"টক মিষ্টি ঝাল স্বাদে মজাদার আমড়ার আচার রেসিপি"
১৬ সেপ্টেম্ববর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
রোজ শুক্রবার,
হ্যালো বন্ধুরা,
উপকরণ প্রণালী | পরিমাণ সমূহ |
---|---|
আমড়া | ১০/১৫ টা |
রসুন | ২/৩ টা |
শুকনা মরিচ ভাঙ্গা | স্বাদমত |
হোয়াইট ভিনেগার | ২ চামচ |
লবঙ্গ | ৫ টা |
এলাচ | ৫ টা |
চিনি | পরিমাণ মত |
তেজ পাতা | ২ টা |
পাঁচ ফোড়ন | দেড় চামচ |
সরিষার তেল | পরিমাণ মত |
লবণ | স্বাদমত |
প্রস্তু প্রণালীঃ
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে আমড়া নিবো। এরপর আমড়া গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিবো। খোসা ছাড়ানোর পর ধুয়ে নিতে হবে। আমি ধুয়ে নিয়েছি। ধুয়ে নেওয়ার পর টুকরো টুকরো করে নিতে হবে। আমি আমড়া গুলোকে টুকরো করে নিয়েছি।
২য় ধাপঃ
- এখন আমি ২য় ধাপে এসে একটি রান্নার জন্য পাত্র নিয়েছি। পাত্র টি আমি চুলায় বসায় দিয়েছি। চুলায় বসায় দেওয়ার পর গরম হয়ে আসলে তাতে পরিমাণ মত সরিষার তেল দিবো। সরিষার তেল হালকা গরম হলে আমি লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, তেজ পাতা দিয়ে দিবো। ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
৩য় ধাপঃ
- এখন আমি পাঁচ ফোড়ন দিয়ে সব মসলা ভাল করে ভেজে নিবো। সাথে রসুন ও দিয়ে দিবো।যতক্ষণ ব্রাউন কালার না আসে ততক্ষণ ভাজতে থাকব। । নেড়েচেড়ে ভেজে নিবো। সাথে স্বাদমত লবণ দিয়ে দিতে হবে।
৪র্থ ধাপঃ
- ভাজা ভাজা হলে সাথে স্বাদমত চিনি দিবো। ভেজে নিয়ে আবার দিয়ে দিবো ভেঙ্গে রাখা লাল মরিচের গুঁড়া। সব গুলো একসাথে ভাল করে মিক্স করে নিতে হবে। মিক্স করে অল্প কিছক্ষণ ভেজে নিয়ে এবার দিয়ে দিবো আমড়ার টুকরা গুলো। মেখে নিবো মসলার সাথে। মেখে নিয়ে সিদ্ধ হতে দিবো।
৫ম ধাপঃ
- এখন আমার আজকের রেসিপি আমড়ার আচার প্রায় সিদ্ধ হয়ে এসেছে। একটু একটু পানি আছে। সেই সাথে আমি ২ চামচ হোয়াইট ভিনেগার দিয়ে আবার ও নেড়েচেড় পানি শুকিয়ে নিবো।
শেষ ধাপঃ
- আপনাদরা দেখতে পাচ্ছে এটা হচ্ছে আমার শেষ ধাপ। এই ধাপে আমার আচার বানানো প্রায় শেষ। তৈরি হয়ে গেল মজাদার টক মিষ্টি ঝাল স্বাদে মজাদার আমড়ার আচার। আমি পরিবেশনের জন্য একটি বাটিতে নিয়ে দেখালাম। দেখেন বন্ধুরা আমার আজকের তৈরি করা মজাদার আমড়ার আচার দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছে তেমনি খেতে দারুণ হয়েছিল।
আমার আজকের তৈরি করা আমড়ার আচার আপনাদের কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না। আপনারা মতামত দিলে আমার শেয়ার করা স্বার্থক হয়। তাই বেশি বেশি মতামত দিন আর নতুন নতুন ব্লগ পেতে অপেক্ষা করুন। কোন ধরনের ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ক্যামেরার বর্ণানা দেওয়া হলো
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ আমার লেখা এখানে শেষ করছি। আবার উপস্থিত হব অন্য একদিন নতুন আরেক টি ব্লগ নিয়ে সবাই সাথে থাকবেন সেই অবধি।
টক মিষ্টি ঝাল স্বাদে মজাদার আমড়ার আচার রেসিপি বাহ্ দারুন হয়েছে। আমি এভাবে কখনো খাইনি তবে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। পোস্টের উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাইয়া, ভাল লাগলো সুন্দর মতামত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য। আপনি আমার রেসিপি দেখে তৈরি করে খেতে পারেন।
আপু আপনার আমড়ার আচার দেখে আর লোভ সামলে রাখতে পারছি না। অনেকদিন হয়ে গেল আমড়ার আচার খাওয়া হয়নি। আমড়ার আচার খেতে কে না পছন্দ করবে। আপনি একদম ঠিকই বলেছেন, আমড়ার আচার আমাদের শরীরের বিভিন্ন ভাবে উপকারী। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি।
আপু অনেক দিন যখন খাওয়া হয়নি এখন তৈরি করে খেতে পারেন।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।আমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরি্মাণে সি ভিটামিন যা আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।প্রতিদিন প্রত্যেকের কিছু পরিমাণে সি ভিটামিন গ্রহন করা জরুরী।
আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন আপু আমাদের প্রতিদিন অল্প পরিমাণ হলে ও ভিটামিন সি খাওয়া দরকার।
লোভনীয় আমড়া আচার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমড়ার আচার খেতে ভালই লাগে আমার কাছে । নানুদের বাসায় খাওয়া হয়েছে। তবে নিজে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। টক জাতীয় যেকোনো ফলের আচার খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার আচারের কালার দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু নিজে একবার তৈরি করে খেয়ে দেখুন অনেক তৃপ্তি পাবেন।নিজে করে খাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ আছে।ধন্যবাদ আপু
টক মিষ্টি ঝালে লোভনীয় ভাবে আমড়ার আচার প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আমার মত যে কেউই এই ধরনের খাবারের রেসিপি দেখলে জিভে জল চলে আসবেই।। আমরা সম্পর্কে খুব সুন্দর তথ্য উপস্থাপন করেছেন ডায়াবেটিস গ্যাস্ট্রিক এর খুব উপকার করে থাকে।। আসলে মুখেরচর খাবার হিসেবে আমরা আমার খুবই ফেভারিট।।
আপনি ঠিক বলেছেন এই রকম আচার দেখলে লোভ সামলানো যায় না।
আপনার এই রেসিপিটির মাধ্যমে আমরা এর অনেক রকম উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম যেটা জেনে আমি খুবই উপকৃত হলাম এটা আমি আগে জানতামই না। ব্যক্তিগতভাবে আমড়ার আচার আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে।
ভাইয়া প্রত্যেক খাবারে কোন না কোন উপাদান থাকে তেমনি আমড়া তে ও অনেক গুণাবলি রয়েছে।আপনি জানতে পেরেছেন শুনে ভাল লেগেছে।
আমড়ার আচার কথাটি যখন কেউ বলে অথবা পড়ে থাকি তখন মনের মধ্যে যেন ভেসে ওঠে আমরা আর দৃশ্য আর জীভেতে জল চলে আসে তাৎক্ষণিকভাবে। তেমনটাই হলো আপনার এই টাইটেল দেখে এবং ভেতরের ফটোগুলো দেখে।
ভাইয়া এখন তো প্রচুর আমড়া পাওয়া যায়।রেসিপি দেখে তৈরি করে নিন আর খেয়ে নিন মজাদার আমড়ার আচার
সেই স্কুলের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল আপু।টিফিনের ২টাকার আমড়ার আচাড় নিয়ে সবাই মিলে কাড়াকাড়ি করে খাওয়া।আচার অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।আশা করি এরকম ভাল ভাল রেসিপি আরো পাব।
আপনি ঠিক বলেছেন সেই আমড়ার আচার খাওয়ার আনন্দ আমার মেয়ের থেকে আবার দেখতে পাচ্ছি।স্কুলে গেলে আমড়া খেতে চাই।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি টক বেশী খেতে পারি না। তবে যে আচার গুলো টক, ঝাল, মিষ্টি হয় সেগুলো খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার এই আচারটা দেখে সেইরকম মনে হচ্ছে। মা কে বলব বানাতে এই বছর। তবে আমার সবসময়ের প্রিয় আচার হল চালতার আচার।
চালতার আচার তো অসাধারণ আপু।আমার এই আচার টা ও অনেক ভাল হয়েছে দেখে তৈরি করতে পারেন খেতে ভাল লাগবে