বরগুনা টু বরিশাল যাত্রাপথের গল্প By|@salmanabir| ১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
আচ্ছালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুগন,
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি । দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে ছিলাম কোথাও যাওয়া হত না শুধু বাসায় বসে খাওয়া দাওয়া ঘুম। দেখতে পেলাম যে দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছি। নিজের কাছেই খারাপ লাগা শুরু হলো। সবথেকে যে বাজে দিকটি হতে যাচ্ছিল একঘেয়েমি। দুপরের ভাত খেয়েই চিন্তা করলাম বরিশাল ঘুরতে যাবো। ঝটপট করে সব কিছু রেডি করে ফেললাম। বাসা থেকে বাস স্ট্যান্ড আসতে ৫মিনিট লাগে।
বাসস্ট্যান্ডে এসে বসলাম বাসের অপেক্ষায়,সাধারণত আমি বরিশালে বাসেই যাতায়াত করি। আমাদের এলাকায় দূরপাল্লায় বাসই চলা চল করে।দুই এক মিনিট বসার পরই একটি সি এন জি চলে আসলো। বতলে ছিল ভাই বরিশাল যাবেন আমি উত্তরে বলে দিলাম জ্বী।সাথে সাথে আমি বলে দিলাম ভাই আমি তো সাধারণত বাসে যাতায়াত করি। সি এন জি ড্রাইভার বুজে ফেল্লো আমি কি বলতে চাচ্ছি বল্লো ভাই বাসে যে ভাড়া দেন তা আমাকে দিলেই হবে।আর দেড়ি না করে উঠে বসে পড়লাম। এই প্রথমবার সি এন জি তে করে বরিশাল যাচ্ছি। উনি কম টাকায় নেওয়ায়ার কারণ জানতে চাইলাম। সে বল্লো ভাই বরগুনা ট্রিপ নিয়ে আসছিলাম এখন যা পাবো এটা আমার কপাল। কিছু খন যেতে না যেতেই আরো একজন লোক পেয়ে গেলো। মনে মনে ভাবতে লইলাম ওনার কপাল মনে হয় বেশ ভালোই। ড্রাইভার ভাইকে একটু সাবধান করে দিলাম যে ভাই আস্তে আস্তে ড্রাইভ কইরেন কেননা সি এন জি অনেক দ্রুত চালায় যা আমার খুব ভয় করে। আর সি এন জি যে কোন সময় উল্টি দিতে পারে কেননা তিন চাকার গাড়ি উচু নিচু জায়গায় পরলেই উল্টি দেয়।
তাকে আস্তে ড্রাইভ করতে বলার পরে সে সত্যিই আস্তে আস্তে ড্রাইভ করা শুরু করল।কিছু কিছু ড্রাইভার থাকে তাদেরকে কিছু বললে তারা উল্টা করবে। তারা তাদের মত করেই ড্রাইভ করে।এখন খুব ভালো ফিলিং কাজ করতে আছে। হালকা বাতাস যা মনকে উতাল করে দেয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনকে ফ্রেশ করে দেয়।কানে হেডফোন লাগিয়ে ঠান্ডা মিউজিক ছেড়ে দিলাম। খুবই ভালো ফিল করতে ছিলাম কেননা এই পথে নতুন সি এন জি তে জার্নি করি। পথিমধ্যে পুলিশের বাধা গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভার ভাই চলে গেলো কাগজ নিয়ে। পিছনে কি করল আর দেখার চেষ্টা করলাম না কারণ জানি তারা কি করবে।ড্রাইভার এসে বলতে লাগল সব কিছুই ঠিক তারপর তারা কেটে দিলাম নিশ্চয়ই বাংলাদেশিরা বুজে যাবেন।
ড্রাইভার ভাইকে একটু শান্তনা দিলাম বললাম এটা সামান্য রাস্তাঘাটে চলাচল করলে এমন একটু হবেই। সে কষ্টে বলেই দিল এই রুটে আর আসব না।কষ্ট তখনী পায় যখন সকল পেপারস ঠিক থাকে তারপর ও লেনদেন করতে হয়।যাই হোক ঠান্ডা মাথায়ই সি এন জি চালাইতে ছিল।
এর মধ্যই চলে আসছি বাখেরগঞ্জ অনেক তারাতাড়ি এসে পড়ছি কেননা সি এন জি কোথাও ব্রেক দেয় না।আর বাস হলে প্রতি জায়গায় জায়গায় ব্রেক দিতে হয়।কেননা গ্রামে সবই লোকাল বাস চলে।
কুয়াকাটা টু ঢাকার রাস্তা এই রাস্তার গাড়ি খুবই দ্রুত চলে আমার মনে হয় বিশ্বরোডে উঠলে সবাই গাড়ি অনেক স্পিডে চালায়। চোখের পলকের মধ্য গাড়ি নাই হয়ে যায়। বাখেরগঞ্জ থেকে বরিশাল পৌছাইতে আর মাত্র ২০ মিনিট লাগবে।এখন শুধু গাড়ি দেখি বাচ্ছাদের মতো যে দ্রুত যায় আসে। সবারই এতো ব্যস্ততা মাঝে মাঝে এটাও ভাবি জীবনের থেকেও মনে হয় সময়ের মূল্য অনেক বেশী।
অনেকদিন পর সেই চিরচেনা বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে পেলাম,এটা হলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে হয়ত পড়া হয় নায় কিন্তু আড্ডাটা এখনে একটু বেশী ছিল।অনেক ভালো ভলিবল খেলতাম সে সুবাদে অনেক বেশী যাওয়া হত। একটা সময় কলেজ মাঠে নদীর পার ঘীরেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। খুবই মনোরম পরিবেশ কোন হৈ চৈ নাই।
বলতে বলতে চলতে চলতে এসে গেলাম কীর্তনখোলার তীরে,এই ব্রিজে কতোই না আড্ডা দিতাম একটা সময়। কিনতু সময় আজ আমাদের অনেক দূরে সরিয়ে দিছে এখন রয়ে গেছে শুধু স্মৃতি। বাসে আসতে আমার সময় লাগে দুই ঘন্টা চল্লিশ মিনিট অথবা তিনঘন্টা। আজকে সময় লাগল মাত্র দুই ঘন্টা। ড্রাইভার ভাই বল্লো আপনি আস্তে আসতে বলছেন বলে একটু সময় লাগছে তা না হলে আমি এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিটে পৌছাইতাম। সবমিলিয়ে ধন্যবাদ দিলাম সে একটু খুশী হলো চা খাবার জন্য বললাম কিনতু সে রাজি হলো না।
সি এন জিতে আসায় আমাত যে বিষয়গুলো ভালো লাগছে।
আমি প্রথমে একটু ভয়ে ছিলাম যে কতো জোড়ে জেন ড্রাইভ করে,সি এন জি বিষয়ে আমার অনেক বাজে অভিজ্ঞতা আছে একবার উল্টি দিয়ে পরে গেছিলাম।বসার জন্য মাত্র তিনটি আসন থাকে তিনি চাইলে তিনজন যাত্রী নিয়ে আসতে পারত। কিন্তু আমাদের দুইজনকে নিয়েই আসছে। সব মিলিয়ে অনেক ভালো ড্রাইভিং করছে।
বরগুনা টু বরিশাল যাওয়ার গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আমি কখনো বরিশাল জেলায় যায়নি। আমার বরিশাল যাওয়ার খুবই সখ । আপনার পথ যাত্রা শুভ হোক সেটাই কামনা করি ধন্যবাদ।
জ্বী ভাই সময় করে একদিন আসবেন ভালো লাগবে,ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
আপনার বরগুনা টু বরিশাল যাবার যাত্রাপথের খুব সুন্দর বর্ণনা মাঝেমাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার যাত্রাপথের ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভাল ছিল। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আপনার বরগুনা টু বরিশাল যাত্রাপথের আনন্দ কষ্ট আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই সুন্দর মতামত দিছেন
বরগুনা টু বরিশাল যাত্রাপথের গল্প টি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। যাত্রা পথে অনেক আনন্দময় সময় পার করা যায়। আপনি আপনার অনুভূতি গুলো সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। শুভেচ্ছা রইল
ধন্যবাদ রাফি ভাই,ভালোবাসা রইল আপনার জন্য
ভাই আপনার বরগুনা টু বরিশাল ভ্রমণ কাহিনী পড়তে ভালোই লাগলো. কেননা বাকেরগঞ্জ থেকে বরিশাল পর্যন্ত রাস্তাটা আমার খুবই চেনা। এই রাস্তায় অনেক বার যাওয়া হয়েছে, যে কারণে খুবই চেনা চেনা লাগছে। আমার নিজ শহরের গল্প শুনতে খুবই ভালো লাগে। বরিশাল তো আমার প্রানের শহর। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে যে এই আমার প্রাণের শহরে ভ্রমন করার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনি বরিশালের মানুষ বাখেরগঞ্জ সম্পর্কে আপ্নি আমার থেকে বেশী চিনেন।ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য
কথা সাজিয়ে ছবির বর্ণনা, ধারাবাহিক ভাবে উপস্থাপন, কৌশলগত ভাবে ভালো ছিল। সহজ হোক জিবন চলার গতিপথ, এই কামনাই রইল।
ধন্যবাদ ভাই❤
🌹
বরগুনা থেকে বরিশাল যাওয়ার গল্পটা বেশ ভালই লাগলো। আপনি ঠিক কথাই বলেছেন ভাইয়া, আমরা যদি কোন ড্রাইভার কে গাড়ি আস্তে চালাতে বলি তখন মনে হয় তাদের গাড়ি চালানোর গতি আরও বেড়ে যায়। কিন্তু আপনার ড্রাইভারটি কথা শুনেছে এটা জেনে ভালো লাগলো। কারণ জীবনের চেয়ে সময়ের মূল্য কখনো বেশি হতে পারে না। আপনার বরগুনা টু বরিশাল যাত্রাপথের গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই পোস্টি পড়ে মন্তব্য করার জন্য
আপনার যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা শুনে ভালো লাগলো অনেক। এটা অসাধারন আপনি সিএনজিতে বসে বসেই এতো সুন্দর কিছু ছবি তুলেছেন। ড্রাইভার ভাই ও ভালো ছিলো দেখা যায়। সুন্দর ভাবে চালিয়ে আপনার গন্তব্যে পৌছে দিয়েছে। শুভেচ্ছা রইলো ভাই।
জ্বী ড্রাইভার ভাই ভালো ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে
খুব ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনি বরগুনা থেকে বরিশাল যাত্রাপথের বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এর সাথে খুব সুন্দর করে কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সবমিলিয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এরকম ভ্রমণের বর্ণনা এবং ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য