ঘুরে দেখা জাতীয় উদ্যান By-@salmanabir|১০% লাজুক খ্যাক এর জন্য|
আচ্ছালামুয়ালাইকুম বন্ধুগন,
আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি।তবে অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় যাচ্ছে। তাই কিছুদিন ধরে আপনাদের সাথে থাকতে পারি নায়। এখন কিছুটা ব্যস্ততা কমে গেছে আশা করি এখন থেকে আবার সময় দিতে পারব আপনাদের খবরাখবর নিতে পারব এটাই অনেক ভালো লাগা।
কিছুদিন আগে ঢাকা আসছি তবে আমার মন টিকে না ঢাকার শহরে।খুবই কষ্টের মনে হয় কেননা এত জ্যাম এতো মানুষ এতো ধুলাবালি সব মিলিয়ে আমি অতিষ্ঠ। বন্ধুর বাসায় থাকি ও আবার জব করে তাই আমাকে সময় দিতে পারে না।আমিও ঢাকার শহর ভালো করে চিনিনা।বেশী আসা হয় না ঢাকাতে আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা গ্রামে থাকব। মা বাবার কাছেই থাকব কিন্তু এই সময়টা চলে গেল শান্তি আর হইল না।বন্ধুর কালকে অফ ডে ছিল বললাম আমাকে একটু গ্রাম্য পরিবেশে ঘুরতে নিয়ে চল।আমাকে নিয়ে চলে গেল বোটানিক্যাল গার্ডেনে আহ!কি শান্তি একদম গ্রাম্য পরিবেশ। মন ভাল হলো কিছু সময়ের জন্য মাথায় টেনশন ঠিকই আছে যে এতো জ্যামের মধ্য আবার যেতে হবে। এবার গুটি গুটি পায়ে গার্ডেন এর মধ্য ডুকতে নিলাম।
আমাদের সাথে ছিল এক কাকা তিনি আমার এলাকার। এই গার্ডেনই কাজ করে তাই আর কোন টিকিট লাগে নায়।তা ছাড়া টিকিট মূল্য বিশটাকা। কাকাকে সাথে পেয়ে বেশী ভালো লাগা শুরু হলো।পরিচিত লোক থাকলে মনে একটু সাহস আসে এবং মন খুলে সব কথা শেয়ার করা যায়। কাকা আমাদের সব কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে গাছের নাম এবং গাছের বয়স কতো দিন সব কিছুই সে জানে।
এই জায়গাটা দেখে খুবই ভালো লাগলো একদম সাজানো গুছানো। গেট থেকে ডুকে একদম সোজা রাস্তায় গেলেই এই জায়গাটা পাওয়া যায়। হাতের ডানে রয়েছে দোলনা ছবি ক্লিক করতে পারি নায় অনেক ভিড় ছিল তাই।হাতের বামে আছে গোলাপ ফুলের বাগান। ঢাকার মধ্য এমন জায়গা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা ইট পাথরের শহরে এটাকে আমি মনে করি এক টুকরো সোনা।বিশুদ্ধ বাতাস চারিপাশে সবুজে সমারাহ মনকে করে সতেজ।সবুজের দিকে তাকালে মনে হয় চোখে পাওয়ার বেড়ে যায় এবং লম্বাসময় ধরে তাকিয়ে থাকা যায়।
লতাগাছের গেট খুবই ভালো লাগে জানি না আপনাদের কেমন লাগে।কোন এক সময় আমার বাড়িতেও এমন গেট ছিল কিন্তু এখন আর দেখা মিলে না কে করবে।আমি ছেলে যে অলস তাই আর করা ও হয় না।এখন মনে করি অন্য মানুষদেরতা দেখতেই ভালো লাগে । গেটের ছবি তুলতে গিয়ে অন্য মানুষের ফটোগ্রাফার হয়ে গেছিলাম। তারা হয়ত নতুন কাপল বল্লো ভাই আমাদের একটা ছবি তুলে দিবেন। আমি যে ছবি তুলতে পছন্দ করি সে তো জানে না। আমি বললাম ভাই একটা কেন অনেক গুলো তুলে দিতে পারব কোন সমস্যা নাই।
অনেক বড় স্পেস ঘুরতে ভালোই লাগে, আর যতো হাটি ততোই ভালো লাগে এ যেন নেশায় ধরছে আমায় । অনেক পথ হেটে হেটে দেখলাম ভাবলাম বাকি অংশ আবার অন্য একদিন দেখব।
উদ্যানে অনেক নিয়ম-কানুন আছে এই নিয়ম নিজ নিজ দায়িত্বে পালন করা দরকার। কেননা এটা আমাদেরই বন পরিষ্কার রাখা আমাদেরই দায়িত্ব। বনকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদেরি সাহায্য করতে হবে।এই বন আমাদের ঢাকাবাসীর জন্য অনেক উপকারী।
গার্ডেন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় একটা সেলফি তুলে নিলাম,আগে নিজের ছবি অনেক তুলতাম কিন্তু এখন কেন জেন মনে চায় না।
w3w
Device:mi redmi note5
জাতীয় উদ্যানটি খুবই সুন্দর পরিবেশের মনে হচ্ছে।সবুজে সবুজময়,খুবই ভালো লাগে সবুজ প্রকৃতির মাঝে হাঁটতে।ছবিগুলো ভালো ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।
সময় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর একটি মূহুর্ত কাটিয়েছেন ভাইয়া, আমার কখনো জাতীয় উদ্যান যাওয়া হয়নি, তবে আপনার পোস্টের বর্ণনা দেখে যাওয়ার খুব ইচ্ছে জাগলো, অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি এবং খুব সুন্দর করে জাতীয় উদ্যানের বর্ণনা দিয়েছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
রুবায়েত ভাইয়া খুবই সুন্দর মন্তব্য করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে
আমার কাছেও ঢাকা শহর তেমন পছন্দ নয় ।আমি অনেকবার ঢাকা গিয়েছি কিন্তু জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখার সময় হয়নি। আপনি জাতীয় উদ্যানে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করলেন পরিবেশটা যথেষ্ট সুন্দর ছিল। আমার কাছে ভালো লেগেছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আবার যখন আসবেন ঘুরে দেখবেন,ভালো লাগবে গ্রামের মতো লাগবে।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
ভাইয়া আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি প্রাকৃতিক জায়গা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক সুন্দর একটি জায়গা। মাঝে মাঝে সময় পেলে ঘুরে আসি।
ভাইয়া আপনি জাতীয় উদ্যান এর চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। খুব সুন্দর একটা পরিবেশ। আমার কখনো যাওয়া হয়নি। কিন্তু একদিন অবশ্যই যাবো। ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
জাতীয় উদ্যান ঘুরে দারুণ সব ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া।।
আমি ও গিয়েছিলাম কয়েক বার।।
আমার খুব ভালো লাগে।।
তবে মাঝে মাঝে অনৈতিক কাজ ও চোখে দেখা মেলে।।
আমি নিজে অনেকবার জাতীয় উদ্যানে গিয়েছি। আপনি খুব সুন্দর করে সবকিছু বননা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ঢাকা আসার সুবাদে সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। জাতীয় উদ্যানের এইরকম কিছু ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
বোটানিক্যাল গার্ডেন অসাধারণ এবং কি খুবই সুন্দর একটি স্থান। ওইখানে গেলে এমনিতেই মন ফ্রেশ হয়ে যায়। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন ঢাকায় যখন প্রথম এসেছিলাম তখন প্রায় দম বন্ধ হয়ে আসতো। দুলাবালি যানজট কোন কিছু চেনা জানা নেই ধোঁয়াশা তো সবকিছুই। কিন্তু আপনি যে শেষপর্যন্ত এত সুন্দর একটি জায়গার দারুন দারুন ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
দারুন কিছু মুহুর্ত শেয়ার করেছেন ভাই। আসলে জাতীয় উদ্যানের এই গাছপালাগুলো দেখতে আসলে ভালো লাগে। এখানে শুধু সবুজের সমাহার। আজকের জাতীয় উদ্যানের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি যে ফটোগ্রাফি করতে ভালবাসেন ,সেটা কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে জাতীয় উদ্যানের ঘুরে দেখার কিছু মুহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার সময়টা কতটা আনন্দ ঘন মুহূর্তে কেটেছে। ঢাকার পাশে থাকি কিন্তু আসলে এখনো সেভাবে সৌভাগ্য হয়নি জাতীয় উদ্যানে যাওয়ার। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে উদ্যানটি দেখে নিলাম খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।