“ সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত- (আদিনাথ মন্দিরের জেটি/ঘাট)-পর্ব-১"।
সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় সকলে অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় ভাল-মন্দ মিলিয়ে বেশ ভাল আছি। |
---|
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar। আমি বাংলাদেশী একজন ইউজার। আমি আমার বাংলা ব্লগ এ কাজ করি বিভিন্ন আর্টিকেল, রেসিপি, ফটোগ্রাফি, অডিও গান,কবিতা ইত্যাদি। অর্থাৎ কমিউনিটির নিয়ম অনুযায়ী আমি সব বিষয় নিয়ে ব্লগিং করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে।আমি পরিশ্রম করতে ভালোবাসি, আমি নিজের কাজকে অনেক ভালোবাসি। সেই অনুযায়ী আমি আমার বাংলা ব্লগে প্রতিনিয়ত অ্যাক্টিভ থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।প্রতিদিনের নিয়ে মত আমি আজও আপনাদের সাথে উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব গ্রামের বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কিছু মুহূর্তের কথা।সাথে ফটোগ্রাফি ও শেয়ার করব।একদিন বিকেল বেলায় সবাই কে নিয়ে আদিনাথ মন্দিরে ঘুরতে যায়। হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম সবাইকে নিয়ে আদিনাথ মন্দিরে ঘুরতে যাব।সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, কিন্তু প্রস্তুতি নিতে নিতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল।
তাই কোন মতে তাড়াহুড়া করে সবাই মিলে একটা গাড়ি রিজার্ভ করে সোজা আদিনাথ মন্দির ঘাটে চলে যায়।আদিনাথ মন্দির দেখতে যাওয়া মানে আগে আদিনাথ মন্দিরের জেটিতে/ঘাটে ঘুরে আসা।জেটি/ঘাট হচ্ছে যে জায়গা দিয়ে আদিনাথ মন্দির দেখতে আসা হয়।স্পিডবোট যেখানে এসে যাত্রীদেরকে নামাই দেয়।দীর্ঘ অনেক লম্বা সরু একটি ব্রিজ। ব্রিজের চারপাশে সবুজের সমারোহ প্যারাবন দেখতে অনেক অনেক আকর্ষণীয়।
এই আদিনাথ মন্দিরের জেটি/ঘাটে সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি বিষয় হচ্ছে অনেক দূর যেতে যেতে একদম সাগরের মাঝখানে গিয়ে একটা গোল চত্বর এর মত করে রাখা হয়েছে।যেখানে গাড়ি পার্কিং করা হয় এবং সবাই মিলে আড্ডা দেই দাঁড়িয়ে বা বসে।যেখানে সাগরের পানি, উপরে আকাশ, আর একদিকে ঘন জঙ্গল।গাড়ি নিয়ে সোজা পার্কিংয়ের জায়গায় পৌঁছে যায়। পৌঁছে গিয়ে ভাল করে দেখলাম। আকাশ, পানি, প্যারাবন/ঘন জঙ্গল সব দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল।তাই সাথে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে নিলাম। সবাই মিলে অনেক মজা করি।
সবাই মিলে গ্রুপ ছবি তুলি।সেখানে ছিল আইসক্রিম, ঝাল মুড়ি, আরো ছোটখাট কিছু নাস্তার ব্যবস্থা। সবাই মিলে অল্প করে খাওয়া-দাওয়া করলাম।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল।এদিকে বিকেল চার টার পরে আবার আদিনাথ মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। প্রায় পাঁচটা বেজে গেছিল।তাই সবাই পার্কিংয়ের জায়গা থেকে দ্রুত চলে আসলাম।সন্ধ্যার পরে জায়গাটা তেমন নিরাপদ ছিল না। অনেক বকাটে ছেলেরা এসে আড্ডা দেই।তাই দ্রুত হেঁটে যাচ্ছিলাম এবং এদিক-ওদিক ঝটপট কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে নিয়েছিলাম যা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য চলে এসেছি। ।
এই ফটোগ্রাফি গুলো হচ্ছে যখন ব্রিজ দিয়ে হাঁটছিলাম তখন ব্রিজের সোজা ডানে-বামে তুলা ফটোগ্রাফি আর সন্ধ্যা বেলার আকাশটাও ছিল অনেক আকর্ষণীয়। এই জঙ্গলে হরেক রকমের গাছপালা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অনেক বিষাক্ত ধরনের সাপ ও অনেক পোকামাকড়।
আজ এই পর্যন্ত, আবারো উপস্থিত হব আদিনাথ মন্দিরের জেটি/ঘাট নিয়ে সুন্দর সুন্দর দৃশ্য শেয়ার করার জন্য।আমার আজকের ব্লগ এখানে শেষ করছি। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর সুন্দর সুন্দর মতামত ও পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন।
যে ডিভাইসটি দিয়ে আমি ফটোগ্রাফি নিয়েছি তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো-
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
স্থান | মহেশখালী আদিনাথ মন্দির ঘাট |
সবাইকে অভিনন্দন
আমি সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar
#writing #about-adinathtemple #happy-moment #nature-beauty #amarbanglablog #steembetterlife #bangladesh
আসলে সত্য কথা বলতে পরিবারে সদস্যের সাথে ঘুরতে যাবার মজাই অন্যরকম। আপনারা দেখছি আদিনাথ মন্দিরে যাবার জন্য আগে থেকেই প্লান করে রেখেছিলেন। সাগরের মাঝখানে গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়টি ধারণ করেছে, হলে সকল যাত্রীরা সুন্দর কিছু পরিবেশ উপভোগ করতে পারে।
বেশ সুন্দর জায়গা টা।শীতকাল আসলে প্রচুর লোক আসে দেখতে।
গ্রামে গেলে সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আর কোথাও যাওয়ার কথা হলে প্রস্তুতি নিতে নিতে আসলেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। আদিনাথ মন্দিরের আশেপাশেতো খুব সুন্দর জায়গা রয়েছে। আবার স্পিডবোটে করে পার করে দেয়। জায়গাগুলোতে অসম্ভব সুন্দর মনে হচ্ছে। ব্রিজের উপর থেকে ছবিগুলো তুললে ছবিগুলো আসলেই অনেক সুন্দর হয়। আর এই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করবো না তাই কি হয় বলেন। দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি ভালই লাগলো। সবাই মিলে সুন্দর একটি সেলফি তুলেছেন এটা তো তুলতেই হবে কোথাও গেলে।
হুম আপু সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মজা আলাদা।ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
বাচ্চাদের দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজা করেছে।বানানের দিকে একটু বিশেষ নজর দিবেন।
ঠিক আছে আপু ধন্যবাদ।এত বার দেখার পরও কেন যে ভুল হয় এই দুঃখের যন্ত্রণায় আপু মনে হয় নাফ নদীতে লাফ দিবো।🙏🙏🙏🙏
ঠিক আছে আপু।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মজাটাই আলাদা। বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব মজা করেছেন তবে মন্দিরে ঢুকতে পারলে আরো মজা হত। আপনার এদিক-ওদিক ঝটপট করে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লাগছে কাকের পিকটাও সুন্দর হয়েছে।
ভাইয়া মন্দিরে ঢুকছি তো।পরে শেয়ার করবো মন্দিরের ছবি গুলো।