ঈদুল আযহার- একটি ব্যস্তময় দিন।
আসসালামু আলাইকুম ঈদ মোবারক।!
আশা করি সকলে ভালো আছেন একটি ব্যস্তময় দিন ছিল সবার গতকালকে। আসলে ঈদের দিনটা এমনই সকাল থেকে রাত অব্দি পর্যন্ত ঈদুল আযহাতে অনেক ব্যস্ত থাকেন সবাই। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু ইচ্ছে করে কমিউনিটিতে সময় দেওয়ার। কিন্তু গতকালকে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম কালকে সারাদিন কমিউনিটিতে একদম সময় দিতে পারি নাই। তবে শেষমেষ হাংআউটে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলাম তাতে একটু শান্তি পেয়েছিলাম মনে। তো সবাই আশা করি বেশ ভালো দিন যাপন করতেছেন পবিত্র ঈদুল আযাহাকে কেন্দ্র করে। আশা করি ঈদের দিনটি প্রিয়জনদের সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন সবাই।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ হয়ে উঠুক সবার কাছে আনন্দময় এই প্রত্যাশা করি। কারণ কোরবানির ঈদ হচ্ছে অনেক বড় একটি দিন আমাদের মুসলিমদের জন্য। সবাই ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বনিত হয়ে ওঠুক এই প্রত্যাশা করি। ঈদের মাংস সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া, খাওয়া দাওয়া করা এছাড়া যারা গরিব নিরীহ দরিদ্র তাদেরকেও সেই ঈদের আনন্দে শামিল করে নেওয়া হচ্ছে আমাদের অন্যতম প্রধান কাজ। ঈদুল আযহা এমন একটি দিন আমাদের মুসলিম সমাজের জন্য সবচাইতে ত্যাগের একটি দিন। এই দিনে আমরা সবাই একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করে নিই সবকিছুতে। ধনী দরিদ্র সবাই যেন খুব ভালো করে সেই আনন্দ ভাগ করে নিতে পারি আমরা সেই চেষ্টা করি।
তো সকাল ছয়টা থেকে আমার ব্যস্ততা শুরু হয় গতকালকে। অনেক কাজকর্ম করলাম সকাল থেকে তবে দুপুরের পর আমার আরও ব্যস্ততা বেড়ে যায়। দুপুর থেকে রাত অব্দি পর্যন্ত সবার সাথে কোরবানির মাংস ভাগাভাগি করে নিলাম। আমাদের আশেপাশে যারা গরিব মানুষ আছেন তাদের সাথে কোরবানির মাংস ভাগ করে নেওয়া আমার অন্যতম ব্যস্ততম কাজ ছিল। সবার সাথেই শেয়ার করে নিয়েছি মাংস গুলো। সবাইকে যতটুকু পারি সাদ্যমত মাংস দিয়েছি। এছাড়া অনেক গুলো রুটি তৈরি করেছিলাম। এবং সবাইকে খাওয়া-দাওয়া করালাম। এভাবে চলবে আরো কয়েকদিন আমার ব্যস্ততা। যদিও আমার সাথে হেলপিং হ্যান্ড ছিল, না হলে পারতাম না। অনেকেই আমাকে খুব সহযোগিতা করেছেন রুটি গুলো তৈরি করতে।
এছাড়া ও মাংস গুলো কাটা কিংবা প্যাকেট করে মানুষকে বন্টন করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকের সহযোগিতা পেয়েছিলেন। তাছাড়া খাওয়া-দাওয়া করার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করেছিলেন। আসলে গ্রামে না আসলে বুঝা যায় না ঈদের আনন্দটা কেমন। সবাই একে অন্যের প্রতি যে কোন কাজে খুব সুন্দর সহযোগিতা করেন এবং বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ করেন। কোন কিছুর জন্য যদি কাউকে সহযোগিতা করার জন্য বলা হয় তাহলে সাধ্যমত সহযোগিতা করেন।
ন
গতকালকে অনেক ব্যস্ত ছিলাম তাই পোস্ট করতে পারিনি। আজকে আপনাদের সাথে আমার ঈদ উল আযহার সেই শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে একটা ব্যস্তময় দিনের কথা গুলো শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। আশা করি সকলে ভালো আছেন ভালো থাকবেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। পরিবারকে নিয়ে সুস্থ থাকবে এই প্রত্যাশা করি।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | কেনভা দিয়ে তৈরি |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
রাইটিং ক্রিয়েটিভিটি | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/4hhier
আসলে ঈদুল আযহা আমাদের অনেক ব্যস্ততাময় সম্পন্ন একটি দিন। কালকে পুরো দিন আমিও সময় দিতে পারিনি বলা। শেষমেষ হ্যাংআউটে যুক্ত হয়ে একটু শান্তি পাওয়া গেল। তবে আপনার থেকেও একটু ফ্রি ছিলাম বলা যায়। দশটা থেকে একটা পর্যন্ত আমি ফ্রি ছিলাম। আর বেশ ভাল বুঝছেন গ্রামে না আসলে বোঝাই যায় না ঈদের আনন্দ কতটা।
পুরো দিন অনেক বিজি ছিলাম আপু তবে রাত শেষে হ্যাংআউটে জয়েন করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছিল। আপনার তো সেম অবস্থা কিন্তু আমার মত এত বেশি বিজি ছিলেন না শোনে অনেক ভালো লাগলো।
প্রথমেই আপনাকে ঈদ মোবারক জানাই।
গতকাল আমিও ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম। আজ পরিবার নিয়ে একটু বের হবো ভাবলাম কিন্তু বৃষ্টির কারণে কিছুই হলো না।
যাইহোক আপনার ব্যাস্ততা দেখছি অনেক বেশি, ব্যাস্ততা ছাপিয়ে আবারো ভালোভাবে কাজে ফিরে আসুন এই কামনা করছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া কষ্ট গুলো বুঝার জন্য তবে আফসোস হলো আপনি বৃষ্টির জন্য পরিবারকে নিয়ে বের হতে পারলেন না।
Twitter Share Link
সত্যি আপু এই দিনে আমরা সবাই অনেক ব্যস্ত থাকি। সেই সকাল থেকে আমাদের ব্যস্ততা শুরু হয় রাতে গিয়ে শেষ হয়। আসলে এটা ঠিক বলেছেন শত ব্যস্ততার পরও হ্যাংআউটে যুক্ত হয়ে অনেক ভালো লেগেছিল। ঈদে ব্যস্তময় দিন কাটানোর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হে আপু অনেক বিজি ছিলাম সারা দিন রাতে একটু ফ্রি হয়ে হ্যাংআউটে জয়েন হতে পেরেছিলাম।