ট্রাভেলিং-কক্সবাজার হিমছড়ির ঝর্ণা ও পাহাড় দেখার অনুভূতি।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

সবাইকে শুভ বিকেলের শুভেচ্ছা,

jhorna9.jpg

প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় এবং পরম করুণাময়ের অসীম রহমতে। আমি @samhunnahar আমি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিং করতেছি কক্সবাজার শহর থেকে। বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে খুবই ভালো লাগে। কারণ যেই ভাষা মায়ের মুখ থেকে শেখ ভাষা। যে ভাষা শত কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত ভাষা। সেই মধুর ভাষায় যদি মনের ভাবটুকু ব্যক্ত করা যায় তাহলে বেশ ভালই লাগে। তো বন্ধুরা তাই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের সাথে মনের ভালো লাগা মন্দ লাগা গুলো শেয়ার করার জন্য। আবারো আজকে উপস্থিত হয়ে গেছি আবার নতুন একটি ব্লগিং শেয়ার করব বলে। প্রতিদিন ভিন্ন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি। কারণ ভিন্ন কিছু শেয়ার করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আপনারা সবাই খুব পছন্দ করেন ভিন্ন ভিন্ন কিছু দেখার। তো আজকেও আপনাদের সাথে আমি একটি ট্রাভেলিং পোস্ট শেয়ার করব। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি ট্রাভেলিং পোস্ট শেয়ার করার।

jhorna.jpg

jhorna1.jpg

আজকে আমি যে ট্রাভেলিং পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করব তা হচ্ছে হিমছড়ির ঝর্ণা ও পাহাড় দেখার অনুভূতি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন হিমছড়িতে খুব সুন্দর একটি ঝর্ণা আছে। যেখান থেকে অনবরত খুব সুন্দর সুন্দর ফ্রেশ পানি গুলো পাহাড় থেকে ঝরতে থাকে। তো বন্ধুরা বাচ্চাদের অনেক ইচ্ছে ছিল হিমছড়ি পাহাড়ের ঝর্ণা টি দেখার এবং সেই ঝর্ণা থেকে গোসল করার। আসলেই ঝর্ণা থেকে গোসল করার মতো সেই পরিবেশ এখন আর নেই। কারণ আগে অনেক নিরিবিলি একটি জায়গা ছিল। তাছাড়া এত বড় একটা গর্তও ছিল না তখন। কিন্তু তখন লোকজনের ভিড়ও অনেক কম ছিল। ইদানিং দেখা যায় সব জায়গায় বেশ মানুষের ভিড়। তাছাড়া পাশাপাশি চেঞ্জের কোন জায়গা নেই তাই গোসল করা হয়নি। তবে দেখেছি অনেকেই সেখানে গোসল করতেছে। বিশেষ করে পুরুষ মানুষেরা। বন্ধুরা যখন ইনানীতে ঘুরতে গিয়েছিলাম ইনানীর মাঝ পথে এই ঝর্ণা ও পাহাড় অবস্থিত।

jhorna2.jpg

jhorna3.jpg

প্রথমত আমরা সোজা চলে গিয়েছিলাম একদম ইনানীর রয়েল টিউলিপে। আমরা প্রথম দিন এবং দ্বিতীয় দিন দুপুর পর্যন্ত সময় কাটায় রয়েল টিউলিপে। এর পরের দিন আমরা যখন রওনা দিব তখন আসার পথে আমরা হিমছড়ির পাহাড়ে দৃশ্য দেখেছিলাম। সেই সাথে হিমছড়ির খুব সুন্দর ঝর্ণা টি দেখার সুযোগ হয়। যদিও আমি এর আগে দেখেছি কিন্তু বাচ্চাদের দেখার অনেক বেশি আগ্রহ ছিল। তো বাচ্চাদেরকে দেখাতে পেরেছি তাই অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। কারণ বাচ্চারা ঝর্ণা বলতেই সরাসরি দেখে নাই কখনো। পাহাড় থেকে এত সুন্দর ভাবে পানি গুলো ঝরতেছিল বেশ ভালোই লাগছিল। তাছাড়া লোকজনের অনেক বেশি সমাগম ছিল। এছাড়াও পাহাড়ি এলাকা গুলোতে বেশ গরমের তাপমাত্রা হয়। অনেক বেশি গরম অনুভব করেছিলাম। কিন্তু গরমের মাত্রা যখন ইনানীতে ছিলাম তখন এতে বেশি অনুভব করি নাই। যখন হিমছড়ির পাহাড়ে উঠেছিলাম তখন বেশ গরম অনুভব করেছিলাম। যেখানে ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে ছিল।

jhorna4.jpg

jhorna7.jpg

সেখান থেকে নামার পরে যখন ঝর্ণার কাছাকাছি যায় তখন আরো বেশি গরম মনে হয়েছিল। কারণ পড়ন্ত বিকেল ছিল তাই সূর্যের রশ্মি একদম গায়ে এসে পড়েছিল। তাই গরম মনে হয় একটু বেশি অনুভব করেছিলাম। গরমে একদম সবাই যেন সবার চেহারার অদ্ভুত রকম ধারণ করেছিল। গরমের মাত্রা বেশি হওয়ার কারণেও অনেকক্ষণ সময় কাটায় বাচ্চাদেরকে নিয়ে। সেখানে সময় কাটানোর পরে সাথে কিছু ফটোগ্রাফিও নিয়েছিলাম। আজকে সেই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার সুযোগ হয়েছে। সাথে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করতে পেরেছি। তো বন্ধুরা আসলে অনেক সময় বাচ্চাদের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য অনেক কিছু করতে হয়।

jhorna5.jpg

jhorna6.jpg

jhorna8.jpg

আপনারা তো অবশ্যই জানেন আমি ঘোরাফেরা করতে বেশ পছন্দ করি। কিন্তু সেইখান থেকে বেরিয়ে আসার পরে আমরা দরিয়া নগরে নেমেছিলাম গাড়ি থেকে। এরপরে দরিয়া নগরে কিছুক্ষণ সময় কাটাই। সেই সাথে আরো পাশাপাশি অনেক কিছু জায়গাতে ঘোরাফেরা করেছি। যেগুলো আমি আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করার চেষ্টা করব। আশা করি আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। বন্ধুরা সময় দিয়ে দেখার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। সব সময় পাশে থাকবেন এভাবে সহযোগিতা করে।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationকক্সবাজার হিমছড়ির ঝর্ণা ও পাহাড়
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

Polish_20230713_210902326.png

Steem_Pro.png

Sort:  
 10 months ago 

আপু নতুন কিছু দেখার আগ্রহ সবারই থাকে। আসলে আপনি বাচ্চাদের নিয়ে সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি পাহাড় থেকে এতো সুন্দর ঝর্ণা বের হচ্ছে দেখতে অনেক ভালো লাগছে। হিমছড়ি পাহাড়ে ঝর্ণা দেখতে অসাধারণ লাগছে। সত্যি আপু অনেক সময় বাচ্চাদের ইচ্ছে পূরণ করতে হয়। ভালো লাগল আপনাদের ঘোরাঘুরি সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

ঠিক বলছেন আপু বাচ্চাদের ইচ্ছে পূরণের জন্য অনেক কিছু করতে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ার জন্য।

 10 months ago 

তাহলে তো ৪২ ডিগ্রি আপু অনেক তাপমাত্রা । ঝরনাতে গোসল করতে পারলে অবশ্য ভালোই হতো । কিন্তু গোসল করার পরিবেশ নেই দেখে মনে হচ্ছে । আপনাদের কক্সবাজার বাসির একটাই সুবিধা চাইলে খুব সহজে সুন্দর সুন্দর স্পট গুলো ঘুরে আসতে পারেন আর আমরা এতদূর থেকে ঘুরতে পারি না 🤭

 10 months ago 

ইচ্ছে থাকলে সব সম্ভব হয়। এত স্টিম সেল দিয়েছেন ওই টাকা কোথায় এসে ঘুরে যান হা হা হা 😂😂।

 10 months ago 
 10 months ago 

আমি প্রায় মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ভিডিওতে এই জায়গাটা দেখে থাকি, বেশ ভালো লাগে। এক এক জন মানুষ সেখানে যায় আর মজা করে আনন্দ করে। তবে জানিনা কখন কিভাবে সৃষ্টিকর্তা সেই সুযোগ করে দেয় ওখানে যাওয়ার। আপনারা সেখানে গিয়েছেন এবং সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

 10 months ago 

কেন পারবেন না ভাইয়া ইনকাম তো বেশ ভালই হচ্ছে। ভাবিকে নিয়ে ঘুরে যান একদিন ভালো লাগবে।

 10 months ago 

বাংলাদেশে প্রাকৃতিক ঝর্ণা নেই বললেই চলে। একেবারেই কম আছে। এরমধ্যে এই হিমছড়ি ঝর্ণা অন‍্যতম। তবে এখানে যে পরিমাণ মানুষ দেখছি ঝর্ণাটা ঠিকমতো দেখার উপায় নেই হা হা। আপনি বেশ ভ্রমণ পছন্দ করেন সেটা জানি আপু। আপনার হিমছড়ি ঝর্ণা ঘোরার পোস্ট টা বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া অনেক মানুষের ভিড় ছিল সেখানে।

 10 months ago 

আপু আপনার পোস্টে কক্সবাজার হিমছড়ির ঝর্ণা ও পাহাড় দেখে আমার ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। আমি গিয়েছিলাম ২০১৯ সালে আর সেই দিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো। আমরা দুজনে সেই বৃষ্টিতে ভিজে সেই পাহাড়ের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল আমি কোনো ভাবেই ঝর্ণার কাছে যেতে পারছিলাম না। এরপর অনেক কষ্টে একদম কাছে গিয়ে পানি ধরেছিলাম। আপনার পোস্ট পড়ে সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমণ করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

ধন্যবাদ আপু আপনাকে। অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 59020.34
ETH 2514.65
USDT 1.00
SBD 2.47