একটি প্রেমে পরার গল্প |১০% লাজুক খ্যাকের জন্য|
আচ্ছালামুয়ালাইকুম প্রিয় পাঠকগন,
আশাকরি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।অনেকদিন হলো লিখতে বসি না তাই লিখালিখি করতে ভুলে গেছি মনে হচ্ছে,তবে আজকে একটু চেষ্টা করব লিখতে। চলুন আজকে একটা প্রেমের গল্প লিখি।
ছেলেটির নাম মুনিম গ্রামেই বেড়ে ওঠা,গ্রাজুয়েশন শেষ করে ঢাকায় আসে চাকরীর সন্ধানে। কিছুদিন ঢাকাতে থাকে কোন চাকরীর সন্ধ্যান মিলে নায়। আর যে চাকরীর সন্ধ্যান হয় তাতে সেলারী খুবই কম তাই মন খারাপ করে বাড়ি চলে গেলো।তার দুরের কোন আত্নীয় ব্যাপারটা জানতে পেল। তখন সে ডিরেক্ট বলেই ফেল্লো তোমার একটা সিভি দিও আমি যে কোম্পানিতে কাজ করি সেখানে ড্রপ করে রাখব।মুনিম সুন্দর করে ঘন্টাখানিক এর মধ্য একটি সিভি পাঠিয়ে দিল।কিছুদিন পর কল আসল ভাইবার জন্য মুনিম সিলেক্টেড। দুইদিন পরেই জয়েন হলো মুনিম অফিসের সব কিছু দেখে একটু অবাগ হলো যে এতো সুন্দর সাজানো গুছানো অফিস।
প্রথমদিন অফিস ঘুরেফিরে চলে গেল দ্বিতীয় দিন মুনিমের ট্রেনিং শুরু হলো। অফিসের সকল কলিগের সাথে পরিচয় হলো, পরিচয় হয়ে সবার সাথে কথা বলে ভালোই লাগল তার কেননা সবাই ফ্রেন্ডলি ছিল।কারো মধ্য কোন নেগেটিভ ছিল না সবাই পজিটিভ কথা বল্লো এবং অফিস সম্পর্কে অনেক জ্ঞান দিল। ট্রেণিং রুমে চলে গেলাম সাথে ছিল আরো নয়জন।কিছুসময় পর ট্রেইনার চলে আসল। হেসে হেসে মিষ্টি ভাষায় তার পরিচয় দিল। ট্রেইনার এর নাম মিলি সে সাত মাস আগে জয়েন করছে কাজে ভালো এক্সপার্ট তাই ট্রেইনার হয়ে গেছে।এবার সবার পরিচয় জিজ্ঞাসা করতে লাগল যখন মুনিম পরিচয় দিতে লাগল তখন মুনিম নার্ভাস হয়ে গেলো। এক পর্যায় মিলি বলে ফেল্লো ভয় পাওয়ার কারণ নাই আমরা সবাই মানুষ আমিও আপনার পর্যায় থেকে উঠে ট্রেইনার হয়েছি। ট্রেনিং এর সাতদিন চলে গেলো সবার মধ্য ভালো একটি আন্ডারস্ট্যান্ডিং হলো।এখন সময় পেলে সবাই গল্প করতে বসে।
গল্পে অনেক কথা বার্তাই হয়ে থাকে সবাই অনেক কিছু শেয়ার করল।মুনিম একটু গম্ভীর হয়ে রইল কেননা সে তার পরিচয় ভালো করে দিতে পারে নায়।অন্যরা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মুনিমের সাথে গল্প করা শুরু করল। ট্রেনিং পিরিয়ড শেষ হলো এবার যার যার স্থানে শিফট হয়ে গেল। মুনিম যে টিমে গেলো সেই টিমের লিডার মিলি। কাজ করতে হলে অবশ্যই মিলির সাথে কথা বলতে হবে।তাই মিলি চিন্তা করল মুনিমকে তার সিটের কাছাকাছি রাখবে কাজে আটকে গেলে জেন খুব তারাতারি বুঝাতে পারে।
এভাবে কিছুদিন যেতে না যেতেই মুনিমের মিলিকে ভালো লেগে গেল।প্রতিদিন মুনিম কাজের ফাকে ফাকে মিলির দিকে তাকিয়ে থাকে মাঝে মাঝে চোখে চোখ পরে যায়।মিলি কোন রিয়েক্ট করে না অথবা চোখ গরম করে না। মুনিম আরো সুজোগ পেল এবার অনেক বেশী বেশী তাকায় মিলিও তাকায় কিন্তু কেউ কারো সাথে কথা বলে না।আট ঘন্টা ডিউটিতে অনেকবার দুজনের চোখাচোখি হয়। এভাবে সাপ্তাহ খানিক চলে গেলো।কাজের কথা ছাড়া কারো সাথে কখনো কথা হয় না।মুনিম চিন্তা করল অফিস শেষে কথা বলবে। তাই অফিস থেকে আগেই বের হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মিলি বের হয়ে অন্য এক আপুর সাথে চলে গেলো।আপুটা মিলির বোন তারা দুইজন একই অফিসে কাজ করেন।কথা বলার আর সুজোগ হলো না। পরের দিন মিলি নিজেই এসে বল্লো আজকে বাসার যাবার সময় আমাকে নিয়ে যাবেন ।মুনিম তো অবাগ আমাকেই কি বল্লো তখন জিজ্ঞাসা করল। তখন মিলি বল্লো হ্যা আপনার বাসা আমার বাসা একই পথে। মুনিম জিজ্ঞাসা করল আপনি কিভাবে জানেন। মিলি তখন বলে আমি আপনার লিডার সব কিছুই জানতে হয় তাই আগেই জেনে নিয়েছি।মুনিম বল্লো আজকে আপনার বোন আসে নায় মিলি বলে এতো কথা তো বলা যাবে না। কাজ করেন বলে চোখের আড়াল হলো।
কখন পাচটা বাজবে আর অফিস ছুটি হবে এই অপেক্ষা করা শুরু,অফিস ছুটি হলো মিলি এসে বল্লো এবার আর কাজ করতে হবে না জানি আজকে কি কাজ করছেন।অফিসের গেট খুলতে দেখে বাহিরে তুমুল বৃষ্টি। দুজনে আবার অফিসে ডুকে গেলো দেন কথা বলতে লাগত।মিলিতে বলতে লাগল এতো লজ্জা কেন ছেলে মানুষ এতো লজ্জা থাকে নাকি।মুনিম বল্লো লজ্জা না রেসপেক্ট করি আর একটু ভয় পাই আপনি লিডার মানুষ।অনেক সময় হয়ে গেল বৃষ্টি থামে না তখন মুনিম বল্লো চলেন তাহলে রিক্সায় চলে যাই।দুজনে রিক্সায় উঠে গেল অফিসের অন্যরা একটু অন্যভাবে তাকাল।কেউ কিছু বলতে আছে না চুপ হয়ে আছে কিছুসময় পর মিলি বলতে আছে বাকপ্রতিবন্ধি হয়ে আছেন কেন এমনি তে অনেক তাকিয়ে থাকেন।তাকানো ও কি তাহলে অপরাধ হ্যা অপরাধ আমার কাজে ডিস্টার্ব হয়। মুনিম বলল আর তাকাবো না এখন থেকে কথা বলব। মিলি হেসে বলতে আছে চালাক তো কম না। অনেক কথা বলতে বলতে মিলির বাসার সামনে চলে আসল,মিলি নেমে ভাড়া দিত লাগল রিক্সাওলা নিল না বলে মামায় নিতে না করছে।
আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকুন
আজ আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম, আবার কথা হবে দেখা হবে নতুন কোন ব্লগে। ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
ঘটনা তাহলে এই অফিসে ট্রেইনার দিকে তাকিয়ে থাকা😉😉।ভালো লাগলো গল্পটা পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ
আপু ঘটনা এখনো ঘটে নায় ঘটাব কিনা ভাবতে আছি😁
কপালে মাইর ছাড়া কিছু নাই 😉😉
আপনার লেখা প্রেমে পড়ার গল্প টা দারুন ছিল। আসলে প্রতিটা মানুষের জীবনে প্রেম আসে কখন আসবে সেটা বলা মুশকিল। এরকম রোমান্টিক গল্প পড়তে খুবই ভালো লাগে পরবর্তী পর্বের জন্য আশায় রইলাম।
বন্ধু আমি কিন্তু মন্তব্য করতে আসি নাই। অনেকদিন পরে দেখেছি তাই ভালো লাগলো। কোথায় ছিলে এতদিন সেটা জানতে চাই। রিপ্লাইয়ের পাতায় চোখ রাখলাম।
বন্ধু আমি জব করি পাশাপাশি বিজনেস আছে তাই সময় দিতে পারছি না।
ও আচ্ছা, ঠিক আছে। শুভ কামনা করি। চলার পথ যেনো সৃষ্টিকর্তার সর্বোচ্চ সহায়তা থাকে সেই দোয়া করি।