বিকেলের নাস্তায় "কলা দিয়ে মজাদার মিষ্টি বড়া"।।০১.০৭.২০২।।
আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। সেই সাথে সবার সুস্থ্যতা কামনা করছি সবাই যেন ভাল ও সুস্থ্য থাকেন।
আমি ও অনেক ভাল আছি এবং সুস্থ্য আছি। আমি প্রতি দিনের ন্যায় আজ ও হাজির হয়েছি নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে আশা করি সকলের ভাল লাগবে। সবাই পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন।
আমার আজকের ব্লগিং লেখা হচ্ছে রেসিপি। আমার আজকের রেসিপি হলো কলা দিয়ে কিভাবে মজাদার মিষ্টি বড়া তৈরী করা যায় তা শেয়ার করবো।
নিম্নে আমার মূল রেসিপির উপকরণ দেওয়া হলোঃ
উপকরণ সমূহঃ
উপকরণ প্রণালী | পরিমাণ সমূহ |
---|---|
বেশি পাঁকা কলা | ৩/৫ টি |
ময়দা/আটা | ১ বাটি |
চাউলের গুঁড়া | ১ বাটি |
চিনি | পরিমাণ মত |
নারকেল | পরিমাণ মত |
বেকিং সোডা | পরিমাণ মত |
লবণ | পরিমাণ মত |
তেল | পরিমাণ মত |
ডিম | ১/২ |
পরিমাণ মত কলা নিবো যত টুকু অন্যান্য উপকরণ(ময়দাও চাউলের গুঁড়া) নিব এর সাথে যত টা কলা লাগে। আপনার পছন্দ মত বেশি বা কম।
কলার চামড়া নিয়ে পেলবো।
হাত বা অন্য কিছুর সাহায্যে পেস্ট করে নেব।
পেস্ট করা শেষ।
সব উপকরণ একসাথে।
পেস্ট করা কলার মধ্যে একে একে সব উপকরণ দিতে হবে।
কলার পেস্টে সব উপকরণ দেয়া শেষ।
এবার হাত দিয়ে সব উপকরণ ভাল করে মিক্স করে নিতে হবে।
যদি পানির প্রয়োজন হয় তাহলে পানি দিতে হবে।
আমি এখানে একটা ডিম নিয়েছি আপনারা চাইলে আরও ডিম দিতে পারেন।
ডিম দিয়ে দিয়েছি।
ভাল করে মিক্স করে নিব।
ঢাকনা লাগাই দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিব।
()
পরিমাণ মত তেল নিয়েছি।
একটা রান্নার জন্য খালি পাত্র নিয়ে চুলায় বসায় দিয়েছি।
পাত্র টি গরম হয়ে আসলে অল্প পরিমাণ তেল দিব। কারণ আমি ডুবা তেলে ভাজবো না।
তেল গরম হয়ে আসলে অল্প অল্প করে কলা ও ময়দার তৈরী করা পেস্ট দিবো।
কিছুক্ষণ পর পর এদিক-ওদিক করে উল্টায় দিবো যাতে দুই দিক ভাল করে ভাজা হয়।
উল্টায় দেওয়া শেষ।
ভাজা শেষ হয়ে এসেছে।
এবার পরিবেশনের কাজ। বিকেলের নাস্তায় সাথে চা বা কপি রাখতে পারেন। অনেক স্বাদের একটি নাস্তা। কলা দিলে আলাদা একটা স্বাদ এবং প্লেবার চলে আসে। আপনারা ও বাসায় তৈরী করে খেতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করি।
নিম্নে ছবির বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলোঃ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Wiko,T3 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
মডেল | W-V770 |
লোকেশন | বাসায়, কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
আজ এই পর্যন্ত বন্ধুরা সাথে থাকবেন পরবর্তি রেসিপির জন্য। আপনাদের মন্তব্য আমার কাজের প্রতি অনেক আগ্রহ বেড়ে যায়। তাই বেশি বেশি মন্তব্য করবেন আর পাশে থাকবেন।সবাই সুস্থ্য ও ভাল থাকবেন।
আমি সামশুন নাহার হিরা
কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
@samhunnahar
বিকেলের নাস্তায় কলা দিয়ে মজাদার মিষ্টি বড়া অনেক চমৎকারভাবে তৈরি করেছেন। যে কোন কিছুর বড়া খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর বিকেলের নাস্তা এত চমৎকার বড়া হলে তো কোন কথাই নেই। খুবই লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কলা দিয়ে আমিও এভাবে বাসায় পিঠা বানাই। এই পিঠাগুলো খেতে খুবই মজাদার হয়। আপনার পিঠাগুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পড়লে সত্যি অনেক ভাল লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিকেলের নাস্তা হিসেবে আপনি অনেক মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কলা দিয়ে মিষ্টি বড়া এর রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। কমিউনিটিতে আমরা অনেক মজাদার মজাদার রেসিপি দেখতে পাই যেগুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,আমাদের কমিউনিটিতে নতুন ও সুন্দর মজাদার রেসিপি আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি।
মাঝে মাঝে বাজারে অনেক পেকে যাওয়া কিছু কলা পাওয়া যায় আমি ওই কলাগুলো দেখলেই কিনে নিয়ে আসি এই কলা পিঠাটি খাওয়ার জন্য। আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে এই কলা পিঠা।
আপনি ঠিক যে পদ্ধতিতে এই কলা পিঠা তৈরি করেছেন আমাদের বাসায় ও ঠিক একইভাবে এই কলা পিঠা তৈরি করা হয়। তবে সেগুলো ডুবো তেলে ভাজা হয়।
খুব ভালো লাগলো আপনার এই কলা পিঠা তৈরির রেসিপিটি দেখে।
ভাইয়া ডুবা তেলে ভাজলে আর ও স্বাদ হয় কিন্তু গ্যাসের সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এভাবে আমি তৈরী করি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেলাম আপু ।এরকম পাকা কলা দিয়ে তো কখনো বড়া বানিয়ে খাওয়া হয়নি । দেখে তো মনে হচ্ছে খেতেও খুবই মজা হয়েছে ।আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে কলা দিয়ে বড়া বানানোর প্রক্রিয়া দেখিয়েছেন । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।বাসায় তৈরী করে খাবেন ভালো লাগবে।
আপনি কলা দিয়ে বড়া সুন্দর একটি রেসিপি বানিয়েছেন। দেখে মনে হয় খুবই সুস্বাদু হবে। আপনি সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি যে কলা দিয়ে বড়া তৈরি করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে খুব মজা হবে। এর ভিতর যে উপকরণগুলো দিয়েছেন এগুলো দিয়ে আমাদের বাড়িতেও বড়া তৈরি করা হয় খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর এর ভিতর নারিকেল দেওয়ার কারণে এটা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়।
সত্যি বলছেন ভাইয়া অনেক মজার একটি পিঠা।
আপু কলা দিয়ে তৈরি পিঠা খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। আর আপনি তো দেখছি সুস্বাদু এই পিঠাতে নারিকেল যোগ করেছেন। এতে করে পিঠার স্বাদ আরো অনেক বেড়ে যাবে। কলা দিয়ে তৈরি পিঠা খেতে আলাদা একটা ফ্লেভার পাওয়া যায় যার কারণে আমার কাছে এই পিঠাটি খেতে খুবই ভালো লাগে। কলা দিয়ে কিভাবে এই মিষ্টি বড়া তৈরি করা যায় তার প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু বিকেলের নাস্তা হিসেবে এই রেসিপিটি একদম পারফেক্ট। আমিও অনেকদিন আগে এই কলার রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। এই রেসিপিটি খেতে অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে। তাই এর স্বাদ কিরকম তা আমার কাছে অজানা নয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আরো সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার দিন আপু।
এভাবে আমাদের ফ্যামিলিতে মাঝে মধ্যে কলা ও ডিমের সমন্বয়ে দারুন সব টেস্ট জাতীয় বড়া তৈরি করা হয়ে থাকে। অবশ্য খুব ভালো লাগে মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়, পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। বেশ ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর বড়া বানানোর প্রসেস দেখে এবং উপস্থাপনা দেখে।