লাইফ স্টাইলঃ- বছরের শুরুর দিন এবং শেষের দিন যেভাবে কাটালাম।
শুভ দুপুর বন্ধুরা,
প্রিয় @amarbanglablog কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা লেখার শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগিং পর্বে। বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। তবে সামনে যেহেতু আর ২-৩ দিন বাকি আছে নির্বাচনের দিন। সবাই তো অবশ্যই একটু আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটাচ্ছি। কি হতে কি হয় কিছু বুঝতেছিনা। তবে সুস্থ নির্বাচন চাই সুস্থ একটি পরিবেশ চাই সে কামনা করি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে বেশ ভালই লাগে। আজকে আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্য আপনারা শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন বন্ধুরা আমি আজকে কি বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। অবশ্যই ৩১ শে ডিসেম্বরের কথা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যদিও সেই দিনটা আমাদের জন্য পুরাতন বছরের বিদায়ের দিন এবং নতুন বছরের আগমনের দিন। প্রতিবছর এই দিনটি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করি। যদিও নিজেদের কাছে কোন আয়োজন থাকে না এই দিনকে নিয়ে। কিন্তু প্রায় সময় চেষ্টা করি সমুদ্র সৈকতের খোলামেলা পরিবেশে যেয়ে দিনটি উপভোগ করার জন্য। কারণ সেখানে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করে থাকেন বিভিন্ন জনেরা।
যদিও বেশ কিছুদিন যাবত অনেক ব্যস্ততার মধ্যে সময় যাচ্ছে। অবশ্যই আপনারা অনেকেই জানেন আমার আম্মুর বিষয়টি। আম্মু না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার কারণে সবদিকে এলোমেলো হয়ে গেল। বিভিন্ন দিকে বেশ কিছু কাজ আছে সেগুলো করতে হয়েছে। এছাড়াও অনেক ধরনের সামাজিক নিয়ম কানুন আছে যা আপনারা অনেকেই জানেন। যেগুলো অবশ্যই করতে হয় তাই মিলাদ ছিল আম্মুর জন্য। অনেক ধরনের কাজকর্ম ছিল সেগুলো নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম। তো ৩১শে ডিসেম্বর ও আম্মুর জন্য আমরা সবাই মিলে একটু দোয়ার আয়োজন করেছিলাম। মসজিদে খতমের আয়োজন করেছিলাম। সেই সাথে গরিব মিসকিনদেরকে খাওয়া-দাওয়া করালাম। সবাই মিলে আমার আম্মুর জন্য দোয়া করলাম একটু ব্যস্ত সময় কাটল। তো বিকেলে কক্সবাজারের বাসায় ফিরে আসি। আমার সাথে আমার ছোট ভাইয়ের ওয়াইফ এসেছিল।
আমার ভাইয়ের ছেলে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার জন্য অনেক কান্নাকাটি করছিল। যেহেতু আম্মুর মিলাদের জন্য অনেক কাজকর্ম করেছি একটু টায়ার্ড ছিলাম। কিন্তু বাচ্চারা তো মানলো না আমার বাচ্চারা এবং আমার ভাইয়ের ছেলে সবাই মিলে আমাকে একটু অস্থির করে তুলেছিল। তো আমি ভাবলাম ঠিক বারোটা বাজার আগের মুহূর্তে যাব। ঠিক তেমনি আমি তাদেরকে রেডি হতে বলি। আপনাদের ভাইয়ের প্রচুর মাথা ব্যাথা ছিল তাই সে ঘুমিয়ে পড়ল। আমি বাচ্চাদেরকে নিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের ওয়াইফকে নিয়ে রাত ১১ টা ৩০ মিনিটের দিকে বের হয় বাসা থেকে।
তো সমুদ্রে যেয়ে যা দেখলাম এত বেশি আসলে আয়োজন করা হয়নি। কারণটা অবশ্যই আপনারা বুঝতে পারছেন যেহেতু ৭ তারিখ নির্বাচন তাই পর্যটকের ভিড় একটু কম ছিল। যে মানুষ জন ছিল এগুলো হচ্ছে লোকাল মানুষজন। বাইরের লোকজন একদম আসে নাই এই বছর। তাই জায়গাটা ও খুবই ফাঁকা ছিল। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে খুব সুন্দর করে সাজসজ্জা করা হয়েছে। বিশেষ করে লাবনী পয়েণ্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের অফিসটি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। আমাকে বেশ আকর্ষণ করেছে এদের সাজ সজ্জা গুলো। লাল এবং সবুজ লাইটিং দিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছিল। তো কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম যেগুলো আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি।
এছাড়াও আর কিছুদূর যেয়ে আরো কিছু সাজসজ্জা দেখতে পেলাম। বিশেষ করে যেগুলো সরকারি অফিস আদালত ছিল পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর কার্যালয় ছিল এগুলো অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ঠিক যখন বারোটা বেজে যায় তখন বাজি ফোটানো শুরু হয়ে যায়। ফানস এবং বাজি ফুটানো সব কিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি পরিবেশ ছিল। তবে এর আগের বছরের তুলনায় এ বছরে একটু কম ছিল। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে যেটা তা হচ্ছে বাচ্চারা অনেক বেশি আনন্দ করেছে। আসলে এত রাতে যাওয়ার ইচ্ছে আমার ছিল না। যেহেতু বাচ্চারা অনেক বেশি যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলো তাই। তাছাড়া ছোট ভাইয়ের ওয়াইফ ছিল তাই তাদেরকে দেখাতে নিয়ে গেলাম।
হেঁটে হেঁটে অনেকদূর যায় যাওয়ার পরে সিগাল পয়েন্টের দিকে উঠে যায়। তো পাশে একটি ফুচকার দোকান ছিল সেখান থেকে কিছু ফুচকা এবং চটপটি খেলাম। তখন কিন্তু অলরেডি রাত একটা বেজে গেছিল। তো তাড়াহুড়া করছিলাম যেহেতু বাসার সিকিউরিটিকে বলে রেখেছিলাম গেট বন্ধ না করার জন্য। তাই খুব তাড়াহুড়ো করে বাসায় ঢুকে পরি। যেহেতু শীতকাল পরিবেশটা একদম স্তব্ধ ছিল। তাই বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। এই হচ্ছে আমাদের এই বছরের শেষ দিনে কাটানো অনুভূতি। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে বেশ ভালই লাগবে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
এ বছর তাহলে মানুষের সমাগজ কম হলো। সামনেও নির্বাচন আর দেশের অবস্থাও তেমন ভালো নেই। তবে আপনারা শীতের রাতে আশেপাশের পরিবেশটা ভালোই উপভোগ করেছেন। ভাইয়ার মাথা ব্যথা না থাকলে উনিও আসতো হয়তো। তবে আপনার মায়ের জন্য কুরআন খতম পড়িয়ে ভালো করেছেন আপু 🌼
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্ট পড়ে খুব সুন্দর একটি অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আপু ঠিকই বলেছেন, নির্বাচনে কি হয় তা বলা বড় মুশকিল। আর তাইতো আমার অর্ধাঙ্গিনীও এবার ভোটে পোলিং অফিসার হিসেবে কাজ করতে চাইছিল না। তবে বাধ্যতামূলক করার কারণে পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেই হবে। তাই আমরা মন প্রাণে চাচ্ছি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার জন্য। যাইহোক আপু, আপনার আম্মুর কথাটি আমার জানা ছিল না, তাই যখন শুনলাম তখন শুনে খুবই খারাপ লাগলো। যাইহোক আপু বছরের শুরুর দিন এবং শেষের দিন বাচ্চাদের আবদারে যেভাবে কাটালেন তা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
নির্বাচনের ফলাফল কি আসবে সেটা বড় কথা না। আমরা সকলেই চাই নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে হয়। ভাবির জন্য দোয়া রইল যেন সুস্থ ভাবে নির্বাচন শেষ করে ঘরে ফিরে আসেন ভালো মত।
পুরাতন বছরের শেষ দিন, আর নতুন বছরের শুরু আপনারা যেভাবে কাটিয়েছেন তা আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আজকের এই প্রশ্নের মাঝে। দারুন একটি আনন্দঘন মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে ধরেছেন ওই সময়ের। আর সে বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।
মুহূর্তটি বেশ ভালোই কাটল ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1744434667628220714?t=O_wpxjBa7Dgmj_ISkF3zFg&s=19