রেসিপিঃ-টমেটোর স্বাদে লইট্টা মাছের ঝাল রেসিপি তৈরি।
শুভ বিকেল বন্ধুরা!
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত যুক্ত থাকতে অনেক বেশি পছন্দ ক।রি অনেক বেশি ভালোবাসি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে। আমার বাংলা ব্লগে আমার অনুভূতিগুলো আমার ক্রিয়েটিভ গুলো শেয়ার করতে পারলে বেশি ভালো লাগে। তাই আজকে আমি আবার উপস্থিত হয়েছি আমার নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের রেসিপি ব্লগে। বন্ধুরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি ভিন্ন ধরনের রেসিপি শেয়ার করার। আমি যেহেতু কক্সবাজারে থাকি এখানে সামুদ্রিক মাছ অনেক বেশি পাওয়া যায়। তাই আমি প্রায় সময় সামুদ্রিক মাছের রেসিপি গুলো নিয়ে উপস্থিত হয়।
আমার রেসিপিগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে জানি না। তবে আপনাদের মতামত গুলো জানতে পারে খুবই ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সামুদ্রিক মাছের রেসিপিগুলো আপনাদের সাথে সব সময় শেয়ার করতে। যেহেতু আমি সামুদ্রিক মাছ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে। তাই চেষ্টা করি সামুদ্রিক মাছগুলো খাওয়ার। আমাদের এদিকে প্রচুর পরিমাণ লইট্টা মাছ পাওয়া যায়। কাঁচা কিংবা শুটকি লইট্টা মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। প্রায় সময় এখানে প্রতিটি সিজনেই কমবেশি লইট্টা মাছ পাওয়া যায়। এছাড়া শুকনো লইট্টা মাছ ও প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যায়।
গতকালকে বাজার থেকে ফ্রেশ কিছু লইট্টা মাছ আনছিল। আমি টমেটো দিয়ে সেই লইট্টা মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। আপনারা জানেন হয়তো লইট্টা মাছ খুব নরম জাতীয় মাছ। তাই বেশি সিদ্ধ করা যায় না খুব সাবধানে রান্না করতে হয় না হয় একদম ভেঙ্গে যায়। যেহেতু মাছ গুলো তত বেশি বড় সাইজের ছিল না একটু ছোট আকৃতির ছিল। তবে মাছ গুলো খুবই ফ্রেশ ছিল। তাই আমি আনার সাথে সাথে রান্না করে ফেলছিলাম টমেটো দিয়ে। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ না থাকার কারণেই আমি শুকনো মরিচ দিয়ে রান্না করেছিলাম খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। সেই রেসিপিটি নিয়ে আমি আজকে উপস্থিত হয়েছি বন্ধুরা।
আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা রেসিপি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে শুরু করা যাক আমি লইট্টা মাছ কিভাবে রান্না করেছি সেই ধাপ সমূহ আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব—
আপনারা তো দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে আমি সব উপকরণসমূহ রেডি করে নিয়েছি। টমেটো কেটে নিয়েছি। মাছগুলোকে কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি এবং অন্যান্য উপকরণগুলো নিয়েছি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
লইট্টা মাছ -৭০০ গ্রাম।
টমেটো- ২ টি
পেঁয়াজ - ২ টি।
রসুন - ৩ কোয়া।
শুকনা মরিচ - ৪ চামচ।
ধনে গুঁড়া, জিরে গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া - ১ চামচ করে।
লবণ- স্বাদমত।
সরিষার তেল- পছন্দমত।
ধনে পাতা কুচি- অল্প।
টমেটোর স্বাদে লইট্টা মাছের ঝাল রেসিপি তৈরীর ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
বন্ধুরা প্রথমে তো আপনাদেরকে উপকরণ সমূহ দেখিয়ে নিলাম পরিমাণ মতো। সবকিছু ঠিকঠাক করে নিয়ে রেসিপি তৈরির ধাপে চলে যাচ্ছি। রান্না করার জন্য একটি পাত্র চুলায় বসিয়ে দিলাম। সেখানে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তেল গরম হয়ে আসলে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে দিলাম।
রান্নার ধাপ-২
পেঁয়াজ রসুন তেলের মধ্যে কষিয়ে নেওয়ার পরে এবার দিয়ে দিবো শুকনো উপকরণগুলো। যেগুলোকে আমি আগে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিয়েছি। উপকরণ ঢেলে দেওয়ার পরে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিতে হবে। এবার টমেটো দিতে হবে।
রান্নার ধাপ-৩
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি কেটে রাখা টমেটো দিয়ে দিলাম। সেই সাথে দিয়ে দিয়েছি পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখা মাছের টুকরোগুলো।
রান্নার ধাপ-৪
মাছ দেওয়ার পরে সব উপকরণ গুলো মিশিয়ে নিলাম। আমি কোন পানি দিই নাই। কারণ লইট্টা মাছের মধ্যে পানি দিলে আরো ভেঙ্গে যায় মাছগুলো সেজন্য। এভাবে ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ করে নিলাম। সিদ্ধ করা হয়ে গেলে কুচি করে রাখা ধনেপাতা দিয়ে দিলাম। এর পরে চুলা থেকে নামিয়ে ফেললাম রান্না করা পাত্রটি।
রেসিপির পরিবেশনা
বন্ধুরা যেহেতু রান্না করে নিলাম তাহলে খেতে হবে। যেহেতু খাওয়ার জন্যই রান্না করেছি গরম গরম পরিবেশন করলে ভালো হয়। তাই রান্নার সাথে সাথেই খাওয়া শুরু করে দিলাম। একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম পরিবেশনের জন্য। সত্যি লাল মরিচ দিয়ে রান্না করার কারণে কালারটা খুবই সুন্দর হয়েছে। অনেকদিন পরে লইট্টা মাছ খেলাম তাই খেতেও ভালো লাগলো। কারণ লইট্টা মাছ প্রায় সময় আনা হয় বাসায়। আনা হয় তবে কিছুদিন গ্যাপ দিয়ে দিয়ে আনা হয়। ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে যেহেতু ঝাল করে রেসিপিটি তৈরি করেছি। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপি টা আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
অনেক মজার ও সুস্বাদু একটা রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন আপু। আসলে টমেটো রান্না আমার অনেক ভালো লাগে সেটা যে কোন মাছের সাথে হোক না কেন। লইট্রা মাছের সাথে টমেটার ঝাল রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়েছে , রেসিপি তৈরি করার প্রতিটা ধাপ আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে এমন মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বেশ মজার একটি রেসিপি তাজা তাজা রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে।
আপনি সব সময় আমাদের মাঝে সামুদ্রিক মাছের রেসিপি গুলো শেয়ার করার চেষ্টা করেন। আসলে নদীর মাছের থেকে সামুদ্রিক মাছ একটু বেশি মজাদার হয়। আপনি দেখছি বাড়িতে বসে টমেটোর স্বাদে লইট্টা মাছের ঝাল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে গেল আপু। আপনি অসাধারণ ভাবে রেসিপি টি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন।
চলে আসেন ভাইয়া বাসায়। আপনাকে দাওয়াত দিলাম।
আপু সামুদ্রিক এলাকায় থাকেন তাই সমুদ্রের পছন্দের মাছ খেতে পারেন। কাঁচা লইট্টা মাছ কখনো তো চোখেই দেখলাম না তবে শুটকি খেয়েছি লইট্টা মাছের অনেক সুস্বাদু একটি মাছ। আপনি ভীষণ লোভনীয় করে লইট্টা মাছের ঝাল রেসিপি করেছেন দেখেই লোভ লেগে গেলো।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে লইট্টা মাছের ঝাল রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তাহলে তো আপনাকে খাওয়াতে হয় আপু। চলে আসেন আপনি আপনার জন্য আবার রান্না করবো।
টমেটো দিয়ে লইট্টা মাছের ঝাল রেসিপিটি দেখতে সুন্দর হয়েছে এবং খুবই লোভনীয় হয়েছে। এমনিতেই লইট্টা মাছের স্বাদ অন্যরকম। তার মধ্যে টমেটো আর ঝাল ঝাল লইট্টা মাছের ঝোল আ,হা গরম ভাতের সাথে কি দুর্দান্ত কম্বিনেশন। উপকরণ এবং ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভালো লাগলো আপনার থেকে এত সুন্দর প্রশংসা পেয়ে।
বেশ কয়েকদিন যাবত ইচ্ছে করছে লইট্টা
মাছ ফ্রাই করতে ইচ্ছে করছিলো,যাই হোক টমেটো দিয়ে লইট্টা মাছের রেসিপি দারুণ হয়েছে। কালারটা বেশ ভালো হয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
লইট্টা মাছ ফ্রাই করলে যেমন মজা হয়। এভাবে টমেটো দিয়ে ঝোল করে খেতেও বেশ ভালো লাগে।
আপু আমাদের এদিকে সামুদ্রিক মাছ তেমন পাওয়া যায় না। আর লইট্টা শুটকি বেশির ভাগ সময় কক্সবাজার কেউ গেলে কিনে আনা হয় তবে দিকে পাওয়া যায় না। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। আসলে আপু এগুলো একটু ঝাল করে রান্না করলে খেতে অনেক মজা।আপনার রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলছেন আপু লইট্টা মাছ রান্নাতে একটু ঝাল বাড়িয়ে দিলে খেতে খুবই মজার হয়।
লইট্টা মাছের শুটকি খেয়েছি অনেক। তবে তাজা লইট্টা মাছ কখনো খাওয়ার সুযোগ হয়নি। এই মাছ গুলো দেখে মনে হচ্ছে যেতে খুবই ভালো ছিল। টমেটো দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। চমৎকার হয়েছে আপনার শেয়ার করা রেসিপি।
তাজা লইট্টা মাছ খেতে খুবই মজার হই ভাইয়া।
আপু আপনার রেসিপিগুলো সব সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজ আপনার এই রেসিপিটিও আমার অনেক ভালো লেগেছে। এই মাছটি প্রায় আমাদের বাসায় রান্না করে। হ্যাঁ সামুদ্রিক মাছগুলোত অনেক পুষ্টিকর। আর এ মাছগুলো একটু নরম টাইপের তাই আমাদের বাসায় শুকনো করে চচ্চড়ি করে পেঁয়াজ দিয়ে। আজ আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে। এবার এই মাছটি আপনার মত রান্না করে খেয়ে দেখব।
হ্যাঁ আপু সামুদ্রিক মাছগুলো যেমন পুষ্টিকর খেতেও তেমনি অনেক সুস্বাদু হয়।
আপু সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। আচ্ছা আপনি অনেক সুন্দর করে লইট্টা মাছের চমৎকার রেসিপি করেছেন। তবে লইট্টা মাছের রেসিপির মধ্যে টমাটো পেঁয়াজ ও মরিচ একটু বেশি দিলে খেতে বেশ মজাই লাগে। আর লইট্টা মাছের কাঁটা গুলো খুব নরম এই কারণে খেতেও তেমন ভয় লাগে না। সত্যি আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। মজার রেসিপি অনেক সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
একদম ঠিক বলছেন পেঁয়াজ আর মরিচ একটু বাড়িয়ে দিলে অসাধারণ হয়ে খেতে।
https://x.com/nahar_hera/status/1809646376655139294?t=N5hBYS55bByMz-Ei1QGmTQ&s=19