বি সি এস পরিক্ষা নিয়ে বন্ধুর মন খারাপ নিয়ে লেখা |১০% লাকুজ খ্যাক এর জন্য|
আচ্ছালামুয়ালাইকুম সবাইকে
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আজকে কোন ফটোগ্রাফি অথবা কোন ট্রাভেলিং পোস্ট নিয়ে আসি নায়, আজকে লেখালেখি নিয়ে একটা ব্লগ তৈরী করতে যাচ্ছি। আমার রুমমেট আজকে বি সি এস প্রিলিমিনারি পরিক্ষা দিছে।আমি অফিস থেকে এসে দেখি বন্ধু এখনো রুমে আসে নায়। কল করলাম বলে আসতে আছি তাই আর কিছু জিজ্ঞাসা করি নায়। ওর পরিক্ষার হল ছিল ঢাকা কমার্স কলেজ। কিছু সময় পর বন্ধু কলিং বেল দিল আমি গিয়া দরজা খুললাম, ফেইসের দিকে একবার তাকাইলাম দেখি মন খারাপ। আমি বললাম ফ্রেশ হয়ে আয় দেন প্রশ্ন পত্র চাইলাম দিল, দেখতে শুরু করলাম।সবারই প্রথম চয়েজ থাকে বি সি এস ক্যাডার হওয়া।কিন্তু আমার চয়েজ বিজনেস ম্যান হওয়া।কারণ আমি জানি লেখাপড়া আমাকে দিয়ে হবে না।তাই দেখা যাচ্ছে ওরা রুমে এসে পড়াশোনা করে আমি বিজনেসে সময় দি।
এবার বন্ধুলে জিজ্ঞসা করলাম কেমন ছিল,বন্ধু বলে উঠল খারাপ না মোটামুটি ভালোই হলো।তবে প্রশ্নপত্র সহজ করছে কিন্তু আমি তো অনেক কঠিন প্রশ্নের প্রিপারেশন নিছিলাম। তাই আমার কাছে কঠিন মনে হলো। তখন আর কি বলব নিজে পরিক্ষা দি নায় শান্তনা তো দিতে পারি । বন্ধুকে বললাম ফার্স্ট টাইম পরিক্ষা দিছ তাও ভালো দিছ এটাই আলহামদুলিল্লাহ। বেশী হতাশা হয়ে গেছে যে এতো সহজ প্রশ্ন হলো কিন্তু ভালো দিতে পারলাম না।আসলে মাঝে মাঝে এমন হয় যারা প্রশ্নপত্র তৈরী করে তারা অনেক সহজ প্রশ্ন করে কিন্তু আমাদের কাছে অনেক কঠিন মনে হয়। কেননা আমরা সাধারণত বুঝি যে পরিক্ষা মানেই অনেক কঠিন প্রশ্ন করবে।তাই আমরা সহজ প্রশ্ন গুলো এড়িয়ে যাই।তখন বন্ধু বলতে লাগল যে কেনো যে আরো একটু বেশী পড়লাম না। অনেক কথা বলতে শুরু করল যেমন, কেন যে স্মার্ট ফোন কিনতে গেলাম এতে অনেক সময় আমার নষ্ট হয়েছে। পড়তে বসে একটু ফেইসবুকের ভিডিও দেখতে বসছি ঘন্টা কেটে গেছে।আবার বলে চাকরি করে পড়াশোনা করা খুবই কঠিন। শেষ বল্লো যে নাহ সামনের পরিক্ষা খুবই ভালো করে দিতে হবে।এই কথা গুলো বলার কারণ ছিল প্রশ্ন গুলো এমন ভাবে করছে দেখে মনে হয় সব পারি। কিন্তু ভরাট করতে গেলে আর পারি না তখন মনে হয় আরেকটু পড়লেই পেরে যেতাম।
থেমে নাই বন্ধু আমার এবার প্রশ্নপত্র নিয়ে বসে পরল, কারেকশন করবে তার কতো গুলো সঠিক হয়েছে। আসলে এই কারেকশন করা কতোটা যুক্তযুক্ত তাও জানি এটা নিজেকে একটা শান্তনা দেওয়া। এবার আমি বন্ধুকে বলেই দিলাম যে দোস্ত তুই কতোঘন্টা পড়ছ প্রতিদিন মাত্র এক ঘন্টা করে এর তো বেশী না।তাহলে যারা প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে তাদের অবস্থা কি হবে। তাদের ও অনেকের পরিক্ষা খারাপ হয়েছে।তুই মাত্র এক ঘন্টা পড়েই এতো হায় হুতাশ করিস। আগে ভালো করে পড়ালেখা কর দেন পরিক্ষা দে ভালো হবে ইনশাআল্লাহ । এবার বন্ধু একটু থামল, এই ফাকে আমি জিজ্ঞাসা করে নিলাম আসলে কিভাবে পরীক্ষার নিয়ম কানুন ছিল তখন বল্লো আমিও তো নতুন ছিলাম, পরিক্ষার হলে ডুকতে কোন চেক করে নায় সরাসরি ডুকে গেছি।প্রতি বেঞ্চে পাচ জন করে পরীক্ষার্থী ছিল মোটামুটি স্যাররা ছাড় দিছে।এটাই ছিল বন্ধুর পরীক্ষা নিয়ে লেখা।
সর্বশেষ আমার কথা,আপনি যে কাজই করুন না কেন লেগে থাকতে হবে। আমি এতটুক বলতে পারি লেগে থাকলে সফল হবেই। আপনার আশেপাশে খোজ খবর নিয়ে দেখেন যারা আজ সফল তাদের পিছনের গল্প। তাদের পিছনের গল্প গুলো শুনলে আপনার অনেক সাহস হবে। আমার দিক থেকে একটু সহজ করে বলি যেহেতু আমি ব্যবসায়ী লোক আমার শুরুর দিকে যেমন কঠিন ছিল আজ অনেক সহজ।তাই যে কোন কাজ শুরুই কঠিন এবং অসম্ভব মনে হয়।
ব্লগার আবির
ডিভাইস রেডমি নোট ৫
আজকে লেখার মতো এতটুকুই ছিল আবার নতুন কিছু নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ, ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করেই আজকে বিদায় নিচ্ছি।
💕আল্লাহ হাফেজ💕
ধন্যবাদান্তে
আজকে লেখার মতো এতটুকুই ছিল আবার নতুন কিছু নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ, ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করেই আজকে বিদায় নিচ্ছি।
এমনটা প্রায়ই হয়ে থাকে। দেখা গেলো কঠিন প্রশ্নের জন্য প্রিপারেশন নিতে যেয়ে সহজ প্রশ্ন গুলো তেমন একটা ধরা হয়না। পরীক্ষায় গিয়ে দেখা যায় সহজ প্রশ্ন দিয়েছে। কিন্তু সে সময় সেটাই অনেক কঠিন লাগে। আশা করি পরের বার আপনার বন্ধু বেশি বেশি পড়বে। আর ভালো পরীক্ষা দিবে।
আমাদের বেশীরভাগ সময় এমনি হয় কেননা আমরা মনে করি যে প্রশ্ন মনে হয় অনেক কঠিন হবে।তাই অনেক কঠিন প্রশ্নের সমাধান করি।
ভাইয়া আপনার বন্ধুর বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময় সম্পর্কে আপনি আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। আসলে কোন কিছু একটু খারাপ হলে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। প্রথমে কোন ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়া ঠিক নয়। সামলে নিয়ে সামনে আরো ভালো করার উদ্যোগ থাকতে হয় মনের ভেতর। তবেই সফল হওয়া যায়। এভাবে প্রতিটি মানুষ তাদের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছে যাক এই কামনা করি।
আসলেই ঠিক বলছেন আমাদের ধৈর্য্য খুবিই কম, একটু কিছু হলেই হতাশ হয়ে পরি। তখন মাথায় মনে হয় জ্ঞান থাকে না।কিন্তু দেখেন আমরা কিন্তু বেশীরভাগ সময়ই আনন্দে কাটাই।
আপনার বন্ধুকে দিনে ৮ ঘণ্টা করে পড়তে বলেন তাহলেক আর মন খারাপ করতে হবে না। আশা করি ভালো হবে পরীক্ষা। তবে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে প্রশ্নগুলো দেখা হলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর বুদ্ধি দেওয়ার জন্য।