকি।বিশেষ করে ঠান্ডা লাগলে চায়ের সাথে আমরা তুলসী পাতার রস পান করি।এছাড়াও তুলসী পাতার রস দিয়ে সাথে আদার রস দিয়ে মিক্স করে একটা প্যাক বানিয়ে খেয়ে থাকি।
লোকেশন
Device-Wiko-T3
কিন্তু এর বাইরে ও তুলসী পাতার এক চমকপ্রদ উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানি না।তা আমি আজকে আমার পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।তুলসী পাতার সবচেয়ে চমকপ্রদ উপকারিতা হচ্ছে যে রক্তের জমাট বাধা দূর করে।এই পাতার রস খেলে হার্টের সমস্যা দূর হয়ে যায়।এছাড়াও রয়েছে তুলসী পাতা পেটের সমস্যার জন্য এক মহৌষধি হিসেবে কাজ করে।আমরা সচরাচর যেটা করে থাকি সেটা হচ্ছে যে ঠান্ডা লাগলে তুলসী পাতা দিয়ে চা পান করে থাকি।আরো একটা কাজ করি সেটা হচ্ছে যে বাচ্চাদের যখন ঠান্ডা লাগে তখন তুলসী পাতার রস, লেবুর রস দিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে খাওয়াই।
কিন্তু তুলসী পাতার অন্যান্য গুণাবলী সম্পর্কে আমাদের একটু ধারণা কম আছে বলা যায়।তবে অনেকের থাকতে পারে আবার অনেকের না থাকারই কথা।এই পাতা শুধু সর্দির সমস্যা না, পেট ব্যথা, কোষ্ঠ কাঠিন্য, গ্যাস, অম্বল সমস্যা দূর করতে এক চমকপ্রদ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।তুলসী পাতা কিন্তু আমরা যারা গ্রামে থাকি তারা চাষ করলে পর্যাপ্ত পেয়ে থাকি।কিন্তু যারা শহরের মধ্যে চার দেয়ালে আবদ্ধ থাকি তারা তো পাওয়ার কথা না।অবশ্যই না পাওয়ার কোনো কথাই না, কারণ ইদানিং ব্যালকনিতে বা ছাদের মধ্যে টবে করে লাগালে হয়ে যায়।কিন্তু যারা চাষ করা থেকে দূরে থাকেন অথবা যাদের সময় বা সুবিধা নাই তাদের একটা বিকল্প ব্যবস্থা আছে।সেই পদ্ধতি টা আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
লোকেশন
Device-Wiko-T3
আমি তো সব সময় তুলসী পাতা পায় না।আমি যখন গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন আমাদের বাড়িতে একটা তুলসী গাছ দেখছি।সেখানে অনেক তুলসী পাতা ছিল।আমি বেশ তুলসী পাতা গাছ থেকে নিয়ে নিয়েছি।তুলসী পাতা গুলো আমি গ্রাম থেকে শহরে চলে আসার সময় সাথে নিয়ে আসি।নিয়ে আসার পরে যা করেছি আমি কিছু কাঁচা পাতা চায়ের সাথে দিয়ে খেয়ে ফেলেছি।বাকি যে পাতাগুলো ছিল আমি তুলসী পাতা গুলোকে ভাল করে শুকায় নিয়েছি।শুকায় নেওয়ার পরে একটা সুরক্ষিত থাকে এমন একটি জায়গায় ভালো করে সংরক্ষণ করে রেখেছি।
এখন আমি যা করি আমার যখন মন চায় তখন এই পাতা দিয়ে চা করি।চা যখন করি তখন সেই শুকনো তুলসী পাতা থেকে আমি অল্প পাতা চায়ের মধ্যে দিয়ে দিই।তুলসী পাতা গুলো দিলে সেই আগের মতো স্বাদ এবং গন্ধ সবগুলো পাওয়া যায়।তাহলে এভাবে যদি সবাই সংরক্ষণ করে রাখেন তাহলে প্রয়োজনমতো আমরা ব্যবহার করতে পারব।ঠাণ্ডা জনিত কারণে এই শুকনো পাতা দিয়ে চা করে খাওয়া যাবে।শুধু ঠান্ডা জনিত কেনো যে কোনো সমস্যায় যেহেতু এই চা অনেক উপকারী তাই আমরা নিয়মিত এই চা পান করতে পারি।তাহলে বন্ধুরা আমার আজকের পোস্ট দেখে আপনারাও এভাবে তুলসী পাতা শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন।
লোকেশন
Device-Wiko-T3
এভাবে শুকিয়ে যখন আমি চা করে খেয়েছি আমার ভালো লেগেছে।আমি ভাবলাম বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করলে ভালো হয় সবার উপকারে আসবে।সেই চিন্তাধারায় আমার আজকের পোস্ট তৈরি করা।
আশা করি আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আমি আজকে আমার ব্লগ এখানে শেষ করতেছি।সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
সামশুন নাহার হিরা
সবাইকে ধন্যবাদ।
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
তুলসীর উপকারিতা বললে তা শেষ হবে না। আমরা সর্দি, কাশী হলেই তুলসী আর বাসকের রস ফুটিয়ে খাই এখনও।অনেকে এই ভাবেই তুলসী কে শুকিয়ে রাখে, চায়ের সাথে মিশিয়ে খায়। অনেকে কাড়া বানিয়েও খায় ইমিউনিটি ভালো রাখার জন্য।আর তুলসী একটা জীবানুনাশক পাতা। হিন্দু শাস্ত্রে তুলসীর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে তুলসী বেদী থাকেই। ঈশ্বর কে অর্পণ করা ভোগেও তুলসী দেওয়া হয়। ☺ আপনি একদম সঠিক কথা লিখেছেন তুলসীর সম্পর্কে।
আপনার কথা একদম ঠিক আপু আমাদের যদি কোন কারনে তুলসী পাতার প্রয়োজন হয় তাহলে হিন্দু বাড়িতে গেলে পাওয়া যায়।
তুলসী পাতা নিয়ে অনেক কিছু আপনি আপনার পোস্টে তুলে ধরেছেন।,ভাল লাগলো। তুলসীর মধ্যে অনেক গুন বিদ্যমান আছে, আমরা অনেকে হয়ত তা জানি না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে সবাই তা জানতে পারবে।অনেক ধন্যবাদ পোস্টিট শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
হ্যাঁ আপু তুলসী পাতার মধ্যে অনেক গুণাবলী বিদ্যমান।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু তুলসির পাতার গুনাগুন অনেক। আমি ও আমার ছেলে বেশ কিছুদিন থেকে কাশিতে ভুগতে ছিলাম। তুলসী পাতা এবং মধু একত্রে সেবন করে অনেক উপকার পেয়েছি। আপনি দেখি আবার চা রান্না করে খেয়েছেন। তাই নতুন একটি পদ্ধতি জানতে পারলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে তুলসীর পাতার এক চমকপ্রদ উপকারিতা সম্পর্কে জানানোর করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠান্ডা জনিত সমস্যার জন্য তুলসী পাতা চা অনেক উপকারী।
তুলসী পাতা যে অনেক উপকারী পাতা এতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের বাচ্চাদের যখন কাশি হয় তখন আমরা তুলসী পাতার রস করে খাওয়ায়ে থাকি। অনেক উপশম হয় এই তুলসী পাতা।তুলসী পাতা অনেক গুনাগুন গুলো আপনার পোস্টের মাধ্যমে আরো বেশি জানতে পারলাম।খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া তুলসী পাতা আমরা শুধু ঠান্ডা জনিত সমস্যার জন্য খায়।কিন্তু এর বাইরেও তুলসী পাতার অনেক গুণাবলী রয়েছে।