লাইফ স্টাইলঃ-পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া।
সবাইকে শুভ দুপুর,
প্রিয় @amarbanglablog পরিবারের সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন। বন্ধুরা আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তা অসীম রহমতে। তবে বেশ কয়েকদিন যাবত অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে সময় যাচ্ছে। তারপরও শত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার। সত্যি কথা বলতে এত ব্যস্ততার মাঝে যখন নিজের ভালো-মন্দ গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি তাহলে বেশ ভালোই লাগে। যদি একদিন পোস্ট করতে না পারি তাহলে অনেক বেশি খারাপ লাগে। তাই চেষ্টা করি সব সময় আপনাদের সাথে যুক্ত হওয়ার।
আজকে আমি আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগিং নিয়ে। আমি আজকে আপনাদের সাথে যে ব্লগিং শেয়ার করব তা হচ্ছে পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরি করছিলাম এবং সেই সময় নাস্তা খাওয়ার মুহূর্ত নিয়ে আজ আপনাদের সাথে ব্লগিং করবো। আমি আপনাদের সাথে খুঁটিনাটি অনেক বিষয় শেয়ার করেছিলাম কক্সবাজার পর্যটন মেলার। তো মেলাতে গিয়েছিলাম তা ঠিক আছে কিন্তু এদিক ওদিক দেখছিলাম ঘুরে ঘুরে অনেক ধরনের খাওয়া-দাওয়াও খেয়েছিলাম। যদিও প্রথম দিন যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন হালকা খাবার খেয়ে চলে আসিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় বার যখন গিয়েছিলাম মেয়েদের বাবা সহ গিয়েছিলাম তো সেই দিন অনেক ঘোরাঘুরি করলাম। ঘোরাঘুরি করার পরে সবাই চিন্তা করলাম একটু বসে কিছু খাওয়া যায় কিনা।
যেহেতু সেখানে অনেক ভালো মানের রেস্টুরেন্টের শাখা বসেছিলাম। তাছাড়া তাদের ডেকোরেশন গুলো খুবই সুন্দর ছিল। খুব সুন্দর নিরিবিলি পরিবেশে বসে খাবার ব্যবস্থা ছিল। তাছাড়া ১৫% করে ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা ছিল। তো আসলে ডিসকাউন্ট মেইন ব্যাপার না যেহেতু ডিসকাউন্ট দিলেও খেতে হবে না দিলেও খেতে হবে। যেহেতু ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা ছিল তাই সেটা উল্লেখ করলাম। তো একটা মজার বিষয় হচ্ছে যে আমরা যখন খাবার খেতে বসলাম তখন আমার দুই ফ্রেন্ড উপস্থিত হলো। মেনু দেখে খাবাড় অর্ডার করে দিলাম। তো পাশ দিয়ে আমার কলেজ ফ্রেন্ড হেঁটে যাচ্ছিল। যেহেতু দেখা হয়ে গেল তাদের সাথে কৌশল বিনিময় করা হলো কেমন আছে।
তো আমিও তাদের কথা বললাম। তারা অবশ্যই দুইজন আমার ভার্সিটির ফ্রেন্ড ছিলেন। তো তাদেরকে বললাম এসো তোমরা বসে পড়ো। তখন তাদেরকে বসতে বলাতে তারাও রাজি হয়ে গেল। বসে গেল তারাও দুইজন আমাদের সাথে। তো যেহেতু আরো দুইজন যুক্ত হয়ে গেলে তখন চিন্তা করলাম খাবারের পরিমাণ আরো অর্ডার করতে হবে। সেই চিন্তা করে আবারো চিকেন ফ্রাই এবং ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করে দিলাম। যে দুইজন আমার ফ্রেন্ড ছিল সেখানে একজন আমার শ্বশুর বাড়ির এলাকার ছিল। সেই ফ্রেন্ডের সাথে আমার হাজবেন্ডের পরিচিত ছিল এবং কাছের মানুষ ছিল। তো কথা বলার ফাঁকে খাবার গুলো চলে আসে।
সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম যেহেতু আরও আমার দুই জন ফ্রেন্ড যুক্ত হয়ে গেল। তাই তাদের সাথে আড্ডা করলাম সবাই মিলে। আড্ডা করতে করতে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা হলো। সেই সাথে আমরা খাবার দাবার গুলো শেষ করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিলগুলো পেমেন্ট করলাম। খাবার গুলো খেতে সত্যি অনেক ভালো মানের ছিল। যেহেতু মেলাতেই খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। সেই সাথে বাচ্চারা ও ছিল এবং আরো দুইজন বন্ধু যুক্ত হয়ে গেল। আমার কাছে সেই দিনের মুহূর্তটি অনেক ভালো লাগছিল। এক একটি রেস্টুরেন্ট এর খাবারের মান একেক রকমের। সেই খাবার গুলো আমার খুবই সুস্বাদু মনে হয়েছিল।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে বন্ধুদেরকে বিদায় দিলাম। বন্ধুদেরকে বিদায় দেওয়ার পরে আমরা আরো কিছুক্ষণ মেলাতে ঘুরাঘুরি করলাম। সেই সাথে আমরা চেষ্টা করেছিলাম যেহেতু মঞ্চের মধ্যে অনুষ্ঠান হচ্ছিল। তো সেখানে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে আরো অনেকক্ষণ সেখানে সময় কাটিয়ে চলে আসলাম। যেহেতু বাচ্চারা ছিল তাই এতক্ষন বাইরে ছিলাম না। কারণ নিজেরা হলে আরো কিছুক্ষণ থাকা যায়। কিন্তু বাচ্চাদেরকে নিয়ে এত রাতে বাইরে ভালো লাগেনা। যেহেতু যতই রাত হছিল তত লোকজন আরো বেশি চলে আসতেছিল।
পরিবেশটা অনেক আনন্দের ছিল। তাছাড়া বেশ জমজমাট একটি পরিবেশ ছিল। তো বন্ধুরা আজ এইটুকু আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ব্লগিং ভালো লাগলো। সময় দিয়ে আমার আজকের ব্লগিং ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
মেলা হলো বাঙালির একটি ঐতিহ্য। মেলায় ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে।তবে আমার এখনো পর্যটন মেলায় যাওয়া হয়নি। তবে সময় পেলে অবশ্যই যাবো। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু। ভাল লাগলো আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য।
মেলার মধ্যে ঘুরতে আমার কাছে সব সময়ই ভালো লাগে। মেলার মধ্যে ঘুরতে গেলে অন্য রকম আনন্দ উপভোগ করা যায়। মেলার মধ্যে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
অপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য।
শীতের আগমনে পর্যটন মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে যদিও আমাদের কুষ্টিয়ায় এখনো শুরু হয়নি।
পর্যটন মেলা ঘুরে আপনার দারুন অভিজ্ঞতা সেই সাথে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন।
বিশেষ করে চিকেন ফ্রাই দেখে আমার খুব লোভ হচ্ছে যেন আমাকে বলছে তুলে খেতে শুরু করো 😋😋
শীতকাল আসলে মেলাতে ঘুরতে বেশ ভাল লাগে।
আসলে আপু মেলা হলো আনন্দ বিনোদনের জায়গা। এখন মেলাতে অনেক বিনোদন থাকে। যাইহোক আপনারা বেশ মজা করে খেয়েছেন। আসলে সাথে বন্ধু থাকলে আসলে অনেক ভালো লাগে। আর খাবারের মান গুলো ভালো জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিশেষ করে বাচ্চারা অনেক আনন্দ পাই আপু মেলাতে ঘুরতে।
আপু, আপনি দেখছি কয়েকদিন পর পর রেস্টুরেন্ট এ চলে যান খাওয়া-দাওয়া করতে 😁! তবে এবার রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে ভার্সিটির ফ্রেন্ডদের সাথেও দেখা হয়ে গেল! হুটহাট এভাবে দেখা হলে তো ভালোই লাগে। সবাই মিলে ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে 🌼
হঠাৎ দুই বন্ধু এসে হাজির। পকেটের বারোটা বাজাই দিলো😝😂🫢
ঘোরাঘুরি করলে এমনিতে মন ভালো থাকে। তার সাথে নানা রকম জ্ঞান অর্জন করা যায়। আপনি পর্যটন মেলা ঘুরতে গিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। পর্যটন মেলায় কোনদিন যাওয়া হয়নি। সময় সুযোগ পেলে একদিন যাবো।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সময় দিয়ে ব্লগ ভিজিট করার জন্য।
সু স্বাগতম আপু।
পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরি করে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আপনার ফ্রেন্ডের সাথে দেখা হওয়ার কারনে সময়টা আরো ভালো কেটেছে। কক্সবাজার এলাকায় থাকার কারনে বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহন করত পারেন। বাচ্ছারা অনেক খুশি হয়েছে দেখলাম। ধন্যবাদ।
সময় দিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Twitter