লাইস্টাইলঃ-অন লাইন পেইজ থেকে পিঠা অর্ডার করে খাওয়ার অনুভূতি।
শুভ দুপুর সবাইকে,
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। ব্যস্ততা কাটিয়ে আবার ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে। শত কষ্টের মাঝেও শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের কাছে ব্লগগুলো শেয়ার করতে পারলে খুব ভালো লাগে। তাই বারবার আপনাদের মাঝে হাজির হই পছন্দের ব্লগ গুলো শেয়ার করে নিতে। আপনারা আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেন আমার পোস্টগুলো পড়ে তাতে আমি অনেক বেশি উৎসাহিত হয়। আজকে বন্ধুরা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকতায় একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। দৈনন্দিন জীবনের ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে খুব ভালো লাগে। সেগুলো হয়তো ভালো লাগার কিছু মুহূর্ত অথবা খারাপ লাগার কিছু মুহূর্ত। যেমনই হবে হোক আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে খুবই হালকা মনে হয়।
আপনারা আমার আজকের শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন আমি আজকে আপনাদের সাথে কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। হ্যাঁ বন্ধুরা অবশ্যই ঠিকই বুঝতে পারছেন। কয়েকদিন আগে অনলাইন থেকে পিঠা অর্ডার করে নিয়েছিলাম পিঠা খাওয়ার জন্য। সত্যি মাঝে মাঝে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ি যার কারণে কিছু তৈরি করে খেতে খুবই খারাপ লাগে। আর এমন কিছু নাস্তা আছে যেগুলো তৈরি করা খুবই ঝামেলার হয় যেগুলো তৈরি করতে সাহস পাওয়া যায় না। বিশেষ করে বিনি চাউলের ধুপ্পাইস পিঠাগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি প্রায় সময় খাওয়ার চেষ্টা করি এবং খেতেও মন চাই। বিনি চাউলের ধুপ্পাইস পিঠাগুলো তৈরি করতে আমার কাছে খুবই কঠিন লাগে।
প্রথমে চাল গুলো ধুয়ে নিতে হয়। ধুয়ে নেওয়ার পরে আবার শুকিয়ে নিতে হয়। শুকিয়ে নেওয়ার পরে সেগুলোকে আবার গুড়া করে নিতে হয়। কিন্তু অল্প চাউল মেশিনের মধ্যে গুড়া করতে দেওয়া যায় না। তাছাড়া ও ভিজিয়ে যদি গুঁড়ো করা না হয় তাহলে পিঠাগুলো ভালোভাবে ওঠে না। আর ব্লান্ডারে তো শুকনা চাল ব্লেন্ডারে গুড়া করতে খুবই কষ্ট হয়। সেজন্য আমি আর এই ঝামেলাগুলো করতে চাই না। কিন্তু সব চেয়ে পছন্দের পিঠা হচ্ছে আমার বিনি চাউলের ধুপ্পাইস পিঠাগুলো। তাই চোখ বন্ধ করে আমি অনলাইন থেকে অর্ডার করেছিলাম। আমাদের এখানে বেশ কয়েকটি অনলাইন পেইজ রয়েছে যেসব আপুরা খাবারগুলো রেডি করে একদম ঘরের দরজায় এনে সাপ্লাই দিয়ে থাকেন।
বিশেষ করে তারা হোম ডেলিভারী দিয়ে থাকেন। পিঠাগুলো তৈরি করে একেবারে ঘরের দরজা এনে দেবে টাকাগুলো পেমেন্ট করে দেবো বেস। তবে তারা বেশ ভালো মানের একটি প্রাইজ রাখে বলতে হয়। এক পিস বিনি চালের ধুপ্পাইস পিঠার দাম রাখছিল ৩৫ টাকা করে। মাসুমা আপুর পেইজ থেকে নিয়েছিলাম আমি। এর আগেও একবার অর্ডার করেছিলাম। তখন আমি আপুকে ২৫ টাকা করে দিয়েছিলাম। তাই এইবারেও আমি আপুকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম ২৫ টাকা করে দেব। সেজন্য আমি প্রথমে ২০ পিস পিঠার অর্ডার করেছিলাম। আমার বাচ্চারা বলছিল তারা নকশা পিঠা খাবে। কেউ কেউ নকশা পিঠা বলেন, কেউ কেউ বউ পিঠা বলেন আবার কেউ কেউ জানায় পিঠা বলেন। যাক বন্ধুরা এই পিঠার নাম যে যেই নামে জানেন না কেন কিন্তু পিঠার চেহারা হচ্ছে এক হা হা হা।
যেহেতু বাচ্চারা নকশা পিঠা খাবে তাই নকশা পিঠা অর্ডার করলাম 10 পিস। আবার ধুপপাইস পিঠা কমিয়ে ১৫ পিস করলাম। যেদিন অর্ডার করেছিলাম সেই দিন পিঠা পাইনি যেহেতু আপু একটু ব্যস্ত ছিল তাই। এর দুইদিন পরে আপু আমাকে ফোন করে পিঠাগুলো রেডি হয়েছে জানানো হলো। তখন আমিও আপুকে আসতে বললাম পিঠা গুলো নিয়ে। সেই তার বাচ্চাকে দিয়ে পিঠা গুলো আমাদের বাসায় পাঠিয়ে দিল। আমিও পিঠাগুলো রিসিভ করলাম এবং তাকে পেমেন্ট গুলো দিয়ে দিলাম। আর আমার তো বেশ ভালোই লাগছিল রেডিমেড পিঠা পেয়ে। যেহেতু খেতে মন চাইছিল তাই বসে বেশ কিছু পিঠা খেয়ে নিলাম। সাথে ছিল আমার ছোট মেয়ে সে দিনে বড় মেয়ে স্কুলে ছিল। আর ছোট মেয়ে নকশা পিঠা গুলো পেয়ে খুবই আনন্দিত ছিল।
তারা বারবার জিজ্ঞেস করছিল পিঠা আনছে না কেন। আমি বললাম আনবে একটু লেট হচ্ছে সেজন্য। পিঠা আনার পরে মা মেয়ে দুইজনে বসে বেশ ভালোমতো পিঠা খাওয়া দাওয়া করলাম। পিঠাগুলো খেতে খুবই মজার ছিল। বিশেষ করে মাসুমা আপু পিঠার ভিতরে নারকেল দিয়েছিল। আবার অনেকগুলো পিঠা রয়েছে যেগুলো ক্ষীর পায়েস দিয়ে তৈরি করা হয়। সেগুলো খেতে এক প্রকারের মজা আবার নারকেল দিয়ে তৈরি করা পিঠাগুলো খেতে অন্য ধরনের মজা। আর নকশা পিঠা দেখলাম খেতে বেশ ভালোই লাগছিল যেহেতু অনেক বেশি মচমচে ছিল। এমন মচমচে পিঠাগুলো খেতে দারুন হয়। আমরা খাওয়া-দাওয়া করার পরে দেখি বড় মেয়ে স্কুল থেকে আসে। সে ও বেশ মজার করে খেয়েছিল। যেহেতু আমার খেতে মন চাইছিল তাই অর্ডার করেছিলাম।
সত্যিই অনলাইন থেকে জিনিসগুলো কিনে খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও টাকা একটু বেশি নেই তারা কিন্তু কি আর করার। আমাদের মত অলস মানুষের জন্য অনলাইন পেইজ গুলো যথেষ্ট। এখানে হরেক রকমের খাবার অর্ডার করা যায় এবং তাৎক্ষণিক অনেক সেবাও দিয়ে থাকেন আপুরা। মাসুমা আপুর পেইজ থেকে আমি তিন চারবার জিনিস অর্ডার করেছি। তবে সেই দাম নিয়ে এত বেশি চাপাচাপি করে না কম রাখতে বললে সেই কম রাখে। এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তাই আমি মাসুমা আপুর পেইজ থেকে জিনিস গুলো অর্ডার করার চেষ্টা করি।
সেই দিনের মুহূর্তটি বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের পোস্ট ভিজিট করে আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমারও বেশ ভালো লাগলো এমন সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে পেরেছি বলে। আশা করি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আরে লোভ লাগিয়ে দিলেন তো।আম্মুকে বলতে হবে বানাতে।নকশী পিঠাকে আমাদের এদিকে জামাই সোহাগী পিঠা বলে। ধুপ্পাইস পিঠা কি পাটিসাপটা? দেখে অমন ই মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনি আসবেন বলে আমি আবারও অনলাইন থেকে অর্ডার দেবো এই মজাদার পিঠাগুলো😊😊।
অনলাইন পেজ থেকে কখনো খাবার দাবার অর্ডার করা হয়নি। আপনার অনেক মজার পিঠা অর্ডার করেছেন। সবগুলো পিঠা খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। খেতে নিশ্চয়ই সুস্বাদু ছিল। পরিচিত মানুষের কাছ থেকে কিনেছেন পিঠা গুলো।
অন্য খাবার কখনো অর্ডার করিনি তবে পিঠাগুলো কয়েকবার অর্ডার করেছি।
আমার আজকের টাস্কঃ-
আপনি ইদানিং মাঝে মাঝেই অনলাইন থেকে এটা ওটা কিনছেন দেখছি। যাইহোক পিঠা অর্ডার করে ভালোই করলেন, কষ্ট ছাড়াই মা মেয়েরা মিলে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করলেন।
পিঠাগুলোকে দেখে কিন্তু বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে।
মাঝে মাঝে বোরিং লাগে নিজে তৈরি করে খেতে। যদি টাকা দিয়ে ঘরে বসে অনলাইন থেকে খাবার এনে খাওয়া যায় তাহলে তো বলার ভাষাা নেই কত আনন্দের।
অনলাইন থেকে আমি কোনদিন এভাবে খাবার কিনে খাই নি। আজকে আপনি পিঠা কেনে খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন দেখে। আপনার এ অনলাইন থেকে কেনাকাটার অনুভূতিটা অনেক সুন্দর ছিল এবং জানার সুযোগ ছিল। আশা করি খুবই সুস্বাদু ছিল এই সমস্ত পিঠাগুলো।
ধন্যবাদ আপু আমার শেয়ার করা অনুভূতি পড়লেন অনেক অনুপ্রাণিত করলেন আমাকে।
https://x.com/nahar_hera/status/1862206824335986836?t=GA9zZQ-Hltj322DFd8zxMQ&s=19
অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে অনেক রকম পিঠা অর্ডার করে খেয়েছেন তো। সবকটি পিঠা দেখেই তো লোভনীয় লাগছে। অনলাইন থেকে কেনাকাটার এখন অনেক সুবিধা হয়ে গেছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে খুব সহজেই অনেক কিছু জিনিস পাওয়া যায়। অসাধারণ এনজয় করেছেন সকলে মিলে এই সময়টা।
শুধু যে আমরা সুবিদধা পাই তা নয় কিন্তু অনলাইন ব্যবসায়ীরা এখন অনেক বেশি সচেতন এবং কাস্টমারকে তারা ঠকাতে চাই না।
এই পিঠা গুলোকে আমরা জামাই পিঠা বলি।এখন বেশ কিছু পেজে ভালো কোয়ালিটির পিঠা পাওয়া যায়।যদিও কখনো কোনো খাবার অনলাইনে অর্ডার করিনি। তাই কোনো অভিজ্ঞতা নাই।ধন্যবাদ আপু অনলাইন থেকে পিঠা অর্ডার করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
আমি কয়েকবার পিঠা অর্ডার করেছি আপু পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগছিলো।