নারীদের ক্ষমতায়ন।
প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন।
আমি অনেক ভালো আছি। নিশ্চয়ই বৃষ্টির দিনে সবাই গরম বন্দি হয়ে আছেন। যেহেতু অনেক বৃষ্টি বাইরে তেমন একটা যাওয়া হচ্ছে না। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশে পরিবারের সদস্যকে নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে দিন যাপন করতেছেন। আজকে আবার উপস্থিত হয়ে গেছি নতুন একটা ব্লগ শেয়ার করবো বলে। আশা করি আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের ভালো লাগবে। আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটি হচ্ছে যে নারীর ক্ষমতায়।
Image Source Link
আজ থেকে ২০-৩০ বছরের আগের দিকে তাকালে বুঝা যায় যে আজকের নারীদের অবস্থান এবং সেই আগেরকার নারীদের অবস্থানের কথা। বর্তমান সময়ে নারীরা এক ধাপ এগিয়ে। কিন্তু তখনকার নারীরা শুধু ঘর বন্ধী ছিল। নিজেদের সংসারে কাজকর্ম, গৃহস্থালির কাজকর্ম, কৃষি কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তাছাড়া গ্রামীণ পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের কুটির শিল্প কিংবা নিজস্ব ঘরের কৃষি কাজের কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এছাড়াও নারীরা অন্যান্য কাজে তেমন জড়িত থাকতো না বললে চলে। নারীদের ছিল না কোন মতামতের গুরুত্ব। ছিল না কোন পড়ালেখার গুরুত্ব। কিংবা নারীদের কোন জীবিকার কোন উৎস ছিল না। এক কথায় বলতে গেলে নারীরা অনেক বেশি পরনির্ভরশীল ছিল। তবে বর্তমান সময়ের দিকে তাকালে নারীরা একধাপ এগিয়ে।
পড়ালেখার ক্ষেত্রে এখন নারীরা অনেক বেশি এগিয়ে। আজকের বর্তমান সমাজের এমন কোন স্তর নেই নারীদের জায়গা তৈরি হয়নি। বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে নারীদের অনেক বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। এবং নারীদের এখন অনেক সম্মান। তাছাড়া যে কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও নারীদের নির্দিষ্ট একটি কোটা থাকে। সত্যি বলতে এই নারীদের অগ্রগামী দেখে অনেক বেশি গর্ববোধ করি। এক সময় আমরা গ্রামে ছিলাম কিন্তু আমাদের পড়ালেখা করতে অনেক বেশি কষ্ট হয়েছে। ছিল না কোন সামাজিক সুযোগ সুবিধা। ছিল না কোন যাতায়াতের সুযোগ। কিংবা ছিল না কোন পারিপার্শ্বিক ভালো সুযোগ সুবিধা। তারপরেও শত কষ্টের বিনিময়ে নিজেকে একধাপ এগিয়ে নিতে পেরেছি বলে নিজেকে অনেক বেশি ধন্য মনে করি।
আজকের নারীদের দিকে তাকালেই দেখা যায় যে শুধু চাকরি ক্ষেত্রে নয় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নারীরা এখন অনেক অগ্রগামী। যে কোন স্তরে এখন নারীরা কর্মঠ। সেটা আমাদের গর্ব, আমাদের পরিবারের গর্ব, আমাদের সমাজের গর্ব, আমাদের রাষ্ট্রের গর্ব কিংবা পুরো বিশ্বের জন্য গর্ব।
নারীরা স্বাবলম্বী মানে একটি পরিবার স্বাবলম্বী। একটি সংসারে একজন পুরুষের ইনকামের উপর ভিত্তি করে সংসার খরচ চালানো অনেক বেশি কষ্টকর হয়। সে ক্ষেত্রে যদি নারীদের ইনকামের সুযোগ থাকে তাহলে বাড়তি একটু সুবিধা হয়। তাহলে সংসারে যদি খরচ এর ক্ষেত্রে নারীরা একটু সাপোর্ট করতে পারে আর্থিকভাবে তাহলে অনেক ভাল। এটা আমাদের জন্য এক্সট্রা সাপোর্ট। নারীরা এখন আর সমাজের বোঝা নয়। একজন নারী বোন, একজন নারী কারো স্ত্রী, একজন নারী কারো সন্তান কিংবা একজন নারী কারো প্রতি বেশি। একজন নারী কারো মা। তাই সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত।
আমরা যদি আরো সচেতন হই পড়ালেখার ক্ষেত্রে কিংবা চলাফেরার ক্ষেত্রে অথবা চাকরির ক্ষেত্রে তাহলে আমরা আরও বেশি এগিয়ে যেতে পারবো। এটাই হচ্ছে আমাদের সমাজের জন্য পরম একটি পাওয়া। আমাদের রাষ্ট্রের জন্য অনেক বড় একটি অবদান। একজন কন্যা সন্তান যদি স্বাবলম্বী হয় তাহলে একটি পরিবারের জন্য কিংবা একটি সমাজের জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া। কারণ সে সমাজে বোঝা হয়ে থাকে না আর। নিজের পায়ে দাঁড়ানো মানে হচ্ছে নিজের একটি শক্তি বৃদ্ধি করা। তাহলে কেউ আর হেয় প্রতিপন্ন করে দেখবে না। তাই আমাদের সকল নারীদের উচিত কোন না কোন দিক দিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
নিজেকে স্বাবলম্বী করতে গেলে অথবা নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করে দাঁড়াতে গেলে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। অনেক পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে কিংবা সামাজিক প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। সেগুলো যদি শক্ত হাতে ধৈর্য ধরে হ্যান্ডেল করা যায় তাহলে অবশ্যই সফলতা আসবে। তাই সবাই এগিয়ে আসুন নিজের আত্মনির্ভরশীলতার জায়গাটি নিজেই তৈরি করি। তাহলে আমরা সমাজের বোঝা নয় সমাজের একটি বড় সম্পদ হয়ে বেঁচে থাকতে পারবো।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | ভিকটিজি ডট কম |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
রাইটিং ক্রিয়েটিভিটি | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#generalwriting #empowermentofwomen #creativity #amarbanglablog #steemit #krsuccess #respectforwomen
প্রতিদিন ই যুগ আধুনিক হচ্ছে সাথে জীবন জাত্রার মান বারছে এর সাথে নারির খমতায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপু যুগের সাথে সব পরিবর্তন হচ্ছে। সত্যি আপু নীরারা এখন সব ক্ষেত্রে এগিয়ে। আর একজন নারী হলো মা। আসলে আমাদের সমাজ আগের মতো এখন আর নারীদের অবহেলার চোখে দেখে না। বর্তমান নারীরাই বেশি স্বাবলম্বী হয়ে থাকে।আর স্বাবলম্বী নারীই পারে সব কিছু মেনে চলতে।তবে এক্ষেত্রে নারীর পরিশ্রমে শেষ থাকে না ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলছেন আপু নারীদের অগ্রগতি এখন অনেক বেশি। নারীদেরকে অনেক বেশি সম্মানিত করা হয় এখন।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/2elqfn
নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে চমৎকার একটি লিখনী ছিল। সত্যিই তাই নারী সমাজ আরো যদি শিক্ষিত এবং সচেতন হয় তাহলে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবে। সচেতনতা অনেক বড় জিনিস যা এখনকার মেয়েদের মধ্যে রয়েছে। এগিয়ে যাক নারী সমাজ এই কামনা করি।
একদম সঠিক কথাগুলো বললেন ভাইয়া অনেক ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Twitter Share Link
শুধু নারী কিংবা মেয়ে নয়,প্রথমত আমরা মানুষ;
দ্বিতীয়ত আমরা মা বোন,এটাই আমাদের পরিচয়।মানুষ বলতে সব মানুষ এক মানুষ, যেখানে লিংগের ভিত্তিতে ভেদাভেদ নাই। আর লিংগের ভিত্তিতে কেউ উঁচু নিচু হতে পারে না। লিংগের ভিত্তিতে ভেদাভেদ মানবসত্তার অপমান এবং অস্বীকার। শুধু মাত্র নারী শব্দ এবং এই ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে জীবনের মূল পরিচয়, দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে উদাসীন থাকলে হবে না।
নারী পুরুষ এসব বাহ্যিকতা কেবল প্রাথমিক পরিচয় এবং এর উর্ধ্বে মূল পরিচয় হলো আমি মুমিন। মুমিনসত্তা মানবসত্তারও উর্ধ্বে। আমি আশরাফুল মাখলুকাত মানে আমি সৃষ্টির সেরা। তার মানে আমার জীবন সকল বস্তুর উর্ধ্বে।আমরা যখন নিজেকে মানুষ দাবী করি তখন আমাদের মধ্যে মানবিক বৈশিষ্ট্য চলে আসে।আমরা সবাই মানুষ এবং বস্তুর উর্ধ্বে আমার জীবন সেই সাথে আমি অমানবিক কোনকিছুর সমর্থক সহযোগী নই এটাই হলো মানবসত্তা।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মূল্যবান কথা গুলো শেয়ার করার জন্য।