লাইফ স্টাইলঃ- বাচ্চাদের জন্য টপ টেন শোরুম থেকে জুতা কেনার মুহূর্ত।
সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সকলের দিনকাল বেশ ভালই যাচ্ছে? দেখতে দেখতে ঈদের দিন চলে আসলো। দেখতে দেখতে শবে কদরের রাত চলে এসেছে। সবাই অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বুঝা যাচ্ছে। আমিও বেশ ব্যাস্ততার মধ্যেই আছি যেহেতু ঈদের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। সকাল থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হয়েছিলাম রাস্তার মধ্যে অনেক জ্যাম আসা যাওয়ার খুবই সমস্যা হচ্ছে। তারপরও আমাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে নিতে হয় শত ব্যস্ততার মাঝেও। শত জ্যামের মাঝেও বসে থাকতে হয় গাড়িতে। ঈদ উপলক্ষে রাস্তা ঘাটের অবস্থা খুবই করুন অবস্থা। তাছাড়া এই কয়েকদিন গরমে জন জীবন একদম অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। আর লোশেডিং এর কথা কি বলবো! ব্যাংকে বলেন যেখানে যায় না কেন লোডশেডিং এর জন্য কোন কাজ করতে পারছে না সুষ্ঠুভাবে।
একটু বের হয়েছিলাম কাজটা সেরে বাসায় আসলাম এবং আরও কিছু কাজকর্ম ছিল তা শেষ করে ফ্রি হয়ে একটা পোস্ট লেখা শুরু করে দিয়েছি। অবশ্যই শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন বন্ধুরা আপনারা আমি কি বিষয়ে লিখবো আজকে। আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব মেয়েদের জন্য ঈদের জুতা কেনার মুহূর্ত। বিশেষ করে ঈদের সময় আসলে আমার বেশ ভয় কাজ করে। কারণ এত জ্যাম এর মধ্যে কেনাকাটা করতে আমার খুবই খারাপ লাগে। সবদিকেই মানুষের ভিড় আর এত ভিড়ের মধ্যে যেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু করার তো কিছু নেই যেতেই হবে কিনতে তো হবে তাই না? কিছুদিন আগে বাচ্চাদের জন্য জুতা কিনে দেওয়ার জন্য আমরা টপ টেন শো রুমে গেছিলাম।
যদিও তখন মানুষের ভিড় একটু কম ছিল। কিন্তু অনেকেই দেখবেন ভিড় না হওয়ার আগে কিনে ফেলে। বেশির ভাগ মানুষদের কেনাকাটা গুলো একটু ভিড় কম হওয়ার আগে কিনে ফেলে থাকেন। আমিও চেষ্টা করেছিলাম বাচ্চাদের জিনিস গুলো কিনে ফেলার। কারণ বাচ্চাদের জিনিস গুলো সহজে মিলাতে পারিনা খুবই সমস্যা হয়ে যায়। যখন কোন জুতা পছন্দ করতে যাব কিংবা কোন ড্রেস পছন্দ করতে যাব হয়তো সাইজে হয় না। অথবা সাইজ হলে কালার পছন্দ হয় না এই অবস্থা। কিন্তু টপ টেন শো রুমে যেয়ে বেশ ভালো লেগেছে কারণ তাদের জুতার কর্নার টা অনেক বড় ছিল। বিভিন্ন আইটেমের জুতা বেশ ভালো লাগছিল দেখে।
এত বড় একটি জুতার কর্নার মধ্যে জুতা খুঁজতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে গেলাম দুই মেয়ের জন্য। প্রথমে তো ছোট মেয়েকে পছন্দ করে দিতে হলো। সেই অনেক বেশি কান্নাকাটি শুরু করে দিল আগে সেই নিবে। যদিও ভাবছিলাম তাদেরকে জুতা কিনে দিবো না। কিন্তু তারা কিছুতেই মানছিল না ঈদের জন্য আবার নতুন জুতা কিনতে হবে তাদের। কারণ কিছুদিন আগে তাদেরকে জুতা কিনে দিয়েছিলাম। এছাড়াও স্কুলের জন্য শো কিনে দিয়েছি কিছু দিন আগে। স্কুলের শো কেনার সময় আরও অন্য জুতাও কিনেছিল। কিন্তু ঈদের জন্য আবারও নতুন জুতা কিনতে হবে তাদের দুই বোনকে। ছোট মেয়ের জুতা পছন্দ করেছি কোন রকম। ছোট মেয়ের জুতা পছন্দ করার পরে এবার আদিলার জন্য পছন্দ করতে হবে।
আদিলার ইচ্ছে হল যে একটু উঁচু টাইপের জুতো কেনার জন্য। কিন্তু সেই তো ছোট মেয়ে হিল জুতা পরে হাঁটবে কিভাবে সেজন্য তাকে খুব বারণ করলাম। কিন্তু সেই কিছুতে শুনেনা আমাদের কথা সেই হিল জুতা কিনবে। তার যে জুতো গুলো পছন্দ হয় অবশ্যই সেগুলো সাইজে পাওয়া যায় না। কিন্তু অনেকক্ষণ বুঝিয়ে বলার পরে তাকে একজোড়া কিছুটা হালকা উঁচু প্লেইন টাইপের জুতা কিনে দিলাম। অবশ্যই জুতা গুলো আমার পছন্দ হয়েছে। মেয়েরও পছন্দ হয়েছে জুতা গুলো একটু উঁচু প্লেইন হিল টাইপের ছিল। যাক কি আর করার যেহেতু সেই উঁচু জুতা কিনতে চাচ্ছে সেজন্য আমি প্লেইন জুতা গুলো কিনে দিয়েছি। তাছাড়া জুতা গুলো ভারি ও আছে।
কারণ হিল জুতা পরতে গেলে সেই হাঁটার সময় পড়ে যাবে সেই চিন্তা করে কিনে দিলাম না। জুতা গুলা পছন্দ করে নিলাম এবার পেমেন্ট করার পালা। এছাড়াও আমার জন্য এক জোড়া পছন্দ করে নিলাম। আমি চিন্তা করলাম যে আসলেই একটা শোরুমে দেখবো না আরও দুই একটা শোরুম ঘুরে দেখব আরও ভালো পাই কিনা। সেজন্য আমার জুতা গুলো সেদিন কিনি নাই আগে বাচ্চাদের জন্য কিনে নিলাম। এত ছোট বাচ্চাদের জুতার দাম যদি ২৪০০ টাকা ১৭০০ টাকা হয় ভাবতে পারছেন আপনারা কি ধরনের দাম নিচ্ছে জিনিসের। আগের মানুষ ৪/৫ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে গেলেই খুব সুন্দর করে কেনাকাটা করতে পারতো। কিন্তু এখন দেখেন পকেট ভর্তি টাকা নিয়েও নিজের পছন্দমত জিনিস গুলো কিনে আনতে পারে না।
এত জিনিসের দাম এত মানুষের ভিড় খুব অসহ্য লাগে সেগুলো দেখলে। কিন্তু করার কিছু নেই আমাদেরকে কিনতে হবে। আমাদেরকে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। সেখানে বেশ কিছু ড্রেস দেখছিলাম বাচ্চাদের জন্য। ড্রেস গুলোর দাম এত বেশি ৬-৭ হাজার টাকা মতো ছোট বাচ্চাদের একটা ড্রেসের দাম। তো কোন রকম জুতার টাকাগুলো দিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়ি অন্যদিকে দেখার জন্য। কারণ সেখানে ড্রেস গুলো খুব সুন্দর ছিল কিন্তু অনেক বেশি দাম রাখছিলেন তারা। তো আমরা চিন্তা করলাম যে আর একটু বাইরে যেয়ে ঘোরাঘুরি করে দেখলে হয়তো বুঝতে পারবো।
সেই চিন্তা ভাবনা করে আমরা বেরিয়ে পড়ি। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগ ভালই লাগবে সবার। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার- টপ টেন শো-রুম |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বাবারে এত দাম নিলো জুতাগুলোর, শুনেই তো আশ্চর্য লাগছে। আর জামাকাপড়েরও এত দাম। আসলে এটা ঠিক বলেছেন আগেকার সময়ে সবার জন্য ৫ হাজার টাকা হলেও হয়ে যেত আর এখন এক জনেরও পূর্ণ হয় না। খুব বেশি দাম জিনিসপত্রের। তবুও যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আমাদের ব্যবহার করতে হয়। যাইহোক মেয়েদের জন্য জুতা কিনেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
ঠিক বলছেন আপু অনেক দাম তারপরও আমাদেরকে কিনতে হয় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো।
জুতাগুলো সুন্দর হয়েছে আপু। আদিলার গুলোও ভালো লেগেছে আমার কাছে। জুতার যে দাম আপু, জুতা পরাই বাদ দিয়ে দিতে হবে দেখছি 🙆♂️। আগে তো সবই সস্তা ছিল। এখন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বাড়ছে।আর টপ টেনের পণ্যগুলো ভালো হয়।
অনেক দাম ভাইয়া দাম শুনলেই নাক মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হয়।
এ কথা সত্য যে হিল জুতা সবাই পায়ের দিতে পারে না। তাই অভ্যাস না থাকলে সেগুলো না পায়ে দেওয়াই উচিত। তবে আপনাদের কেনাকাটার মুহূর্তটা কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন পোস্টের মাঝে। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট।
বড়রা তো ভালো ভাবে হিল জুতা পড়তে পারে না। কিন্তু মেয়ে হিল জুতা পড়ার জন্য পাগল হয়ে গেল।
ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করছেন যেন খুব ভালো লাগলো। টপ টেন শোরুম থেকে জুতা কেনার মুহূর্ত বেশ দারুন ছিলো । আসলে কেনাকাটা করতে খুবই ভালো লাগে। শোরুম গুলোতে জুতার দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। তবে জুতা গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে পা বেশ মানাবে। টপ টেন শোরুম থেকে জুতা কেনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার শেয়ার করা পোস্ট আপনি সময় দিয়ে পড়লেন।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1775953603867627906?t=MGkY7JD6Ehsnq3KkMJ2dLw&s=19
বাচ্চাদের আগে যতই নতুন জুতা স্যান্ডেল থাক না কেন ঈদে তাদের নতুন লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এটা সত্যি আপু বাচ্চাদের জিনিস কেনা অনেক মুশকিল। আসলে পছন্দ হলে কালার নেই আবার কালার পেলে সাইজ নেই মহা ঝামেলা। আর দাম নিয়ে তো কিছু বলার নেই। যাইহোক আপু মনের মতো জুতা কিনতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চাদের জিনিস ঠিকমত মিলাতে বেশ কষ্ট হয়ে যায় আপু।
জুতাগুলোর দাম শুনে একেবারে আশ্চর্য লাগছে৷ আসলে এখানে যখন আমরা ছিলাম তখনও দেখেছিলাম যে অনেক দাম নিচ্ছিল যা একেবারেই অশোচনীয়৷ আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন আগেকার সময়ে যে অল্প টাকা দিয়ে আমরা অনেক কিছু কিনে নিতে পারতাম এখন তা দিয়ে কিছুই হয় না৷ তার থেকেও চার গুণ পাঁচ গুণ বেশি টাকার প্রয়োজন হয়৷ তবে যাই হোক মেয়েদের জন্য জুতা কিনেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷
একদম ভাইয়া অনেক বেশি দাম নিয়ে ফেলেছে উনারা।