রেসিপি-"কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না"।।০৯.০৮.২০২২।।
২৫ শ্রাবণ , ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
৯ আগস্ট , ২০২2 খ্রিস্টাব্দ
১০ মহরম , ১৪৪৩ হিজরী
মঙ্গলবার।
আশাকরি সবাই ভাল আছেন? আমি সামশুন নাহার হিরা। আমি আমার বাংলা ব্লগ এ কাজ করি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় ও বাংলাদেশের ব্লগার ভাই-বোনেরা আমি আজ আপনাদের সাথে আর একটি নতুন ব্লগিং নিয়ে হাজির হয়েছি। বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগিং হচ্ছে রেসিপি। আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো |
---|
"কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না" রেসিপি।
অনেক দিন কিন্তু ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তেছে। ইলিশ ধরা পড়লে ও কি চড়া দাম ইলিশের। চড়া দাম হলে ও কি খাওয়া বন্ধ করে দিবো? না। তবে সাধারণ জনগণ এখন ইলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবু ও জীবন থেমে নেই সবাই সবার গতিতে চলতেছে।
- চলুন বন্ধুরা আজ আমি কিভাবে কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করি তা এক নজরে দেখে আসি।
প্রথমে আমি সব উপকরণ নিয়ে দেখাবোঃ-
উপকরণ সমূহঃ
উপকরণ প্রণালী | পরিমাণ সমূহ |
---|---|
ইলিশ মাছ | ৭/৮ পিস |
পেঁয়াজ মাঝারি সাইজ | ২/৩ টা |
রসুন পেস্ট | ৩ চামচ |
বাদাম বাটা | ২/৩ চামচ |
সরিষা বাটা | ৪ চামচ |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মত |
হলুদ গুঁড়া | পরিমাণ মত |
ধনিয়ার গুঁড়া | পরিমাণ মত |
জিরা গুঁড়া | পরিমাণ মত |
তেল | পরিমাণ মত |
লবণ | স্বাদ মত |
কচুর মুখী | ৩০০ গ্রাম |
বন্ধুরা, আমি সব উপকরণ নিয়েছি এখন আমি আমার মূল রেসিপিতে চলে যাব।
প্রথমে আমি ইলিশ মাছ সাইজ করে কেটে নিয়েছি। মাছ কাটার পর ভাল করে ধুয়ে নিয়েছি।
এই ধাপে আমি পেঁয়াজ, রসুন, লবণ, মরিচের গুড়া, হলুদের গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া নিয়েছি।
এখানে আমি বাদাম বাটা, সরিষা বাটা ও কচুর মুখী নিয়েছি। কচুর মুখী আমি আগে থেকে পরিস্কার করে কেটে নিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
এই ধাপে আমি একটি রান্নার জন্য পাত্র নিয়েছি। পাত্রটি আমি চুলায় দিয়ে দিছি এবং তাপ মিডিয়াম আচে দিছি। পাত্রটি গরম হয়ে আসলে পরিমাণ মত তেল দিয়ে দিবো। তেল গরম হয়ে আসলে তাতে পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে দিবো।আমি পেঁয়াজ-রসুনের সাথে বাতাম বাটা ও সরিষা বাটা দিয়ে দিবো।
এই ধাপে আমি সব উপকরণ মিক্স করে নিয়ে হালকা পানি দিবো যাতে লেগে না যায়। একটু পর শুকনা মসলা যেমনঃ মরিচ, হলুদ, ধনিয়া, জিরা দিয়ে হালকা পানি দিয়ে মিক্স করে নিবো।
এখন আমি মাছ দিয়ে দিবো।
কচুর মুখী দিয়ে দিয়েছি।
মাছ আর কচুর মুখী গুলো ভাল করে মসলাতে মিক্স করে নিতে হবে যাতে কষানোর সময় সব গুলোতে ঝুল ডুকে। মাছ সাবধানে নাড়তে হবে যাতে ভেঙ্গে না যায়।
এখন ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে হালকা করে।
এই পর্যায়ে আমি হালকা করে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
আমি আবার এক টু পানি দিবো। আপনারা না দিলে ও পারবেন। আমি দিয়েছি কারণ ঝুল করে খেতে আমার ভাল লাগে তাই।
আবার ঢাকনা দিয়ে দিবো।
আমার কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না সিদ্ধ হচ্ছে।
আমার রান্না শেষ পর্যায়ে। এখন পরিবেশনের পালা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ এর বন্ধুরা আপনাদের কাছে আমার কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না রেসিপি কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমার পোষ্টে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি ভাল লাগবে।
আমি আমার রেসিপিতে ব্যবহার করা সব তথ্য আমি নিজের থেকে লিখেছি এবং সব ছবি আমার নিজের মোবাইল দিয়ে করেছি।
নিম্নে ছবির বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Wiko,T3 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
মডেল | W-V770 |
বিষয় | কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না |
লোকেশন | বাসায়, কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
আমি আজকের মত আমার লেখা এখানেই শেষ করছি। আবার আর একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হবো অন্য আর একদিন। সবাই সুস্থ্য থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ সবাইকে
কচুর মুখী দিয়ে এভাবে ইলিশ মাছ রান্না করলে খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি খুবই দারুণ হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে অনেক সুস্বাদ এবং মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন,খেতে অনেক মজা হয়েছিল।আমার রেসিপি টি দেখার জন্য ধন্যবাদ আপু
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। কচু দিয়ে ইলিশ মাছ একদম পারফেক্ট জুটি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
দিদি আপনি খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন।পারফেক্ট জুটি কথাটা আমার কাছে ও পারফেক্ট মনে হয়েছে দিদি। আপনি খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন যা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে
মাশাআল্লাহ আপু আপনি খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মুখি দিয়ে ইলিশ এর তরকারি আসলে অনেক সুস্বাদু হয়। আমার তো ইলিশ মাছ খুবই পছন্দের একটা খাবার। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া আমি ইলিশ মাছ বার মাস খাইতে পারবো 🙃।আমার ও অনেক প্রিয় ভাইয়া ইলিশ মাছ।ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোষ্টটি সময় দিয়ে পড়ার জন্য।
রেসিপির নাম শুনেই মুখ পানি চলে আসলো, কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার, একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে, এছাড়াও আপনার রান্নার পদ্ধতি আমার খুবই ভালো লেগেছে, এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মনি।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ওয়াও খুবই অসাধারণ কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না রেসিপি করেছেন। যে সুন্দর করে রান্না করতে পারে সে অনেক সুস্বাদু করে খেতে পারে। রিসিভের কালার দেখে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হবে। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার মন্তব্য পড়ে আমার আবার খেতে ইচ্ছে করতেছে।কিন্তু রান্না তো শেষ আপু😇😇।ধন্যবাদ আপু পাশে থাকার জন্য।
কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না। কারন ইলিশ মাছ আর কচুর মুখী দুইটায় আমার অনেক পছন্দ। যদিও খেলে এলার্জি বেড়ে যায় তবু খেয়ে ফেলি। আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপু এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনি তো আমার মতই দেখছি এলার্জি মানেন না😀।আমি খেয়ে পরে এলার্জির চিন্তা করি।আপনার জন্য শুভকামনা ভাইয়া
কচু মুখি দিয়ে মজাদার ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে ইলিশ মাছের রেসিপি খেতে খুবই মজা লাগে। আমার খুবই প্রিয়, আপনার রেসিপি দেখে অনেক খেতে ইচ্ছা করছে।
ভাইয়া খাবেন তো?বাসায় দাওয়াত রইলো।ভাইয়া আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
আপনি কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করেছেন একবারই অসাধারণ হয়েছে। কচুর মুখী খেলে মাঝে মাঝে আমার গলা ধরে কিন্তু আজকে আপনার যেভাবে রান্না করেছেন অসাধারণ হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু রান্নার আগে সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিলে গলা ধরবেনা।ধন্যবাদ আপু পোষ্ট পড়ার জন্য
কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি খেতে আমার খুব ভালো লাগে।বেশ দারুণ হয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আপনি সময় দিয় পোষ্ট পড়েছেন আর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
কচুর মুখী দিয়ে দারুন একটি ইলিশ মাছের রেসিপি করেছেন। কিন্তু ইলিশ মাছ দিয়ে যেকোনো ধরনের রেসিপি করলে আমার খাওয়ার বরাত নেই কারণ এলার্জিজনিত কারণ সত্যিই এটা কষ্ট দেয়।
আমার মনে হয়না আমার থেকে বেশী এলার্জি হবে। আমার কিন্তু অনেক বেশী এলার্জি ভাইয়া কিন্তু আগে খেয়ে কথা, পরের টা পরের বিষয় ভাইয়া। এত মজার মাছ মিস কেমনে করি বলেন তো। আগে খেয়ে নিবেন ভাইয়া পরের টা পরের হিসাব। ধন্যবাদ ভাইয়া সময় দিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।