শীতকালিন প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্ব- By|@salmanabir|১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
আচ্ছালামুয়ালাইকুম বন্ধুগন
কন কনে এই শীতের মধ্য মনে হয় কেউ বেশী ভালো নাই, দিন দিন তাপমাত্রা কমে আসছে অন্য দিকে শীত বেড়ে যাচ্ছে।জ্বর ঠান্ড সবারই কম বেশী লেগে আছে এর মধ্য থেকেও আমাদের সচেতন হতে হবে। সচেতেনতা অনেক অসুখ এর ঔষধ তাই আমরা চেষ্টা করব বাহিরে বেশী বের না হয়ে বাসায় অবস্থান করার।
এবার আসি মূল কথায় শীতকে বিদায় দিতে আমাদের এডমিন মহোদয় আমদের জন্য খুবই দারুন একটা ইভেন্ট দিছেন। যেখানে আমাদের শীতকালিন প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটপোগ্রাফি তুলে ধরা যাবে।এই ফটোগ্রাফি ইভেন্টে ৮জনকে পুরুষ্কার দেয়া হবে।তো বুজতেই পারছেন কতো প্রতিযোগী আছে।টিকে থাকতে হলে আপনাকে আমাকে অনেক ভালো কিছু দৃশ্য দেখাতে হবে এবং সেই সাথে শুদ্ধ বানান লিখতে হবে।আজকে আমি এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি গ্রামীন কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে।আশা করি আপনাদের গ্রামীণ দৃশ্য গুলো দেখে ভালোই লাগবে।আর দেরি কেন চলুন কিছু গ্রামীণ ছবি দেখি।
★দোতলা টিনের ঘর★
আমাদের গ্রাম গুলোতে এখনো টিনের ঘর বেশী,প্রতিটা ঘরই দোতলা হয়ে থাকে।মেঝেতে থাকে মাটি দোতলায় উঠার জন্য কাঠের সিঁড়ি ব্যবহার করা হয় এবং দোতলা সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরী।মানে দোতলার মেঝে কাঠের হয়ে থাকে।ঘর গুলো বেশ সাজানো থাকে কাঠে বিভিন্ন নকশা থাকে দেখতে খুবই ভালো লাগে
★খড়কুটোর মোড়া★
আমাদের গ্রামে এটাকে খড়কুটোর মোড়া বলা হয় জানা নাই কার গ্রামে কি বলা হয়।যখন মাঠ থেকে ধান কেটে আনা হয় ধান রেখে কুটো গুলো এভাবে রাখা হয়।এই খড় কুটো গুলো হলো গরুর খাবার।যখন মাঠের ঘাস শেষ হয়ে যাবে তখন গরুর খাবার হিসাবে কুটোই হলো সম্বল।শীতের মৌসুমেই আমাদের গ্রামে এই খড়কুটোর মোড়া বানানো হয়।
★ধান শুকানোর চিত্র★
মাঠ থেকে ধান আনার পরে সিদ্ধ করে রোদে এভাবে শুকানো হয়, মাঝে মাঝে ধানকে ওলট-পালট করতে হয় তাহলে সব ধানে তাপ ঠিক ভাবে লাগে
★পুকুর★
শীতের সময়ে চারিপাশ আটকানো পুকুর গুলোতে অনেক সমস্যা দেখা যায়। পানি নষ্ট হয়ে যায় এবং পানি কমে যায়। পানি নষ্ট হওয়ার কারণ বৃষ্টিপাত কম হয় অনেক মানুষের জামা কাপড় ধোয়া এবং গোসল করার কারণে এমন হয়।বৃষ্টি হলেই আবার ঠিক হয়ে যায়।
★ফসলের মাঠ★
আমাদের এই মাঠে বছরে দুইবার ধান ফলানো হয়, বাকি সময়ে বিভিন্ন রকমের ফসল ফলানো হয়। এখন বর্তমানে কলাই ডাল আছে মাঠ ভড়া।এরপর আবার দেওয়া হবে মুগ ডাল তবে বেশী ফলন হয় মুগ ডাল।
★লাউয়ের ডগা★
একমাত্র শীতের সময়েই আমাদের গ্রামে লাউ পাওয়া যায়, তবে ভালো লাগার একটি বিষয় হলো শীতের সময়ে আমাদের গ্রামের মানুষ সবাই সবজি চাষ করে।যারা ভালো পরিচর্যা করে তাদের ফলন বেশী হয়।
★কুমড়া ফুল★
আমার ফুল গুলো খেতে অনেক বেশী ভালো লাগে ডিম দিয়ে ভেজে ফুল গুলো খাওয়া যায়, খুবই স্বাদের একটি রেসিপি অনেক বছর খাওয়া হয় নায় দেখি এইবার হয় কিনা
★পাতা ছাড়া গাছ★
শীতের মৌসুমে সব গাছের পাতা ঝড়ে পরে,আবার নতুন পাতা দেয়। আমার ফটোটা সে রকম কিছু গাছের যে গাছের পাতা নাই।এই সময়কালে একদম সব ফাকা ফাকা লাগে গাছের পাতা না থাকার কারনে।
★সূর্য বিদায় নেয়ার আগ মূহুর্তে★
যখন আলো শেষ করে দিনের মায়া ছেড়ে চলে যায় ঠিক তার আগ মূহুর্তে। আজকের পর্ব এই ছবিটা দিয়েই শেষ করলাম।
আমি চেষ্টা করছি আপনাদের ভালো কিছু দৃশ্য দেখানোর,আশা করি আপনাদের ভালো লাগছে।
ফটোমেকার | @salmanabir | |
---|---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৫ | |
লোকেশন | ছবির সাথে সংযুক্তি | |
তারিখ | ২৯/০১/২০২২ |
এতো সময়ে আপনাদের সাথে ছিলাম আমি @salmanabir। গ্রাজুয়েশন করে এখন বর্তমানে একজন উদ্যোগতা।চাকরি করব না চাকরি দিব এটাই প্রত্যাশা ইনশাআল্লাহ। আমি সাথে ছিলাম বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা থেকে।
বাহ,দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি।টিনের দোতলা ঘর দেখতে খুবই সুন্দর হয়।তাছাড়া আপনি বেশ সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য তুলে ধরেছেন গ্রামের।পাতা ঝরে পড়া গাছ , পুকুর ও সূর্য অস্ত যাওয়ার অপুরুপ দৃশ্য দেখে মন ভরে গেল।ধন্যবাদ ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু খুবই সুন্দর মন্তব্য করছেন।
শীতকালিন প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্পর্কে সুন্দর বর্নণা দিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলোও অনেক সুন্দর ছিল। দোতলার কাঠের বাড়ি আমি কখনও দেখিনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক ভালো ছিলো। সূর্য মামার ছবিটি সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফির নিচে সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ রাফি ভাই প্রতি সময়ে আপনি সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকেন।ভালোবাসা রইল আপনার জন্য💕
সত্যি ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন ছিল এবং কি আপনি যে শীতের ফটোগ্রাফী কনটেস্ট এ অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন তার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনার কনটেস্ট অংশগ্রহণ দেখে আমার খুব আফসোস হচ্ছে। আমি এখন পর্যন্ত প্রিপারেশন নিতে পারেনি ফটোগ্রাফি করার মতো সুযোগ পাচ্ছিনা। চেষ্টা করব আমি অংশগ্রহণ করার জন্য। আর আমাদের সাথে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং সেইসাথে অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন এত সুন্দর শীতকালীন ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
প্রথমে আমি ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। জ্বী ভাই আপনিও অংশগ্রহণ করবেন সময় বের করে ফটো তুলে নিবেন। আশা করি আপ্নিও অনেক ভালো দৃশ্য গুলো তুলে নিয়ে আসবেন।ভালোবাসা রইল আপনার জন্য❤
বাহ ভাইয়া অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম। আসলেই অসাধারণ। একদম প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের মতো ফটো গুলো🤗
আর শুভেচ্ছা রইলো প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
দোতলা টিনের ঘর অনেকদিন পর দেখলাম দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার প্রতিটি ছবি আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। আপনার উপস্থাপনা অনেক ভাল ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
ওয়াও ভাইয়া আপনি খুব যত্নসহকারে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। আর তার উপস্থাপনা গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আর দেখে খুব ভালো লাগলো আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনার এই সুন্দর কমেন্টে আমাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে,ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
ওয়াও ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আমার কাছে প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
খুবিই সুন্দর মন্তব্য করছেন যে মন্তব্যে আমি অনুপ্রেনিত ধন্যবাদ আপু।
আপনার শীত কালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি গুলো অনেক ভালো হয়েছে ভাইয়া। আমার কাছে এই ধরনের ছবি গুলো অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে লাউ গাছের ছবি গুলো ফাটাফাটি হয়েছে। চালিয়ে যান ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আপনার মন্তব্যে আমি অনুপ্রেনিত সুন্দর করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পুকুরের ছবিটা কিন্তু অসাধারণ হয়েছে। আমি সর্বপ্রথম এমন টিনের দোচালা ঘর দেখেছিলাম বরিশাল গিয়ে। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন দেখা যাক ফলাফল কি আছে।
আবার আসবেন বরিশাল।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ