বাড়ির বুড়ো

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.

০২ ভাদ্র মাস, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।

১৭ আগস্ট, বৃহস্পতিবার।



মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।



বাড়ির বুড়ো

man-798989_1280.jpg

Image by omer yousief from Pixabay


আমি কখনো ভাবি নি এরকম একটা টপিক নিয়ে আমি কখনো লিখব, কিছুক্ষণ আগেও এটা আমার মাথায় ছিল না আজকে টপিকটা এরকম হবে। মাত্র দাওয়াত খেয়ে হ্যাংআউট এ যুক্ত হলাম। তুমি একটা জিনিস মাথার মধ্যে খুব ঘুরপাক খাচ্ছে যে বাসায় দাওয়াত খেতে গেলাম সেটা আমার এক আত্মীয়, দশ ভাই বোনের বিশাল বিশাল অট্টালিকা বিশাল এক জায়গা নিয়ে তারা একত্রে বসবাস করে যদিও প্রত্যেকের বিল্ডিং আলাদা। বুঝতেই পারছেন চারদিক থেকে বাউন্ডারি দেয়া এবং ভেতরে এতগুলো বিল্ডিং, এরিয়ার ভিতরেই পাঁচতলা ফাউন্ডেশন করা মসজিদ রয়েছে পারিবারিক কবরস্থান রয়েছে।

অর্থাৎ পুরো এরিয়াটা যদি শুধুমাত্র হেঁটে বেড়ানো হয় তাও ১০-১৫ মিনিট প্রয়োজন, কিন্তু অতীতের সেই মজাটা এখন আর নেই। দাওয়াত খেয়ে এসে কথা কেন বললাম জানেন, দশ ভাইবোনের মধ্যে আমার নানী ও একজন। মূলত আজকের কথা বলছি আমার নানীর মাকে নিয়ে, হ্যাঁ আমি আমার নানীর মাকে দেখেছি তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন তিনি ছিলেন এত বড় একটা বাড়ির মুরুব্বী, তিনি গত হয়েছেন বেশ অনেক বছর, তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন এত বড় একটা বাড়ির পুরোটাই আলোকসজ্জার মত জ্বলজ্বল করতো, তিনিই যতদিন বেঁচে ছিলেন সব ভাই বোন নাতি নাতনি এবং তাদের সন্তানরা অর্থাৎ আমরাও যখন ওই বাসায় বেড়াতে যেতাম তার রুমে আড্ডা দিতাম।

তার মৃত্যুর পর থেকে পুরো বাড়িটাই কেমন যেন আলাদা হয়ে গেছে, তিনি থাকতে তার ছেলে মেয়েদের মধ্যে অনেক মিল ছিল, যখনই যেতাম সবার আগে তার রুমে আসতাম ভালই লাগতো, কোন কারন ছাড়াই খুব আনন্দ হতো। আজ এত বড় বড় বিয়ের প্রোগ্রাম হয়, এমনিতেও সবাই দাওয়াত খাওয়া হয় একসাথে হাওয়া কিংবা কোন একটা টপিকে সবাই একসাথে বসা হয় ঠিকই ওই আন্তরিকতা নেই।

বাড়ির মুরুব্বী আসলে খুব ইম্পরট্যান্ট একটা চরিত্র, তিনি যতদিন থাকে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সবাইকে একত্রে রাখতে পারে, এই মানুষগুলো যখন থাকে না তখন সবাই একত্রে হয়েও কেন যেন সে ভালোবাসাটা আর থাকে না। আজ লেখাগুলো একটু অগোছালো হবে, বাড়ির বৃদ্ধা কিন্তু ছোটদের খুব আদর করে, এমনও হয়েছে তার নিজের খাবার আমাকে দিয়ে দিয়েছে জোর করে খাইয়ে দিয়েছে আগের দিনের মানুষের এই ভালোবাসাটা কিন্তু বর্তমানের খুব একটা পাওয়া যাবে, এখন সবাই সম্পত্তি টাকা আধিপত্য নিয়েই ব্যস্ত, পুরনো দিনের সে সহজ সরল মানুষগুলো এখন আর নেই।


আমি কে?

আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।


@sajjadsohan (1).gif


image.png



logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


image.png

115.png

Sort:  
 last year 

অনেক ভালো লাগলো জেনে যে আপনি আপনার নানীর মাকেও দেখেছেন। এখন হয়তো বা অনেকেরই এই সৌভাগ্যটা হয় না। তবে বাড়িতে একটি বুড়ো মানুষ থাকা অনেকটাই ভালো। কেননা তারা আগের বিভিন্ন গল্প বলে। অনেকজন একত্রে বসে গল্প শোনা আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্ট পড়ে।

 last year 

গার্জিয়ান থাকাটা অনেক বড় জিনিস, বাড়িতে একটা গার্জিয়ান থাকলে সবাইকে একত্রে রাখতে পারেন। গার্জিয়ান না থাকলে সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58482.75
ETH 2615.94
USDT 1.00
SBD 2.42