মির্জাপুর সিজন ১ || ওয়েব সিরিজ
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
১৪ই ডিসেম্বর, বুধবার।
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।তবে একটা ওয়েব সিরিজ আমি অনেকদিন ধরে ভাবছি কিন্তু দেখা হয়ে উঠছিল না। সময় সুযোগ পাওয়ার পর এই ওয়েব সিরিজ আমি দেখেছি এবং আপনাদের সাথে রিভিউ করার জন্য চলে আসলাম।
পরিচালনা | করণ আংশুমান, গুরমিত সিং, মিহির দেশাই |
---|---|
লিখেছেন | করণ আংশুমান & পুনীত কৃষ্ণ |
উপর ভিত্তি করে | ক্রাইম, থ্রিলার, একশন |
অভিনয় | পঙ্কজ ত্রিপাঠী |
আলী ফজল | |
বিক্রান্ত ম্যাসি | |
দিব্যেন্দু | |
রসিকা দুগাল | |
শ্বেতা ত্রিপাঠী শর্মা | |
কুলভূষণ খারবান্দা | |
প্রযোজক | রিতেশ সিধওয়ানি |
ফারহান আখতার | |
কাসিম জাগমাগিয়া |
মির্জাপুর এটা মূলত একটা জায়গার নাম, এ জায়গায় ক্ষমতা হস্তান্তর বা মালিকানা নিয়ে যত ধরনের ঝামেলা তুলে ধরা হয়েছে এই ওয়েব সিরিজের মধ্যে। অনেকদিন ধরেই ত্রিপাঠি পরিবার এই মির্জাপুরের মালিকানায় ছিল, কিন্তু নিজ পরিবারের মধ্যেই কিছু মানুষের জন্য এই ক্ষমতা গুলো অন্য মানুষদের নজরে চলে আসে। শুরু হয় কয়েকটা পরিবারের মধ্যে ঝামেলা। এই ওয়েব সিরিজ আপনাকে গভীরভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করবে।
একদম শুরুতে আমরা দেখতে পাই ত্রিপাঠী পরিবারের একমাত্র ছেলে, সে প্রচন্ড পরিমানে মাথা গরম একটা মানুষ, সে কখনোই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না। সে যেখানেই যায় একটা না একটা দুর্ঘটনা ঘটে।
সে বন্ধুদের নিয়ে বাসায় ফিরছিল এমন সময় সে দেখতে পেল একটা বরযাত্রী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, সে পাগল হয়ে বরযাত্রীদের মধ্যে নাচানাচি শুরু করলাম, হঠাৎ করে এসে পিস্তল বের করে ফাঁকা গুলি করতে থাকলো। কিন্তু সেখান থেকে একটি গুলি হঠাৎ করেই বরের গায়ে লাগে। বরযাত্রী পুরাই হতবাক হয়ে যায় এই ঘটনা দেখে এখান থেকেই ঝামেলা শুরু।
বরপক্ষ যে উকিলের মাধ্যমে কেসটা আপিল করেছেন মুন্না ভাই সেই পরিবারের গিয়ে হাঙ্গামা শুরু করে। উকিল কে ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করে, উকিলের দুটি ছেলে ছিল সেখানে খুব বড় একটা ঝামেলা হয়ে যায়।
ত্রিপাঠি পরিবারের ছেলে কে মেরেছে তাই কালীন ভাই ওই দুটি ছেলেকে ডেকে এনেছে নিজের বাসায়, ছেলে দুটি ভয় পেয়েছিলো কিন্তু আসতে বাধ্য কারণ পালিয়ে কতদিন, কিন্তু কালীন ভাই যখন দেখল ছেলে দুটোর মধ্যে একজনের অসম্ভব রকম সাহস একজন অসম্ভব রকম বুদ্ধিমান। কালিন ভাই তাদের না মেরে তাদেরকে জব এর অফার দিলো।
মুন্না ভাই ইয়াং জেনারেশন কে টার্গেট করার জন্য, ছাত্র রাজনীতি করতো কলেজের ইলেকশন করত, যদিও কলেজের কেউ তাকে পছন্দ করে না কিন্তু ক্ষমতার জোরে তিনি কলেজ টাকে দখল করে রেখেছে।
কালীন ভাইয়ের পাওয়ারে, এ দুজনের এলাকা গরম করে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ করে ক্ষমতা পাওয়ার পর যা হয়। তাদেরকে সবরকম স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে ত্রিপাঠী পরিবারের যে কোন বিজনেস আছে তারা মতামত দিতে পারছে। মোটকথা ত্রিপাঠী পরিবার তাদের সাহস এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যবসা কে উপরে উঠানোর চেষ্টা করেছেন।
চমৎকারভাবে দুই ভাইয়ের কলেজেরই পড়ুয়া দুই বোনকে পছন্দ হয়ে গেল, মূলত বড় ভাই রিলেশন করতে গিয়ে ছোট ভাইয়ের রিলেশন হয়ে যায় মেয়েটির ছোট বোনের সাথে, দুইটা কাপল আস্তে আস্তে তাদের প্রেমের দিকে আগাচ্ছে।
এই দৃশ্য প্রত্যেকে ফেসবুকে বিভিন্ন ভিডিওতে দেখেছেন হয়ত, ছেলে যখন নিজের বাবার টাকায় মেরে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে এটা সেই মুহূর্ত, মূলত মুন্নাভাই নিজের বাবার বিজনেস এর মধ্যে থেকেও নিজের প্রফিট টা সর্বোচ্চ বের করে নিয়ে আসেন।
কালীন ভাই নতুন এই দুটি ছেলেকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে তাদের ব্যবসায় উন্নতির জন্য , সাহসী ভাইটিকে দিয়ে সবসময় ডেয়ারিং কাজ করানো হয়, বুদ্ধিমান ছোট ভাইকে দিয়ে সবসময় প্ল্যানিং করা হয় এতে করে তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিজনেস এর মধ্যে কারা বেইমানি করছে এই মানুষগুলোকে বের করতে পারে এবং তাদেরকে মেরে ফেলা।
তারা বিজনেস আপডেট করার জন্য যেকোনো ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে এই বিজনেস মধ্যে এটা তাদের স্বাধীনতা ছিল, তারা ড্রাগসের বিজনেস করার জন্য ট্রান্সজেন্ডারদের কেউ ব্যবহার করেছে।
তারা দুই ভাই এত পরিমান প্রভাব বিস্তার করেছিল, এখন ত্রিপাঠি পরিবারের জন্য এই ছেলেগুলো কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই এদেরকে সরিয়ে ফেলার জন্য প্লান করা হচ্ছে। গুড্ডু ভাই বিয়ে করে নতুনভাবে একটা পরিবার সাজানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পরিণতি যা হয় সকলেরই সাজানো সংসার নিমিষে শেষ হয়ে যায়।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হিন্দি বেস্ট ওয়েব সিরিজ।প্রচুর মজা পেয়েছি দেখে। একটানা দেখে শেষ করেছি ভাই। এমনকি টিউশন পর্যন্ত মিস দিয়েছিলাম।আমার বাবলু ভাই ক্যারেক্টার টাকে সব থেকে ভাল লেগেছে।খুব সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ।
আমি একটানা ১৮ ঘন্টা বসে মির্জাপুর series-1 এবং series-২ শেষ করেছি , যদিও শরীর খারাপ লাগছিল কিন্তু খুব ইনজয় করেছি দেখে। ঘটনাটা বেশ চমৎকার এবং অভিনয় গুলো ছিল দুর্দান্ত।