||“সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত- (আদিনাথ মন্দিরের জেটিতে/ঘাটে)-পর্ব-৩"||
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসিরা!!
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসিরা!!
সবাই আশা করি ভাল আছেন।লেখার শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানিয়ে আমার আজকের ব্লগ শুরু করতেছি।পোস্টের সৃজনশীলতা এবং ভিন্নতা আনার লক্ষ্যে ও নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রতিদিন ভিন্ন ধরণের পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি।সেই মোতাবেক আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি আদিনাথ মন্দির ভ্রমণের বিষয় শেয়ার করার জন্য।এর আগেও আমি প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে।আজ আমি আপনাদের সাথে ব্লগিং করবো আদিনাথ মন্দির ভ্রমণ এর তৃতীয় পর্ব নিয়ে।আশা করি আমার প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। |
---|
নিশ্চয়ই তৃতীয় পর্বও আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।কারণ অনেকে আছেন আদিনাথ মন্দির দেখার অনেক বেশি আগ্রহ। কিন্তু এত দূর থেকে এসে আদিনাথ মন্দির দেখার সুযোগ হয় না।যদি আপনাদেরকে আদিনাথ মন্দির এর কিছু তথ্য এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করি তাহলে আপনারা কিছুটা হলেও আদিনাথ মন্দির সম্পর্কে ধারনা পাবেন এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখার সুযোগ হবে।তাহলে চলুন বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। |
---|
দ্বিতীয় পর্বে শেয়ার করেছিলাম আমি প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে।সেই ধারাবাহিকতায় আমরা সবাই একসাথে হাঁটছিলাম আদিনাথ মন্দিরের ব্রিজ দিয়ে।সেই সাথে এদিক ওদিক কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম।আমরা যখন সবাই একসাথে হাঁটছিলাম তখন কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করি মোবাইলে।আমরা প্রায় আদিনাথ মন্দির এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছিলাম। |
---|
এই জঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম আমি হেঁটে হেঁটে।আকাশের এমন সুন্দর এবং প্রাকৃতিক এমন দৃশ্য কার না ভালো লাগে।আমার ভীষণ ভাল লাগে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং আকাশের রং দেখতে।এই জঙ্গলটা হচ্ছে ব্রিজের সাইডে সুন্দর একটি জঙ্গল।সেই জঙ্গলে রয়েছে হরেক রকমের গাছ-পালার সবুজের সমারোহ আর বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়।জোয়ারের পানিতে পুরো জঙ্গল তরতর করে।তখন সে জোয়ারের দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লাগে।আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অবশ্যই ভাটা যাচ্ছিল। |
---|
আরেকটু হাঁটার পরে দূর থেকে দেখা যাচ্ছে বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য খুব সুন্দর করে বসার সিট করে দিয়েছে।পাশাপাশি চারদিকে ঘেরাও করাএবং প্রচুর গাছপালা যেখানে দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে আদিনাথ মন্দির। যে জায়গাতে বসার জন্য সিট তৈরি করেছে সেখানে বিকেল বেলা হলে প্রচুর লোকের সমাগম হয়।সবাই বিকেল বেলায় খোলামেলা পরিবেশে ঘুরতে আসে।যদি বসতে মন চায় তাহলে সেখানে বসে ভালো করে প্রাকৃতিক বাতাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে বসে বসে আড্ডা দেওয়া সম্ভব।বিশেষ করে সারা বছরই আদিনাথ মন্দিরে কোন না কোন উৎসব লেগেই থাকে।যখন আদিনাথ মন্দিরের কোন উৎসব হয় তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর লোক আসে।তখন এই এরিয়াতে বসে সময় কাটানোর সুন্দর একটি পরিবেশ। |
---|
আমরা যখন হেঁটে হেঁটে মন্দিরের পাশাপাশি চলে আসছিলাম তখন খুব সুন্দর একটি পুকুর দেখতে পেয়েছিলাম।পুকুরের মধ্যে পানি একদম ভরপুর ছিল।আমার মনে হয় এই পুকুরের মধ্যে জোয়ারের পানি আসলে পানি ঢুকে যায়।তাই পুকুরের মধ্যে পানি একদম কানায় কানায় ভরা ছিল।পুকুরটি দেখতে আমার খুব ভালো লাগছিল তাই আমি ফটোগ্রাফি ধারণ করে স্মৃতি হিসেবে মোবাইলে রেখে দিয়েছি যা আমি আজ আপনাদেরকে শেয়ার করতেছি। |
---|
অবশেষে আমরা আদিনাথ মন্দিরে পৌঁছে যায়।সবাই মিলে খুব তাড়াহুড়ো করে গেইট দিয়ে ঢুকে পড়ি।কারণ আমরা যখন পৌঁছে গিয়েছি তখন অনেক দেরি হয়ে গেছিল।একদম সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল।মন্দিরের পাঁচটার পরে যেহেতু ঢুকতে দেওয়া হয় না তাই আমরা স্থানীয় সেই জন্য তেমন বেশি বারণ করল না।মন্দিরের গেট দিয়ে ঢোকার পরে যা দেখতে পাচ্ছেন আপনারা আমদের অনেক উঁচু সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হবে। |
---|
আদিনাথ মন্দির টা যেহেতু অনেক উঁচু একটি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত তাই সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় দুই সাইডে অনেক সুন্দর সবুজে ঘেরাও পরিবেশ।এই পাহাড়ের উপর বসে আড্ডা দেওয়ার অনেক সুন্দর জায়গা আছে।অবশ্যই আমি যেতে পারি নাই কারন সন্ধ্যা হয়ে আসছিল তাই।একটু পাশে যাওয়ার পথে কিছু সিঁড়ি উঠার পরে অনেক বড় একটি গাছের ডালপালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।যদিও গাছটি আমার দেখতে খুব একটা সুবিধার মনে হয়নি।গাছটি দেখতে খুব একটা অদ্ভুদ ধরনের মনে হচ্ছিল।আমি ঐ গাছের নিচ থেকে অনেক তাড়াহুড়ো করে চলে গেছিলাম কেন জানি আমার ভয় করছিল। |
---|
ক্যামেরার প্রয়োজনীয় বিবরণঃ
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
স্থান | মহেশখালী আদিনাথ মন্দির ঘাট লোকেশন |
সামশুন নাহার হিরা
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপু খুব সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি করলেন। আদিনাথ মন্দিরের দৃশ্যগুলো বেশ সাবলীল মনে হচ্ছে। আর আপনি মন্দিরের পাহাড়ের উপরে উঠলেই পারতেন। আমার তো বেশ ভালো লাগে। অনেক উঁচু থেকে সুচ প্রকৃতি দেখলে মনটা অনেক ভরে যায়।
আপু আাদিনাথ মন্দিরের উপরে উঠছিলাম তো সেটা পরবর্তী পর্বে শেয়ার করার জন্য অপেক্ষায় আছি।
আদিনাথ মন্দিরের জেটিতে সবাইকে নিয়ে খুব চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আদিনাথ মন্দিরের পরিবেশ খুবই সুন্দর। এমন সুন্দর পরিবেশে সবাইকে নিয়ে সময় কাটানোর মুহূর্ত খুবই দুর্দান্ত হয়ে থাকে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিলো। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম । ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া ঠিক বলেছেন আদিনাথ মন্দিরের আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো অনেক সুন্দর। আমি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করব আপনাদের সাথে।
এই মন্দিরের নাম এই প্রথম শুনলাম আমি। ছবি গুলোর সাথে সাথে আপনার অভিজ্ঞতা গুলো পড়ছিলাম। বেশ ভালোই লাগছিল আপু। তবে আমার কাছে গাছটা দেখে তো অমন ভয় করার মত লাগছিল না। হিহিহিহি। অনেক সাহস দেখিয়ে দিলাম। আসলে তো নিজেই একটা ভীতুর ডিম। পাহাড়ের বুক চিড়ে এমন সুন্দর একটা মন্দির, ভাবতেই গা শিউরে ওঠে যেন। ভালো থাকবেন আপু সব সময়।
অনেক উঁচু পাহাড়ের উপরে ভাইয়া মন্দিরটি অবস্থিত।এই পাহাড়ের উপর উঠলে একদম থমথমে পরিবেশ।একদম নিরব বলা যায়।তবে সনাতনী ধর্মলম্বীদের জন্য অনেক মজার একটি জায়গা।এই মন্দিরে অনেক বাইরের দেশ থেকে দেখতে আসে এবং এখানে অনেকে মানত করে নাকি শুনেছি।
আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পড়ে ভাল লাগল।এই মন্দিরটি সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না। আপনার কল্যাণে জানলাম।সন্ধ্যার দিকে এমন বড় গাছের নিচে গেলে গা একটু ছম ছম করেই। বর্ণনা বেশ ভাল ছিল।ধন্যবাদ সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট করার জন্য।
শুধু এই গাছের নিচে কেন মন্দির দেখার জন্য যখন পাহাড়ের উপর উঠা হয় পরিবেশটা একদম থমথমে থাকে।সময় সুযোগ হলে একদিন আদিনাথ মন্দির ঘুরে যাইয়েন ভাইয়া।
সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজা আসলেই আলাদা। গত বছর আমি এবং আমার ওয়াইফ @bristy1 সেখান থেকে ঘুরে এসেছি। আদিনাথ মন্দিরের অনেক উপরে উঠেছিলাম আমরা এবং মহেশখালির অন্যান্য এরিয়া গুলোতেও ভিজিট করেছিলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনি তো আদিনাথ মন্দির দেখতে ভাবিকে সহ এসেছিলেন এবং অনেক জায়গায় ঘুরছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি আপু ফেব্রুয়ারিতে হয়তো আবার আসতে পারি প্রস্তুত থাইকেন কিন্তু।😀
আহা! 'সর্বধর্ম সমন্বয়' একেই হয়তো বলে। এর আগের পর্বগুলোতেও আপনার ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়েছিলাম। আজ মন্দির দর্শন করে বেশ ভালো লাগলো। আসামে বগড়ি বাড়ির মহামায়া মন্দিরের পরিবেশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এভাবেই টিলা কেটে মন্দির করা হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মনোরম পরিবেশে আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য।
আপু এই মন্দিরের অনেক আদি ইতিহাস আছে খুব সুন্দর।এই মন্দির একজন মুসলিম জমিদারে স্থাপন করেছিল হিন্দুদের সুবিধার জন্য।
সুন্দর একটি ভ্রমন কাহিনী শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
শেষ পর্যন্ত মন্দিরই তো দেখতে পারলাম না ভালো করে। হা হা হা... তবে খুব সুন্দর কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি দেখছি। 😁
মন্দির অবশ্যই দেখতে পারবেন পরবর্তী পর্বে।আসল উদ্দেশ্য তো মন্দির পরিদর্শন করা কিন্তু একটু ধৈর্য ধরবেন তো।🤗🤗🤗।