কেমন আছেন সবাই?
আজ রোজ-শনিবার।
২৩ শে-পৌষ - ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
০৭ ই- জানুয়ারী -২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় বেশ ভাল আছি।যদিও কয়েক দিন ধরে অনেক শীত অনুভব করতেছি।আশাকরি কয়েক দিনের মধ্যে শীতের প্রকোপ একটু কমে যাবে।শীতের দিনে কোন কিছু করতে ইচ্ছে করে না সারাদিন একটা অলস অলস ভাব থেকে যায়।তো কি আর করার সেই অলসতার ভিতরেও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য চলে এসেছি।আজ আমি আপনাদের সাথে যে বিষয়টি শেয়ার করব সেটি হচ্ছে একটি প্লাস্টিক দানব নিয়ে কিছু কথা।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার-বাংলাদেশ।
সেদিন ৩১ ডিসেম্বর রাত দশটার পরে যখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যায় কিছুটা আনন্দ উপভোগ করার জন্য।সেই মুহূর্তে দেখতে পাই সুগন্ধা বীচে একটি বড় আকারের প্লাস্টিক দানব দাঁড়িয়ে আছে। অনেক দূর থেকে অনেক মানুষের ভিড় দেখে কৌতুহল হল আসলে এত ভিড় কেন? বা হচ্ছে কি এখানে!কিন্তু কাছে এসে যা দেখতে পেলাম সত্যিই অকল্পনীয়।প্লাস্টিক দানবটা সাইজে অনেক বড় আকারের ছিল।বলতে গেলে দানব গুলো দেখতে যে রকম তার চেয়ে সাইজে আরো ও বড় ছিল আমার ধারণ।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার-বাংলাদেশ।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার-বাংলাদেশ।
এটা কিভাবে সম্ভব! বা কি করে তৈরি করল এই ভাবনা চিন্তা করতে করতে শেষ পর্যন্ত দেখলাম সমুদ্র সৈকতের মধ্যে যেসব ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় সব ময়লা গুলো সংগ্রহ করেছেন একত্রে।যারা সমুদ্র পরীস্কার রাখার কাজে ব্যস্ত আছেন তারাই করেছে মূলত প্রশাসনের সহায়তায়।যেসব টুরিস্ট পুলিশ এবং সমুদ্র নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ নিয়োজিত আছেন উনাদের পরিকল্পনায় এবং জেলা প্রশাসক ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর সহায়তায় করেছেন।এটা মূলত করা হয়েছে এই জন্য প্লাস্টিক এবং অন্যান্য ময়লা যাতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে না রেখে একটি নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করা হয়।প্লাস্টিক দ্বারা তৈরি করার মূল কারণ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর তারিখে যেহেতু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনেক লোকজন আসবেন।তারাই যাতে এই প্লাস্টিক দানব দেখে তা থেকে শিক্ষা নিতে পারেন সে জন্য মূলত এটা তৈরি করা হয়েছিল।
সেখানে মূলত বলা হয়েছে প্লাস্টিক যাতে রিসাইকেল করা হয় এভাবে যেন বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে না ফেলে পরিবেশ সুন্দর রাখা হয়।প্লাস্টিক থেকে যেন আর এরকম কোন দানব সৃষ্টি না হয় তার জন্য জনসচেতনতামূলক বার্তায় এই দানব সৃষ্টি।বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যারা টুরিস্ট পুলিশ আছেন উনারা অনেক বেশি সতর্ক।টুরিস্ট পুলিশরা টুরিস্টদের প্রতি যেমন খেয়াল রাখেন তেমনি বীচের পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখেন।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার-বাংলাদেশ।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার-বাংলাদেশ।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক এবং উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান আছে যারা প্রতিনিয়ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুন্দর পরিবেশ সংরক্ষণে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।তো আমরা সবাই প্লাস্টিক এবং ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে না রেখে নির্দিষ্ট একটি স্থানে সংরক্ষণের চেষ্টা করি এবং সেগুলো যেন সঠিক নিয়ম মেনে ধবংস করা হয় এমন ব্যবস্থা করতে হবে।আমরা প্লাস্টিক এবং বিভিন্ন আবর্জনা এমন কোন কাজে লাগাব না যার কারনে আমাদের পরিবেশ নষ্ট হয়।সবাইকে সচেতন হতে হবে পরিবেশকে বাঁচাতে হবে।কারণ দিন দিন জনসংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি পরিবেশ ও দূষিত হচ্ছে অনেক বেশি।
ডিভাইস-Wiko-T3
স্থানঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার-বাংলাদেশ।
আমাদের সুস্থ থাকার অন্যতম উপায় হচ্ছে একটি সুস্থ পরিবেশ।একটা সুন্দর পৃথিবী যে পৃথিবী হবে সুস্থ এবং সুন্দর।তাহলে আমাদের সুস্থ থাকাটা ততো বেশি সুবিধার হবে।সবাই এগিয়ে আসুন! আমাদের সবাইকে প্লাস্টিক রিসাইকেল করতে হবে।সবাইকে একসাথে মিলেমিশে ভাল ভাবে পরিবেশ সুস্থ ও সুন্দর রাখতে হবে।এই কামনা করে আমি আজ আমার ব্লগিং এখানেই সমাপ্তি করছি।
💞ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্ট সময় দিয়ে দেখার জন্য💞। |
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/4og9dd-or-or
আসলেই তাই আপু, জনসংখ্যার বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবেশ দূষণ বেড়েছে। তাই আমাদের নিজেদের উচিত পর্যটন স্থানগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার। এই প্লাস্টিক দানব সম্পর্কে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক কিছু শুনেছিলাম। এই উদ্যোগটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু আসলে পরিবেশ বাঁচাতে হলে আমাদেরকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে একটি। প্রতি বছর সেখানে অনেক মানুষ ভিড় জমায় কিন্তু যারাই যাচ্ছে ময়লা আবর্জনা ফেলে কক্সবাজারের সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়ে আসে। এরকম একটি দৈত্য তৈরি করেছে বলে জেলা প্রশাসন এবং বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন কে ধন্যবাদ জানাই। এতেও যদি মানুষ কিছুটা সচেতন হয়। আপনাদের পারিবারিক ছবি বেশ ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
প্রকৃতি আসলে নিজেই দূষিত হয় না আমরা মানুষেরাই প্রকৃতিকে দূষিত করি।তাই আমাদের সচেতন হওয়া উচিত বেশ ভল মন্তব্য করেছেন।
আপু সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করেছেন। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন আরো কয়েকবার এমন কাজ করে ইত্যাদির মাধ্যমে সবার নজর কেড়েছেন। আসলে সবাই যদি যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলে বীচকে নষ্ট করে ফেলি তাহলে সেটা আমাদেরই ক্ষতি হবে। ধন্যবাদ আপু।
আসল কথায় হচ্ছে সেটাই আমরা নিজেরাই ভুল করে নিজেরাই পরিবেশ নষ্ট করে ফেলি।
এই কনসেপ্টটা কিন্তু খুবই ভালো। এতে করে যদি মানুষ কিছুটা সচেতন হয়। কারণ সমুদ্র সৈকতে প্লাস্টিক বা আবর্জনা ফেলালে সেগুলো তো জলের সাথে ভেসে চলে যায় এবং সমুদ্রে থাকা ছোট বড় মাছের জন্য প্রচন্ড ক্ষতিকারক এই প্লাস্টিক। যাই হোক বেশ ভালো লাগার মত একটা পোস্ট ছিল আজ।
ঠিক তো যেগুলো বালিতে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় সেগুলো আবার জোয়ারে পানিতে ভেসে গিয়ে পানিকে দূষিত করে এবং মাছের ক্ষতি হয়।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে বর্তমান সময় যেভাবে চারদিকে প্লাস্টিকের বোতল ফেলা হচ্ছে। এত করে পরিবেশ দূষিত এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। প্লাস্টিকের রিসাইকেল করা খুবই প্রয়োজন। এটি কিন্তু খুবই মহৎ উদ্যোগ। এই প্লাস্টিকের দানব দেখে সবাই প্লাস্টিক রিসাইকেল করার প্রতি উৎসাহিত হবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো, ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া প্লাস্টিক রিসাইকেল করলে তাহলে আমাদের পরিবেশ আর নষ্ট হবে না এবং আমরা ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পাবো।
আসলে প্লাস্টিক অনেক ক্ষতিকর একটি দ্রব্য ৷ সমুদ্র সৈকতে প্লাস্টিক বা আবর্জনা বেশ ভালোই ফেলেন মানুষ এতে মাছ সহ পানি দূষণের মতো বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত সমস্যা হচ্ছে , এতে আমাদেরওই ক্ষতি ৷ প্লাস্টিক ও আবর্জনার তৈরি দানবের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার পদ্ধতি ভালোই ছিলো ৷ যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ৷
প্লাস্টিক এমন একটা জিনিস যা পচে যায়না আবার পুড়িয়ে ফেললেও পরিবেশ দূষিত হয়।সবদিক থেকে ক্ষতিকারক তাই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরী।
খুব সুন্দর একটা ছবি আপনি শেয়ার করেছেন । আর এই উদ্যোগটা যারা নিয়েছেন তাদেরকে আরও বাহবা দেওয়ার মতনই। কারণ তারা সমাজকে একটা খুব বড় দিক আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে। প্রকৃতিকে কি করে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার রাখতে হয় আর প্লাস্টিক সত্যিই প্রকৃতির জন্য কতটা ক্ষতিকারক তা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই প্লাস্টিকের দানবের মাধ্যমে। খুব ভালো লাগলো কনসেপ্টটি। ধন্যবাদ।
দানব যেমন মানুষের ক্ষতিকর ঠিক প্লাস্টিক ও ক্ষতিকর দানব তৈরি করে মানুষকে তা শিখিয়ে দিয়েছেন।
সত্যি বলতে দেখে অবাক হলাম যে এতো বড় দানব বানিয়েছে ৷ তারা এই দানবটি বানিয়ে সাধারান মানুষেদের বোঝাতে চাইছে ৷ যে আবর্জনাই পরর্বতী দানবে রুপ নিবে যা পরিবেশকে হুমকির মুখে ঢেলে দিবে ৷
আসলে আমাদের সবার উচিত ময়লা -আবর্জনা যথা জায়গায় ফেলে দেয়া উচিত ৷
আপনার ধারনা বেশ সুন্দর আসলেই অনেক ময়লা জমে এমন দানবের মতো পরিবেশ নষ্ট করে ফেলবেন।সেই বিষয়টি বোঝানোর জন্য সাধারণ জনগণের কাছে এই দানব তৈরি।