।।"সিনেমা হলে যেয়ে "হাওয়া" মুভি দেখার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?
আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসিরা আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করব বলে হাজির হয়ে গেছি।আমি আজ আপনাদের সাথে ভিন্ন একটি পোস্ট শেয়ার করব।আসলে প্রতিদিন একই ধরনের পোস্ট করতে কেমন জানি একঘেয়েমি লাগে।পোস্টের মধ্যে ভিন্নতা আনতে পারলে নিজেরও ভাল লাগে। তাই সবসময় চেষ্টা করি ভিন্ন কিছু শেয়ার করার জন্য আপনাদের সাথে।
Device-Wiko-T3
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব “একটি সিনেমা হলে গিয়ে মুভি দেখার অনুভূতি”।আপনারা নিশ্চয়ই সবাই অবগত আছেন যে আমাদের বাংলাদেশের সিনেমা হল গুলোর অবস্থা খুবই করুন। আমাদের বাংলাদেশের সিনেমা হল গুলো প্রায় বন্ধ বললেই চলে।কিন্তু ইদানিং কিছু বাংলা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে যার নাম শুনে দেখতে অনেক ইচ্ছা করছিল।তার মধ্যে বাংলা সিনেমা “হাওয়া” "পরান"সিনেমা অন্যতম। আমাদের কক্সবাজারে কিছু সিনেমা হল ছিল একটা হচ্ছে বিডিআর ক্যাম্পের “বি জি বি সিনেমা হল”, “টকি হাউস” এই দুইটার নাম জানি। আরো আছে যেগুলোর নাম আমি জানিনা।কিন্তু প্রায় সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে।সারা দেশে বর্তমানে কিছু কিছু সিনেমা হল খুলে দিয়েছে যেগুলোর মধ্যে এই "হাওয়া" সিনেমা, এরপর হচ্ছে “পরান” আরো কিছু সিনেমা ও দেখলাম হলে দেখাচ্ছে।আমাদের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ফিল্ম ফেস্টিভাল নামে একটি সুযোগ এনেছে।
Device-Wiko-T3
Device-Wiko-T3
সেখানে নতুন নতুন মুক্তি পাওয়া সিনেমা গুলো দেখাচ্ছে। “হাওয়া” সিনেমা দেখার আমার অনেক ইচ্ছে ছিল। আমার বড় মেয়ে ও অনেক বিরক্ত করছিল এই "হাওয়া"মুভি দেখার জন্য।মেয়ে যখন বাইরে ব্যানারে দেখল "হাওয়া" মুভি কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র দেখানো হচ্ছে তখন সেই বিরক্ত করছিল দেখতে যাওয়ার জন্য। আমরা পরিবারের সবাই মিলে "হাওয়া" মুভি দেখতে যাই।আসলে এই “হাওয়া” সিনেমাটা পরিবারের সকল সদস্যদের কে নিয়ে দেখার এবং মজা উপভোগ করার মত একটি সিনেমা ছিল।দিনটা ছিল ছুটির দিন তাই সবাই রেডি হয়ে চলে গেলাম সংস্কৃতিকেন্দ্রে।সেখান থেকে দুইটা টিকেট নিয়ে আমরা চারজন ঢুকে পরলাম।সবাই যখন উপস্থিত হয় তখন সিনেমা স্টার্ট করে দেয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সিনেমা দেখে অনেক মজা পেয়েছিলাম।
Device-Wiko-T3
Device-Wiko-T3
Device-Wiko-T3
কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে সিনেমার লাস্ট সিনটা দেখে অনেক খারাপ লেগেছিল।সম্পূর্ণ একটি জেলে সম্প্রদায় কে ঘিরে এই সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে।একটি সাগরের মাঝে মাছ ধরতে যাওয়া একটি বোট এবং বোটে থাকা মানুষের জীবনের বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ,বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন, কত ধরনের কষ্ট, আবার সেখানে কত আনন্দ সেই সব বিষয় নিয়ে মূলত এই হাওয়া মুভিটা তে তুলে ধরেছেন। কত বিপদ হতে পারে মাছ ধরতে গেলে তার বিভিন্ন সাইড নিয়ে মুভি টা করা হয়েছে।জেলে সম্প্রদায়ের বাস্তব চিত্র এই সিনেমাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
Device-Wiko-T3
Device-Wiko-T3
সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মজাই আলাদা পরিবারকে নিয়ে।মাঝে মাঝে এভাবে সময় কাটাতে পারলে অনেক বেশি হালকা লাগে। অনেক বেশি ইনজয় করা যায়।সব সময় ঘরে দেখা আর বড় পর্দায় দেখার মজা আলাদা
Device-Wiko-T3
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সময় পেলে আপনারা ও হলে গিয়ে হাওয়া সিনেমাটা দেখে আসবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আশা করি সিনেমাটি পরিবারের সদস্যদের কে নিয়ে দেখতে পারার মতো একটি সিনেমা। নিশ্চয়ই আমার শেয়ার করা লেখাগুলো পড়তে আপনাদের ভাল লেগেছে। আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
লোকেশন
ছবির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলঃ
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা পোস্ট টি আপনাদের সবার ভাল লেগেছে। তাহলে আমার আজকের ব্লগিং এখানে শেষ করতেছি। আবারও আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য একদিন নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে।আশা করি সকলেই ভাল থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।
শুভেচ্ছান্তে-
সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar
বাংলাদেশ থেকে।
#writing #hawa-movie #felling-enjoy #coxsbazar-culturalcenter #amarbanglablog #steembetterlife #bangla
আপনি খুব সুন্দর করে সিনেমা দেখার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। সত্যি বলছেন বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোর করুন অবস্থা। তবে আমার কখনো সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা হয়নি। আপনার বড় মেয়ের দেখার ইচ্ছার কারণে আপনারা গিয়ে সিনেমা হলে ছবি দেখলেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার অনুমতি ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমার মেয়ে দেখতে পেরে অনেক খুশি।সুন্দর পরিবেশ ছিল মুভি দেখার।তাই সম্ভব।
হলে সিনেমা দেখার সুযোগ কখনো হয়নি। আসলে বাংলাদেশের সিনেমা হল গুলোতে যাওয়ার মত পরিবেশ খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। তবে জনপ্রিয় এই মুভিগুলো সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপু আপনি সিনেমা হলে গিয়ে মুভি দেখেছেন এবং সেই অনুভূতি শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু মুভি গুলো দেখতে বাজে হলে দেখা আসলে মুশকিল। তবে এই মুভি গুলো অনেক সামাজিক তাই দেখার সুযোগ হলো
হাওয়ার মুভির ট্রেলারটা দেখেছিলাম। দেখেই মোটামোটি আইডিয় হয়েছিল যে সিনেমাটা ভাল হবে। আর চঞ্চল চৌধুরী যেখানে আছে ছবির প্লট এমনিতেই অসাধারণ হবে। পরিবারকে নিয়ে মাঝে মাঝে সিনেমা হলে গিয়ে মুভি দেখলে মন্দ হয়না। আপনারা উপভোগ করেছেন।
হ্যা ভাইয়া পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করার মত ছিল।
হাওয়া" মুভির সাদা সাদা কালা কালা এই গানটি ভাইরাল হয়েছে। আমি ছবিটি ইউটিউব এ দেখেছি বেশ ভালোই লেগেছে। সিনেমা হলে যেয়ে "হাওয়া" মুভি দেখার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হুম ভাইয়া বড় পর্দায় দেখার মজাই আলাদা।
একদম ঠিক বলেছেন একই রকম পোস্ট করতে করতে একঘেয়েমি লাগে। আর পোস্টের ভিন্নতা আসলে সবারই আনা উচিত, ধন্যবাদ আপনাকে খুব চমৎকার একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন কক্সবাজার সিনেমা হলে "হাওয়া" মুভি দেখার। ভালো থাকবেন।
হাওয়া মুভি দেখতে ভাল ছিলো।এই মুভি ছোট বড় সবাই দেখতে পারবে।
সংস্কৃতি কেন্দ্র, টকি হাউ। হলের নামটা অনেক সুন্দর। এক সময় সিনেমার পোকা ছিলাম বললেই পারেন। তবে গত ১৫-১৬ বছর ধরে ছবির দেখার নামই ভুলে গেছি। মাঝে মাঝে হিন্দি অথবা তামিল মুভি গুলো দেখি। আবার মাঝে মাঝে বাংলা নাটক তবে সেভাবেই দেখা হয় না। আপনার হাওয়া মুভি দেখার অনুভূতিগুলো খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। হাওয়া মুভি ট্রেলর দেখেছিলাম তখনই বুঝতে পেরেছি জেলেদের জীবনযাত্রা নিয়ে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। আর আপনার দেখার অনুভূতি জেনে বুঝলাম সম্পূর্ণ মুভি কেমন হবে। ইচ্ছে জাগলো দেখার জন্য সময় পেলে অবশ্য দেখবো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
সম্ভব হলে দেখে নিয়েন ভাইয়া।এটি অনেক সামাজিক একটা সিনেমা।জেলে সম্প্রদায়ের বাস্তব চিত্র ফুটে তুলছে এই সিনেমাই।
আমি অনেক আগে একবার হলে গিয়ে ছবি দেখেছিলাম। আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে আমার সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আমি প্রথমবার গিয়ে "নবাব" ছবি দেখেছিলাম আর হলে বসে দেখাতে অনেক মজা পেয়েছি। "হাওয়া" মুভি আমার দেখা হয়নি। তবে আমার মনে হচ্ছে আপনি যেহেতু হলে গিয়ে এই মুভি দেখেছেন তাহলে নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছিল। আপনার পোস্টের মাধ্যমে খুব সুন্দর করে হলের কিছু দৃশ্য তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।