আসসালামু আলাইকুম!
হ্যালো!
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন।আমিও সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।প্রতিদিনের মত আজও আমি একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি "আমার বাংলা ব্লগের" আয়োজিত শেয়ার করো তোমার ইউনিক কেকের রেসিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে। আমি আজ আপনাদের সাথে একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করতেছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণে শামিল হচ্ছি।
Device-Wiko-T3
কেক আমাদের ছোট-বড় সকলের অনেক প্রিয় একটি খাবার।কেক পছন্দ করে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম।আদিকাল থেকেই বর্তমান যুগ পর্যন্ত কেক এর প্রচলন ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।কেক এমন একটি খাবার মানুষ যে কোন শুভ কাজের উদ্বোধনে কেক কেটে কাজটি উদ্বোধন করেন। কেকের মাধ্যমে সবাই মিষ্টি মুখ করে কাজটি শুভ হওয়ার জন্য।সবাইকে মিষ্টি মুখ করায়।সেই ধারাবাহিকতায় আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে কেকের জনপ্রিয়তা এখনো আছে।
অরেঞ্জ ফ্লেভার উইথ ফ্রুটস স্প্রিংকেলস উইনিক কেক |
Device-Wiko-T3
কেক এমন একটি খাবার যেটা শুধু মুখের রুচি বৃদ্ধি করে তা নয়।কেকের এমন পুষ্টি গুণ ভরা একটি খাবার যেখানে সব রকমের সুষম খাবারের উপস্থিত রয়েছে। ডিম, দুধ, ঘি, বিভিন্ন রকমের ফলমূল ব্যবহার করে থাকি।তবে যে যাই বলুক না কেন আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে মিষ্টি জাতীয় কেক এবং বিভিন্ন ফ্রুটস মিক্স করা কেক।আমি ঝাল খেতে পছন্দ করি তবে মিষ্টি জাতীয় খাবার আমার সব থেকে বেশি প্রিয়।তাই আমি আপনাদের সাথে একটি অরেঞ্জ ফ্লেভার উইথ ফ্রুটস স্প্রিংকেলস কেকের রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি।
Device-Wiko-T3
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের কেকের রেসিপি ভালো লাগবে।তাহলে শুরু করা যাক আমার রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি। সেই ধাপ গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করিঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
ডিম | ২ টি |
পাউডার দুধ | ১ বাটি থেকে কিছু কম |
মাল্টার রস | ১ টি অর্ধেক |
মাল্টার খোসা | পরিমাণ মত |
বেকিং সোডা | ১ চামচ |
লাল চিনি | স্বাদমত |
ময়দা | ১ বাটি |
চাউলের গুঁড়া | ১ বাটি |
সাদা তেল | ১/২ বাটি |
ড্রাই ফ্রুটস | ৫০ গ্রাম |
স্প্রিংকেলস | পছন্দ মত |
হুইপড ক্রিম | পরিমাণ মত |
একটি মাল্টা কেটে নিয়েছি | সাজানোর জন্য |
লবণ | স্বাদমত |
ভেনিলা এসেন্স | ১ চামচের বেশি |
ধাপ
সমূহ
প্রথমে আমি ব্লেন্ডার মেশিনের জারে ফেটে রাখা দুটি ডিম, চিনি, স্বাদ মতো লবণ, পরিমাণ মতো বেকিং সোডা, মালটার খোসা দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নেব।
এই ধাপে এসে গুঁড়ো দুধ, সাদা তেল বা সয়াবিন তেল, মালটার রস ঢেলে দিয়ে ভালো করে আবার ব্লেন্ড করে নেব।
এখন দিয়ে দিবো এক কাপ নিয়ে রাখা ময়দা,হাফ কাপ চালের গুঁড়া।ঢেলে দিয়ে ভালো করে মিক্স করে আবার ব্লেন্ড করতে হবে।
এইবার সব উপকরণ ব্লেন্ড হয়ে গেলে আমি একটা বাটিতে বেটার টা ঢেলে নেব।বেটারের মধ্যে এক চামচ থেকে বেশি ভেনিলা এসেন্স মিক্স করে নিতে হবে।ভালো করে মিক্স করা হয়ে গেলে অন্য ধাপে চলে যাব।
এরপর আমি কেক বানানোর জন্য একটা সাজ নিবো।তাতে প্রথমে তেল ব্রাশ করে দেবো।এরপর টিস্যু দিয়ে আবার একটু করে তেল ব্রাশ করে দিব।তেল ব্রাশ করার পরে বেটার টা ঢেলে দিব।ভালো করে যাতে সব জায়গায় সমান ভাবে বসে যায় তা খেয়াল করে দেখতে হবে।
এরপর একটি পাত্র নিয়েছি,পাত্রটিতে পরিমান মত লবন দিয়েছি।এরপর একটি স্ট্যান্ড বসায় দিয়েছি।চুলার তাপ মিডিয়াম আঁচে রেখে পাত্রটি বসায় দিয়ে পাত্রটিকে ৫ মিনিটের জন্য গরম করে নিতে হবে।পাত্রটি গরম হয়ে আসলে সেখানে নিয়ে রাখা কেকের বেটার বসায় দিয়ে দেবো।ঢাকনা ঢেকে দেবো। ঢাকনার মধ্যে একটি ছিদ্র থাকে সেটি আমি একটা টিসু দিয়ে ভালো করে আটকে দিয়েছি।২০/ ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।যখন কেকটি হয়ে গেছে বুঝা যাবে তখন একটি টুথপিক দিয়ে দেখে নিবো হয়েছে কিনা।যদি কেক ভাল মত হয়ে যায় তাহলে নামায় ফেলতে হবে।যদি মনে হয় কেক ভালো মত হয় নাই তাহলে আরো কিছুক্ষণ ঢেকে দিয়ে জ্বাল দিতে হবে।
এরপর কেকটি হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলতে হবে।চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে।যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন একটা প্লেটের মধ্যে নিয়ে নিতে হবে।কেকের নিচে যে টিস্যু গুলো দিয়েছিলাম আস্তে-ধীরে তা নিয়ে ফেলতে হবে।নেওয়ার পরে কেকটি আমি পজিশন অনুযায়ী প্লেটের মধ্যে নিয়ে রেখেছি।
এখন কেক টিকে ভালো করে ডেকোরেশন করে নিব।ডেকোরেশন এর জন্য যা নিয়েছি স্প্রিংকেলস,হুইপড ক্রিম রেডিমেড, দুই চামচ চিনি দিয়ে হালকা করে পানি দিয়ে একটা চিনির সিরকা বানিয়ে নিয়েছি।এরপর নিয়েছি কিছু গুঁড়ো দুধ, সাথে চিনি মিক্স করে নিয়েছি হালকা মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ঘন করে ক্রিম বানিয়ে নিয়েছি।
এরপরে কেক টিকে কেটে দুই ভাগ করে নিয়েছি।কেটে নেওয়ার পরে চিনির সিরকা দুই সাইডে ভালো করে দিয়ে দিতে হবে যাতে ক্রিম টা ভালো করে লাগে।
চিনির সিরকা দেওয়ার পরে গুঁড়া দুধ দিয়ে বানানো ক্রিম ভালো করে লাগিয়ে দেবো।এর সাথে হুইপড ক্রিম,স্প্রিংকেলস দিয়ে সাজিয়ে নিবো।সাথে একটি মালটা কেটে নিয়েছি সাজিয়ে নেওয়ার জন্য কেক টিকে।
এভাবে তৈরী হয়ে গেল আমার আজকের তৈরি করা মজাদার “অরেঞ্জ ফ্লেভার স্বাদের ফ্রুটস স্প্রিংকেলস কেক”।আমি কেমন হয়েছে দেখার জন্য কেটে নিয়ে টেস্ট করে দেখলাম।কেক টি খেতে অসাধারণ হয়েছিল। অরেঞ্জ ফ্লেভার সাথে ড্রাই ফ্রুটস দেওয়াই খেতে আরও দারুণ হয়েছে।
আজ এ পর্যন্ত। আমার রেসিপি এখানে শেষ।আশা করি আমার রেসিপিটি সকলের ভাল লাগবে।কেমন হয়েছে মতামত দিয়ে জানাবেন।তাহলে বুঝতে পারব কোথায় ভুল হয়েছে কিনা।সুন্দর সুন্দর মতামত দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করার অনুরোধ রইল।ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ফটোগ্রাফির প্রয়োজনীয় তথ্যঃ
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি
@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।তাই আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বাহ্ কি সুন্দর ক্রিম দিয়ে ট্যুটি ফ্রুটি কেক বানিয়েছেন দিদি। সাথে ফ্লেভার টা অরেঞ্জ ছিলো। আমায় ইনভাইট করেন। 😋
হুম ঠিক বুঝতে পারছেন খেতে কিন্তু দারুণ হয়েছিল।
কেক আমারও খুব পছন্দ। আর বাসায় এভাবে কেক তৈরি করলে কেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে কেক তৈরি করেছেন। কেকের ডেকোরেশন টাও খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার এই কেকের রেসিপি টা আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে। মালটা দিয়ে এত সুন্দর ভাবে কেক তৈরি করা যায় এটা আমার জানা ছিল না। কেকের মধ্যে একটু টক টক ফ্লেভার টা নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুস্বাদু একটি কেকের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মাল্টার রস দেওয়ার কারনে টক হয়নি এটা দিয়েছি মূলত ফ্লেভার আসার জন্য।
আপনার তৈরি কেকটি দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে। খেতেও মজা হয়েছে আপনি বললেন। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু কেকের নাম পড়তে যদি এত কষ্ট হয়, তাহলে বুঝাই যাচ্ছে কেকের মজাটা কত। আমি আমাদের প্রিয় শুভ ভাইকে হাজার সালাম জানাই, এত সুন্দর একটা কনটেস্ট এর আয়োজন করার জন্য। আর এই আয়োজন এনে দিয়েছে সুস্বাদু হরেক রকমের কেক। যা দেখে লোভ সামলানো কষ্টকর। অসাধারণ ছিল আপনার কেকের রেসিপিটি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া নামটা কঠিন হলেও কেকটা খেতে অনেক মজা হয়েছিল।হা হা হা!!!
আপু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনার বানানো কেকটি অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে, আশাকরি আপনি ভালো কিছু করবেন। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
দিদি অনেক ধন্যবাদ! আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
আপু আপনার কেক টি দেখে মনে হচ্ছে সত্যিই খুবই ইউনিক হয়েছে । এ ধরনের কেক কখনো খাওয়া হয়নি । মালটার রস , মালটার খোসা অনেক অনেক উপকরণ দিয়ে তৈরি করেছেন মজাদার একটি কেক । খেতে নিশ্চয়ই একটু ভিন্ন ধরনের হয়েছে । একটু খেয়ে দেখতে পারলে বোঝা যেত । ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ।
আপু মালটার খোসা দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ফ্লেভারটা আসার জন্য।খেতে কিন্তু অরেঞ্জ ফ্লেভারে খুব ভালো লাগছিল।
ঠিক বলেছেন আপু কেক ছোট-বড় সবারই খুব পছন্দ। আর কেকের ভেতরের দুধ ডিম ঘি থাকার কারণে আসলেই কেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কেক পছন্দ করে না এমন মানুষ মনে হয় নেই বললেই চলে। আর আমি তো সবসময় মিষ্টি জাতীয় কেকই খেয়েছি। অন্য কেক কেমন লাগে জানি না। তবে আপনার বানানো কেকটি কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছে। কেক বাসায় বানিয়ে খেয়েছি তবে এরকম করে কখনো মালটার রস ও মাল্টার খোসা দিয়ে বানানো হয়নি। মনে হচ্ছে টক টক মজাদারই হয়েছে কেকটি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু মালটার রস কখনো টক হয়না। লবন দিয়ে খেলে কি রকম মজা লাগে দেখবেন। আর মালটার রস দিছি এর জন্য টক হয়নি অনেক মিষ্টি হয়েছিল।
আপু আপনার মতো আমিও একটু মিষ্টি কেক খেতে ভালোবাসি। আমরা যেকোনো শুভকাজ শুরু করার আগে কেক কাটি। এটি সত্যি আদিকাল থেকে হয়ে আসছে।যাই হোক আপনার কেক দেখে আমি লোভ সামলাতে পারছি না। আমি এখনো এমন কেক খাইনি।আপু পার্সেল করে পাঠিয়ে দিয়েন।আপনি অনেক গুলো উপকরণ দিয়ে খুব সুস্বাদু ও মজাদার কেক তৈরি করেছেন। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক ও মজাদার কেক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু খেয়ে অল্প করা আছে সেটা আপনার জন্য পাঠিয়ে দেবো। ঠিকানাটা দিন😋😉😇।
মাল্টা দিয়ে আমিও কেক করেছি খেতে ভালোই লাগে। আপনি তো আরো কিছু এড করেছেন। খেতে ভালোই লাগবে। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। অভিনন্দন আপনাকে।
আপনিও তৈরি করেছিলেন শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।