লাইফ স্টাইলঃ-পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরি এবং কিছু কেনাকাটা।
সবাইকে শুভ দুপুর বন্ধুরা!
প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম? বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই বেশ ভালই আছেন কর্মব্যস্ততা নিয়ে। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটাচ্ছেন সেই প্রত্যাশা করি। দিন শেষে আমাদেরকে পরিবারের কাছে ফিরে আসতে হয় পরিবারের সাথে থাকতে হয় পরিবারের সাথে সময় অতিবাহিত করতে হয়। তাই আমাদেরকে সর্বপ্রথম প্রাধান্য দিতে হবে পরিবারকে। কারণ পৃথিবীর সবকিছু ছেড়ে গেলেও পরিবার আপনাকে ছেড়ে যাবে না কিংবা আমাকে ছেড়ে যাবে না। কারণ শুধু দুঃখের মাঝে পরিবার সব সময় কাছে থাকে। যাক অনেক কথাই বলে ফেলেছি আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে।
সব সময় ভালো থাকার চেষ্টা করি। যদিও ভালো থাকার চেষ্টা করি সব সময় কিন্তু মাঝে মাঝে খারাপ সময় গুলো কোথা থেকে যেন চলে আসে। সেগুলো যেকোনো ধরনের খারাপ সময় হতে পারে। মানসিক সমস্যা কিংবা পারিপার্শ্বিক সমস্যা যেকোনো ধরনের হতে পারে। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরি মুহূর্ত। আপনাদেরকে তো আমি বেশ কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম পর্যটন মেলার। ইতিমধ্যে আপনারা অনেকেই কক্সবাজার থেকে ঘুরে গেছেন। পর্যটন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল লাবনী পয়েন্ট এবং সুগন্ধা পয়েন্টে যাওয়ার পুরো রাস্তাটি ঘিরে। অনেক দীর্ঘ একটি জায়গা ঘিরে পর্যটন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তাছাড়া ও লাবনী পয়েন্টে যাওয়ার বাম সাইডে অনেক গুলো খালি জায়গা আছে সেখানে অনেক ধরনের শপ বসে ছিল। বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছিলাম। হয়তো আগামী বছর আবারও এমন সুন্দর একটি পরিবেশ ফিরে পাব। যদিও পর্যটন মেলায় অনেক খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম ঘোরাঘুরি করেছিলাম। তবে তেমন কিছু কেনাকাটা করা হয়নি সেখান থেকে। মেলার মধ্যে যেসব বিষয় গুলো দেখা যায় সব সময় প্রায় কমন জিনিস দেখা যায়। তাছাড়াও খাবার দাবার তো আছেই। ঘুরে ঘুরে অনেক কিছু দেখছিলাম সেই সাথে খাওয়া-দাওয়াও করছিলাম। এমন কিছু জিনিস বাদ ছিল না পর্যটন মেলায় বসে ছিল। তার মধ্যে শুটকির দোকান গুলো বেশ ভালই লাগছিল।
সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছিল বড় বড় লাক্কা মাছ গুলো দেখে। আরও বেশি ভালো লাগছিল নোনা ইলিশ গুলো দেখে। কারণ নোনা ইলিশ আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে নোনা ইলিশ কে যখন ঝাল ঝাল করে ভুনা করা হয় ভীষণ মজার হয় গরম ভাতের সাথে। তো আমি সেখান থেকে কিছু কেনার চেষ্টা করেছিলাম। তাছাড়া ও মেলার একটা বিষয় আমার খুব বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন ধরনের শুকনো নাস্তা গুলো খেতে বেশ ভালোই লাগে। যেগুলো কিনে এনে ঘরের মধ্যে অনেক দিন পর্যন্ত রাখা যায়। কারণ শুকনা জিনিস গুলো সহজে নষ্ট হয় না। যার কারণে সংগ্রহ করে বেশ কিছুদিন খাওয়া যায়। সেই খাবার গুলো আমি মেলা থেকে বেশি ক্রয় করি। সেখান থেকেও আমি অনেক গুলো খাবার দাবার ক্রয় করেছিলাম।
যেগুলো পরবর্তীতে বাসায় অনেকদিন খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল বলতে হয়। সেখানে দেখছিলাম বেশ সুন্দর সুন্দর ব্যাগের দোকান বসে ছিল। তাছাড়া যখন ব্যাগের দাম জিজ্ঞেস করতে যাই তখন অনেক বেশি দাম বলেছিলেন। কিন্তু ব্যাগ গুলো খুবই ভালো মানের ছিল। ইচ্ছে থাকার সত্বেও ব্যাগ আমি কিনি নাই। কারণ অনেক বেশি এক্সপেন্সিভ হয়ে যাচ্ছিল। কিছু কিছু জিনিসের দাম অনেক বেশি নিয়ে ফেলে। মানুষ মেলায় ঘুরাঘুরি করতে যাই ভিন্ন ধরনের কিছু জিনিস চোখে পড়লে নেওয়ার জন্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেলায় অনেক জিনিসের দাম কম থাকে। তো সেইখান থেকে ঘোরাঘুরি করে কম দামে ভালো মানের জিনিস গুলো কেনা যায়। কিন্তু মেলায় জিনিসের দাম বাড়তি শুনলে ভীষণ খারাপ লাগে।
সবচেয়ে একটি দৃশ্য বেশি ভালো লেগেছে তা হচ্ছে পর্যটন মেলাকে এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। ছোট ছোট ছাতা গুলো আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছিল। যদিও যেদিন পর্যটন মেলা উদ্বোধন করা হয়েছিল সেই দিন পুরো রাস্তার মধ্যে ছোট ছোট ছাতা দিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই দৃশ্যটি আমি আর দেখতে পাইনি। হয়তো ছাতা গুলো খুলে নেওয়া হয়েছিল। কিছু কিছু দোকানের মধ্যে সেই কালারিং সুন্দর ছাতা দিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। বিশেষ করে যেসব দোকানের মধ্যে এপার্টমেন্ট লেনদেন হচ্ছিল সেসব জায়গায়। পর্যটন মেলায় অনেক ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে অনেক সুলভ মূল্যে ভীষণ ভালো লেগেছে বিষয়টি। যদিও আমরা সেই দিকে যায়নি সেই বিষয়টা আমাদের মাথায় ছিল না।
কারণ আমাদের মাথায় আছে নিজেদের জায়গায় একটা ঘর করে থাকবো। ফ্ল্যাট বাড়ি আমার একদম ভালো লাগেনা কেন জানিনা। তবে নিরুপায় হয়ে অনেকের নিতে হয় ফ্ল্যাট বাড়ি। যদিও তা নিজের ঘরের মতো করে থাকা যায় না। সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ একটি সময় কাটিয়েছিলাম। পর্যটন মেলা বেশ কয়েকদিন যাবৎ ছিল। আমিও বাচ্চাদেরকে নিয়ে এবং বাচ্চার বাবাকে নিয়ে বেশ কয়েকবার পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরি করেছিলাম। অনেক গুলো পর্ব আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তবে আজকের ফোনের গ্যালারিতে পর্যটন মেলার আরো কিছু দৃশ্য দেখতে পেয়েছি। ভাবলাম সেই মুহূর্ত গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে ব্লগিং করি।
আশা করি বন্ধুরা আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। আমার আজকের শেয়ার করা পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরি এবং কিছু কেনাকাটার মুহূর্ত। সময় দিয়ে দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সবাইকে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার পর্যটন মেলা |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
এর আগে আপনি এরকম পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরি শেয়ার করেছিলেন আপু। আজকের পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে। আপনি আপনার মেয়েদের এবং ভাইয়াকে সাথে নিয়ে অনেকবার মেলাতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। সত্যি বলতে যেকোনো মেলায় ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে সময় দিয়ে আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য।
আপনি দেখছি পর্যটন মেলায় ঘুরতে গিয়েছে খুব দারুণ একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন যা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখে বোঝা যাচ্ছে। তবে আপনি দেখছি এই মেলা খুব সুন্দর ভাবে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং কেনাকাটাও করেছেন তবে গুরির খুরমা দেখে আমি লোহার সামলাতে পারছি না ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া সময়টি খুবই মধুর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ্ আপু আপনি তো দেখছি পর্যটন মেলায় ভালোই ইনজয় করেছেন। আসলে ঠিক বলেছেন আপু নোনাইলিশ আমারও বেশপছন্দ।আর আপনি যেভাবে বললেন বেশি করে ঝাল দিয়ে ভুনা করেগরম ভাতের সাথে মনে হচ্ছে এখুনি খেয়ে ফেলি। আপনি তো রীতিমতো লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু।হ্যাঁ এই কথাটা ঠিক বলেছেন। আপু মেলা থেকে কিছু শুকনো খাবার বাসায় এনে রাখলে অনেকদিন রেখে খাওয়া যায়।তবে আমার মনে হয় কক্সবাজার সবকিছুর একটু বেশি দাম রাখে। এখানে সকল দেশের পর্যটনরা ঘুরতে যায়। আমরা একবার অনেক আগে গিয়েছিলাম। আপনি কিন্তু পর্যটন মেলার বর্ণনার সাথে সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দিয়েছেন। তবে আগে যদি জানতাম কম দামে ওইখানে ফ্লাট বিক্রি হচ্ছে। তাহলে দশ বারোটা কিনে নিতাম। আর সমুদ্রের কাছে বসবাস করতাম ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
খাবার গুলো খুবই মজার ছিল আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরি সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আর সেখান থেকে যে সমস্ত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছিলেন সেগুলোও দেখানোর চেষ্টা করেছেন এই পোস্টের মাঝে। সব মিলে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো আমার আপনার আজকের এই সুন্দর পোস্ট।
একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু সবসময় ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং খারাপ সময় পার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ জীবনের ভালো সময় ও খারাপ সময় আসবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। পর্যটন মেলাতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন পড়ে ভালো লাগলো। বড় বড় লাক্কা শুটকি গুলো দেখতে আসলেই দারুন লাগছিল। আপনি তো অনেক বেশি পছন্দ করেন শুটকি মাছ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া জীবনে খারাপ মন্দ মিলিয়ে বাঁচতে হয়। তাই খারাপ সময় গুলো যাতে আমরা হ্যান্ডেল করতে পারি সেই ধৈর্য সবাইকে দান করুক অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1760741715219206523?t=GwXHexMhCQzlQR68Ga9OEg&s=19