আমার চাকরী পাওয়া নিয়ে লেখা |১০% লাজুক খ্যাকের জন্য|
আচ্ছালামু-আলাইকুম,
আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি,আগে লেখালেখি করতে ভালো লাগত না,লেখা নিয়ে ভালো অভিজ্ঞতাও ছিল না।বাংলা ব্লগে আসার পর থেকে মোটামুটি লিখতে শুরু করলাম।এখন যে কোন টপিকের উপর লিখতে পারব শুধুই কি তাই এখন টাইপিং স্পিড ও অনেক ভালো হয়ে গেছে।আজকে আমি শেয়ার করব কর্পোরেট অফিসের জব নিয়ে।
এই তো কিছুদিন হলো একটি কর্পোরেট অফিসে জব হলো, যখন মানুষ বেকার থাকে তখন মানুষ জব জব করে।ঠিক আমিও তেমন করছিলাম তখন বাবা একটি জবের ব্যাবস্থা করে দিল তার পরিচিত এক ভাইয়ের মাধ্যমে।আজকাল রেফার ছাড়া জব খুবই কঠিন ,রেফার যদি ভালো থাকে তাহলে কোম্পানীর জব মোটামুটি বলা যেতে পারে হবে।সিভি ড্রপ করার পাচদিন পর আমাকে ভাইবা দেওয়ার জন্য ডাকছে ।আমি ভাইবা ভালো করি এটা আমার খুবই আত্নবিশ্বাস ।আমাকে সকাল নয়টায় দেখা করতে বল্লো আমি পৌছিয়ে গেলাম সকাল সাতটায়।সকাল সকাল পৌছিয়ে ভালোই হলো অনেক কিছুই জানতে পারলাম অফিসের কর্মচারীদের মাধ্যমে।সকাল নয়টা বাজতে বাজতে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে গেলো সবাই সবার মুখের দিকে তাকায় কেউ কাউকে চিনি না,তখন ভাবলাম এমন হলে তো চলবে না আমি কয়েক জনের সাথে কথা বলা শুরু করে দিলাম।
হঠাৎ করে কোম্পানির সিদ্ধান্ত হলো যে লিখিত পরিক্ষা নিবে আমি তো অবাগ হয়ে গেলাম।মনে মনে ভয় পাইলাম কেননা কোন প্রস্তুতি ছাড়া পরিক্ষা দিব যাই হোক পরিক্ষা শুরু হলো সকাল দশটায় ।প্রশ্ন পত্র পাওয়ার পরে দেখি সব ইংরেজীতে মাথায় তো আকাশ ভেংগে পরল যে ছেলেটা ইংরেজীতে দুর্বল সে কিভাবে লিখবে ।মাত্র পচিশ মার্কের প্রশ্ন সবই পারি এবং ইংরেজী বুঝি কিন্তু ইংরেজী লিখতে পারি না।তখন একটা বিষয় ভাবলাম আমার থেকে কতো দুর্বলরা আছে এই চিন্তা করে লেখা শুরু করলাম মনে সাহস ও চলে আসল।এক ঘন্টা পরেই রেজাল্ট দিল আমি পাশ করে গেলাম।ভাইবা আমার কাছে খুবই সহজ কেননা আমি জানি কোম্পানির জবের জন্য কি ভাইবা হয়।
Source
প্রথম ভাইবা পর্ব শেষ করলাম তখন বলে দিল অপেক্ষা করেন আবার দ্বিতীয় ভাইবা হবে আয় হায় কি বলে তারা এত কেন, কি চাকরী নিতে আসলাম ।ধৈর্য ধরে বসে রইলাম অনেক সময় হলো ডাকে না ।এর মিনিট দশে পরে ডাকা শুরু করল আমি ভিতরে প্রবেশ করার পর বলে আপনি সিলেক্টেড। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কোন কিছু না জিজ্ঞাসা করেই কেন সিলেক্ট করে ফেললেন বলে এতো টাইম যে বসে ছিলেন এটাই ছিল আপনাদের দ্বিতীয় ভাইবা।কেননা আপনারা সারাদিন বসে বসে কাজ করবেন এটাই দেখার ছিল যে কতো ধৈর্য ধরতে পারেন।কি আর বলার কিছুই বলার নাই একটু ভালো লাগল আরকি।
কথায় আছে যে সবুরে মেওয়া ফলে
ব্যাপারটা ঠিক তেমনি হলো এরপরে অনেক কথা হলো, অনেক কিছুইই জিজ্ঞাসা করল। আগে কোথায় জব করছি কেন জব ছারছি ইত্যাদি ইত্যাদি বাকি কথা অন্য একদিন লিখব ইনশাআল্লাহ।
ধৈর্য্য ধরতে শিখুন জীবন উন্নতি হবে,যদি আপনার মধ্য ধৈর্য্য না থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার দ্বারা কিছুই হবে না।
অনেক কিছুই লেখার চেষ্টা করলাম, বাকি কিছু কথা রয়ে গেছে লিখে ফেলব সময় করে।এতো সময় আমার সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আবার দেখা হবে কথা হবে নতুন কোন ব্লগে, ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করে বিদায় নিচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ
চাকুরি হোক কিংবা না হোক আপনার আত্মবিশ্বাস যে ছিল আপনি ভালো ভাইবা দিতে পারবেন সেটাই হচ্ছে বড় কথা। মানুষের আত্মবিশ্বাস মানুষকে অনেক উপরে নিয়ে যায়। আর এটাও ঠিক বলেছেন ভাল রেফার ছাড়া কোথাও চাকরি হয় না। আর গভমেন্টের জব রেফার হলেও টাকার পরিমাণটা তো লাগবে। তবে একই সাথে আপনাকে অনেকগুলো পরীক্ষা দিতে হলো লিখিত, বাইবা এবং ধৈর্য পরীক্ষা অসাধারণ ছিল। খুবই ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে যে কোথাও ইন্টারভিউ দেওয়া মানে নতুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করা। আপনার চাকরি হওয়ার অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।