ফটোগ্রাফিঃআমার এলোমেলো ও রেনডম ফটোগ্রাফি।।আমার বাংলা ব্লগ [10% shy-fox]
আসসালামু আলাইকুম/ নমস্কার।
আমি সামশুন নাহার @samhunnahar বাংলাদেশ থেকে।আশা করি সকলে ভাল আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ বেশ আছি।পোস্টের ভিন্নতা এবং সাবলীলতা রক্ষার্থে আমি আজ “আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি” তে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি।সব সময় দেখি সবাই অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করে। এগুলো দেখলে আমারও ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করে এবং ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে ইচ্ছে করে।কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমি তেমন ভাল ফটোগ্রাফি করতে পারিনা।
কি করবো বলেন তো কিন্তু লোভ সামলাতে পারিনা।এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে কি ভাল থাকা যায়? তাই ব্যাগ থেকে মোবাইলটা বের করে শুরু করে দিই এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি।সবার মত সুন্দর হবেনা সেটা বুঝলাম কিন্তু মন যে চায় ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে এবং এমন সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে কিছু কথা বলতে সবার সাথে।তাই আমি আজ আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো এবং রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করব।
আমার এলোমেলো ও রেনডম ফটোগ্রাফিঃ
জবা ফুলঃ
জবা ফুল আমার দেখতে খুব ভালো লাগে। ইদানিং এত এত সুন্দর কালারের জবাফুল দেখা যায় যে সত্যি দেখে লোভ সামলানো যায় না।সব রঙের জবা ফুল আমার কাছে খুবই প্রিয়।আমি যখন আমার মাকে দেখতে আমার বাড়িতে যাই সেখানে আমার বাগান করা কিছু জবা ফুল গাছ ছিল।বাগানে দেখছি অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে আছে।তাই নিজের লাগানো গাছের ফুল দেখে আমি অনেক আনন্দ অনুভব করেছি।তাই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে জবা ফুলের ছবি আমার ক্যামেরায় ধারণ করলাম। সেই ফটোগ্রাফি আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি।
Device-Wiko-T3
ধানের ফটোগ্রাফিঃ
ছবি গুলো নিয়েছিলাম গাড়ি চলন্ত অবস্থায়।গাড়ি থামিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো নিলে আরেকটু সুন্দর ফটোগ্রাফি নিতে পারতাম।কিন্তু তেমন সুযোগ ছিল না।আমি যখন আমার মাকে দেখতে যাই রাস্তা দিয়ে এমন সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাই। আমাদের গ্রামের পাশাপাশি ওই গ্রামটা।গ্রাম বাংলার এমন দৃশ্য দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি গ্রামে বেড়ে ওঠা একজন সাধারন মেয়ে।গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রতি আমার আকর্ষণ বেশি।তাই ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
Device-Wiko-T3
কামরাঙ্গা ফুলঃ
কামরাঙ্গা ফুল গুলা আমার গ্রামের বাড়ি মায়ের কাছে যখন গিয়েছিলাম তখন তুলেছি।এই গাছটা আমার মা লাগাই ছিল।আমার আম্মু বিভিন্ন ফলের গাছ লাগাতে খুবই পছন্দ করেন।আমাদের বাড়িতে বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে।আমি দেখলাম কামরাঙ্গা গাছের মধ্যে ফুল দেখা দিছে।কিছুদিন পরে হয় তো কামরাঙ্গা ছোট ছোট আকারে দেখা দিবে।আমার ভীষন ভালো লাগছিল।তাই আমি ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
Device-Wiko-T3
প্রকল্পের কাজঃ
এই আকাশের দৃশ্য টা আমার খুব ভালো লাগে।আমি যখন চলন্ত গাড়িতে ছিলাম তখন এই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখি।আর এইটা একটা চায়না কোম্পানির প্রকল্পে কাজ চলতেছে।যেটা আমাদের কক্সবাজারের কুরুশকুল এরিয়াতে।এক দিকে প্রাকৃতিক দৃশ্য।অন্যদিকে এমন সুন্দর কাজ স্থাপনের দৃশ্য দেখে আমার খুব ভালো লাগছিল।
Device-Wiko-T3
নৌকাঃ
এই নৌকার গুলো দিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া হয়।এটা আমাদের পাশের অন্য একটি ইউনিয়নের। আমাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে এমন সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।যখন নদীতে ভাটা যায় তখন এভাবে রাখা হয়।আবার যখন জোয়ার আসে নৌকা গুলো নিয়ে যায় নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য। দৃশ্যটি আমার দেখতে খুবই ভালো লাগে। তাই ক্যামেরা বন্দি করে নিলাম।
Device-Wiko-T3
ছোট বেগুনের ফুলঃ
এই ছোট বেগুনগুলো আমার খেতে খুবই ভালো লাগে।এইসব বেগুন গুলোকে আমরা বেড বেগুন বলে থাকি।আমাদের গ্রামের বাড়িতে এই বেগুনের গাছ অনেক আছে।গ্রামের বাড়িতে যখন যায় তখন এই বেগুন গাছের মধ্যে আমার দৃষ্টি পড়ে।দেখি গাছের মধ্যে অনেক সুন্দর ফুল ফুটছে।কিছুদিন পরে ওই ছোট ছোট বেগুন গুলো বের হবে।এই বেড বেগুন গুলো ভর্তা করে খেতে অনেক মজা হয়।
Device-Wiko-T3
ব্রিজের ছবিঃ
এই ব্রিজ নিয়ে অনেক কথা আছে।এটি হচ্ছে কক্সবাজারের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের একটি ব্রিজ।ব্রিজটা স্থাপন করা হয়েছে মূলত খুরুশকুল ইউনিয়ন এবং চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য। সন্ধ্যা হলে এই ব্রিজের উপর অনেক লোকের সমাগম হয়।এই ব্রিজের ওপর অনেক দোকান বসে।সবাই বিকেল বেলায় আড্ডা দেয়ার সময় কাটাই।সুন্দর একটি খোলামেলা পরিবেশ এই ব্রিজের উপর।তাই ভাবলাম বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আজ এই পর্যন্ত বন্ধুরা আশাকরি আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।আপনাদের কাছে আমার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে পেরে আমার ভাল লাগতেছে।কারন আমার ফটোগ্রাফি কেমন হয়েছে আপনাদের থেকে সুন্দর সুন্দর মতামতবএবং সহযোগিতা্বমূলক মন্তব্য পাব।ধন্যবাদ সবাইকে।
ক্যামেরার বিবরণ সমূহঃ
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।তাই আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপু আপনার বেশিরভাগ ছবিই খুব সুন্দর। ধানের জমির ছবি দুটো, জবা ফুল, কামরাঙ্গা ফুল, বন বেগুন ফুল,নৌকার ছবি গুলো খুব ভালো লাগলো। এই জবা ফুলকে আমরা লংকা জবা বলি। এই ছোটো বেগুন গুলোকে আমরা বন বেগুন বলি। তবে কখনো খেয়ে দেখিনি। অনেকে খায় এটাও শুনেছিলাম। আজ আবার শুনে নিজেরই খেতে ইচ্ছে করছে।
খুব সুন্দর নাম বললেন লঙ্কা জবা আর বন বেগুন আমরা বলি লাল জবা আর ব্যাড বেগুন।
এখানে বন বেগুনকে অনেকে বুট বেগুনও বলে।
আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো অসাধাণ হয়েছে আপু।খুব সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছেন আপনি প্রতিটি ছবি।জবাফুলের কুড়ি গুলো দেখতে খুব ভালো লাগছে আপু।প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখার মতো ছিল।ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
এমন সুন্দর সুন্দর মতামত পেয়ে ফটোগ্রাফি করার আগ্রহ আমার আরো বেড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন ধান গাছের ফটোগ্রাফি গুলো আসলে অনেক সুন্দর হয় দেখতে। আর কামরাঙ্গার গাছটা আমার আম্মু রোপন করেছিল ভাইয়া।
সত্যি আপু অন্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নিজেরও ইচ্ছে করে একটু একটু ফটোগ্রাফি করতে। তবে আমিও খুব একটা ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারি না। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুন হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছেন। শুভকামনা রইল আপু।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে তাই।
ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালো লাগে আমার। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ফুলের ফটোগ্রাফি মন ছুঁয়ে যায়। আপনি কিছু দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । সত্যি দেখে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে ছোট বেগুন ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ দুর্দান্ত লাগছে। আপনি ফটোগ্রাফির সাথে সাথে সুন্দরভাবে বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। এত চমৎকার ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আমার তোলা ফটোগ্রাফির মধ্যে ছোট বেগুনের ফটোগ্রাফিটা অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ফটোগ্রাফি করতে পেরেও যেন ভালো লাগে। আর ফটোগ্রাফি দেখতে খুবই ভালো লাগেছে। আজকে আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে।
হ্যাঁ ভাইয়া ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনাদের মত এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারি না। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু আপনি যে বললেন যে ফটোগ্রাফি পারেন না ৷ কে বলেছে আপু আপনি তো অনেক সুন্দর ফটো ক্যাপচার করেছেন ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি একদম পারফেক্ট ভাবে তুলেছেন ৷ তবে প্রথম জবা ফুলটি অনেক সুন্দর হয়ে এবং কী নৌকার ফটোগ্রাফি গুলো ৷
এভাবেই নতুন নতুন ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি ৷
ধন্যবাদ
হা হা হা! চেষ্টা করলাম ভাইয়া মাত্র তাতে যদি সুন্দর হয় অনেক খুশি লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু এখানে সবাই অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করে আর সেটা দেখে আমারও ইচ্ছা করে ফটোগ্রাফি করতে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু ভালই হয়েছে। এলোমেলো করে তুলেছেন কিন্তু তারপরও সুন্দর লাগছে দেখতে। এখনকার ধান ক্ষেতের দিকে শুধু চেয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। পাকা ধানে মাঠ একেবারে ভরে গিয়েছে। বেগুন ফুল কামরাঙ্গা ফুল জবা ফুল এই ছবিগুলো অনেক বেশি ভালো লাগছে দেখতে।
আপনি ঠিক বলেছেন এই ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে।সুন্দর না হলেও চেষ্টা করি আপু তোলার জন্য ফটোগ্রাফি।
বাহ অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি অসাধারণ আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি। আপনি বলেছেন সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করতে পারেন না কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ লাগলো আমার কাছে। খুব সুন্দর করে যথার্থ বানানা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
খুব ভালো লাগলো আপু আপনার এমন সুন্দর মতামত পেয়ে।সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে শেয়ার করার চেষ্টা করব।