||বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির- (পর্ব-৭)||
সবাই কেমন আছেন??
আমি@samhunnahar।
আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশ থেকে।
প্রিয় বাংলা ব্লগ বাসিরা আজ আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা সবাই কমবেশি সকলেই চেষ্টা করি পোষ্টের মধ্যে ভিন্নতা আনার। আমিও চেষ্টার কমতি রাখি না তবে সময় স্বল্পতার কারণে ইউনিক কিছু তৈরি করতে মাঝে মাঝে ব্যর্থ হয়। আজ আমি আবারো চলে এসেছি বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির ৭ম পর্ব নিয়ে। গত পর্বে যে বিষয় শেয়ার করেছি বেশ সাড়া পেয়েছি আপনাদের। আসলেই এখানে সবাই এত সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণা দেন অনেক ভাল লাগে কাজ করতে। গত ৬টি পর্ব আমি শেয়ার করে বেশি অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ পেয়েছি আপনাদের কাছ থেকে।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় বন্ধুরা আজ আর কথা না বাড়িয়ে আমার পোষ্টের মূল পর্বে চলে যাচ্ছি। শেয়ার করব বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামের থেকে সংগ্রহ করা সুন্দর সুন্দর কাপড়ের ফটোগ্রাফি। আমরা যখন সময় সল্পতার কারণে খুব দ্রুত দেখে দেখে চলে যাচ্ছিলাম তখন কিন্তু ফটোগ্রাফি করার জন্য উনারা নিষেধ করে দিয়েছিল। কিন্তু আমি তাদেরকে ফাঁকি দিয়ে যতটুকু সম্ভব এই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম। আমি তো তৃতীয় তলায় এই দৃশ্য দেখে অনেক মুগ্ধ হয়ে গেছি। কারণ এত সুন্দর সুন্দর তাঁতের কাপড়, মসলিন কাপড়, বেনারসি ও অনেক নামকরা সেই বাঙালির ঐতিহ্যের কাপড় গুলো এখানে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
আমরা সবাই অবশ্যই অবগত যে বাংলাদেশে কাপড়ের জন্য অনেক বিখ্যাত। এদেশে এত বেশি কাপড় উৎপাদন হয় দেশের চাহিদা মিটিয়ে ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে কাপড় রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। সেই বাস্তব নিদর্শন আমি দেখতে পেয়েছি বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে। মসলিন কাপড় কিন্তু বিশ্বের নাম করা কাপড় হলেও চোখে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে দেখেছি এই কাপড় গুলো এত সফট ছিল বলার মত না। অনেক পাতলা কিন্তু আরাম এবং অনেক সুন্দর।
কিন্তু বই পুস্তকে দেখেছি এবং নাম শুনেছি বিখ্যাত মসলিন কাপড়ের। বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে সরাসরি দেখার সুযোগ হয়েছে এই কাপড়। মূলত এখানে যে কাপড়ের ফটোগ্রাফি গুলো আমি সংগ্রহ করেছিলাম সেখানে মসলিন কাপড়, তাঁতের কাপড়, বাংলার সেই ঐতিহ্য বেনারসি, ভিন্ন ধরনের হাতের কাজের নকশি কাঁথার কাপড়, জামদানি ও এছাড়া অনেক কিছুই ছিল। এক কথায় বলতে গেলে কাপড়গুলো দেখে একদম চোখ জুড়িয়ে গেছিল। যে কাপড় গুলো সেখানে ছিল খুব সাধারণ পরিবারের সদস্যরা পরতো না যারা রাজ পরিবারের, জমিদার বংশীয় তারা এই দামি কাপড় গুলো ব্যবহার করতেন।
আজ আমরা যে কাপড় গুলো পরিধান করতেছি সে কাপড়ের পেছনে অনেক ইতিহাস এবং অনেক অবদান-লোকিত রয়েছে। আগেকার মানুষ তো কাপড় পরিধান করতে পারতেন না তারা গাছের ছাল কিংবা গাছের পাতা মুড়িয়ে থাকতেন। এক সময় মানুষ আবিষ্কার করতে থাকেন কিভাবে কাপড় তৈরি করা যায়। সে অদম্য প্রচেষ্টায় আমরা কাপড় নিয়ে আজ বিলাসিতা করতেছি। একটা জিনিস আমি খুব খেয়াল করি সেটা হচ্ছে যে বর্তমান সময়ে কিন্তু কাপড়ের দাম এত বেশি মনে হয় না আমার কাছে।
গত এক বছর কিংবা দু’বছর আগেও কাপড়ের দাম অনেক কম ছিল মনে হত আমার। কিন্তু বর্তমান সময়ের মধ্যে জিনিসের দাম উর্ধগতি হলেও কিন্তু এর আগে কাপড়ের দাম অনেক কম ছিল। সবাই নিজের পছন্দমত নিজের চাহিদা মত কাপড় কিনে চাহিদা মেটাতে পারতেন। আজও সে তুলনায় অন্যান্য জিনিসের দামের তুলনায় কাপড়ের দাম অনেক কম মনে করি আমি। তবে আপনাদের মতামত কেমন সেটা কমেন্ট বক্সে জানালো অনেক ভালো লাগবে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | w3w |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/2q37ik-or-or-or-or
ফটোগ্রাফি করা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও আপনি কিন্তু দারুণভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। আসলে এরকম সুন্দর জায়গায় গেলে ফটোগ্রাফি না করলে একদম ভালো লাগেনা। বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির বেশ কিছু পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এবার নতুন পর্ব দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
অনেক সুন্দর ছিল আপু কাপড় গুলো দেখতে আমি তো ছবি করা নিষেধ করার সত্ত্বেও লুকিয়ে লুকিয়ে সব ফটোগ্রাফি করেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে প্রতিনিয়ত অনেক বেশি উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আমাদের জাতীয় জাদুঘর অনেক সমৃদ্ধ। একটি দেশের ইতিহাস ,অতীত জাদুঘরে গেলে জানতে পারা যায়। আমাদের জাদুঘরের সংগ্রহশালা থেকে নেয়া কাপড়ের ফটোগ্রাফি ভাল হয়েছে। ঠিক বলেছেন আপু অন্যান্য জিনিস প্ত্রের তুলনায় কাপড়ের দাম কম বেড়েছে।শুভ কামনা আপনার জন্য আপু।
হ্যাঁ আপু এই জাদুঘরে একটি দেশের অতীত বর্তমান সবকিছুর ইতিহাস খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয় যা জাতি জানতে পারে সেখান থেকে অনেক কিছু।
আপনি কয় হাজার ছবি তুলেছেন যে আপনার ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘুরাঘুরির এপিসোড শেষ হয় না। নিষেধ থাকা স্বত্বেও এত ছবি কি করে তুললেন। আর আপনার এভাবে ঘুরাঘুরি দেখে তো আমারও যেতে মন চাইছে।
আপনারাও যেহেতু মন চাইছে ঘোরাফেরা করার তাহলে আপনি কক্সবাজার চলে আসেন।