শুটকি মাছ দিয়ে থানকুনি পাতা ভাজি রেসিপি।@samhunnahar
হ্যালো বন্ধুরা!!
আসসালামুআলাইকুম।
উপকরণ সমূহ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
থানকুনি পাতা- ২৫০ গ্রাম।
শুটকি মাছ- ১৫০ গ্রাম।
কাঁচা মরিচ কুচি -৭/৮ টা।
পেঁয়াজ কুচি- দুইটি।
রসুন কুচি- ৫/৭ কোয়া।
ধনেপাতা কুচি- পছন্দমত।
লবণ- স্বাদমতো
তেল-পরিমানমতো
থানকুনি পাতা ভাজি রান্নার ধাপে চলে যাবঃ
প্রথমে থানকুনি পাতা গুলোকে পরিষ্কার করে দেখে নেব কোন ময়লা থাকলে ফেলে দিয়ে নিয়ে নিব। অনেকক্ষণ ধরে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।পানি ঝরিয়ে নেওয়ার পরে কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে এক সাইডে রেখে দেবো।ততক্ষণে অন্যান্য উপকরণ গুলো সাজিয়ে নিব।
এরপরে একটি পাত্র চুলায় বসাই দিয়ে ছোট সাইজ করে নেওয়া শুটকি মাছ গুলোকে ভেজে নিব।
এবার চুলায় একটি পাত্র বসাই দিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে তেল গুলো গরম হয়ে আসা পর্যন্ত।তেল গরম হয়ে আসলে তাতে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভেজে নিব।
পেঁয়াজ রসুন ও কাঁচা মরিচ কুচি প্রায় ভাজা হয়ে আসলে সাথে দিয়ে দেব কুচি করে রাখা থানকুনি পাতা। পাতাগুলো দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে ভাজতে থাকবো।
কিছুক্ষণ পাতাগুলোকে ভেজে নেওয়ার পরে দিয়ে দেবো আগে থেকে ভেজে রাখা শুটকি মাছের টুকরোগুলো।শুটকি মাছ ভাজা গুলো দিয়ে ভালো করে মিক্স করে সময় নিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে।
শুটকি মাছ আর থানকুনি পাতাগুলো ভালো মতো সিদ্ধ হয়ে আসলে এখন দিয়ে দেব কুচি করে রাখা ধনেপাতা।ধনেপাতা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিব।ভেজে নিয়ে নামায় ফেলবো চুলা থেকে।
এখন পরিবেশনের জন্য একটা প্লেটে সাজায় নিব।এভাবে থানকুনি পাতা ভাজি গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে।এছাড়াও কাঁচা ভর্তা করে খেলেও অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।তবে এই রেসিপিটি অন্য রকমের স্বাদের হয় খেতে।অনেক ভালো লেগেছিল খেতে।।
আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।যদি আপনাদের কাছে নতুন মনে হয় তাহলে এভাবে শুটকি দিয়ে একদিন ভেজে খেয়ে দেখবেন খেতে দারুণ হয়।
![268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUD3WR1TT66vwU4urXWaDDDT53AxDyK2LK8qqZmeDdiKb/268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png)
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি।আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন। |
---|
আপু শুটকি আমার অনেক প্রিয় ৷ সেদিন আপনাকে শুটকির দোকানের ছবি দিয়েছিলাম ৷ আর আপনি যাকে থানকুনি পাতা বলেন আমরা ধনে পাতা বলি ৷ যা হোক অনেক ভালো ছিল শুটকি মাছ দিয়ে থানকুনি পাতা ভাজি রেসিপি।
আমি শুটকি মাছ ছাড়াও এই রেসিপিটা করি তবে শুটকি দিলে খেতে আরো একটু ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/3ewz37-samhunnahar
থানকুনি পাতার ভর্তা কিংবা ভাজি দুটোই আমার অসাধারণ লাগে খেতে। আপনি তো শুঁটকি মাছ দিয়ে দারুনভাবে ভাজি করেছেন। এটা আমার কাছে নতুন রেসিপি ছিল। তবে শিখে নিলাম, নিঃসন্দেহে সুস্বাদু হয়েছে খেতে।
ধন্যবাদ আপু এই ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি ভাইয়া থানকুনি পাতা ভর্তা বা ভাজি শুটকি দিয়ে করলে খেতে আরো অসাধারণ লাগে।
আমি থানকুনি পাতা খেয়েছি, তাও নিজের টপে লাগিয়েছিলাম তারপর খেয়েছিলাম। মূলত এর উপকারী সম্পর্কে জেনেই এই গাছটি টবে লাগিয়েছিলাম, শুটকি মাছ দেওয়াতে হয়তো এই টেস্ট আরো কয়েকগুন বেড়ে যাবে, চমৎকার এবং ইউনিক ছিল রেসিপিটি।
জি ভাইয়া থানকুনি পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে শুটকি মাছ দিয়ে খেলে কিন্তু স্বাদ বেড়ে যায়।
ওয়াও আপু এটা কি দেখালেন আমি তো দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। কারণ আমার পছন্দের একটি শাক হচ্ছে থানকুনি পাতা। তাও আবার শুটকি দিয়ে ভাজি করেছেন একেবারে জিভে জল যেন পড়েই যাবে। পরিবেশন দেখে ইচ্ছে করছে এখনই গরম গরম ভাত নিয়ে বসে যাই। খুব চমৎকারভাবে তৈরি করেছেন রেসিপিটি।
আমি যেখানে থাকি পাশের বাজারে সব সময় পাওয়া যায় থানকুনি পাতা।আমি প্রায় সময় এনে খেয়ে থাকি অনেক ভালো লাগে গরম ভাতের সাথে।
কখনো শুটকি মাছ দিয়ে থানকুতি পাতা ভাজি করে খাওয়া হয়নি। তাই টেষ্ট সম্পর্কে আমার একদম কোন ধারণা নেই তবে এই রেসিপিটার সাথে ধনেপাতা সংযুক্ত করায় টেষ্ট যে বেশ ভালো হবে সেটা আমি নিশ্চিত। লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমরা যখন কাঁচা মেখে খাই তখন শুটকি মাছ দিয়ে খায়।কিন্তু ভাজির সময় শুটকি দিলে কিন্তু খেতে ভালো লাগে এমনি শুটকি ছাড়া দিলেও ভাজি করলেও খেতে ভালো লাগে ধন্যবাদ।
থানকুনি পাতা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। থানকুনি পাতা ভর্তা খুবই অসাধারণ। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে শুটকি মাছ দিয়ে থানকুনি পাতা ভাজি করেছেন । দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলছেন ভাইয়া পেটের রোগ স্কিনের সমস্যা কিংবা অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে থানকুনি পাতা ঔষুধ হিসেবে কাজ করে।
থানকুনি পাতায় অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং এটা একটি ওষুধি পাতা এটা খেলে অনেক ধরনের ওষুধ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সেটা জানি । তবে এই পাতা সুস্বাদু কিনা সেটা বলতে পারবো না এটা কোনদিনও খাইনি। শুনেছি এটা নাকি খাওয়া যায় । আপনি তো ভালোই শুটকি মাছ দিয়ে খুব সুন্দর করে পাতাটি রান্না করেছেন দেখে তো মনে হচ্ছে টেস্টি হয়েছিল।
আপু খেয়ে দেখবেন দারুন একটি রেসিপি অনেক ভালো লাগে খেতে থানকুনি পাতা।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে শুটকি মাছ দিয়ে থানকুনি পাতা ভাজির রেসিপি শেয়ার করেছেন। শুটকি মাছ আমার পছন্দ নয়, এই মাছের গন্ধটা আমার ভালো লাগে না। তবে আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপি। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া শুটকির গন্ধ যদি ভালো না লাগে তাহলে ঠিক একই রেসিপি আপনি মাছ ছাড়া করে খেয়ে দেখতে পারেন ভালো লাগবে।