সম্পর্ক || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো by sajjadsohan
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
০১ই- ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার।
 আ মার বাংলা ব্লগের সকল  সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।  আশা করি সবাই ভাল আছেন।  আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।  আমার তোলা কিছু ছবি আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদেরকে সামাজিক বন্ধন সম্পর্ক নিয়ে কথা বলব,  এটি সম্পূর্ণ আমার নিজের ব্যক্তিগত মন্তব্য।  
সম্পর্ক শুধু একটি শব্দ নয়, এর সঙ্গে লুকিয়ে আছে হাজারও অনুভূতি হাজার মনের কথা। সম্পর্ক শুধু দুটি মানুষের মধ্যেই হতে পারে এমনটা নয়, সম্পর্ক শব্দের কারণেই আজ আপনি আমি সমাজের একটি অংশ। সম্পর্ক হতে পারে দুটি মানুষের মধ্যে, সম্পর্ক হতে পারে কোন বস্তুর উপর কোন মানুষের, সম্পর্ক হতে পারে ধন-সম্পদের সাথে, সম্পর্ক হতে পারে টাকা-পয়সার সাথে, হতে পারে বন্ধুর সাথে বন্ধু, হতে পারে প্রকৃতির সাথে ,সম্পর্ক হয়ে যেতে পারে সৃষ্টিকর্তার সাথে।
এখানে প্রতিটি সম্পর্কের আলাদা মানে আলাদা ধরণ রয়েছে। এখানে কিছু সম্পর্ক রয়েছে প্রেম যুক্ত, প্রেম মুক্ত, স্বার্থর প্রয়োগ, নিঃস্বার্থ ,মায়া, ভালোবাসা , একতরফা সম্পর্ক।
সম্পর্কের হাজার রকমের নাম রয়েছে । রয়েছে হাজার রকমের সংজ্ঞা, হাজার রকমের প্রকারভেদ। কোনটি বাবা-মার প্রতি সম্পর্ক, কোনটি ভাই বোনের সম্পর্ক, কোনটি ভালোবাসার মানুষের সাথে সম্পর্ক, কোনটি আবার মায়ায় পড়ে যাওয়ার সম্পর্ক। আজ এগুলোকেই কিছুটা উপস্থাপন করার চেষ্টা করব আমার নিজের ভাষায় আপনাদের সামনে।
যদি আজ আমাকে বলা হয় সম্পর্ক কয় প্রকার, আমি ভাগ করব তিন প্রকার
- নিঃস্বার্থ সম্পর্ক
- স্বার্থ যুক্ত সম্পর্ক
- একতরফা সম্পর্ক
আজ আমি কথা বলব স্বার্থ যুক্ত সম্পর্ক নিয়ে, কোনদিন সময় হলে বাকি ২ টি নিয়ে ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব।
নতুন করে আর বলার কিছু নেই নামের সাথেই বুঝতে পেরেছেন সম্পর্কটা কিসের উপর ভিত্তি করে। এখানে দুই পক্ষই সম্পর্কে জড়ায় শুধুমাত্র স্বার্থের জন্য, তবে কোন এক পক্ষ যদি তার স্বার্থের পাল্লাটা একটু হালকা হয় বিশ্বাস করুন সেই মানুষটাই ঠকে যাবে। দুটি মানুষ কীভাবে স্বার্থের জন্য সম্পর্কে যেতে পারে?
বুঝতে হবে কেউ যদি সম্পর্কে আসার কারণে কোন জিনিস পাবার আশা করে সেখানেই স্বার্থ কাজ করে। সেটা হতে পারে ভালবাসা ,সেটা হতে পারে অর্থ-সম্পদ কিংবা যৌবন। স্বার্থ থেকেই যায় সম্পর্কের মাঝে। আমি এখানে বিতর্কে জড়াবো না, মানুষ ও অনেক সময় তার সন্তানকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য জীবন যৌবন ত্যাগ করে সেখানেও কিছুটা হলে ও নিজে স্বার্থটাই কাজ করে কারণ মানুষ জানে বৃদ্ধকালে একটু শান্তিতে থাকতে হলে তার সন্তানকে আজ মানুষের মতো মানুষ করতে হবে। কথাটি কেউ খারাপ ভাবে নেবেন না।
আমরা যদি সরাসরি স্বার্থ যুক্ত সম্পর্কে ভেতরে চলে যাই, সেখানে আমরা লক্ষ করতে পারব দুই ধরনের মানুষ।  এক ধরনের মানুষ যারা ত্যাগ করে যাবেন অপর পক্ষের মানুষ তার সর্বোচ্চ লাভ নেয়ার চেষ্টা করবেন।
অর্থাৎ আপনি সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য, হাসিমুখে অনেক কিছু ত্যাগ করে যাবেন কিন্তু আপনার অপর পক্ষের মানুষ হাসিমুখে সেটি সবসময় গ্রহণ করেই যাবে বিনিময় আপনাকে কিছু দিবে না।
আপনি যতই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য ভালো কিছু করতে থাকেন না কেন অপর মানুষটির কাছে আপনার সম্পর্ক তেমন কোনো মূল্য নেই। এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে যদি আপনার সেই মানুষটির জন্য নতুন কোন জিনিস ত্যাগ না করেন, কিংবা তার সুবিধা হয় এমন কোনো কাজ না করেন দেখবেন ওই মানুষটি আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
আজকালকার যুগে বন্ধুত্ব কিংবা ভালোবাসা সম্পর্কেও এই বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায়। এক পক্ষের মানুষ তার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার, অপর পক্ষের মানুষ সর্বোপরি চেষ্টা করে কিভাবে সামনের মানুষ থেকে আরও লাভবান হওয়া যায়। সম্পর্কটাকে পুঁজি করে কিভাবে আমি আমার স্বার্থকে হাসিল করতে পারি। এখানে স্বার্থ হতে পারে টাকা পয়সা, সম্পদ, যৌবন কিংবা অন্য কোনো সুবিধা।
এই ধরনের সম্পর্কে দেখবেন, প্রথমদিকে অপর পক্ষের লোক আপনাকে অতিরিক্ত ভালোবাসা দেখাবে। আপনার জন্য সে সর্বস্ব উজাড় করে দিতে পারে। আপনার জন্য অন্য মানুষের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। সে হোক বন্ধু কিংবা ভালোবাসার মানুষ আপনার জন্য সে সবকিছু উজাড় করে দিতে পারে।
আপনি ভাবছেন এই মানুষটি আপনার জন্য সবথেকে সেরা, যখনই আপনি এটি ভাবা শুরু করেছেন অর্থাৎ তার বিনিয়োগ করা সার্থক হয়েছে অর্থ হচ্ছে তিনি এতদিন আপনার উপর যে অনুভূতি কিংবা ত্যাগ দেখিয়েছে। এখন তা আপনার থেকে নেয়ার পালা। এ যাত্রা শুধু শুরু এখন আপনি তাকে বিশ্বাস করে তার জন্য সবকিছু করতে পারেন।
অনেক সময় এমন হয়ে যায় আপনি তার জন্য এখন কোন কিছু যদি না করে থাকেন তাহলে আপনাদের সম্পর্কটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারে। শুধুমাত্র এত ভালো একটি সম্পর্ক যেন শেষ না হয়ে যায় এই ভয়ে আপনি তার কথামতো চলা শুরু করবেন। তার মন রাখার জন্য আপনি চেষ্টা করতে থাকবেন। তার পাশে থাকাই হয়ে উঠবে আপনার একটি বড় দায়িত্ব। আপনি কি ভাবছেন সম্পর্কটা তার জন্য খুব প্রয়োজন।
অপর মানুষটির সম্পর্ক থেকে বেশি প্রয়োজন ছিল আপনার থেকে এই সুবিধাগুলো উপভোগ করা। আপনার থেকে কোন না কোন দিক থেকে নিজের স্বার্থ পাওয়ার জন্যই এত কিছু করেছিল।
একটা সময় আপনি বুঝতে পারবেন, অপর মানুষটি শুধুমাত্র তার নিজের লাভের জন্য আপনাকে ব্যবহার করে আসছে। আপনি বুঝতে পারবেন এখন আপনার সম্পর্কটা শেষ করে দেওয়া উচিত। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে. আপনি চাইলেই এখন এত সহজেই সবকিছু শেষ করতে পারছেন না। কারণ ব্যাপারটি এখন সম্পর্ক থেকে একটু এগিয়ে মায়াতে পরিণত হয়েছে। এই মায়া কিংবা অভ্যাস আপনাকে ওই মানুষ থেকে দূর হতে দেবে না। অর্থাৎ আপনি বুঝে গিয়েছেন এই মানুষটি আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে কিন্তু তবুও আপনি তার থেকে দূরে যেতে পারছেন না।
একটা সময় হয়তো আপনি দূরে যেতে চাইবেন, কিন্তু অভ্যাস কিংবা মায়ার কারণে আপনি যেতে পারবেন না। যেটি আপনাকে আরো বেশি কষ্ট দিবে। অপর পক্ষের মানুষ আপনার মধ্যে এই মায়া তৈরি করার জন্যই এতদিন আপনার কাছে ছিল। হয়তো একসময় আপনি ওই মানুষটি থেকে আলাদা হয়ে যাবেন, কিন্তু মায়ার কারণে আপনি কষ্টটা বেশি পাবেন। আপনার থাকা-না-থাকা তে অপরপক্ষের তেমন একটি যায় আসে না।
প্রচুর মানুষের সাথে সম্পর্ক করতে হবে এমনটি নয়, বরং ভালোবাসার একটি মানুষ, সুন্দর একটি পরিবার, কিছু অল্প সংখ্যক প্রিয় বন্ধু হলেই জীবনে সুখে-শান্তিতে পার করা যায়। তার জন্য অনেক মানুষের প্রয়োজন হয় না ।
তবে সম্পর্কের শুরুতে অপর পক্ষের মানুষের মনের অনুভূতি বোঝা যায় না। কিন্তু যখনই আপনি তা বুঝতে পারবেন তখনই তার থেকে সরে আসা উচিত। যদি যথাযথ কারণ না থাকে তাহলে আমি মনে করি না ওই মানুষটির সাথে থাকার প্রয়োজন রয়েছে। যে কি আপনাকে শুধুমাত্র প্রয়োজনে ব্যবহার করে।
এমত অবস্থায় আপনাকে মায়া ত্যাগ করতে হবে, এই মায়া ত্যাগ করা টাই হবে আপনার সবথেকে বড় অস্ত্র। সম্পর্ক সবসময় দুই দিক থেকেই টিকিয়ে রাখতে হয় এই কথাটি মনে রাখতে হবে। কখনো এক পক্ষ বেশি প্রচেষ্টা করে একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারে না। দুজনকে সমান প্রচেষ্টা করতে হবে। যদি বুঝতে পারেন অপরপক্ষ আপনার থেকে শুধু স্বার্থের জন্যই সম্পর্ক করেছে।
দ্রুত ঐ সমস্ত মানুষ থেকে দূরে সরে যান, আপনি মায়ার কারণে কিংবা সম্পর্ক রক্ষার কারণে দিনের পর দিন ওই মানুষটির সাথে থাকবেন, একটু সুখের আশায় কিন্তু সেটি কখনো হবে না দিন শেষে আপনাকে আরো কষ্ট বেশি পেতে হবে যত বেশী মায়া আপনি পড়বেন।
মনে রাখবেন ভালো থাকার জন্য আপনি একাই যথেষ্ট কোনো মানুষের উপর নির্ভর কিংবা আশা করলে আপনি নিরাশ হতেই পারেন। তাই প্রথম দিকেই যে মানুষগুলো স্বার্থপর, যারা মিথ্যা বলে, যারা আপনাকে শুধু ব্যবহার করে এই মানুষগুলো থেকে দূরে সরে যান। সম্পর্ক শুধু এক পক্ষ থেকেই ঠিক রাখা যায় না আপনার সম্পর্ক যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে অপরপক্ষ আপনাকে সেই পরিমান ভালোবাসা ফেরত দেবে যে পরিমাণ আপনি তাকে দিয়েছেন।
 আমি  সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী।  আমি  ঢাকাতে বসবাস করি।  আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি,  ফটোগ্রাফি করি,  গান করি।  আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা।  ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।

| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP | 
 









সম্পর্কের মারপ্যাঁচ আগে জানতাম না। কিছুদিন আগে তা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে সম্পর্ক কি কি হতে পারে। আমাদের আশেপাশের অধিকাংশ মানুষ সাথে সাথে চলে। সত্যিই অনেক লাভজনক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য, আসলে কিছু মানুষ সবসময় লাভের আশায় সম্পর্ক করেন, আর কিছু মানুষ সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য স্বার্থ ত্যাগ করতে থাকে। আমাদের উচিত এই প্রথম শ্রেণীর লোকদের থেকে দূরে থাকা।