ঠান্ডা ও মিষ্টি স্বাদে বাঙ্গি জুস তৈরি।
আসসালামুআলাইকুম।
হ্যালো বন্ধুরা!!
আমি সামশুন নাহার হিরা@samhunnahar। বাংলা ভাষায় ব্লগিং প্রিয় বন্ধুরা নিশ্চয়ই আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন আমি পোষ্টের সৃজনশীলতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট শেয়ার করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তো সেই মোতাবেক আমি আজও একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। @amarbanglablog বন্ধুরা তাই আমি আজ নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি। আজ আমি যে রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটা হচ্ছে যে বাঙ্গি জুস রেসিপি। আপনারা নিশ্চয় কম বেশি সবাই বাঙ্গি চিনেন।
বাঙ্গি আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার আমি গরমের সিজন আসলে প্রায় সময় খেয়ে থাকি। আপনারা নিশ্চয়ই কমবেশি সকলেই পরিচিত এই ফলটি সম্পর্কে। গরম কাল আসলে তরমুজের সাথে বাঙ্গি খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এমনি কেটে কিংবা জুস বানিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে। বিশেষ করে সামনে রোজার দিনে জুস বানিয়ে খাওয়া অনেক ভালো স্বাস্থ্যের জন্য। এই বাঙ্গি ফলটি আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, এছাড়াও মাথার চুল পড়া বন্ধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এগুলো ছাড়াও বাঙ্গির অনেক উপকারীতা রয়েছে।
এই ফল অনেকেরই ওপ্রিয় আবার অনেকেরই খুবই প্রিয়। কিন্তু আমার খুব প্রিয় একটি ফল এছাড়া ফ্লেভারটা ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি গরম কাল আসলে বাঙ্গি জুস কিংবা এমনি কেটে খেতে ভীষণ পছন্দ করি। যেহেতু আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ ঘাম যায় গরমের দিনে তাই বাঙ্গি জুস খেলে অনেক ভালো হবে স্বাস্থ্যের জন্য। সবাই জুস বানিয়ে কিংবা এমনি খাওয়ার চেষ্টা করবেন আশা করি ভাল ফলাফল পাবেন। এখন আমি কিভাবে জুসটা বানিয়ে নিয়েছি সেই ধাপ গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ
বাঙ্গি -জুস তৈরির আগে ফ্রিজে রেখেছিলাম।
চিনি পরিমাণ মত।
লবণ স্বাদমত।
বিশুদ্ধ পানি।
বাঙ্গি জুস তৈরির ধাপ সমূহঃ-
প্রথম ধাপ
প্রথমে বাঙ্গি কেটে আমি ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম যাতে ঠান্ডা হয়ে যায়। ফ্রিজ থেকে বের করে খোসা গুলো ভালো করে ছাড়িয়ে নিয়েছি। খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন বাঙ্গি জুস তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন ব্লেন্ডার মেশিন নিয়ে ব্লন্ডার মেশিনের জারে সব উপকরণ একে একে দিয়ে দিয়েছি। সাথে দিয়েছি পরিমাণ মতো পানি। সব উপকরণ দেওয়ার পরে ব্লেন্ডার মেশিনের জারের ঢাকনা লাগায় দিয়ে মেশিন স্টার্ট করে দিয়েছি। প্রয়োজন মতো ব্লেন্ডার করে নেওয়ার পরে তৈরি হয়ে গেল মজাদার মিষ্টি মিষ্টি ঠান্ডা বাঙ্গি জুস।
চতুর্থ ধাপ
এখন যেহেতু ব্লেন্ডার করা শেষ মেশিন বন্ধ করে দিয়ে একটি গ্লাস নিয়েছি তৈরি করা জুস নেওয়ার জন্য। একটা গ্লাস নিয়ে আমার আজকের তৈরি করা বাঙ্গি জুস গুলো পরিবেশন করে দেখাবো আপনাদেরকে।
বাঙ্গি জুস পরিবেশন
এই জুস আমার এত প্রিয় অন্যান্য জুসের চাইতে আমি বাঙ্গি জুস বেশি পছন্দ করি। গরমের সিজন আসলে তো তরমুজের চেয়ে আমি বাঙ্গি বেশি খেয়ে থাকি। আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে এই জুস। যেহেতু স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি তাই সবাই খাবার চেষ্টা করলে ভালো হবে।
আমি যেহেতু আগে কেটে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম তাই জুস তৈরি করার সময় বরফের টুকরো দিই নাই তাই ঠান্ডা ছিল। মিষ্টি এবং ঠান্ডা জুস খেতে অনেক ভালো লেগেছিল। সাথে বাঙ্গি ফলের মধ্যে যে ফ্লেভারটা থাকে সেটাও আমার কাছে ভীষণ প্রিয় একটি ফ্লেভার।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
প্রিয় বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপিটি আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে। আজ আমি এখানে আমার লেখা শেষ করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন। |
---|
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/2drbvy
এখন তো দুপুরবেলায় বেশ ভালই গরম পড়ে। এই গরমের সময় যদি এভাবে এরকম ঠান্ডা শরবত তৈরি করে খাওয়া হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। একেবারে তৃষ্ণা মিটে যাবে। ঠান্ডা ও মিষ্টি স্বাদে ভাঙ্গি জুস তৈরি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার উপস্থাপনা দেখেছে কেউ খুব সহজে এই জুস তৈরি করতে পারবে। যাইহোক সম্পূর্ণটা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
বাঙ্গি জুস অনেক সহজ ভাবে তৈরি করা যায় তবে আরও বিভিন্ন পদ্ধতিতে তৈরি করা যায় আমি এভাবে তৈরি করে নিয়েছি।
ঠান্ডা ও মিষ্টি স্বাদে বাঙ্গি জুস তৈরি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে।বাঙ্গি জুস খেলে মন ও শরীর অনেক ভালো থাকে।তাই আপনার জুস রেসিপি তৈরি দেখে খুবি ভালো লাগছে।
ঠিক বলছেন ভাইয়া বাঙ্গি জুস আমার অনেক প্রিয় আমিও প্রায় সময় তৈরি করে খেয়ে থাকি যখন পাই।
তরমুজ খেতে আমার বেশ ভালো লাগে তবে বাঙ্গি তেমন একটা খাওয়া হয় না তবে এভাবে জুস বানালে খেতে বেশ দারুন লাগে।সামনে আসছে রমজান মাস ইফতারে বেশ ভালো লাগে খেতে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
একদম ঠিক বলছেন এ বছর রমজান মাসে কিন্তু তরমুজ বাঙ্গি সবগুলো পাওয়া যাবে। রমজান মাসে জুস করে খেলে অনেক ভালো লাগে।
বাহ্ ঠান্ডা ও মিষ্টি স্বাদে বাঙ্গি জুস তৈরি করে ফেলেছেন দেখছি আপনি। এখন তো খুবই গরম পড়ছে তাই জুস খেতেও ভীষণ ভালো লাগবে। আমার কাছে কিন্তু অসম্ভব ভালো লেগেছে আপনার জুস তৈরি। দুপুরবেলায় খেলে একেবারে মনটা ভরে যাবে কিন্তু। আমার কাছে আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।
ঠিক তো এখন যেহেতু প্রচুর গরম শুরু হবে তখন খেতে ভালো লাগবে আর শরীরের জন্য অনেক উপকার হবে।
খুবই চমৎকার ভাবে বাঙ্গির জুস তৈরি করেছেন আপু।এই গরমে ঠান্ডা বাঙ্গির জুস খেলে কলিজা একেবারে শীতল হয়ে যায়। আর সামনে রমজান মাস আসছে, ইফতারের সময় এক গ্লাস বাঙ্গির জুস খেলে খুবই শান্তি লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখে অনেকেই বাসায় তৈরি করে খেতে পারবে। এমন সময়োপযোগী একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া বাঙ্গি জুস খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে রমজান মাস আসলে অনেক ভালো লাগে।