এক রিকশাওয়ালার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। ১০ % প্রিয় shy-fox এর জন্য।

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

---

আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো একজন রিকশাওয়ালার জীবনের একটি ঘটনা। আমি গত কয়েকদিন আগে আমার ভাগিনার জন্য নিউ-মার্কেট থেকে একটি প্যান্ট শার্ট আর এক জোড়া জুতা কিনে দেই। মার্কেট থেকে কিনা কাটা শেষ করে ইফতার রাস্তায় করে পরে বাসে করে মোহাম্মদপুর আসি।আমার ভাগিনার সাথে আমি মার্কেটে সহজে যেতে চাই না। আমার ভাগিনা শুধু ঘুরে বেড়ায় আর প্রথম যেই শার্ট দেখবে আর ২০টা দোকান দেখে পরে সেই প্রথম শার্ট নিবে। তাই ওরে বলছি যে আমি যাব বেশি ঘুরতে পারবো না পরে বলে আচ্ছা।

---

---

পরে দেরি না করে তাও একটি ঘন্টা ঘুরে প্যান্ট আর শার্ট কিনে। কিনাকাটি শেষ করে চলে আসি বাসে করে মোহাম্মদপুর। একটি রিকশা নেই বললাম মামা যাবেন? মামা বলে কই যাবেন আমি আদাবার বলে উঠুন মামা। মামা কে দেখেই বুঝা যায় মামা একটু মজাদার মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করে মামা গ্রামের বাড়ি কথায়? আমি বললাম মামা বরিশাল আপনার? বলে দিনাজপুর । আমি বললাম মামা দিনাজপুর তো আমি গিয়েছিলাম ভাধুরিয়াতে আর নবাব গঞ্চ। পরে মামাকে বলি মামা আপনাদের দিনাজপুরের মানুষ অনেক ভালো সেখানে একটা খাবার সকলের জনপ্রিয় আলুর ডাল খুবই মজার একটি খাবার। মামা বলে ঠিক বলেছেন। পরে মামা হঠাৎ করে বলে মামা আমি রিকশা চালাই আমার কপালের দোসে। আমি গ্রামে যাইতে পারি না এটার কারনে। আমার তিন ভাই দুই বেশ ভালো পজিশনে আছে। তাদের টাকার পয়াসার অবাব নাই। তাদের মত আমার ও আজকে টাকা থাকতো। আমার বাবা মা মারা যাওয়ার পর আমাদের সকলের তখন প্রাপ্ত বয়স হয়েছে। বাবা আমাদের টাকা পয়সা ভাগ করে দেয় আমরা তিন ভাই ৬৫০০০০ টাকা ভাগে পাই সবাই কাজে খাটিয়েছে আর আমি অন্য কাজে ব্যয় করেছি। নারী, নেশা মদ, তাই মামা আজ ভালো ভাবে থাকতাম বিয়ে করে এখন রিকশা চালাই। এই ছিল রিকশা চালক মামার ঘটনা। এখান থেকে একটি বিষয় জানতে পারলাম খারাপ যায়গা খারাপ পথ মানুষকে একদম শেষ করে দেয়।

---

---

দিনাজপুরের আলুর-ডালের রান্না বেশ মজার। আমি প্রায় সেখেন ১মাস ১০দিন থেকেছি। আমি সেখানকার আলুর-ডাল ৪০দিনের মধ্যে ৩০দিন খেয়েছি। এই আলুর-ডাল দিনাজপুরের যে কোনো খাবারের হোটেলে সকাল দুপুর রাতে তিন বেলাই আলুর-ডাল পাবেন। প্রত্যেক গ্রামে বা শহরে তাদের বিখ্যাত একটি না একটি খাবার পাবেন।

আজ এই পযন্ত আবার নতুন কিছু নিয়ে আসবো। সবাই সবার পরিবার নিয়ে সুস্থ থাকেন ভালো থাকেন দোয়া আর ভালোবাসা রইলো। সবাইকে ঈদ মোবারক। সকলের ঈদের ছুটি আনন্দে কাটুক। আমি ঘুরতে বেশ পছন্দ করি। বই পড়তে ভালো লাগে।