আমার বাংলা ব্লগ এর সকল প্রিয় ভাই-বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও অনেক অনেক ভাল আছি। আজ সারা দিন আমার এখানে বিদাৎ ছিল না। তাই দিন টা তেমন ভালো কাটেনি গরমে অস্থির আমি। যখন সন্ধ্যার পর বিদাৎ আসে তখন ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে লিখতে বসি। বন্ধুরা আমি সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar।
আমার বাংলা ব্লগ এ যুক্ত আছি কক্সবাজার সদর, বাংলাদেশ থেকে। আমি বাংলা লিখতে, পড়তে ভালবাসি। আমি বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে অনেক পছন্দ করি। তাই প্রতিনিয়ত চলে আসি আপনাদের সাথে যুক্ত হতে। আজ ও আমি নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। আমি আজকে শেয়ার করবো রেসিপি পোস্ট।
আমার আজকের রেসিপি হচ্ছে গুঁড়া দুধের সমন্বয়ে তালের রসের মিষ্টি পিঠা। আমার আজকের শেয়ার করা তালের রসের সাথে আমি বিভিন্ন উপাদান যোগ করেছি যা খেতে অসাধারণ স্বাদ হয়েছে বন্ধুরা। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করলে কেমন হয়। আমার আজকের তৈরি করা গুঁড়া দুধ ও তালের পিঠায় বেশ অনেক গুলো উপাদান আমি মিক্স করেছি যা পুষ্টিতে ভরপুর ছিল। যে খাবার টা খাবো তার অবশ্যই পুষ্টি গুণ বিচার করা আমাদের প্রত্যেকের উচিত বলে আমি মনে করি। আমরা খাবার খেয়ে থাকি আমাদের শরীর সচল ও সুস্থ থাকার জন্য তাই না? তাই আমাদের আগে খেয়াল রাখতে হবে খাবারের পুষ্টি গুণের দিকে নজর দেওয়া।
বন্ধুরা এখন আমি আমার রেসিপি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। তাহলে শুরু করা যাক!!!??
উপকরণ প্রণালী | পরিমাণ সমূহ |
ময়দা | ১৫০ গ্রাম |
সুজি | ২০০ গ্রাম |
তালের রস | ১/২ বাটি |
গুঁড়া দুধ | ১/২ বাটি |
চিনি | স্বাদমত |
বেকিং সোডা | অল্প |
তেল ভাজার জন্য | পরিমাণ মত |
ডিম | ১ টা |
লবণ | স্বাদমত |
সব উপকরণ পরিমাণ মত নিয়ে নিলাম
রন্ধন পর্ব-১
প্রথমে আমি সব উপকরণ একসাথে নিয়ে নিবো। একটি বড় বোল এ সব উপকরণ নেওয়ার পর বিটার বা হাতের সাহায্যে মিক্স করে নিবো। এমন ভাবে মিক্স করে নিতে হবে যাতে বিতরে কোন দলা থেকে না যায়। তাই আমি প্রথমে হাত দিয়ে এরপর বিটারের সাহায্যে ভাল করে মিক্স করে নিয়েছি। মিক্স করার পর ১ ঘন্টার জন্য রেস্টে রেখে দিই আমি।
রন্ধন পর্ব-২
এক ঘন্টা পর ফিরে এসেছি। এক ঘন্টা পর এসে দেখি মেখে রাখা ডো পিঠার বানানোর জন্য পারফেক্ট তাই আমি একটা কড়াই চুলায় বসিয়ে দিই। কড়াই টা গরম হলে পরিমাণ মত তেল ঢেলে দিয়েছি। এখানে পরিমাণ মত বলতে আমি বেশি তেলে পিঠা ভাজা করি না। প্রচুর গ্যাসে ডিস্টার্ব করে তাই। আমি অল্প অল্প তেল দিয়ে পিঠা ভেজে নিবো । এখন তেল গরম হয়ে এসেছে। আমি পিঠার ডো দিছি।
রন্ধন পর্ব-৩
আমি পর্যায়ক্রমে চার টা পিঠা ভাজার জন্য চামচের সাহায্যে ডো দিয়ে দিছি মাজারি সাইজের করে। পিঠা গুলোকে উল্টায় দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিবো।
রন্ধন পর্ব-৪
এমন ভাবে ভেজে নিবো যাতে পিঠা পুড়ে যেন না যায়। বিতরে যেন কাঁচা না থাকে। আর পিঠার কালার যাতে সুন্দর হয় সে জন্য আমি চুলার আঁচ একদম লো তে রেখেছিলাম। কারণ আমি সুজি মিক্স করেছি। সুজির পিঠায় বেশি তাপ দেওয়া যায় না পুড়ে কাল হয়ে যায়। এই ধাপে এসে পিঠা গুলো নামিয়ে ফেলার উপযোগি হয়েছে। আমি একটা পিঠা ভেঙ্গে দেখায়ছি বিতরে কাঁচা নেই,অনেক নরম হয়েছে। নামিয়ে ফেলেছি, এভাবে সব পিঠা ভেজে নিয়েছি।
রন্ধন পর্ব-৫
এই ধাপে এসে আমার আজকের তৈরি করা গুঁড়া দুধের সমন্বয়ে তালের রসের মিষ্টি পিঠা বানানো শেষ। আমি একটা খেয়ে দেখেছি খেতে অনেক অনেক মজার হয়েছে। পিঠার মধ্যে বিভিন্ন ফ্লেভার মিক্স ছিল। গুঁড়া দুধ আর তালের রসের ফ্লেভার অনেক ভাল ছিল। বন্ধুরা আপনারা ও তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার গুঁড়া দুধ, ডিম, সুজি, তালের রসের মিক্স পিঠা। আমার তৈরি পিঠা আপনাদের কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি ভাল লাগার কথা।
ক্যামেরার বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
হ্যালো বন্ধুরা,এখানে আজ সমাপ্তি করছি আমার লেখা। আশায় থাকবো ভাল থাকবেন নিশ্চয়। আবার দেখা হব, এই দেখা শেষ দেখা নয়! আবার কথা হবে, এই কথা শেষ কথা নয়!
ধন্যবাদ সবাইকে।
আপু এটি সম্পূর্ণ ইউনিক একটি রেসিপি। আমি এভাবে কখনো গুঁড়ো দুধ ও তালের সমন্বয়ের রসের মিষ্টি পিঠা তৈরি করে খাইনি। আমি অবশ্যই বাসায় রেসিপিটি তৈরি করব। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু অনেক মজার আর খেতে একদম নরম হয়েছে। ঠিক কেক এর মত আপু। আমি সাধারণত সব পিঠায় এই উপাদান অবশ্যই এড করি। আপনি করে বাবুকে দিবেন খেতে চাইবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গুঁড়া দুধের সমন্বয়ে তালের রসের মিষ্টি পিঠার রেসিপি চমৎকার হয়েছে। এই সময়টাতে তালের পিঠা খেতে ভীষণ মজা লাগে। তালের পিঠার সেফ গুলো হাতের সাহায্যে অনেক সুন্দর করে দিয়েছেন। দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। আর দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে
ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর এবং গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমাদের শরীর যদি সুস্থ রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই খাবারের প্রতি সচেতন হতে হবে। সব সময় চেষ্টা করতে হবে পুষ্টিকর খাবারগুলো খাওয়ার জন্য। গুঁড়া দুধ ও তালের রসের সমন্বয়ে তৈরি করা পিঠার রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। এই সময় খুব সহজেই তালের রস পাওয়া যায়। তাই আমিও তৈরি করার চেষ্টা করব আপু।
আপু বাসায় করে খেয়ে দেখবেন খেতে অনেক ভাল লাগে । এমনি তালের রস দিয়ে করার চেয়ে এভাবে করলে মজা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
গুড়া দুধের সম্বন্ধয়ে কানের রসের মিষ্টি পিঠার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনি এই কথাটি একদম ঠিক বলেছেন যে খাবার এটা খাব তা অবশ্যই পুষ্টিগুণ বিচার করে খাওয়া উচিত। আপনার পোস্টগুলো আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। সত্যি আপনার অনেক দক্ষতা রয়েছে।
ভাইয়া আমার পোস্ট ভাল লাগে শুনে অনেক ভাল লাগলো। আপনাদের ভাল লাগা মানে নতুন নতুন রেসিপি বানাতে আরো আগ্রহ বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে দেখে ভেবেছিলাম এগুলো পেনকেক,একেবারে দেখতে তেমন ই লাগছে।
প্যান কেক না আপু গুঁড়া দুধ দিয়ে তালের রসের পিঠা ।
আপনি অনেক সুন্দরভাবে তালের রস দিয়ে পিঠা তৈরি করেছেন। এইরকম পিঠাগুলো খেতে আমাকে অনেক মজা লাগে। তবে একটি বেশি খেতে পারি না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করার পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট সময় দিয়ে পড়েছে। সুন্দর মতামত দিয়েছেন।
এখন পাকা তালের সময়। পাকা তালের রসের সাথে যে কোন নিষ্ঠুর দ্রব্য মাখিয়ে পিঠা তৈরি করে খেতে ভালো লাগে। আমাদের বাড়িতে অবশ্য তালের গাছ রয়েছে। মাঝেমধ্যে চেষ্টা করা হয় এ জাতীয় কিছু তৈরি করার। তাই আপনার এত সুন্দর পিঠা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। খুবই লোভনীয় হয়েছে, আশা করি সুস্বাদু হয়েছে বটে।