কাচা আমের জুস তৈরী রেসিপি @salmanabir|১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য|
হ্যালো বন্ধুগন,
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।তবে আজ যে হারে গরম ছিল তাতে রোজা রাখতে কষ্ট হয়ে গেছিল । আলহামদুলিল্লাহ তারপরও কষ্ট করে রোজা রাখছি কেননা খুশী করতে হবে আল্লাহকে।প্রচন্ড এই রোদের তাপে আমি যখন ক্লান্ত তখন বোন কাচা আম নিয়ে আসল জুস বানানোর জন্য।আমি আবার জুস মোটামুটি ভালো করে বানাতে পারি। তাই বাসায় জুসের কাজ আমরই করতে হয় আর আমারো ভালো লাগে।একটি বিষয় হলো আমি যে কাজ করতে পারি সে কাজ করতে আমার কোন কষ্ট হয় না আনন্দ খুজে পাই। কাজের মধ্য আনন্দ খুজে পাওয়াই হলো সব থেকে বড় ব্যাপার । আনন্দ থাকলে কাজকে আর কাজ মনে হয় না।
🌶খুব সহজে কাচা আমের জুস তৈরী 🌶
এবার চলুন আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।আজকে আমি কাচা আমের জুস বানানোর রেসিপি শেয়ার করব।
উপকরণ সমূহ
কাচা আম | দুইটি |
---|---|
লবন | পরিমান মতো |
চিনি | তিন চা চামচ |
ঠান্ডা পানি | হাফ লিটার |
ধনিয়া পাতা | ৪ টি |
কাচা মরিচ | ১টি |
🌶ধাপ-১🌶
আমি আগেই আম গুলো কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখছিলাম,পানিতে ভিজিয়ে রাখার কারণ হলো কিছুটা টক কম হবে এবং কাচা আমের যে কষ তা দূর হয়ে যাবে।আমি ঘন্টাখানিক ভিজিয়ে রাখছি তবে ভিজিয়ে না রাখলেও চলবে।
🌶ধাপ-২🌶
এবার আমি বেলেন্ডার রেডি করে নিলাম, তার মধ্য শুধু আম গুলো দিয়ে দিলাম।আম গুলো যে পানিতে ভিজানো ছিল সে পানি দিব না।
🌶ধাপ-৩🌶
এবার আমি সকল মসলা গুলো দিয়ে দিব, ধনিয়া পাতা,লবন, চিনি মরিচ। তবে আমার মসলা ছিল না আজকে তাই আর দেওয়া হয়নি। আমি বাজারের একটি মসলা ব্যবহার করি তার নাম হলো ম্যাজিক মসলা। এটা খুবই ভালো দিলে অনেক স্বাদ বেড়ে যায়।
🌶ধাপ-৪🌶
এবার আমি ঠান্ডা পানি দিয়ে দিলাম হাফ লিটারের মতো। আমি একটু পানি কমই দিছি কেননা জুসটা আমি একটু ঘনো রাখতে চাচ্ছি । বেশী পানি দিলে লিকুইড বেশী হবে তাহলে আমার মনে হয় কাচের আমের স্বাদ আর পাওয়া যায় না।
🌶ধাপ-৫🌶
এবার সব কিছু দেওয়ার পরে আমি ব্লেন্ডার মেশিন চালু করে দিলাম, মাত্র তিন মিনিট চালু রাখলাম আর এতেই হয়ে গেল জুস।এই জুস অনেক স্বাদের আর যদি হয় ঠান্ডা পানির তাহলে আর কথাই নাই।
🌶শেষ ধাপ🌶
এই নিন এক গ্লাস কাচা আমের জুস মাত্র ত্রিশ টাকা।পেয়ে যাবেন আপনার শহরে । এবার বলি আমার বানানো জুসের কথা, যারা বিজনেস করে তারা চিন্তা করে একটা আম তিন গ্লাস বানানো যায় কিনা।এই রকম চিন্তা করতে গিয়ে তারা জুস আর জুস রাখে হোস্টেল লাইফের পানি ডাল বানিয়ে ফেলে। তাই নিজে বানিয়ে হাজার গুন পার্থক্য। আপনিও চেষ্টা করুন হয়ে যাবে। সারাদিনের ক্লান্ত এক গ্লাস জুসেই শেষ হয়ে যায়। সাথে আবার ভিটামিন সি"
রেসিপি মেকার | আবির |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ৫ |
পোস্টের ধরণ | জুস রেসিপি |
প্রকাশ | ২৩/০৪/০২২ |
আজকে শেয়ার করার মতো এটাই ছিল জানিনা আপনাদের ভালো লাগছে কিনা।ইনশাআল্লাহ আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগে।ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন এই কামনে করেই শেষ করছি।
💝আল্লাহ হাফেজ 💝
উপস্থাপনায়
@salmanabir
আপনার কাঁচা আমের জুসের রেসিপি টা খুবই চমৎকার হয়েছে ।এই জুস এই গরমে খেতে ভালো লাগে ।এই গরমে এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস খেলে বেশ তৃপ্তি পাওয়া যায় ।আপনি আপনার জুসে ধনিয়া পাতা ব্যবহার করেছেন যেটি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। কাঁচা আমের জুসে আমি সাধারণত এই টা দেই না। আপনার টা মনে হয় খুবই সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ধনিয়া পাতা দিলে খুবই সুন্দর একটা ঘ্রান পাওয়া যায় দিয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
আপনি ঠিক বলেছেন কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। আমি কাঁচা আমের আচাঁর বানিয়ে ছিলাম। আপনি জুস রেসিপি তৈরি করেছেন। এটি আসলে বেশি ভালো লাগলো। আপনি দারুণ দক্ষতায় তৈরি করেছেন ভাইয়া। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
জ্বী ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমি খুবিই আনন্দিত। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি জুস ভালো বানাতে পারেন জেনে ভালো লাগলো। বিশেষ করে আজকের কাঁচা আমের জুস দেখে তো মনে হচ্ছে দারুন হয়েছে। আমার কাছে আবার টক ঝাল এর শরবত খেতে বেশি ভালো লাগে। রমজান মাস উপলক্ষে দারুন একটি শরবতের রেসিপি দিয়েছেন। আমার কাছে তো বেশ ভালো লাগলো।
জ্বী আপু আমি যে কোন জুস খুবিই ভালো বানাতে পারি,ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য
কাঁচা আমের শরবত আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি যেভাবে তৈরি করেছেন আমিও অনেকটা এভাবেই তৈরি করি। সত্যি খুব মজাদার শরবত এটি। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে অনেক সাহায্য করে এই শরবত। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এবং অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সারাদিন রোজা রাখার পর এক গ্লাস ঠান্ড জুস খেলে শরীর শীতল হয়ে যায়, ধন্যবাদ আপু মতামত দেওয়ার জন্য
টুইটার
কাঁচা আম দিয়ে জুস বানালে এটি যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি অনেক সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে আমি এটি অনেক পছন্দ করি এবং আমার ফ্যামিলিতে বানানো হয়। তবে হ্যাঁ যাদের হজমে একটু সমস্যা আছে তাদের জন্য একটু সমস্যা হতে পারে। খুব ভাল ছিল আপনার আমের জুসের রেসিপি ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা ভাই এটি স্বাস্থ্যকর, কাচা আমে প্রচুর পরমান ভিটামিন সি" থাকে ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য
খুবই অল্প সময়ে সুন্দরভাবে কাঁচা আমের জুস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মনে হচ্ছে। তবে প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। যেহেতু বেলেনডারে মাঝে কাজটি সম্পন্ন করেছেন তাই আপনাকে যথেষ্ট খাটাখাটনি করা লেগেছে।
জ্বী ভাই খুবই অল্প সময়ে তৈরী করা হয়েছে,আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ
আম আমার খুবই পছন্দের , তবে পাকা আম আমার বেশি ভালো লাগে, আমি একবার কি দুবার কাঁচা আমের শরবত খেয়েছিলাম বেশ চমৎকার লাগে খেতে, টক মিষ্টি ঝাল মিশ্রণ টেস্ট থাকার কারণে খুব ভালো লাগে খেতে।
হরেক রকমের স্বাদ কাচা আমের জুসে এটা ঠিক বলছেন,ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য
আমের সিজন আসলেই আমার স্ত্রী মাঝে মাঝেই এই কাঁচা আমের জুস তৈরি করে খাওয়ায়। আবার আম পাকলেও এভাবে জুস তৈরি করে খাওয়ায়। দুই প্রকার জুস খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কাঁচা আমের একটা আলাদা ফ্লেভার থাকে যার কারণে কাঁচা আমের জুস খেতে বেশি ভালো লাগে। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তৈরি করার পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
যাক তাও ভালো যে কেউ একজন বানিয়ে খাওয়ায়, আমার কাছেও আমের দুই প্রকার জুস ভালোই লাগে। ধন্যবাদ ভাই
আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি এটা। যতোদিন বাজারে কাঁচা আম পাওয়া যায় ততোদিন আমি এই জুসটা খেতে থাকি। আপনার জুসটা দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী ভাই কাচা আমের জুস খেতে খুবই ভাল লাগে,আপনার খেতে ভালো লাগে শুনে আমার মন ভালো হয়ে গেলে।ধন্যবাদ ভাই।