শর্মা কিং রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার কিছু মজার মুহূর্ত।
শুভ বিকেল সবাইকে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের ভাই ও বোনেরা। আপনারা পরিবার-পরিজনকে নিয়ে সকলেই নিশ্চয়ই অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। তো আপনাদের দিন কাল কেমন যাচ্ছে @amarbanglablog বন্ধুরা। আমিও অনেক ব্যস্ত ছিলাম সকাল থেকে। একটু ফ্রি হওয়ার কারণে আপনাদের সাথে আবারও যুক্ত হয়ে গেছি। তো আজকেই অন্য একটি ব্লগিং আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের অনেক ভাল লাগবে। আপনারা তো জানেন বাইরে ঘুরতে আমার অনেক ভাল লাগে। তাছাড়া খাওয়া দাওয়া ও কম করিনা। মাঝে মাঝে ঘুরতে যেমন ভাল লাগে তেমনি খাওয়া দাওয়া করতে ও ভাল লাগে।
আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আজকে শর্মা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কিছু মুহূর্ত। তো মাঝে মাঝে বাইরে খেতে অনেক ভালো লাগে। কিছুদিন আগে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বের হয়েছিলাম। একটু হাঁটাহাঁটি করলাম সেই সাথে একটু পার্কে গিয়েছিলাম। অনেক খেলাধুলা করল বাচ্চারা। সে সাথে আমিও অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছি মেয়েদের সাথে। ওদের বাবা বিজি ছিল তাই আমি একা গেছি বাচ্চাদের সাথে। বের হলে তো কিছু খাওয়া দাওয়া করতে হবে সেটা স্বাভাবিক। না খেয়ে কি বাসায় আসা যায় তা তো কখনো হয়নি এমন। সেদিন ভাবলাম KFC তে যাবো। তো গিয়ে দেখি অবাক কান্ড। অনেক লম্বা লাইনে সবাই দাঁড়িয়ে আছে। আমার মনে হয় সেই লাইনে আমাকেও দাঁড়াতে হবে। লাইন শেষ হতে ঘন্টা দুয়েক লাগবে। ভাবলাম এত ঝামেলাই যাবো না। আজকে আর KFC তে খেতে হবে না বাচ্চাদের বললাম। তাই সোজা বেরিয়ে আসলাম KFC থেকে।
বাচ্চাদের দুই জনকে দুই হাতে ধরেছি আর এদিকওদিক থাকাচ্ছিলাম পছন্দের কোন রেস্টুরেন্ট পাই কিনা। কিন্তু রেস্টুরেন্টের কোন অভাব নাই কলাতলী রোডের মধ্যে। তো ভালো মানের নিরিবিলি পরিবেশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গা খুঁজছিলাম। যেহেতু বাচ্চাদেরকে নিয়ে বসবো তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হলে ভালো লাগে। তো শেষমেশ দেখলাম শর্মা কিং রেস্টুরেন্ট খুঁজে পেলাম। ভিতরে গিয়ে দেখলাম বেশ সুন্দর একটি পরিবেশ তেমন ঝামেলা নেই।
আমার কাছে শর্মা কিং রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন এবং অন্যান্য পরিবেশ বেশ ভালই লাগলো।
এই রোডে তো প্রায় সময় যায় কিন্তু চোখে তেমন একটা পড়েনি শর্মা কিং রেস্টুরেন্ট। খুব কাছাকাছি হওয়ার কারণেও কিন্তু আমার চোখে পড়েনি শর্মা কিং রেস্টুরেন্ট। দেখে খুব ভালো লেগেছে বাচ্চারা ও যেতে চাইলো। তাই প্রবেশ করি সেখানে। মোটামুটি কাস্টমার ছিল তবে তেমন গ্যাঞ্জাম ছিল না। ভাবতে পারেন কোয়ালিটিপূর্ণ যে রেস্টুরেন্ট গুলো আছে সেখানে একটু গ্যাঞ্জাম কম হয়। যে গুলো সচরাচর পাবলিক প্লেসে থাকে খোলামেলা সেখানে লোকজন বেশি থাকে। তো খাবারের মেনু দেখলাম বেশ ভালো মানের খাবার ছিল। অনেক ধরনের আইটেম ছিল সেখানে।
যেহেতু বাচ্চারা তো চিকেন খাবে তাই চিকেন অর্ডার করলাম। সাথে অর্ডার করি ফ্রেন্স ফ্রাই। এছাড়াও সাথে নিয়েছিলাম মিল্ক শেক। যেহেতু হালকা খাবার খাবো তাই বেশি কিছু অর্ডার করিনি। চিকেন ফ্রাই, ফ্রেন্স ফ্রাই, মিল্ক শেক, কফি এই হলো মেনু। কিছক্ষণ অপেক্ষা করলাম। শেষমেষ খাবার আনলো। খাওয়া দাওয়া শেষ করি আমরা। সেই সাথে সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিলাম। ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার খাবার গুলো। এক এক রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ এক এক রকমের। তবে এই শর্মা কিং রেস্টুরেন্টের খাবার দাবার অনেক ভালো ছিল। তাছাড়া তাদের ডেকোরেশনটা অসাধারণ ছিল। শর্মা কিং রেস্টুরেন্টে মুহূর্তটি অনেক ভালো কেটেছে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা। আশা করি আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে জানাবেন বন্ধুরা অপেক্ষায় রইলাম।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | শর্মা কিং রেস্টুরেন্ট |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বেশ ভালো লাগলো আপনার এই আনন্দঘন মুহূর্তটা দেখতে পেরে এবং বর্ণনার সাথে জানতে পেরে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার সেই আনন্দময় মুহূর্তের অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/36pqvf
বাচ্চাদের নিয়ে মাঝে মাঝে এভাবে বের হওয়া বাচ্চাদের বিকাশের জন্য জরুরি।বর্তমানে তারা পড়াশোনা ,কোচিং নিয়ে এতো ব্যস্ত যে বের হওয়ার সুযোগ নেই। বাচ্চারা কিছু ভালো সময় পার করলো আপনি বেড়াতে নেওয়ার জন্য। বাহিরে বের হও্যার অনভুতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
আপু KFC তে কি এমন বিলেতি খাবার খাওয়ায় যে দুই ঘন্টা লাইন ধরে খেতে হবে। নিজের টাকা দিয়ে খাবো,যেখানে খুশি সেখানে খাবো। খুব ভাল করেছেন KFC থেকে বের হয়ে কিং শর্মা রেস্টুরেন্টে চলে গেছেন। এটাও খুব সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। ধন্যবাদ।
ঠিক বলছেন ভাইয়া লাইনে ও দাঁড়াইলাম না। আর KFC খাবারও খাইলাম না দরকার নাই।
বাচ্চাদের সাথে নিয়ে দারুন একটি বিকেল কাটিয়েছেন সাথে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। ধধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
জি ভাইয়া ঠিক বুঝতে পারছেন আমার অনুভূতি গুলো ধন্যবাদ।
মাঝেমধ্যে ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করলে বেশ ভালোই লাগে। রেস্টুরেন্ট টা দেখে বেশ পরিপাটি লাগছে।বাচ্চারাও খুব খুশি হয়েছে। আমার ছেলেও এমন বাহিরে গেলে খুব খুশি হয়। বিশেষ করে রেস্টুরেন্টে গেলে। ধন্যবাদ আপু রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চাদের জন্য বড় জোর ৪/৫ থাকতে পারি না ঘরে খুবই বিরক্ত করে বের হওয়ার জন্য।
মাঝেমধ্যে বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে ঘোরাঘুরি বা টুকিটাকি খাওয়া-দাওয়া করতে বেশ ভালই লাগে।kfc তে খেতে গিয়ে লম্বা সিরিয়ালের কারণে আপনি কিং শর্মা রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছে।কিং শর্মা রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়ার কিছু ফটোগ্রাফি ও আপনার অনুভূতি গুলো খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপু।
খুবই মজার ছিল ভাইয়া খাবার গুলো এবং সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম।
Twitter