কিছু কিছু অভিমান সফলতা বয়ে আনে By-@salmanabir|১০% লাজুক খ্যাক এর জন্য|
আচ্ছালামুয়ালাইকুম,
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। ইফতারি করে সবাই একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন কেউ কেউ হয়ত ফোন নিয়ে বিজী হয়ে গেছেন আমার মতো।এখনো পোস্ট করা হয় নায় সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে আর কখন পোস্ট করব তাই লিখা শুরু করে দিলেন।সেইম কাজটা আমিও করতেছি তো চলুন আজকে ব্লগ তৈরী করে ফেলি।
এক ফ্যামিলিতে লোক সংখ্যা পাচ জন বাবা মা এক ভাই দুই বোন।বাবা সরকারি কর্মকর্তা মা গৃহনী। এক বোন বিবাহিত অন্য বোন ভার্সিটিতে পড়ালেখা করে আর ভাই সে গ্রাজুয়েশন শেষ করে প্রাইভেট জব করে আর বাংলা ব্লগে লেখালেখির কাজ করে।জব তাও কিছুদিন হলো নিছে
জব নেওয়ার পিছনের কারণটাই আজকে শেয়ার করব
ছেলে ঘরে বসে প্রতিদিন ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে বাবা যখন অফিস থেকে এসে দেখে যে ফোন অথবা কম্পিউটার নিয়েই বসে আছে।তখন দু চারটি কথা বলে রাগের মাথায়, কেননা কিছু কিছু ফ্যামিলির বাবা মা এমন আছে যে ছেলে মেয়ের ফোন চাপাচাপি দেখলে তাদের রক্ত গরম হয়ে যায়। এভাবে চলতে ছিল কিছুদিন ছেলে বাবার কথা শুনে চুপচাপ থাকে কোন উত্তর দেওয়ার সাহস নাই কারণ ছেলে জানে বেয়াদবি করতে নাই। বাবা আবার অন্যদিকে ছেলের টিচার এক দিকে শিক্ষাগুরু অন্যদিকে বাবা।সপ্তাহখানিক এভাবে বাবা বলতে লাগলো যে এভাবে আর কতোদিন কাটাবা সারাদিন ফোন নিয়েই পরে থাকো।ছেলে বাবাকে বুঝাতে চেষ্টা করল বাবা খারাপ দিকে আমি যাচ্ছি না আমি সাইটে লেখালেখি করি।বাবা গরম হয়ে তখন বলে ফেল্লো আমাকে তুমি শিখাইতে আসছ। তোমার বয়স আমি পার হয়ে আসছি জানি কি করো আর কি করবা। ছেলে চুপচাপ শুনে গেলো মাঝে মাঝে তার ও একটু খারাপ লাগে কেননা বয়সটা তো যুবক বয়স।এভাবে আরো কিছুদিন সময় চলতে লাগলো, একটা সময় বাবা বলে বাসা থেকে নেমে যাও আমি এই ফোন চাপাচাপি দেখতে পারব না। আমার বাসায় থাকতে হলে নামাজ আগে এবং টুকটাক কাজ করে থাকতে হবে। হয়ত থাকো নয়ত চলে যাও দুপুর বেলা মেজাজ সবারই একটু গরম থাকে। ছেলেটা অনেক আদরে বড় হইছে তাই কিছুটা অভিমান করে ফেল্লো।মূহুর্তের মধ্যই সে ঘর থেকে নেমে পরল।শুধু মাকে বলে আসল কারণ মা হলো ছেলেদের জান্নাত। মা ফিরাতে চেষ্টা করল কিন্তু কোনভাবে থামল না। শেষ বলে আসল মা ভালো থেকো জীবনে কখনো বড় কিছু হতে পারলে তোমাদের কাছে ফিরে আসব।তা না হলে আমাকে আর দেখতে পারবে না। শুধু কথাই বলতে পারবে মায়ের চোখ জুড়ে পানি চলে আসল। সর্বশেষ এটাই বলে দিল ভালো থাকিস বাবা কারণ মা বুঝে গেছে ছেলে অনেক কষ্ট পাইছে তাই সে আর আজকে ফিরবে না।
মায়ের কান্না কোন ছেলে অথবা মেয়ে দেখতে পারে না ছেলেও কান্না করতে করতে চলে আসল। ঢাকায় এসে বন্ধুর কাছে থাকা শুরু করল। বন্ধু একটা জবের ব্যবস্থা করে দিল।কিছুটা তো টেনশন কমল অন্তত ঢাকা থাকা এবং খাওয়া তো যাবে জবটা হওয়াতে। এভাবে কিছুদিন যেতে লাগল তবে মায়ের সাথে প্রতিদিন কথা হয়। আর মায়ের সাথে কথা বলাই মানে কান্নাকাটি করা। কি ভাবে থাকিস, কি খাইস, মশায় কামড়ায় কিনা এটা বলেই কেদে দেয় মা।সর্বশেষ এটা বলে এতো রাগ কবে থেকে হলো তোর ফিরে আয় বাড়িতে। গতপরশুদিন বাবার কল আর কতোদিন থাকবি।উত্তরে বলে দিছে আল্লাহ বাচাইলে যতোদিনে প্রতিষ্ঠিত না হবে। দোয়া করি বড় হ
তো ছেলে এখন ভালো কিছুই করতে আছে, ভালো জব পাশাপাশি ব্যবসায় দ্বাড় করতেছে এর থেকে আর ভালো কি হতে পারে।অভিমান থেকে যদি ভালো কিছু হয় তাহলে সে অভিমানই ভালো।
সারশংঃ
জীবনে এমন অভিমান রাগ দরকার প্রতি ব্যক্তির লাইফে তাহলেই সে একদিন প্রতিষ্ঠত হতে পারে।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার ব্লগটি দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার সু-সাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
কন্টেন্ট রাইটার
@salmanabir
অবশ্যই সত্য কথা, কিছু কিছু অভিমানে ব্যর্থতা যেমন বয়ে আনতে জানে, ঠিক তেমনি কিছু অভিমান রয়েছে যেগুলো মানুষের জীবনে সফলতা এনে দেয়। তবে ব্যক্তি বিশেষের অবশ্যই সজাগ ও সচেতন হওয়া লাগে।
জ্বী ভাই সুন্দর মতামত দিছেন ধন্যবাদ আপনাকে
এটা একদমই ঠিক ভাই যে অভিমান নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে, সেটা করা ভালো। ভাই বর্তমান যুগটা খুবই খারাপ যেজন্য মোবাইল দিয়ে ভালো কাজ করলেও সেটাকে সকলে খারাপ ভাবে
মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই।
কিছু কিছু সময়ে অভিমান করে থাকলে সেই অভিমানটাই আমাদের একসময় সফলতার একটি চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়।
আর সেই বিষয়টি আপনি আমাদের সাথে অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য
সত্যি বলেছেন। কিছু কিছু অভিমান জীবনের রূপ পাল্ঠে দেয়। অভিমান জীবনের সফলতার মুখ। আপনার এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য মঙ্গল কামনা করি।
সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ