ট্রাভেলিংঃ- রাঙ্গামাটির বার্গী লেক রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত।
সবাইকে শুভ বিকেল,
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা। আশা করি বন্ধুরা বেশ ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন সবাই। যেহেতু ঈদ কাছে চলে এসেছে সবাইকে কেনাকাটা শেষ করতে হবে। সেই সাথে সবাই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন অনেক ব্যস্ততম সময় কাটাবেন। দোয়া করি সবাই যেন সুস্থভাবে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যেতে পারেন। সবারই ঈদ হয়ে উঠুক আনন্দময় পরিবারের সবার সাথে সেই কামনা করছি। কোন দুর্ঘটনা যেন না হয় এই ঈদ উপলক্ষ্যে কোন পরিবার যেন তার প্রিয়জনকে না হারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে অসীম প্রার্থনা রইলো। বন্ধুরা প্রতিদিনের মতো আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি টপিক্স নিয়ে।
চেষ্ট করি সব সময় আপনাদের সাথে নিজের ভালো-মন্দ বিষয় গুলো শেয়ার করতে। যখন শেয়ার করতে পারি তখন বেশ ভালই লাগে। এমন ভালো লাগার একটি কমিউনিটিতে কাজ করতে পারি বলে আরও অনেক বেশি ভালো লাগে। বন্ধুরা আজকে আমি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো তা শিরোনাম দেখে আপনারা বুঝতে পারছেন কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ঘোরাঘুরি করতে সবাই বেশ পছন্দ করেন। তবে আমিও কম পছন্দ করি তা নয়। সময় সুযোগ হলেই বেরিয়ে পড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো উপভোগ করতে। সেই সাথে নিজের পছন্দের জায়গা গুলো উপভোগ করতে চেষ্টা করি।
সেই ঘোরাঘুরির সময় চেষ্টা করি নিজের পছন্দের খাবারগুলো খাওয়ার। যেহেতু একেক অঞ্চলের কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার থাকে। যখন ঘুরতে যায় তখন সেই জায়গার ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করি। সত্যি বলতে একেক জায়গার খাবারের স্বাদ একেক রকমের। যেমন আমরা কক্সবাজারে আছি। আমাদের এখানে বেশ কিছু বিখ্যাত খাবার রয়েছে। বিশেষ করে আমরা সামুদ্রিক মাছ খেতে বেশ পছন্দ করি। তাছাড়া বিশেষ করে চট্টগ্রামের মানুষেরা পিঠা পুলি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তবে অন্যান্য অঞ্চলের মানুষরা পছন্দ করে না তা নয়।
কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ আরও একটু বেশি পছন্দ করে সেটা বলতে পারি। যাক সেই দিকে আর যাচ্ছি না সেটা অঞ্চল ভিত্তিক একেক জায়গার একেক একটা কিছু রেওয়াজ রীতি রয়েছে। একেক জায়গার একেক ধরনের কিছু বিখ্যাত জিনিস রয়েছে। তাই আমরা চেষ্টা করি ভ্রমণের মাধ্যমে সেই বিখ্যাত জায়গা দেখতে এবং জনপ্রিয় জিনিস গুলো উপভোগ করার। আজকে আমি শেয়ার করতে চলেছি বার্গী লেক ভ্রমণকালীন খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্ত। যেদিন আমরা বার্গী লেকে গিয়েছিলাম সেদিন আমরা পলওয়েল পার্ক দেখছিলাম। সেই সাথে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ দেখছিলাম। বলতে পারেন সেদিন অনেক জার্নি হয়েছিল আমাদের। আমরা চেয়েছিলাম ভালো একটি রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া-দাওয়া করতে।
তো ড্রাইভার আমাদেরকে তথ্য দিল যে বার্গী লেক এ যেয় খাওয়া দাওয়া করতে। যেহেতু আমরা যেদিন রাঙ্গামাটিতে পৌঁছেছিলাম সেদিন আমরা একটি বড় মাইক্রোবাস রিজার্ভ করে নিয়েছিলাম। আবার যেদিন আমরা ফিরব সেদিনও ওই ড্রাইভারকে বুকিং করে রেখেছিলাম। সেই ড্রাইভার ভাই রাঙ্গামাটির মানুষ ছিলেন বিদায় সেখানকার অনেক কিছু তথ্য ওনার জানা ছিল। যখন আমরা বললাম ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া কোথায় করতে পারব। তখন উনি আমাদেরকে তথ্য দিলেন যে বার্গী লেক এ যেয়ে খাওয়ার কথা। একদিকে আমাদের খাওয়া দাওয়া হল অন্যদিকে আমাদের ঘোরাঘুরি হয়ে গেল বার্গী লেক এ। আমি আপনাদেরকে বার্গী লেক সম্পর্কে বেশ কিছু দৃশ্য এবং মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম।
সেই দিন আমরা বার্গী লেক এ পৌঁছে যাওয়ার পরে পছন্দের খাবারগুলো অর্ডার দিয়ে আমরা রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। যেহেতু সেখানে প্রচুর পরিমাণ লোকজন ছিল প্রচুর খাবারের অর্ডার ছিল। দেখে বুঝতে পারছিলাম সেখানকার খাবার কত বিখ্যাত। কারণ অনেক দূর দূরান্ত থেকে সবাই বার্গী লেক এসে খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন। অনেক জমজমাট একটি পরিবেশ ছিল দুপুরের বেলায়। খাবারগুলো রেডি করতেও সময় হয়েছিল। সেই সময়ের মধ্যে আমরা যথেষ্ট পরিমাণ ঘুরাঘুরি করতে পেরেছিলাম। যখন খাবারগুলো রেডি হয়ে যায় তখন আমাদেরকে জানানো হয় খাবার রেডি হলো। আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করতে বসে পড়লাম।
সত্যি বলতে খাবার গুলো খেয়ে এত তৃপ্তি পেয়েছিলাম আমি বলেই বোঝাতে পারবো না। যেহেতু অনেক বড় সাইজের মাছের টুকরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। সেই মাছ গুলো হচ্ছে লেকের মাছ। তারা যে খাবার দাবার গুলো রান্না করেন বিশেষ মাছ জাতীয় সব গুলোই লেক থেকে সংগ্রহ করা মাছ। সেখানে ছিল বড় সাইজের কাতাল মাছ। এছাড়াও খাসির মাংস এবং মুরগির মাংস ছিল। দুই প্রকারের ছোট মাছের আইটেম ছিল। একটি হচ্ছে ছোট মাছের চপ অন্যটি হচ্ছে ছোট মাছ ফ্রাই। বিশেষ করে তাদের ডাল টা বেশ ভালই লাগছিল। বুঝতে পারছেন সাদা ভাত নিয়েছিলাম আমার ভীষণ ভালো লাগছিল খেতে।
তবে যে যায় বলুক না কেন বাইরের খাবার প্রতি আমার খুব একটা অভ্যাস না। যদিও ঘোরাফেরা করতে যাই সে সময় তো আমাদেরকে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। তবে আমি বাইরে গেলে চেষ্টা করি খুব নরমালি খাওয়া-দাওয়া করার। কারণ আমার বাইরের খাবারের প্রতি খুবই আস্থা কম। মাঝে মধ্যে একটু বাইরে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু এই ধরনের নরমালি খাবার গুলো আমার খুবই পছন্দের। অনেক তৃপ্তিক সহকারে খেয়েছিল বাচ্চারাও বেশ মজার ছিল খাবার গুলো। কারণ আমরা অনেক দূর জার্নি করে এসে সেখানে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম। খাওয়া দাওয়ার পরে আরও কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম সেখানে।
আরও কিছুক্ষণ রেস্ট নেওয়ার পরে আমরা আবারও যাত্রা শুরু করি। অবশ্য সেইদিন আমরা ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সবাই খাওয়া-দাওয়া করে গাড়িতে বসে পড়লাম। আবার যাত্রা শুরু করে দিলাম আমাদের কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ সবাইকে। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | রাঙ্গামাটি বার্গী লেক ভ্যালী |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপনি ঠিকেই বলেছেন আপু, "অঞ্চল ভিত্তিক একেক জায়গার একেক একটা কিছু রেওয়াজ রীতি রয়েছে"। সেটা হোক খাবার , সামাজিকতা বা সংস্কৃতে। আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। রাঙামাটির বার্গী লেকের রেস্টুরেন্টয়ে বাচ্চা-কাচ্চা সহ সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন। খাবারের ছবি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে।বেশ আগে কাপ্তায়ের ঐ এলাকায় গিয়েছিলাম। সময় সুযোগ করে আবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ভাল লেগেছে আপু আমার পোস্ট বিস্তারিত পড়েছেন।
এটা ঠিক যে এক, এক অঞ্চলে গেলে অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবার খাওয়া যায়, আপনার মনোভাব গুলো খুব সত্যি খুব সুন্দর এবং রাঙ্গামাটি জেলার ভ্রমণ করার মুহূর্তগুলোও অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এগুলো দেখে সত্যি আমার অনেক ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ভাল লাগলো আপনি আমার পোস্ট পড়েছন সেই সাথে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করলেন।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে সুন্দর স্থান ভ্রমন করার পাশাপাশি সুন্দর স্থানের রেস্টুরেন্টে গিয়ে সুস্বাদু খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। আর আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে বর্গী লেক রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো সত্যিই বিখ্যাত মানের হয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সেখানকার জায়গার জন্য বিখ্যাত ভাইয়া খাবার খেয়ে ভাল লাগছিল।
আসলে আপু যার যার এলাকার খাবার গুলো তাদের কাছে ভালো। যাইহোক ড্রাইভার আপনাদের বেশ ভালো একটা রেস্টুরেন্টেের সন্ধান দিয়েছেন। বার্গী লেক রেস্টুরেন্টে খাবারের মান অনেক ভালো ছিল জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক আপু অনেক জায়গার অনেক কিছু বিখ্যাত থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1775534091716399526?t=xyLOZc6AvB3uxs2NLyQ7sA&s=19
আপনি রাঙ্গামাটিতে গিয়েছেন এবং সেখানকার খুব সুন্দর সুন্দর কিছু জায়গায় ভ্রমন করে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ আসলে রাঙ্গামাটি এমন একটি সৌন্দর্যময় জায়গা এর সৌন্দর্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না৷ এটি এমনিতেই অনেক সুন্দর এবং এই সৌন্দর্যগুলো প্রতিনিয়ত দেখার মাধ্যমে একটি আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে৷ আজকে আপনি এই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করার খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷