কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটন মেলা- ( চতুর্থ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

সবাইকে শুভ সন্ধ্যা,

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের প্রিয় ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে বেশ ভালই আছি। ভালো থাকার চেষ্টা করি শত ব্যস্ততার মাঝেও। কারণ ভালো না থাকলেই কোন কিছু ঠিকঠাক চলবে না। যদিও আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি টা তেমন সুবিধার নয়। কি আর করার সবকিছু তো আমাদেরকে মেনে নিতে হবে। মেনে নেওয়া হচ্ছে আমাদের জীবনের পরম ধর্ম। বন্ধুরা শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের সাথে ভালো মন্দ শেয়ার করতে বেশ ভালই লাগে। আজ আমি আবার উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে আমার ভালো মন্দ শেয়ার করার জন্য। কারণ বাংলা ভাষায় ব্লগিংয়ের মাধ্যমে নিজের মনের কথা গুলো বেশ সুন্দর ভাবে সবার সাথে উপস্থাপন করা যায়। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে আমার ভালো লাগার অনুভূতি।

m .jpg

m1.jpg

আমি আজকে যে বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব তা হচ্ছে কক্সবাজার পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরির চতুর্থ পর্ব। আমি আপনাদের সাথে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম বেশ অনেক দিন আগে। তবে মধ্যে অনেক গ্যাপ চলে গেছে। ভাবছি আপনাদের সাথে আজকে চতুর্থ পর্ব শেয়ার করব। তৃতীয় পর্বে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম মেলা থেকে সমুদ্র পাড়ে নেমে যায় বাচ্চাদের সাথে। সেখানে দোলনাতে বাচ্চাদের চড়ানো হয়। তারপরে সেখান থেকে নেমে আবারো সেই সোজা আগের গন্তব্য স্থলে আমরা পৌঁছে যায়। তো আমরা আবারও ঘুরে ফিরে একই জায়গায় গেলাম। দেখতেছি সেখানে অনেক গান হচ্ছে। কিন্তু প্যান্ডেলের কাছাকাছি গেলাম।

m7.jpg

m8.jpg

আসলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে দেখার সুযোগ ছিল না অনেক মানুষের ভিড় ছিল। তো সেখান থেকে আবার ফিরে এসে বড় প্রজেক্টে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ গান শুনলাম। তারপরে দেখছিলাম ঘুরে ঘুরে চারপাশের দৃশ্য গুলো। এত ভালো লাগছিল পরিবেশটা মানুষের অনেক ভিড় ছিল। তাছাড়া অনেক হোটেলের পক্ষ থেকে সেখানে বিভিন্ন কর্নার নিয়ে দোকান বসছিল। তো সেখানে বিভিন্ন হোটেলের পক্ষ থেকে বুকিং এর মাধ্যমে ডিসকাউন্টে ছিল। কোন কোন হোটেলে ডিসকাউন্ট দিচ্ছিল ২৫%। আবার কোন কোন হোটেলে দিচ্ছিল ৭০%। আবার কিছু কিছু হোটেলে দিচ্ছিল ৫০% এই অবস্থা।

m9.jpg

m10.jpg

m11.jpg

বেশ ভালই লাগছিল তবে পর্যটকের আনাগোনা অনেক বেশি ছিল যেহেতু ডিসকাউন্ট পাচ্ছিল তাই। কিন্তু খাবারের মধ্যেও ছিল সেইম অবস্থা। ভাবছিলাম একটা রেস্টুরেন্টে বসে খাব। সেখানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের শাখা বসেছে। যেগুলো ভালো মানের রেস্টুরেন্ট তাদের শাখা মেলাতে এসেছিল। তো সেখানেও ছিল ১৫% পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট। ১৫ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট মানে আসলেই এগুলো কোন ব্যাপার না। কিন্তু সমস্যা হল যে বসার জায়গা পাইলাম না। যেহেতু সবাই সব জায়গা থেকে আসলো তাই সেখানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল নিরিবিলি পরিবেশে বসে।

m3.jpg

m13.jpg

m4.jpg

সেখানে অনেক লাইটিং ছিল খুবই সুন্দর ছিল। অলিতে গলিতে নিরিবিলি জায়গাটিতে অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল লাইটিং করে। সবাই দেখছিলাম সেখানে ভিডিও করছিল এবং খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিচ্ছিল। তাছাড়া ছোট ছোট গলি ছিল সেখানে ছেলেমেয়েরা বসে আড্ডা দিচ্ছিল। পরিশবেশটা বেশ সুন্দর ছিল। তাই বসে খেতে চেয়েছিলাম এমন সুন্দর পরিবেশে। আসলেই খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টা বড় কথা না। সেখানকার পরিবেশটা আমি অনেক বেশি এনজয় করেছিলাম। আমার কাছে এতই ভালো লেগেছিল প্রতিটি মুহূর্ত আমি শুধু দেখছিলাম আর ঘুরে ফিরে দেখছিলাম।

m5.jpg

m6.jpg

সেই সাথে বাচ্চাদেরকে কিছু মিষ্টি দই খাওয়ালাম। যেগুলো খাঁটি বগুড়ার দই ছিল। চিপস খেলাম এছাড়া ফুচকা খেলাম। ঘুরে ঘুরে শুধু খাচ্ছিলাম আর দেখছিলাম। পরিবেশটা অনেক বেশি ভরপুর হয়ে গেছিল যখন রাত বেশি হচ্ছিল। বন্ধুরা কিছু দূর যেয়ে দেখলাম মালাই চা বিক্রি করতেছে। যেহেতু এটা ওটা খাওয়া হলো একটা চা খাওয়ার জন্য চলে গেলাম সেখানে। তখন বাচ্চারা বলল তারা ও মালাই চা খাবে। সেই দোকানে বসে মালাই চা অর্ডার করে নিলাম। আসলে যেটুকু আশা করছিলাম মালাই চা খাওয়ার ক্ষেত্রে। আমি কিন্তু মালাই চায়ের কোন র স্বাদ পাইনি। আমার কাছে অনেক বাজে মনে হয়েছিল।

m15.jpg

m17.jpg

এসব বাইরের কিছু কিছু দোকান থেকে খাওয়া মোটেই ভালো মনে করি না আমি। কারণ কখনের মালাই বা কিসের মালাই হিসাব নেই বলা যায় না। যখন নিলাম তখন কষ্ট করে খেয়ে নিলাম। টাকা গুলো পেমেন্ট করার পরে আবারো হাঁটা শুরু করে দিলাম। কিন্তু সেই দিন আমরা অনেক হাঁটাহাঁটি করেছি সেখানে। অনেক ঘুরাঘুরি করেছি। সেই সাথে কিছু টুকটাক কেনাকাটাও করেছিলাম। আবার বেশ খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ অনেক হয়ে গেছিল। কারণ কয়েকটা আইটেম খেয়েছিলাম অল্প অল্প করে। পেট অনেক ভরে গেছিল।

m12.jpg

m14.jpg

তো সেখান থেকে উঠে যাওয়ার পরে আরেকটি কর্নারে গেলাম। আসলে সেখানে দেখছি বাচ্চাদের জন্য অনেক খেলনার আইটেম ছিল। যেহেতু ছোট মেয়ে খেলতে চাইছিল তাই আমি ওকে বসাইয়ে খেলার সুযোগ করে দিলাম। সে কিছুক্ষণ সেখানে বসে অনেক খেলাধুলা করেছিল। তো আমি বসে বসে এদিক ওদিক কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম।

m16.jpg

বন্ধুরা আজকে এখানে শেষ করছি আবার উপস্থিত হবো আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্ব নিয়ে।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Location কক্সবাজার
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7DiLvzq9baKkST8T1mkhiizFXSFVv2PXDydTeMWpnYK2gToiY733FT9uwSdBSXWz7RnGmzsa8Pr9pGoyYaQFsuS3p.png

New_Benner_ABB1.png

Sort:  
 9 months ago 

জীবনের খারাপ কিংবা ভালো পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা সবসময় নিজের কাজগুলো করার চেষ্টা করি আপু। যাই হোক বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাই অনেকটা খারাপ সময় কাটাচ্ছে।পর্যটন মেলায় গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো আপু। সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। মেলায় যেসব খাবারের দোকান বসে সেই দোকানগুলো থেকে কোন কিছু কিনে খেতে আমার কাছেও কেমন জানি লাগে আপু।

 9 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে। কিন্তু কি আর করার দেশের পরিস্থিতি সবাইকে তো মেনে নিতে হবে। আপনি আমার ব্লগটা পড়লেন বেশ ভালো লাগলো।

 9 months ago 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটন মেলার আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে মেলায় গেলে খুব ভালো লাগে। অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায়। বেশ কিছু খাবারের দোকান বসেছে মেলাতে দেখে ভালো লাগলো। মালাই চা খাওয়ার অনুভূতি বেশ দারুন। মেলার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। মেলাতে কাটানো মুহূর্ত গুলো অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 9 months ago 

মেলার আনন্দটা অন্যরকমের উপভোগ করার মত হয়। যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন কিছু জিনিস দেখার সুযোগ হয় তাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 9 months ago 

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59032.15
ETH 2518.27
USDT 1.00
SBD 2.46