লাইস্টাইলঃ-কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিশ্ব পর্যটন দিবসের দিন কাটানো মুহূর্ত।
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। পড়ন্ত বিকেলের কার সময় কেমন যাচ্ছে বন্ধুরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আমিও ভালো আছি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। বন্ধুরা আজকে আবার হাজির হয়ে গেছে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের নতুন ব্লগে। চেষ্টা করি আপনাদের সাথে ভিন্ন কিছু শেয়ার করতে। কারণ ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়ে থাকে। আমরা যে যেখানে থাকি না কেন আমাদের প্রতিনিয়ত কাটানো সময় গুলো সবার সাথে ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আবারো একটি লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আপনারা তো জানেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের খুব কাছাকাছি অবস্থান করি আমি। আমার যখন মন চাই তখন আমি যেতে পারি আমার কোন সমস্যা হয় না।
কিছুদিন আগে হঠাৎ করে জানতে পারলাম বিশ্ব পর্যটন দিবস। সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখ বিশ্ব পর্যটন দিবস আমরা সবাই জানি। তো বন্ধুরা বাচ্চারা সেই কথা শুনার সাথে সাথেই একদম অস্থির হয়ে গেল। আমি মনে করেছিলাম বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারেও বেশ বডসড়ো করে আয়োজন করা হয়েছে গত বছরের মত। কিন্তু শেষে শুনলাম যে এই বছর তেমন কোন আয়োজন করা হয়নি। প্রথমে শুনেছি সেখানে অনুষ্ঠান হয়েছে। আবার শুনলাম যে কোন অনুষ্ঠান হয়নি। কিন্তু আমরা তো রেডি হয়ে গেছি কি আর করার। তাই বাচ্চাদেরকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি বিকেল বেলায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে করতে যাওয়ার জন্য। সোজা চলে গেছি বন্ধুরা একটি অটো নিয়ে সমুদ্র সৈকতে। সেখানে যেয়ে দেখলাম বেশ মানুষের আনাগোনা। যেহেতু সেই দিন শুক্রবার ছিল অনেক বেশি মানুষজন ছিল। তো সেখানে দেখতে পেলাম ছোটখাটো করে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন করা হচ্ছে।
যেহেতু পর্যটন একটি এরিয়া সেখানে পর্যটন দিবস পালন করা হবে না তা কি করা হয়। কক্সবাজারে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে প্রতি বছর সেখানে যে কোন দিবস গুলো পালন করা হয়ে থাকে। ওপেন মঞ্চে যখন কোন দিবস পালন করা হয় তখন সেখানে অনেক বেশি মানুষ যাওয়া আসা করে। সেখানে দেখলাম অনেক মানুষ অনুষ্টান হচ্ছে। বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চারা গান করছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা কিছুক্ষণ অনুষ্টান দেখছি। অনেক মানুষ জামায়েত হয়েছে। আর এমন খোলামেলা পরিবেশে অনুষ্টান হলে সবার দেখার সুযোগ পাই তাই সবাই ইচ্ছে মত অনুষ্টান দেখে। তবে সেখানে বসার সিট ছিল কিন্তু আমরা বসার জন্য কোন সিট পাইনি তাই একটু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে বোরিং লাগছিল।
তাই ভাবলাম যে একটু হাটাহাটি করে বীচের বালিতে। সেজন্য হাঁটতে শুরু করলাম। হঠাৎ করে দেখতে পাই ঝাল মুড়িওয়ালা। মা মেয়ে তিনজনে মিলে ঝালমুড়ি খেতে বসলাম বালিতে। ঝাল মুড়ি খেয়ে আবার কিছু হাঁটলাম। আবার কিছু হাঁটার পরে সেখানে একটি নতুন রেস্টুরেন্ট ওপেন করা হয়েছে সেদিকে গেলাম কি আইটেম আছে দেখার জন্য। তোর বাচ্চারা চিকেন ফ্রাই খাবে বললো কিন্তু সেখানে চিকেন ফ্রাই ছিল না তাই আমরা আবারও ব্যাক দিলাম। তো বন্ধুরা সেখান থেকে ফিরে এসে আমাদের সেই পুরনো রেস্টুরেন্ট ঊর্মি বিজিপি ক্যাফেতে বসলাম। সে রেস্টুরেন্টে বসে চিকেন ফ্রাই আর ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করি। অনেক মানুষ ছিল অর্ডার গুলো নিতে অনেক বেশি দেরি হয়েছিল। খাবার গুলো রেডি করতে অনেক বেশি সময় নিয়েছিল। যাক কি আর করার অর্ডার যেহেতু করে দিয়েছি অপেক্ষা করতে হবে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে খাবার গুলো আসলো।
খাবারগুলো আসলেও চিকেন ফ্রাই আসল না কিন্তু ফ্রেন্স ফ্রাই আসতে দেরি হচ্ছিল। তাই চিকেন ফ্রাই খেয়ে ফ্রেন্স ফ্রাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে যখন দেখলাম ফ্রেন্স ফ্রাই আনতে দেরি হবে তখন আমরা পার্সেল নিয়ে নিলাম। যেহেতু রাত বেড়ে যাচ্ছিল তাই আর দেরি করি নাই সোজা হাটা শুরু করে দিলাম। রাত বেড়ে যাওয়ায় তাই আমরা সোজা হেঁটে আবারো সেই মূল অনুষ্ঠানের দিকে ফিরে গেলাম। তখনও দেখি অনুষ্ঠান চলমান ছিল। সেখানে গিয়ে আরো কিছুক্ষণ অনুষ্ঠান দেখি। অনুষ্টান কিন্তু শেষের দিকে হয়েছিল। যেহেতু রাত আটটা পার হয়ে গেছিল তাই আমরা আর দেরি না করে সেখান থেকে চলে আসার জন্য হাঁটা শুরু করে দিলাম। সেখানে দাঁড়িয়ে আরো কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে ফোনের গ্যালারিতে নিলাম।
তারপর আমরা একটি অটো নিলাম। অটো নিয়ে আমরা সোজা বাসায় ফিরে আসি। বাসায় ফিরে এসে সেই ফ্রেন্স ফ্রাই গুলো খাওয়া দাওয়া করি। সেদিন আমরা খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছিলাম। বন্ধুরা আজকের সেই সুন্দর মুহূর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি। আশা করি বন্ধুরা আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের ব্লগ পড়ে ভালো লাগবে। সময় দিয়ে পাশে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#worldtourismday #coxsbazar-seabeach #feelingsshare #amarbanglablog #steemit #steemexclusive #shy-fox
বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৪ আপনাদের কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হওয়া এক সুন্দর আয়োজনের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে উপস্থিত হয়ে বেশ অনেক কিছু উপভোগ করেছেন পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটাও ছিল বেশি দারুন। না এই সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু সেই দিন সময় গুলো অনেক সুন্দর গেছিলো বাচ্চাদের নিয়ে ভালো লাগছিল আমার অনেক।
https://x.com/nahar_hera/status/1841898732130119746?t=0daKYPPqRx2mU396ZaVmQg&s=19
বিশ্ব পর্যটন দিবসের আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। আমাদের পর্যটন শিল্প উন্নত হলে আমাদের দেশ উন্নত হবে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিশ্ব পর্যটন দিবসের কাটানো মুহূর্ত বেশ অসাধারণ ছিলো। সবাই মিলে খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। এতো সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
পর্যটন দিবসের দিন কক্সবাজারে অনেক সুন্দর করে আয়োজন করা হয়েছিল তাই দেখতে গিয়েছিলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।