গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার প্রস্তুুতি।
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সকলে ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। তবে অনেক ব্যস্ত সময় পার করতেছি ঈদকে কেন্দ্র করে। আমি এখনো গ্রামে অবস্থান করতেছি। কোরবানির ঈদে এতটা ব্যস্ততায় ছিলাম আসলে বলে বুঝানোর মত নয়। যেহেতু গ্রামে আাসলাম সকল আত্মীয়-স্বজনদেরকে রান্না করে খাওয়া দাওয়া করালাম বেশ ভালই লাগলো।
একটু কষ্ট হলেও তবে বেশ আনন্দ আছে তাতে। ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে এসেছি আমি গ্রামে ঈদ করতে বাচ্চাদেরকে নিয়ে। বাচ্চাদের যখন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছিল তখন ওদের অস্থিরতায় থাকতে না পেরে চলে এসেছিলাম। তাছাড়া আমার শাশুড়ির মৃত্যুবার্ষিকীর দিন ছিল সেই জন্য একটু আগে ভাগে চলে আসছিলাম। আজ কিন্তু গ্রাম থেকে শহরে চলে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
বিকেল বেলায় চলে যাব তাই চিন্তা করলাম বিষয়টি আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করে নিলে কেমন হয়। কারণ এতটা ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম আপনাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনাই। তাই অনেক বেশি মিস করেছি সবাইকে। জানি না যাবার সময় কত বড় ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। কারণ ঈদের সময় জেটির মধ্যে অনেক বেশি জ্যাম লেগে যায় সবাই গ্রাম থেকে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেই তাই।
গ্রামকে অনেক মিস করবো কারণ গ্রামে আসলে অনেক আনন্দ করা যায় প্রকৃত ঈদ কি জিনিস তা অনুভব করা যায়। সবার সাথে খুব সুন্দর একটি বন্ধুত্ব সুলভ জীবন যাপন করা যায়। সকাল থেকে অনেক ব্যস্ত আছি বাড়ির জিনিস পত্র সব এলোমেলো। যেহেতু চলে যাবো তাই একটু গুছিয়ে নিতে হবে তাই অনেক ব্যস্ত ছিলাম। সবার যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বজায় রেখে একটু সাবধানতা অবলম্বন করে যাবেন।
আপনাদের যাত্রা শুভ হোক এবং নিরাপদে গ্রাম থেকে শহরে যাতে পৌঁছাতে পারেন এই প্রত্যাশা করি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যেতে পারি। আর যাদের বাচ্চা আছে তাদেরকে একটু ভালভাবে দেখবেন যাতে কোন ধরনের বিপদ আপদ না হয়। যেহেতু কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে তাহলে যাতায়তে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | Device-Wiko-T3 |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
রাইটিং ক্রিয়েটিভিটি | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/2vgcxd
গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার অনুভূতি সত্যিই কষ্ট কর।গ্রামের মায়া ছাড়তে মন চায় না। আপনি খুবই সুন্দরভাবেই সেই অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন তাই খুবই ভালো লাগলো আর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া যখন গ্রামে ঘুরতে যাই তখন গ্রাম থেকে চলে আসতে অনেক কষ্ট হয়।
ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ফিরে এসেছেন একদিকে ভালো হয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার সময় কাছাকাছি চলে এলে রাস্তাঘাটে জ্যাম অনেক বেড়ে যায়। কোরবানির ঈদে সবাই খুব ব্যস্ত থাকে। ব্যস্ততা থাকলেও সবাই একসাথে থাকার কারণে বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমরা পার করি। আপনার গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে পড়ে ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে চলে আসার একটা কারণ হলো আগামী সপ্তাহ থেকে বাচ্চাদের স্কুলে পরীক্ষা শুরু হবে তাই।
ঈদ আসার পূর্ব মুহূর্ত সবাই সহজে গ্রামে আসার আনজাম শুরু করে। ঠিক ঈদের একদিন বা দুইদিন পরে আবারও সেই শহর মুখি হওয়ার জন্য সবাই প্রস্তুতি নেয়। গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বেশ ধন্যবাদ।
যখন গ্রাম থেকে শহরে চলে আসি তখন বেশ খারাপ লাগে কারণ গ্রামের মাইয়া ত্যাগ করতে ইচ্ছে করে না।
গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার প্রস্তুুতি। আসলে আপু এই পোস্টটি টা একটু কষ্টকর কারণ পিতা-মাতা সকলকে গ্রামে রেখে আবারো সেই শহর মুখী হতে হয়। গ্রাম শহর দুটো যেমন ভিন্ন শব্দ তেমনি। মানুষগুলো তেমনি ভিন্ন রকম। কোরবানির ঈদে আপনি বাড়ি এসে সবার সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছেন এই অনুভূতিটা খুব ভালো লেগেছে শুনে ধন্যবাদ আপু শুভকামনা রইল আপনার জন্য যেন আপনার যাত্রা ভালো হয়।
হ্যাঁ ভাইয়া মুহূর্তটি তখন বেশ খারাপ লাগে কারন সবাই গ্রামে থাকে সবার সাথে আবার কখন দেখা হয় কথা হয় সেগুলোর জন্যই বেশ খারাপ একটা অনুভূতি চলে আসে।
Twitter Share kink